নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মাঠে তিনি দুর্দান্ত, মাঠের বাইরে বিতর্ক—দুই মিলিয়ে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দ্বিমত করার মানুষ কমই মিলবে। গত কয়েক বছরে বিতর্ক এতই বেশি হয়েছিল, ক্রিকেটার পরিচয়টা পেছনে পড়ে যাচ্ছিল। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে সাকিবকে নিয়ে দেশের ক্রিকেটসমাজ দুই ভাগে বিভক্ত।
কথায় বলে, বন্যরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। রাজনীতির মাঠের সাকিবকে গ্রহণ করেননি দেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটপ্রেমী। একরোখা মনোভাব নিয়ে সাকিব অনেক কিছুতেই সফল হয়েছেন, কিন্তু গণমানুষের তোপে রাজনীতির ব্যর্থতা দেখেছেন শুরুতেই। এবার হত্যা মামলাও হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিসিবি জানিয়েছে, পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের পর তাঁরা সাকিবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
সাকিব এখন আরও ভালোভাবে বুঝতে শুরু করেছেন, ক্রিকেটই তাঁর শিকড়, সেখান থেকেই শিখরে তিনি। গতকাল সাকিবের শরীরী ভাষায় ছিল জয়ের ক্ষুধা, দায়িত্ববোধ আর প্রতিপক্ষের ওপর আক্রমণাত্মক থাবা। মনোযোগটা ক্রিকেটে ফেরাতেই রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় দেখেছে বাংলাদেশ। এই সাকিবকে হারাতে চায় না বাংলাদেশ ক্রিকেট—সামাজিক মাধ্যমে এমন দাবিও উঠেছে। সতীর্থ মুমিনুল হক, রুবেল হোসেন, এনামুল হক বিজয়, শেখ মেহেদী, শরীফুল ইসলাম তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন, ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। মুমিনুলের আশঙ্কা, ‘এমন ঘটনা (সাকিবের বিরুদ্ধে মামলা) দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে।’
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চতুর্থ দিন পর্যন্ত ম্যাচ এগোচ্ছিল ড্রয়ের দিকে। কিন্তু পঞ্চম দিনে স্পিনারদের জন্য কঠিন উইকেটে (যেখানে স্বাগতিক দল কোনো বিশেষজ্ঞ স্পিনার খেলায়নি) সাকিব ও মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিজাদু দৃশ্যপট বদলে দেয়। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা সৌদ শাকিলকে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরান সাকিব। পঞ্চম উইকেটে আবদুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। শফিককে ফিরিয়ে ৩৭ রানের জুটি ভেঙে দলকে দারুণ ব্রেক-থ্রু এনে দেন সাকিব। শেষ দিকে ফেরান নাসিম শাহকে। তাতে ক্রিকেট ইতিহাসে সফলতম বাঁহাতি স্পিনারের তালিকায় শীর্ষস্থানে নাম লেখালেন সাকিব।
ড্যানিয়েল ভেট্টোরির চেয়ে ২ উইকেট পিছিয়ে থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে খেলতে নেমেছিলেন সাকিব। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়ে ৪৮২ ইনিংসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের উইকেট সংখ্যা এখন ৭০৭। বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। ৪৯৮ ইনিংসে ৭০৫ উইকেট নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার ভেট্টোরির।
এত বিতর্কের চাপের মাঝেও নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে দেখালেন, সাকিব সুন্দর ক্রিকেট মাঠে। রুবেল যথার্থই লিখেছেন, ‘সাকিব ক্রিকেটেই সুন্দর, রাজনীতিতে নয়।’
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বললেন, ‘যখন তিনি দেশের হয়ে মাঠে নামেন, যতটুকু বুঝি, অনেক নিবেদিত একজন মানুষ। দলকে জেতাতে যা যা করা দরকার, সবকিছুই করেন। এ রকম একটা অবস্থার মধ্যে থেকেও এমন ভালো করা, দলে এ রকম প্রভাব রাখা, বিশেষ করে বোলিংয়ে। অসাধারণ। তাঁর কাছে এটাই আশা করি। শেষ ম্যাচেও এ রকমই আশা করব।’
মাঠে তিনি দুর্দান্ত, মাঠের বাইরে বিতর্ক—দুই মিলিয়ে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দ্বিমত করার মানুষ কমই মিলবে। গত কয়েক বছরে বিতর্ক এতই বেশি হয়েছিল, ক্রিকেটার পরিচয়টা পেছনে পড়ে যাচ্ছিল। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে সাকিবকে নিয়ে দেশের ক্রিকেটসমাজ দুই ভাগে বিভক্ত।
কথায় বলে, বন্যরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। রাজনীতির মাঠের সাকিবকে গ্রহণ করেননি দেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটপ্রেমী। একরোখা মনোভাব নিয়ে সাকিব অনেক কিছুতেই সফল হয়েছেন, কিন্তু গণমানুষের তোপে রাজনীতির ব্যর্থতা দেখেছেন শুরুতেই। এবার হত্যা মামলাও হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিসিবি জানিয়েছে, পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের পর তাঁরা সাকিবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
সাকিব এখন আরও ভালোভাবে বুঝতে শুরু করেছেন, ক্রিকেটই তাঁর শিকড়, সেখান থেকেই শিখরে তিনি। গতকাল সাকিবের শরীরী ভাষায় ছিল জয়ের ক্ষুধা, দায়িত্ববোধ আর প্রতিপক্ষের ওপর আক্রমণাত্মক থাবা। মনোযোগটা ক্রিকেটে ফেরাতেই রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় দেখেছে বাংলাদেশ। এই সাকিবকে হারাতে চায় না বাংলাদেশ ক্রিকেট—সামাজিক মাধ্যমে এমন দাবিও উঠেছে। সতীর্থ মুমিনুল হক, রুবেল হোসেন, এনামুল হক বিজয়, শেখ মেহেদী, শরীফুল ইসলাম তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন, ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। মুমিনুলের আশঙ্কা, ‘এমন ঘটনা (সাকিবের বিরুদ্ধে মামলা) দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে।’
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চতুর্থ দিন পর্যন্ত ম্যাচ এগোচ্ছিল ড্রয়ের দিকে। কিন্তু পঞ্চম দিনে স্পিনারদের জন্য কঠিন উইকেটে (যেখানে স্বাগতিক দল কোনো বিশেষজ্ঞ স্পিনার খেলায়নি) সাকিব ও মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিজাদু দৃশ্যপট বদলে দেয়। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা সৌদ শাকিলকে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরান সাকিব। পঞ্চম উইকেটে আবদুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। শফিককে ফিরিয়ে ৩৭ রানের জুটি ভেঙে দলকে দারুণ ব্রেক-থ্রু এনে দেন সাকিব। শেষ দিকে ফেরান নাসিম শাহকে। তাতে ক্রিকেট ইতিহাসে সফলতম বাঁহাতি স্পিনারের তালিকায় শীর্ষস্থানে নাম লেখালেন সাকিব।
ড্যানিয়েল ভেট্টোরির চেয়ে ২ উইকেট পিছিয়ে থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে খেলতে নেমেছিলেন সাকিব। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়ে ৪৮২ ইনিংসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের উইকেট সংখ্যা এখন ৭০৭। বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। ৪৯৮ ইনিংসে ৭০৫ উইকেট নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার ভেট্টোরির।
এত বিতর্কের চাপের মাঝেও নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে দেখালেন, সাকিব সুন্দর ক্রিকেট মাঠে। রুবেল যথার্থই লিখেছেন, ‘সাকিব ক্রিকেটেই সুন্দর, রাজনীতিতে নয়।’
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বললেন, ‘যখন তিনি দেশের হয়ে মাঠে নামেন, যতটুকু বুঝি, অনেক নিবেদিত একজন মানুষ। দলকে জেতাতে যা যা করা দরকার, সবকিছুই করেন। এ রকম একটা অবস্থার মধ্যে থেকেও এমন ভালো করা, দলে এ রকম প্রভাব রাখা, বিশেষ করে বোলিংয়ে। অসাধারণ। তাঁর কাছে এটাই আশা করি। শেষ ম্যাচেও এ রকমই আশা করব।’
৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হবে এশিয়া কাপ। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এই এশিয়া কাপের ম্যাচের সূচিও ঘোষণা করেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। তবে ম্যাচ গুলোর ভেন্যু এত দিন ঘোষণা করেনি এসিসি। এশীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবার জানিয়ে দিল সব ম্যাচের ভেন্যুও। আবুধাবি ও দুবাইয়ে সব টুর্নামেন্টের
৩ ঘণ্টা আগেছুটি পেলেই বাড়ি ফিরেই ছুটে যান মাঠে। সেখানে আসিফের অপেক্ষায় থাকে গ্রামের এক ঝাঁক কিশোর ফুটবলার। অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক আশরাফুল হক আসিফ এখন তাঁদের স্বপ্নের ও অনুপ্রেরণার নাম। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামে বেড়ে ওঠা আসিফের। ২০২৪ সালে তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় দলের সাবেক ব্যাটার মোহাম্মদ আশরাফুলকে আসন্ন এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের জন্য বরিশাল বিভাগের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
৬ ঘণ্টা আগেআবাহনী লিমিটেডের ঘরের ছেলে হয়ে উঠেছিলেন মোহাম্মদ হৃদয়। পেশাদার লিগে তাঁর শুরুটা ধানমন্ডির ক্লাবটির হয়ে। টানা ৭ মৌসুম আকাশী-নীল জার্সিতে খেলে এবার তিনি পাড়ি দিয়েছেন বসুন্ধরা কিংসে।
৭ ঘণ্টা আগে