ঘরের মাঠে টেস্ট জিততে রীতিমতো হাহাকার করছিল পাকিস্তান। এমনকি নিজেদের মাঠে তারা ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও। অবশেষে পাকিস্তানের দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর ফুরোল। মুলতানে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ১৫২ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান।
মুলতানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে পাকিস্তান ৫৫৬ রান করেও অবিশ্বাস্যভাবে ইনিংসে হেরে গিয়েছিল। একই মুলতানে দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ড পাত্তাই পায়নি পাকিস্তানের কাছে। চার দিনে শেষ হওয়া টেস্ট জিতে ঘরের মাঠে ৪৪ মাসের অপেক্ষা ফুরোল পাকিস্তানের। এশিয়ার দলটি সবশেষ ঘরের মাঠে জিতেছিল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। রাওয়ালপিন্ডিতে সেবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯৫ রানে হারিয়েছিল পাকিস্তান। তখন পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন বাবর আজম।
২৯৭ রানের লক্ষ্যে নামা ইংল্যান্ড আজ চতুর্থ দিনে খেলা শুরু করে ২ উইকেটে ৩৬ রানে। দিনের খেলা শুরু হতে না হতেই উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। সফরকারীদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওলি পোপকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন সাজিদ খান। ৩৮ বলে ২ চারে ২২ রান করে আউট হয়েছেন পোপ।
৩৭ রানে ৩ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড এরপর কিছুটা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকে। তবে নোমান আলীর ঘূর্ণিতে সফরকারীরা উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। জো রুট (১৮), হ্যারি ব্রুক (১৬) ইনিংসে থিতু হতে না হতেই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন। ইংল্যান্ডের এ দুই ব্যাটারকেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন নোমান। জেমি স্মিথও অধৈর্য হয়ে উইকেট হারিয়েছেন। ২২ ওভারের শেষ বলে নোমানকে স্লগ সুইপ করতে যান স্মিথ। টপ এজ হওয়া বল মিড অনে তালুবন্দী করেন পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ।
১০ বলে ৬ রান করে স্মিথ ফিরলে ইংল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ২২ ওভারে ৬ উইকেটে ৮৮ রান। হাতে ৪ উইকেট নিয়ে সফরকারীদের তখনো করতে হতো ২০৯ রান। কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। কারণ আজকের দিনসহ ধরলে দেড় দিনেরও বেশি সময় খেলা বাকি। সেই সম্ভাবনার পথেই এগোতে থাকে ইংল্যান্ড। অধিনায়ক বেন স্টোকস ও ব্রাইডন কার্স চড়াও হন পাকিস্তানের ওপর। সপ্তম উইকেটে স্টোকস-কার্স গড়েন ৩২ বলে ৩৭ রানের জুটি। তবে আক্রমণাত্মক ‘বাজবল’ তত্ত্বে বিশ্বাসী ইংল্যান্ড সেই পথে হাঁটতে পারলে তো। ২৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নোমানকে তেড়েফুঁড়ে মারতে যান স্টোকস। ইংল্যান্ড অধিনায়কের ব্যাট ছুটে চলে যায় মিড উইকেটে। উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান সহজেই স্টাম্পিং করে ফেলেন।
৩৬ বলে ৪ চারে ৩৭ রান করেন স্টোকস। তাতে ইংল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৭ উইকেটে ১২৫ রান। দেখার অপেক্ষা ছিল সাজিদ তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ১০ উইকেট পান কি না। তবে সেটা হয়নি। বরং নোমান তাঁর টেস্টে প্রথমবারের মতো এক ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন। ১৯ রানে শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। অষ্টম থেকে দশম—এই ৩ উইকেট নিয়ে সফরকারীদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছেন নোমানই। টেস্টে ইনিংস ও ম্যাচে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং—দুটিই করেছেন পাকিস্তানের এই বাঁহাতি স্পিনার। ১৪৭ রানে নিয়েছেন ১১ উইকেট, যার মধ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৮ উইকেট। খরচ করেন ৪৬ রান।
ক্যারিয়ার-সেরা বোলিং করেও ম্যাচ-সেরা হতে পারেননি নোমান। ইংল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করার দিনে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন সাজিদ। ২০৪ রানে নেন ৯ উইকেট, যেখানে প্রথম ইনিংসে নেন ৭ উইকেট। টেস্টে এটা তাঁর ইনিংসে দ্বিতীয়বারের মতো ৫ উইকেট।
মুলতানে দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া পাকিস্তান অলআউট হয়েছে ৩৬৬ রানে। ২২৪ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ১১৮ রান করেন কামরান গুলাম। পাকিস্তানের ১৪তম ব্যাটার হিসেবে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করেন তিনি। এরপর ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ২৯১ রানে গুটিয়ে গেছে। বেন ডাকেট তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ১২৯ বলে ১৬ চারে করেন ১১৪ রান।
৭৫ রানে এগিয়ে থাকা পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করে আক্রমণ ও রক্ষণের মিশেলে। এবার ৫৯.২ ওভারে ২২১ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকেরা। দ্বিতীয় ইনিংসে রানরেট ছিল ৩.৭২। সেখানে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ব্যাটিং করে ২.৯৬ রানরেটে।
ঘরের মাঠে টেস্ট জিততে রীতিমতো হাহাকার করছিল পাকিস্তান। এমনকি নিজেদের মাঠে তারা ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও। অবশেষে পাকিস্তানের দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর ফুরোল। মুলতানে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ১৫২ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান।
মুলতানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে পাকিস্তান ৫৫৬ রান করেও অবিশ্বাস্যভাবে ইনিংসে হেরে গিয়েছিল। একই মুলতানে দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ড পাত্তাই পায়নি পাকিস্তানের কাছে। চার দিনে শেষ হওয়া টেস্ট জিতে ঘরের মাঠে ৪৪ মাসের অপেক্ষা ফুরোল পাকিস্তানের। এশিয়ার দলটি সবশেষ ঘরের মাঠে জিতেছিল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। রাওয়ালপিন্ডিতে সেবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯৫ রানে হারিয়েছিল পাকিস্তান। তখন পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন বাবর আজম।
২৯৭ রানের লক্ষ্যে নামা ইংল্যান্ড আজ চতুর্থ দিনে খেলা শুরু করে ২ উইকেটে ৩৬ রানে। দিনের খেলা শুরু হতে না হতেই উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। সফরকারীদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওলি পোপকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন সাজিদ খান। ৩৮ বলে ২ চারে ২২ রান করে আউট হয়েছেন পোপ।
৩৭ রানে ৩ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড এরপর কিছুটা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকে। তবে নোমান আলীর ঘূর্ণিতে সফরকারীরা উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। জো রুট (১৮), হ্যারি ব্রুক (১৬) ইনিংসে থিতু হতে না হতেই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন। ইংল্যান্ডের এ দুই ব্যাটারকেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন নোমান। জেমি স্মিথও অধৈর্য হয়ে উইকেট হারিয়েছেন। ২২ ওভারের শেষ বলে নোমানকে স্লগ সুইপ করতে যান স্মিথ। টপ এজ হওয়া বল মিড অনে তালুবন্দী করেন পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ।
১০ বলে ৬ রান করে স্মিথ ফিরলে ইংল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ২২ ওভারে ৬ উইকেটে ৮৮ রান। হাতে ৪ উইকেট নিয়ে সফরকারীদের তখনো করতে হতো ২০৯ রান। কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। কারণ আজকের দিনসহ ধরলে দেড় দিনেরও বেশি সময় খেলা বাকি। সেই সম্ভাবনার পথেই এগোতে থাকে ইংল্যান্ড। অধিনায়ক বেন স্টোকস ও ব্রাইডন কার্স চড়াও হন পাকিস্তানের ওপর। সপ্তম উইকেটে স্টোকস-কার্স গড়েন ৩২ বলে ৩৭ রানের জুটি। তবে আক্রমণাত্মক ‘বাজবল’ তত্ত্বে বিশ্বাসী ইংল্যান্ড সেই পথে হাঁটতে পারলে তো। ২৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নোমানকে তেড়েফুঁড়ে মারতে যান স্টোকস। ইংল্যান্ড অধিনায়কের ব্যাট ছুটে চলে যায় মিড উইকেটে। উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান সহজেই স্টাম্পিং করে ফেলেন।
৩৬ বলে ৪ চারে ৩৭ রান করেন স্টোকস। তাতে ইংল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৭ উইকেটে ১২৫ রান। দেখার অপেক্ষা ছিল সাজিদ তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ১০ উইকেট পান কি না। তবে সেটা হয়নি। বরং নোমান তাঁর টেস্টে প্রথমবারের মতো এক ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন। ১৯ রানে শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। অষ্টম থেকে দশম—এই ৩ উইকেট নিয়ে সফরকারীদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছেন নোমানই। টেস্টে ইনিংস ও ম্যাচে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং—দুটিই করেছেন পাকিস্তানের এই বাঁহাতি স্পিনার। ১৪৭ রানে নিয়েছেন ১১ উইকেট, যার মধ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৮ উইকেট। খরচ করেন ৪৬ রান।
ক্যারিয়ার-সেরা বোলিং করেও ম্যাচ-সেরা হতে পারেননি নোমান। ইংল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করার দিনে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন সাজিদ। ২০৪ রানে নেন ৯ উইকেট, যেখানে প্রথম ইনিংসে নেন ৭ উইকেট। টেস্টে এটা তাঁর ইনিংসে দ্বিতীয়বারের মতো ৫ উইকেট।
মুলতানে দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া পাকিস্তান অলআউট হয়েছে ৩৬৬ রানে। ২২৪ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ১১৮ রান করেন কামরান গুলাম। পাকিস্তানের ১৪তম ব্যাটার হিসেবে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করেন তিনি। এরপর ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ২৯১ রানে গুটিয়ে গেছে। বেন ডাকেট তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ১২৯ বলে ১৬ চারে করেন ১১৪ রান।
৭৫ রানে এগিয়ে থাকা পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করে আক্রমণ ও রক্ষণের মিশেলে। এবার ৫৯.২ ওভারে ২২১ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকেরা। দ্বিতীয় ইনিংসে রানরেট ছিল ৩.৭২। সেখানে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ব্যাটিং করে ২.৯৬ রানরেটে।
ভিনিসিয়ুস জুনিয়র-রাফিনিয়া-নেইমারদের নতুন কোচ কে? এই প্রশ্নে শেষ হয়ে আসছে অপেক্ষার পালা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সপ্তাহে নাম ঘোষণা করতে পারে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)।
৮ মিনিট আগেপাসপোর্ট হাতে পাওয়ার মাত্র একদিনের ভেতরই ফিফা প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির অনুমোদন পেয়ে গেলেন সমিত সোম। তাই বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে আর বাধা নেই তাঁর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুনে এএফসি এশিয়া কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে অভিষেক হওয়ার
৩১ মিনিট আগেকানাডা সকার অ্যাসোসিয়েশনের ছাড়পত্র পাওয়ার পর বাংলাদেশের পাসপোর্টও হাতে পেয়েছেন সোমিত সোম। বাকি রইল শুধু ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির ছাড়পত্র। সেটি পেলে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আর কোনো বাধা থাকবে না তাঁর। এর মধ্যেই সোমিত পেয়েছেন আরেকটি সুখবর। কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সপ্তাহের সেরা দলে জায়গা করে নিয়
১ ঘণ্টা আগেগোড়ালির ওপরের অংশ—চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় অ্যাকিলিস টেনডনের সমস্যায় ভুগছিলেন তাসকিন আহমেদ। এ জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ নিতে লন্ডনে গিয়েছেন বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ। চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ শেষে জানা গেছে, আপাতত কোনো অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন নেই তাঁর। এক বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাপারটি নিশ্চিত
৩ ঘণ্টা আগে