Ajker Patrika

ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে হবে কি বিপিএল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিপিএলের সবশেষ আসরের চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল। ফাইল ছবি
বিপিএলের সবশেষ আসরের চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল। ফাইল ছবি

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এখনো দল নির্বাচন ও ভেন্যু নির্ধারণসহ নানা দিক নিয়ে পর্যালোচনায় ব্যস্ত। তবে গতকাল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনকে ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করার পরামর্শ দিয়েছেন। সরকারের এই অবস্থানের পর বিপিএল আয়োজন নিয়ে সংশয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে টুর্নামেন্ট আয়োজন সম্ভব হবে কি না—এখনো নিশ্চিত নয় বিসিবি। প্রয়োজনে ২০২৬ সালের মে মাসে বিকল্প সময় বিবেচনায় রাখছে বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল। যদিও এ বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

আজ বিসিবিতে বিপিএল ও আসন্ন পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে জরুরি সভা শেষে গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। এমনও শুনেছি, নির্বাচন ঈদের আগেই হয়ে যেতে পারে। আমরা যত ডিসেম্বরের দিকে যাব, বিপিএলের শুরুর সময় নিয়ে পরিষ্কার ধারণা পাব। যদি ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে করা সম্ভব না হয়, তাহলে আমাদের হাতে মে মাসের একটি স্লট আছে। তবে মে মাসে করলে আইপিএলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে। সেটাও জেনেও পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ১ম থেকে ১১তম বিপিএলে অংশ নেওয়া সব দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করব। জানতে চাইব, তারা কেন বাদ পড়েছিল বা ফিরে আসতে চায় কি না। স্বচ্ছতা ও পেশাদারি বজায় রাখতে এবার আমরা বিপিএলের বিপণন বিভাগকেও বর্ধিত করতে চাই। এ জন্য প্রতিটি খাতে আলাদাভাবে দরপত্র আহ্বান করব।’

ভেন্যু নিয়েও বিসিবির ভাবনা বাড়ছে। এবার তিনটির জায়গায় চারটি ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজনের সম্ভাবনা। এ প্রসঙ্গে বিপিএলের এ শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘খুলনা ও বগুড়াকে নতুন ভেন্যু হিসেবে যুক্ত করার সম্ভাবনা যাচাই করা হচ্ছে। বরিশালের কাজ ভালোভাবে এগোচ্ছে, সেখানে উইকেট প্রস্তুত। রাজশাহীতে ভেন্যু প্রস্তুত আছে। তবে ভেন্যু চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে আবাসন ও অন্যান্য লজিস্টিক সুবিধা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যেসব ভেন্যু আগে এই শর্ত পূরণ করবে, সেখানে বিপিএলের ম্যাচ হবে।’

আগামী আসরের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এনসিএল টি-টোয়েন্টি আয়োজনেও মনোযোগ দিচ্ছে বিসিবি। মাহবুবুল আনাম বলেন, ‘গতকাল ক্রিকেট অপারেশনস বিভাগের সঙ্গে সভায় আমরা ২০২৬ সালের ক্যালেন্ডারের খসড়া চূড়ান্ত করেছি। সেই আলোকে এনসিএল টি-টোয়েন্টি আয়োজন করব সবার আগে। এখান থেকে আমরা দেখব, কোন কোন স্থানীয় ক্রিকেটার বিপিএলের ড্রাফটে আসার উপযুক্ত। শুধু তালিকা দেখে ড্রাফট করলে বিপিএলের মূল উদ্দেশ্য সফল হয় না। এই টুর্নামেন্ট স্থানীয় ক্রিকেটারদের জন্য সুযোগের মঞ্চ হতে পারে।’

বিপিএলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে মাহবুবুল আনাম বলেন, ‘প্রথমে আমাদের নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। আমাদের ভিত যদি শক্ত হয়, তাহলে ভালো দল ও বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হবে। আমরা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় এগোতে চাই, যাতে ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ে। তখনই দেশীয় করপোরেট হাউসগুলো বিপিএলে যুক্ত হয়ে নিজেদের দল গড়ে তুলতে পারবে।’ অতীত অভিজ্ঞতা টেনে তিনি আরও বলেন, ‘২০১২ সালে যখন বিপিএল শুরু হয়েছিল, তখন গেম অন স্পোর্টস নামের একটি মার্কেটিং এজেন্সি দায়িত্বে ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বোর্ডের তেমন লাভ হয়নি। আমি বলব, সেটা গেম অন স্পোর্টসের ভুল ছিল না বিসিবির ভুল ছিল। কারণ, তারা এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছিল, যাদের এই ধরনের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট পরিচালনার অভিজ্ঞতা ছিল না।’

নতুন এজেন্সি নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এবার বিজ্ঞপ্তিতেই বলা আছে যাদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি লিগ আয়োজনের অভিজ্ঞতা আছে এবং দক্ষ জনবল রয়েছে, তাদের মধ্য থেকেই বাছাই করব। আমরা চাই, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীর বিপিএল আরও পেশাদার ও লাভজনক হোক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাষ্ট্রের গোপন নথি ফাঁস: এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব মুকিতুলের বিরুদ্ধে এবার মামলা

রক্ত কেনা যায় না—ইয়েমেনে নিমিশাকে ক্ষমা করতে অস্বীকৃতি মাহদির পরিবারের

২৫ সেকেন্ডে ১২ গুলি, হাসপাতালে গ্যাংস্টারের শরীর ঝাঁঝরা

গোপালগঞ্জে সহিংসতায় নিহত ৪ জনের ময়নাতদন্ত হলো না, প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন ডিআইজি

বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল: সাবেক এমপিসহ ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত