Ajker Patrika

‘উইন্ডিজ ছাড়া বিশ্বকাপ কল্পনাই করা যায় না’  

আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২৩, ১৫: ০৭
‘উইন্ডিজ ছাড়া বিশ্বকাপ কল্পনাই করা যায় না’  

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপসহ পাঁচটি আইসিসি ইভেন্ট জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আইসিসি ইভেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবার পারল না ২০২৩ বিশ্বকাপের টিকিট কাটতে। উইন্ডিজদের এমন পারফরম্যান্সে হতাশ কিংবদন্তি ব্যাটার গর্ডন গ্রিনিজ। 

২০১৯ বিশ্বকাপেও সুযোগ পেতে বাছাইপর্ব খেলতে হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সেই পরীক্ষায় কোনো রকমে পাশ করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার ওয়ানডে সুপার লিগে না থাকায় দলটিকে খেলতে হয় বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। যুক্তরাষ্ট্র ও নেপালকে হারিয়ে শুরুটা ভালোই করেছিল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ থেকেই উইন্ডিজদের পা হড়কানো শুরু। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতে থাকলেও শেষ মুহূর্তে খেই হারিয়ে ফেলে তারা। এরপর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩৭৪ রান করেও সুপার ওভারে হেরে যায় ক্যারিবীয়রা। আর স্কটল্যান্ডের কাছে ৭ উইকেটে হেরে বিশ্বকাপের বিমানই ধরা হলো না দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। ব্যাটিং তুলনামূলক ভালো হলেও বোলিং, ফিল্ডিংয়ে উই্ন্ডিজের অবস্থা হতশ্রী। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পারফরম্যান্সে হতাশা প্রকাশ করে পিটিআইকে গ্রিনিজ বলেন, ‘দেখুন, আমি বর্তমানে ক্রিকেট দেখিই না, বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেট। আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরাজয় বেশ কষ্ট দিত। কিন্তু এখন আর অতটা খারাপ লাগে না। আমাদের খেলার মান অনেক নিচে নেমে গেছে। তবে এটা সত্য যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া বিশ্বকাপ আসলে কল্পনাই করা যায় না।’ 

লর্ডসে বিশ্বকাপ ফাইনাল মানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের চ্যাম্পিয়ন হওয়া একরকম নিয়ম হয়ে গিয়েছিল। ভিভ রিচার্ডস, ক্লাইভ লয়েডদের মতো তারকাদের নিয়ে গড়া উইন্ডিজ ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ বিশ্বকাপ জয়ের পর হ্যাটট্রিকটাও প্রায় করে ফেলেছিল। তবে ১৯৮৩ বিশ্বকাপে চমকে দিয়ে প্রথম শিরোপা জেতে ভারত। রিচার্ডস-লয়েডদের মতো এরপর এসেছিলেন ব্রায়ান লারা, শিবনারায়ণ চন্দরপল, রামনরেশ সারওয়ান, ইয়ান বিশপ, ক্রিস গেইলরা। যাঁরা উইন্ডিজকে দিয়েছিলেন মনে রাখার মতো অসংখ্য স্মৃতি। বর্তমানে উইন্ডিজ ক্রিকেটারদের দেখা যায় দেশ-বিদেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁরা তেমন অবদান রাখতে পারছেন না। উইন্ডিজের স্বর্ণযুগের সঙ্গে তুলনা করে হতাশা ঝরেছে গার্নারের কণ্ঠেও, ‘আগে যা ছিলাম, এখন সেই অবস্থায় নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলার গৌরব আগে কাজ করত। এটা অনুপ্রেরণা ছিল। তরুণ খেলোয়াড়েরা এখন টি-টোয়েন্টি লিগের দিকে বেশি ঝুঁকছে। তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। কেননা, সবাই নিজের নিরাপত্তার কথাই ভাববে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত