তাসনীম হাসান
ঢাকা: খেলা থাকুক আর না থাকুক–মাঠে তাঁকে দেখা যাবেই। ঐচ্ছিক অনুশীলনে সতীর্থরা হোটেলে অলস সময় কাটালেও তিনি মাঠে চলে আসবেনই। মুশফিকুর রহিমের অভিধানে যেন ‘বিশ্রাম’ শব্দটাই নেই! একবার তিনি বলেছিলেন, ‘যদি কেউ বলে, দুদিন অনুশীলন করবে না, বাসায় থাকবে, সেটাই আমার কাছে জেলখানা হয়ে যায়। আর কোনো শাস্তি দেওয়া লাগে না!’
খেলাটার প্রতি এই নিবেদন, চেষ্টায় মুশফিক এখন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। তিনি এগিয়ে থাকলেন আরও একটা জায়গায়। করোনা মহামারির এই সময়ে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি দিন মাঠে কাটিয়েছেন মুশফিকই। গত বছরের শুরু থেকেই করোনা ভাইরাসের হানায় থমকে গিয়েছিল পুরো বিশ্ব। সেটির ধাক্কা লাগে ক্রিকেটাঙ্গনেও। ২০২০ সালের ১৩ মার্চ সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে ম্যাচের পর হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে যায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। বাংলাদেশে খেলা বন্ধ হয়ে যায় এর কদিন পরই, ১৯ মার্চ।
১১৭ দিনের স্থবিরতা কাটিয়ে ৮ জুলাই সাউদাম্পটনে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। মুশফিকদের ফিরতে অপেক্ষা করতে হয় আরও কয়েক মাস। গত বছরের ১১ অক্টোবর বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা।
তবে এই ফেরাটা আগের মতো নয়। ‘জৈব সুরক্ষাবলয়’ নামে ক্রিকেটে যোগ হয়েছে নতুন একটি বিষয়। প্রতিটি সিরিজের আগেই ঢুকে যেতে হয় কোয়ারেন্টিন পর্বে। নিভৃত বাসের এই দিনগুলোয় পাশের কক্ষের সতীর্থের কাছে যাওয়ারও সুযোগ থাকে না অনেক সময়। এখানেই শেষ নয়। সিরিজ চলার সময় মাঠ থেকে হোটেল, হোটেল থেকে মাঠ–এই হয়ে পড়েছে ক্রিকেটারদের জীবন। এতে অনেক ক্রিকেটার মানসিক অবসাদেও ভুগছেন।
এ কঠিন জীবন সয়েও মুশফিক দিনের হিসেবে গত আট মাসে মাঠে ছিলেন সবচেয়ে বেশি—৫৭ দিন। এই সময়ে তিনি খেলেছেন মোট ৪১টি ম্যাচ। এর মধ্যে আছে ৯টি ওয়ানডে আর ৪টি টেস্ট। বাকি ২৮টি ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ। মহামারিতে সবচেয়ে বেশি দিন মাঠে থাকার তালিকায় মুশফিকের পরের নাম দুটি তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্তর। আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট মিলিয়ে দুজনই খেলেছেন সমান ৩৭টি করে ম্যাচ। আর দিনের হিসেবে দুজনই মাঠে ছিলেন ৫৩ দিন।
তবে এই সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি মাঠে থেকেছেন লিটন দাস। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি মিলিয়ে খেলেছেন ১৫ ম্যাচ। ঘরোয়া ক্রিকেট (২১ ম্যাচ) মিলিয়ে মোট ৫২ দিন মাঠে কাটিয়েছেন লিটন।
ব্যস্ত সময় কেটেছে মোস্তাফিজুর রহমানেরও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আইপিএলে ধারাবাহিক আলো ছড়ানো এই বাঁহাতি পেসার মাঠে ছিলেন মোট ৫০ দিন। এর মধ্যে আছে ৯ ওয়ানডে ও ১টি করে টেস্ট ও টি–টোয়েন্টি। আইপিএল (৭ ম্যাচ) ও ঘরোয়া ম্যাচ মিলিয়ে খেলেছেন ৩৫টি ম্যাচ। নিষেধাজ্ঞা শেষে জানুয়ারিতে ক্রিকেটে ফেরা সাকিব আল হাসানের অবশ্য বেশি দিন মাঠে থাকা হয়নি। ১৯ দিন মাঠে ছিলেন এই তারকা অলরাউন্ডার।
করোনার মধ্যে ক্রিকেট চালিয়ে নেওয়া কতটা কঠিন, সেটিই কাল বলছিলেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী, ‘এখন যে পরিস্থিতিতে খেলা হচ্ছে তাতে ক্রিকেটাররা শারীরিক ও মানসিক–দুদিকেই ধাক্কা খেতে পারে। তাঁদের মানসিকভাবে পূর্বপ্রস্তুতি যেন আরও ভালো হয় সেই পরামর্শ দিচ্ছি। কেউ যদি সুরক্ষাবলয়ে থাকতে থাকতে অবসাদে ভোগে, সেটি জানিয়ে ছুটি নিতে চাইলে বোর্ড অবশ্যই বিবেচনা করবে।’
এ কারণেই কিনা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছেন মুশফিক। আসলেই ধকল আর কত নেওয়া যায়!
ঢাকা: খেলা থাকুক আর না থাকুক–মাঠে তাঁকে দেখা যাবেই। ঐচ্ছিক অনুশীলনে সতীর্থরা হোটেলে অলস সময় কাটালেও তিনি মাঠে চলে আসবেনই। মুশফিকুর রহিমের অভিধানে যেন ‘বিশ্রাম’ শব্দটাই নেই! একবার তিনি বলেছিলেন, ‘যদি কেউ বলে, দুদিন অনুশীলন করবে না, বাসায় থাকবে, সেটাই আমার কাছে জেলখানা হয়ে যায়। আর কোনো শাস্তি দেওয়া লাগে না!’
খেলাটার প্রতি এই নিবেদন, চেষ্টায় মুশফিক এখন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। তিনি এগিয়ে থাকলেন আরও একটা জায়গায়। করোনা মহামারির এই সময়ে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি দিন মাঠে কাটিয়েছেন মুশফিকই। গত বছরের শুরু থেকেই করোনা ভাইরাসের হানায় থমকে গিয়েছিল পুরো বিশ্ব। সেটির ধাক্কা লাগে ক্রিকেটাঙ্গনেও। ২০২০ সালের ১৩ মার্চ সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে ম্যাচের পর হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে যায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। বাংলাদেশে খেলা বন্ধ হয়ে যায় এর কদিন পরই, ১৯ মার্চ।
১১৭ দিনের স্থবিরতা কাটিয়ে ৮ জুলাই সাউদাম্পটনে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। মুশফিকদের ফিরতে অপেক্ষা করতে হয় আরও কয়েক মাস। গত বছরের ১১ অক্টোবর বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা।
তবে এই ফেরাটা আগের মতো নয়। ‘জৈব সুরক্ষাবলয়’ নামে ক্রিকেটে যোগ হয়েছে নতুন একটি বিষয়। প্রতিটি সিরিজের আগেই ঢুকে যেতে হয় কোয়ারেন্টিন পর্বে। নিভৃত বাসের এই দিনগুলোয় পাশের কক্ষের সতীর্থের কাছে যাওয়ারও সুযোগ থাকে না অনেক সময়। এখানেই শেষ নয়। সিরিজ চলার সময় মাঠ থেকে হোটেল, হোটেল থেকে মাঠ–এই হয়ে পড়েছে ক্রিকেটারদের জীবন। এতে অনেক ক্রিকেটার মানসিক অবসাদেও ভুগছেন।
এ কঠিন জীবন সয়েও মুশফিক দিনের হিসেবে গত আট মাসে মাঠে ছিলেন সবচেয়ে বেশি—৫৭ দিন। এই সময়ে তিনি খেলেছেন মোট ৪১টি ম্যাচ। এর মধ্যে আছে ৯টি ওয়ানডে আর ৪টি টেস্ট। বাকি ২৮টি ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ। মহামারিতে সবচেয়ে বেশি দিন মাঠে থাকার তালিকায় মুশফিকের পরের নাম দুটি তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্তর। আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট মিলিয়ে দুজনই খেলেছেন সমান ৩৭টি করে ম্যাচ। আর দিনের হিসেবে দুজনই মাঠে ছিলেন ৫৩ দিন।
তবে এই সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি মাঠে থেকেছেন লিটন দাস। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি মিলিয়ে খেলেছেন ১৫ ম্যাচ। ঘরোয়া ক্রিকেট (২১ ম্যাচ) মিলিয়ে মোট ৫২ দিন মাঠে কাটিয়েছেন লিটন।
ব্যস্ত সময় কেটেছে মোস্তাফিজুর রহমানেরও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আইপিএলে ধারাবাহিক আলো ছড়ানো এই বাঁহাতি পেসার মাঠে ছিলেন মোট ৫০ দিন। এর মধ্যে আছে ৯ ওয়ানডে ও ১টি করে টেস্ট ও টি–টোয়েন্টি। আইপিএল (৭ ম্যাচ) ও ঘরোয়া ম্যাচ মিলিয়ে খেলেছেন ৩৫টি ম্যাচ। নিষেধাজ্ঞা শেষে জানুয়ারিতে ক্রিকেটে ফেরা সাকিব আল হাসানের অবশ্য বেশি দিন মাঠে থাকা হয়নি। ১৯ দিন মাঠে ছিলেন এই তারকা অলরাউন্ডার।
করোনার মধ্যে ক্রিকেট চালিয়ে নেওয়া কতটা কঠিন, সেটিই কাল বলছিলেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী, ‘এখন যে পরিস্থিতিতে খেলা হচ্ছে তাতে ক্রিকেটাররা শারীরিক ও মানসিক–দুদিকেই ধাক্কা খেতে পারে। তাঁদের মানসিকভাবে পূর্বপ্রস্তুতি যেন আরও ভালো হয় সেই পরামর্শ দিচ্ছি। কেউ যদি সুরক্ষাবলয়ে থাকতে থাকতে অবসাদে ভোগে, সেটি জানিয়ে ছুটি নিতে চাইলে বোর্ড অবশ্যই বিবেচনা করবে।’
এ কারণেই কিনা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছেন মুশফিক। আসলেই ধকল আর কত নেওয়া যায়!
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগেই আন্দ্রে রাসেল জানিয়েছিলেন, সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচই তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষ ম্যাচ। জ্যামাইকায় বাংলাদেশ সময় আজ সকালে তাঁর বিদায়বেলায় গার্ড অব অনার দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা।
৩ মিনিট আগেভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ইংল্যান্ড। চতুর্থ টেস্টে জিতলেই এক ম্যাচ আগেই সিরিজ জিতবে ইংল্যান্ড। ম্যানচেস্টারে আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় শুরু হবে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের চতুর্থ টেস্ট। এদিকে ম্যাক্স সিক্সটি ক্যারিবিয়ানের ম্যাচও রয়েছে। এক নজরে দেখে নিন টিভিতে...
৪১ মিনিট আগেহারানো ছন্দ যেন ফিরে পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে শুরু। লঙ্কা সফরের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের রেশটা টেনে এনেছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেও। তাঁর স্লোয়ার-কাটারে ব্যাটাররা রীতিমতো খেই হারিয়ে ফেলছেন।
১ ঘণ্টা আগেশামীম হোসেন পাটোয়ারী ক্যাচ ধরার পর বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের উদযাপন শুরু। অন্যদিকে আহমেদ দানিয়াল হতাশায় ব্যাটটা রাখলেন নিজের হেলমেটের ওপর। সিরিজে সমতায় ফেরার এত কাছাকাছি গিয়েও পারল না পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর পাকিস্তানকে ধুয়ে দিয়েছেন রমিজ রাজা।
২ ঘণ্টা আগে