Ajker Patrika

করোনাকালে ক্রিকেট: এখানেও এগিয়ে মুশফিক

তাসনীম হাসান
আপডেট : ২৯ জুন ২০২১, ১৭: ০১
করোনাকালে ক্রিকেট: এখানেও এগিয়ে মুশফিক

ঢাকা: খেলা থাকুক আর না থাকুক–মাঠে তাঁকে দেখা যাবেই। ঐচ্ছিক অনুশীলনে সতীর্থরা হোটেলে অলস সময় কাটালেও তিনি মাঠে চলে আসবেনই। মুশফিকুর রহিমের অভিধানে যেন ‘বিশ্রাম’ শব্দটাই নেই! একবার তিনি বলেছিলেন, ‘যদি কেউ বলে, দুদিন অনুশীলন করবে না, বাসায় থাকবে, সেটাই আমার কাছে জেলখানা হয়ে যায়। আর কোনো শাস্তি দেওয়া লাগে না!’

খেলাটার প্রতি এই নিবেদন, চেষ্টায় মুশফিক এখন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। তিনি এগিয়ে থাকলেন আরও একটা জায়গায়। করোনা মহামারির এই সময়ে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি দিন মাঠে কাটিয়েছেন  মুশফিকই। গত বছরের শুরু থেকেই করোনা ভাইরাসের হানায় থমকে গিয়েছিল পুরো বিশ্ব। সেটির ধাক্কা লাগে ক্রিকেটাঙ্গনেও। ২০২০ সালের ১৩ মার্চ সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে ম্যাচের পর হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে যায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। বাংলাদেশে খেলা বন্ধ হয়ে যায় এর কদিন পরই, ১৯ মার্চ।

১১৭ দিনের স্থবিরতা কাটিয়ে ৮ জুলাই সাউদাম্পটনে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। মুশফিকদের ফিরতে অপেক্ষা করতে হয় আরও কয়েক মাস। গত বছরের ১১ অক্টোবর বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা।

তবে এই ফেরাটা আগের মতো নয়। ‘জৈব সুরক্ষাবলয়’ নামে ক্রিকেটে যোগ হয়েছে নতুন একটি বিষয়। প্রতিটি সিরিজের আগেই ঢুকে যেতে হয় কোয়ারেন্টিন পর্বে। নিভৃত বাসের এই দিনগুলোয় পাশের কক্ষের সতীর্থের কাছে যাওয়ারও সুযোগ থাকে না অনেক সময়। এখানেই শেষ নয়। সিরিজ চলার সময় মাঠ থেকে হোটেল, হোটেল থেকে মাঠ–এই হয়ে পড়েছে ক্রিকেটারদের জীবন। এতে অনেক ক্রিকেটার মানসিক অবসাদেও ভুগছেন।

এ কঠিন জীবন সয়েও মুশফিক দিনের হিসেবে গত আট মাসে মাঠে ছিলেন সবচেয়ে বেশি—৫৭ দিন। এই সময়ে তিনি খেলেছেন মোট ৪১টি ম্যাচ। এর মধ্যে আছে ৯টি ওয়ানডে আর ৪টি টেস্ট। বাকি ২৮টি ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ। মহামারিতে সবচেয়ে বেশি দিন মাঠে থাকার তালিকায় মুশফিকের পরের নাম দুটি তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্তর। আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট মিলিয়ে দুজনই খেলেছেন সমান ৩৭টি করে ম্যাচ। আর দিনের হিসেবে দুজনই মাঠে ছিলেন ৫৩ দিন।

তবে এই সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি মাঠে থেকেছেন লিটন দাস। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি মিলিয়ে খেলেছেন ১৫ ম্যাচ। ঘরোয়া ক্রিকেট (২১ ম্যাচ) মিলিয়ে মোট ৫২ দিন মাঠে কাটিয়েছেন লিটন।

ব্যস্ত সময় কেটেছে মোস্তাফিজুর রহমানেরও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আইপিএলে ধারাবাহিক আলো ছড়ানো এই বাঁহাতি পেসার মাঠে ছিলেন মোট ৫০ দিন। এর মধ্যে আছে ৯ ওয়ানডে ও ১টি করে টেস্ট ও টি–টোয়েন্টি। আইপিএল (৭ ম্যাচ) ও ঘরোয়া ম্যাচ মিলিয়ে খেলেছেন ৩৫টি ম্যাচ। নিষেধাজ্ঞা শেষে জানুয়ারিতে ক্রিকেটে ফেরা সাকিব আল হাসানের অবশ্য বেশি দিন মাঠে থাকা হয়নি। ১৯ দিন মাঠে ছিলেন এই তারকা অলরাউন্ডার।

করোনার মধ্যে ক্রিকেট চালিয়ে নেওয়া কতটা কঠিন, সেটিই কাল বলছিলেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী, ‘এখন যে পরিস্থিতিতে খেলা হচ্ছে তাতে ক্রিকেটাররা শারীরিক ও মানসিক–দুদিকেই ধাক্কা খেতে পারে। তাঁদের মানসিকভাবে পূর্বপ্রস্তুতি যেন আরও ভালো হয় সেই পরামর্শ দিচ্ছি। কেউ যদি সুরক্ষাবলয়ে থাকতে থাকতে অবসাদে ভোগে, সেটি জানিয়ে ছুটি নিতে চাইলে বোর্ড অবশ্যই বিবেচনা করবে।’

এ কারণেই কিনা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছেন মুশফিক। আসলেই  ধকল আর কত নেওয়া যায়! 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই করে ৪৩ বছর আগের স্মৃতি ফেরাল নিউজিল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪০
শেষ ওয়ানডেতে ২ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে কিউইরা। ছবি: এক্স
শেষ ওয়ানডেতে ২ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে কিউইরা। ছবি: এক্স

শেষ ওয়ানডেটা দুই দলের জন্য ছিল দুই রকমের। আগেই সিরিজ জেতায় কিউইদের জন্য ম্যাচটি শুধু আনুষ্ঠানিকতার হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেটা ইংল্যান্ডের জন্য ছিল মান বাঁচানো ও ধবলধোলাই এড়ানোর মিশন। কিন্তু শেষটাতেও সান্ত্বনার জয় পায়নি ইংলিশরা।

শেষ ম্যাচে তাঁদের ২ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সেই সঙ্গে হ্যারি ব্রুকের দলকে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করল ব্ল্যাক ক্যাপসরা। ইউরোপের দলটিকে দ্বিতীয়বারের মতো ধবলধোলাই করার স্বাদ পেল তারা। এর আগে সর্বশেষ ১৯৮২ সালে ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল দলটি।

ওয়েলিংটনের রিজিওনাল স্টেডিয়ামে ব্লেয়ার টিকনার, জ্যাকব ডাফিদের বোলিং তোপে পড়ে লড়াইয়ের পুঁজিই পায়নি ইংল্যান্ড। ৪০.২ ওভারে ২২২ রানে অলআউট হয় তারা। সফরকারীদের প্রথম সারির ৫ ব্যাটারের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১ রান করেন জ্যাকব বেথেল। অন্যরা আটকে যান এক অঙ্কের ঘরে। শুরুর ব্যাটিং ব্যর্থতার পর জেমি ওভারটনের ফিফটি ও জস বাটলার ও ব্রাইডন কার্সের দুটি মাঝারি মানের ইনিংসে ভর করে ২০০ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় দলটি।

৬২ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন ওভারটন। ৩৮ রান আসে বাটলারের ব্যাট থেকে। ৩৬ রান করেন কার্স। জোফরা আর্চার এনে দেন ১৬ রান। ৪ উইকেট নেন টিকনার। ৬৪ রান খরচ করেন এই পেসার। ৫৬ রানে ৩ উইকেট নেন ডাফি। জাকারি ফোকসের শিকার দুটি।

জবাব দিতে নেমে ৭৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২০০ রানের কোটায় যাওয়ার আগেই ৮ উইকেটের দলে পরিণত হয় নিউজিল্যান্ড। এরপরও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সাক্ষী হতে হয়নি তাদের। ৪৬ রান করেন রবীন্দ্র।

৪৪ রান আসে ড্যারেল মিচেলের ব্যাট থেকে। ৩৪ রান করেন কনওয়ে। শেষ দিকে হারের শঙ্কা জাগলেও ৩২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন ফোকস ও টিকনার। এই দুজন ১৪ ও ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ইংল্যান্ডের হয়ে ওভারটন ও স্যাম কারান দুটি করে উইকেট নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতের ‘হুমকি’, দুই দিনের মধ্যে এশিয়া কাপের ট্রফি বুঝিয়ে দিতে হবে

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫১
এখনো এশিয়া কাপের ট্রফি পায়নি ভারত। ছবি: এক্স
এখনো এশিয়া কাপের ট্রফি পায়নি ভারত। ছবি: এক্স

এশিয়া কাপ শেষ হয়েছে এক মাসের বেশি সময় আগে। তবে ট্রফি ইস্যুতে এখনো মহাদেশীয় টুর্নামেন্টটির রেশ কাটেনি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে ভারত। এখনো ট্রফি বুঝে পায়নি সূর্যকুমার যাদবের দল।

বিষয়টি নিয়ে কিছুদিন ধরে অনেক নাটক হয়েছে। এবার এশিয়া কাপ ট্রফি ইস্যুতে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে (এসিসি) রীতিমতো হুমকি দিয়ে রাখলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব দেবজিত সাইকিয়া। দুই দিনের মধ্যে ট্রফি না পেলে আইসিসির বোর্ড সভায় ঝড় তোলার বার্তা দিয়ে রাখলেন তিনি।

এসিসির সভাপতি মহসিন নাকভি। তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি। ফাইনালের পর তাঁর কাছ থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানায় ভারতীয় দল। নাকভিও ছাড় দেননি বিন্দুমাত্র। তিনি জানান, ট্রফি নিতে চাইলে এসিসির সদর দপ্তরে যেতে হবে ভারতীয় দলের কোনো প্রতিনিধিকে। এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি বিসিসিআই। তাই এশিয়া কাপের ট্রফি ইস্যুতে এখনো রশি-টানাটানি চলছেই। আগামী মঙ্গলবার দুবাইয়ে পরবর্তী আইসিসি সভা অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে সম্প্রতি ট্রফি চেয়ে এসিসির কাছে চিঠি দেয় বিসিসিআই। সংস্থাটির চাওয়া, ট্রফি ভারতে পৌঁছে দিক এসিসি।

বার্তা সংস্থা পিটিআইকে সাইকিয়া বলেন, ‘এক মাসের বেশি অতিবাহিত হলেও আমরা ট্রফি পাইনি। এ জন্য আমরা অসন্তুষ্ট। ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করে যাচ্ছি। ১০ দিন আগে এসিসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তারা তাদের কাছে ট্রফি রেখেছে। আমাদের আশা, দু-এক দিনের মধ্যে বিসিসিআই অফিসে ট্রফি বুঝিয়ে দিয়ে যাওয়া হবে।’

ট্রফি নিয়ে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন বিসিসিআই সচিব, ‘বিষয়টি কীভাবে সামাল দিতে হবে বিসিসিআই সেটার প্রস্তুতি নিয়েছে। ভারতীয় জনগণকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে ট্রফি এখন ভারতে ফিরবেই। এটা শুধু সময়ের ব্যবধান। সময় চূড়ান্ত না হলেও একদিন না একদিন আমরা ট্রফি পাবই।’

ট্রফির ইস্যুতে নাকভিকে খোঁচা দিতেও ভোলেননি সাইকিয়া, ‘এশিয়া কাপে আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে সব ম্যাচ জিতেছি। চ্যাম্পিয়নও হয়েছি। তবে ট্রফি আমাদের হাতে নেই। আশা করব, এসিসি সভাপতির বুদ্ধির উদয় হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন আইয়ার, ভারত ফিরবেন কবে

ক্রীড়া ডেস্ক    
আরও কিছুদিন চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে আইয়ারকে। ছবি: এক্স
আরও কিছুদিন চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে আইয়ারকে। ছবি: এক্স

চোট পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দুই দিনের মাথায় শ্রেয়াশ আইয়ারকে নিয়ে স্বস্তি ফেরে। তাই হাসপাতাল থেকে তাঁর ছাড়া পাওয়া ছিল কেবলমাত্র সময়ের ব্যাপার। অবশেষে এল সেই সময়। ভর্তি হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন আইয়ার।

তারকা ব্যাটারের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তবে এখনই ভারতে ফেরা হচ্ছে না তাঁর। আরও কিছুদিন থাকতে হবে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে। চিকিৎসকরা ছাড়পত্র দেওয়ার পরই বিমানে চড়তে পারবেন আইয়ার।

আজ এক বিবৃবিতে বিসিসিআই জানিয়েছে, ‘আইয়ারকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর চোট চিহ্নিত করতে বেশি সময় লাগেনি। কিছু ব্যবস্তা নেওয়ার পর রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। উন্নতির মাত্রাও চোখে পড়ার মতো। বিসিসিআইয়ের মেডিকেল বিভাগ এবং সিডনি ও ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তার অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট।’

আইয়ারকে দ্রুত সুস্থ করে তোলায় চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞ বিসিসিআই, ‘আইয়ারের জন্য ভালো মানের চিকিৎসার ব্যবস্থা করায় সিডনিতে ড. কৌরুশ হাঘিগি ও তার দল এবং ভারতে ড. ডিনশ পার্দিওলা ও তার দলের কাছে বিসিসিআই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। পরবর্তী পরামর্শ ও প্রক্রিয়ার জন্য আইয়ার আপাতত আরও কিছুদিন সিডনিতেই থেকে যাবে। বিমান উঠার মতো অবস্থা তৈরি হলে সে ভারত ফিরবে।’

অস্ট্রেলিয়া সফরে ২–১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হেরে যায় ভারত। শেষ ম্যাচে গত ২৫ অক্টোবর ৯ উইকেটের জয়ে ধবলধোলাই এড়ায় সফরকারী দল। জয়ের দিনে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পান আইয়ার। পরদিন তাঁকে সিডনির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এমনকি অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউতেও নেওয়া হয়েছিল এই ব্যাটারকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাকেরের 'চুইংগাম ইস্যু'কে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ মনে করেন আসিফ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৪
সময়টা ভালো যাচ্ছে না জাকের আলী অনিকের।
সময়টা ভালো যাচ্ছে না জাকের আলী অনিকের।

ফর্মে না থাকলে ক্রিকেটারদের ট্রল করতে ছাড়েন না এ দেশের ভক্তরা। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের যে কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি ট্রল হচ্ছে, জাকের আলী অনিক তাঁদের মধ্যে অন্যতম। বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বলেছেন নামকরা সংগীতশিল্পী এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক আসিফ আকবর।

লম্বা সময় ধরে অফফর্মে আছেন জাকের। ব্যাটে রান না থাকলেও একটি বিষয় নিয়ে বেশ আলোচিত-সমালোচিত এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। মাঠে ব্যাটিং কিংবা উইকেটকিপিংয়ের সময় অনবরত চুইংগাম চিবাতে থাকেন তিনি। যেটা নিয়ে বেশ বিরক্ত ভক্তরা। বিষয়টি নিয়ে কিছুদিন ধরেই ট্রল হচ্ছে। বিষয়টিকে নেতিবাচকভাবে নিচ্ছেন না আসিফ। এটা ভক্তদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করেন তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশ দলের প্রতিটি ভুল নিয়ে ভক্তদের সমালোচনাকেও ইতিবাচকভাবে দেখছেন আসিফ।

তিনি বলেন, ‘একটা চুইংগাম নিয়ে পুরো দেশ ব্যস্ত। একটা রানআউট নিয়ে পুরো দেশ ব্যস্ত। এটা হচ্ছে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। এটাও দরকার আছে।’

সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টি-টোয়েন্টিতে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজজুড়ে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন ব্যাটাররা। সর্বশেষ ম্যাচে বাংলাদেশের দেওয়া ১৫২ রানের লক্ষ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছুঁয়ে ফেলে ৫ উইকেট ও ১৯ বল হাতে রেখে। এদিনও ব্যাট হাতে হতাশ করেছেন জাকের। ব্যক্তিগত ৫ রানে জেসন হোল্ডারের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন।

এর আগে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। এ জন্য ১৮ বল খেলেন জাকের। সব মিলিয়ে সময়টা কথা বলছে না এই ক্রিকেটারের হয়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেটার প্রভাব ভালোভাবেই টের পাচ্ছেন জাকের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত