রানা আব্বাস, ডালাস থেকে
কী অপূর্ব এক দৃশ্য। এই দৃশ্যটা দেখতে দিন, মাস এমনকি বছরও নয়; দশকের পর দশক অপেক্ষায় ছিল বাংলাদেশ। একজন লেগ স্পিনারের বল ব্যাটারের লেগে পিচ করিয়ে অফ স্টাম্পে বাঁক নিচ্ছে! সেই বল কানায় লেগে স্লিপে ক্যাচে পরিণত হয়েছে। বিশ্বমঞ্চে একজন লেগ স্পিনারের এই জাদু দেখতে বাংলাদেশের দীর্ঘ এক অপেক্ষাই করতে হয়েছে।
ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে আজ যে জাদুকর কবজির মোচড়ে মোহিত করেছেন, নাম তাঁর রিশাদ হোসেন। নিজের বিশ্বকাপ অভিষেকে এর চেয়ে দারুণ আর কীভাবে রাঙাতে পারতেন রিশাদ! অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাঁর হাতে বল তুলে দেন অষ্টম ওভারে। গতিময় লেগ স্পিন আর গুগলি তাঁর মূল শক্তি। নিজের প্রথম ওভারে দিলেন ৭ রান। পরের ওভারটা কিছুটা ব্যয়বহুল। চারিথ আসালাঙ্কা সামনের পায়ে ভর করে ডিপ মিডউইকেটে ছক্কা মারার পরও মানসিকভাবে শক্ত থেকেছেন রিশাদ।
জাদু দেখাতে রিশাদ বেছে নেন ১৫তম ওভার। বাংলাদেশ দলে একটা রীতি আছে, সাধারণত বাঁহাতি ব্যাটারের বিপক্ষে ডান হাতি বোলার কমই আসেন। কিন্তু সেই ‘রীতি’ ভেঙে বাঁহাতি আসালাঙ্কার বিপক্ষেই বোলিং করতে এলেন রিশাদ। লঙ্কান ব্যাটার আগের ওভারে ছক্কা মেরেছিলেন, তিনি একইভাবে আরেকটা ঝুঁকি নিয়ে এই ওভারেও স্লগ সুইপে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার দিয়ে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন। সাকিব আল হাসানের বিশ্বস্ত হাত দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় জমিয়ে ফেলল ক্যাচটা। পরের বলকে বলা যায় ‘বল অব দ্য ম্যাচ’! বলটা লেগে পিচ করে হাসারাঙ্গার ব্যাটের কানায় ছুঁয়ে স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা। হ্যাটট্রিকের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি রিশাদ। তবে মাত্র ৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত এক ওভার করেছেন।
রিশাদের লেগ স্পিনের ভেলকির আরেকটি অনুপম প্রদর্শনী ১৭তম ওভারের প্রথম বলে। এবার তাঁর শিকার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট—রিশাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমানের ক্রমাগত চাপে লঙ্কানরা ১২৪ রানেই আটকে গেল। মোস্তাফিজ অভিজ্ঞ, পরীক্ষিত সৈনিক। তাঁর দারুণ বোলিং প্রত্যাশিত। কিন্তু রিশাদের যে এটিই ছিল প্রথম আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ। গত বছরের মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক। সাত মাস হলো থিতু হয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। সেই রিশাদ স্নায়ুচাপ সামলে নিজের সেরা বোলিং করতে বেছে নিলেন বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অতিগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচকে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ এর আগে একজন লেগ স্পিনারকে দেখেছিল—২০০৭ বিশ্বকাপে অলক কাপালি। লেগ স্পিনে অলক-ঝলক খুব একটা দেখা মেলেনি। তিনি বোলিংই করার সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র ১ ম্যাচে। সেখানে রিশাদের হাত ধরে বিরল দৃশ্য দেখল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের একজন লেগ স্পিন ডানা মেলে উড়ছেন বিশ্বকাপের মঞ্চে—এ দৃশ্য আপনাকে অনেক দিন মনে রাখতেই হবে।
টি২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কী অপূর্ব এক দৃশ্য। এই দৃশ্যটা দেখতে দিন, মাস এমনকি বছরও নয়; দশকের পর দশক অপেক্ষায় ছিল বাংলাদেশ। একজন লেগ স্পিনারের বল ব্যাটারের লেগে পিচ করিয়ে অফ স্টাম্পে বাঁক নিচ্ছে! সেই বল কানায় লেগে স্লিপে ক্যাচে পরিণত হয়েছে। বিশ্বমঞ্চে একজন লেগ স্পিনারের এই জাদু দেখতে বাংলাদেশের দীর্ঘ এক অপেক্ষাই করতে হয়েছে।
ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে আজ যে জাদুকর কবজির মোচড়ে মোহিত করেছেন, নাম তাঁর রিশাদ হোসেন। নিজের বিশ্বকাপ অভিষেকে এর চেয়ে দারুণ আর কীভাবে রাঙাতে পারতেন রিশাদ! অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাঁর হাতে বল তুলে দেন অষ্টম ওভারে। গতিময় লেগ স্পিন আর গুগলি তাঁর মূল শক্তি। নিজের প্রথম ওভারে দিলেন ৭ রান। পরের ওভারটা কিছুটা ব্যয়বহুল। চারিথ আসালাঙ্কা সামনের পায়ে ভর করে ডিপ মিডউইকেটে ছক্কা মারার পরও মানসিকভাবে শক্ত থেকেছেন রিশাদ।
জাদু দেখাতে রিশাদ বেছে নেন ১৫তম ওভার। বাংলাদেশ দলে একটা রীতি আছে, সাধারণত বাঁহাতি ব্যাটারের বিপক্ষে ডান হাতি বোলার কমই আসেন। কিন্তু সেই ‘রীতি’ ভেঙে বাঁহাতি আসালাঙ্কার বিপক্ষেই বোলিং করতে এলেন রিশাদ। লঙ্কান ব্যাটার আগের ওভারে ছক্কা মেরেছিলেন, তিনি একইভাবে আরেকটা ঝুঁকি নিয়ে এই ওভারেও স্লগ সুইপে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার দিয়ে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন। সাকিব আল হাসানের বিশ্বস্ত হাত দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় জমিয়ে ফেলল ক্যাচটা। পরের বলকে বলা যায় ‘বল অব দ্য ম্যাচ’! বলটা লেগে পিচ করে হাসারাঙ্গার ব্যাটের কানায় ছুঁয়ে স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা। হ্যাটট্রিকের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি রিশাদ। তবে মাত্র ৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত এক ওভার করেছেন।
রিশাদের লেগ স্পিনের ভেলকির আরেকটি অনুপম প্রদর্শনী ১৭তম ওভারের প্রথম বলে। এবার তাঁর শিকার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট—রিশাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমানের ক্রমাগত চাপে লঙ্কানরা ১২৪ রানেই আটকে গেল। মোস্তাফিজ অভিজ্ঞ, পরীক্ষিত সৈনিক। তাঁর দারুণ বোলিং প্রত্যাশিত। কিন্তু রিশাদের যে এটিই ছিল প্রথম আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ। গত বছরের মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক। সাত মাস হলো থিতু হয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। সেই রিশাদ স্নায়ুচাপ সামলে নিজের সেরা বোলিং করতে বেছে নিলেন বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অতিগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচকে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ এর আগে একজন লেগ স্পিনারকে দেখেছিল—২০০৭ বিশ্বকাপে অলক কাপালি। লেগ স্পিনে অলক-ঝলক খুব একটা দেখা মেলেনি। তিনি বোলিংই করার সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র ১ ম্যাচে। সেখানে রিশাদের হাত ধরে বিরল দৃশ্য দেখল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের একজন লেগ স্পিন ডানা মেলে উড়ছেন বিশ্বকাপের মঞ্চে—এ দৃশ্য আপনাকে অনেক দিন মনে রাখতেই হবে।
টি২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কদিন আগেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, লিভারপুল ছেড়ে নতুন ঠিকানায় যাচ্ছেন লুইস দিয়াজ। আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটাও এসে গেল। অ্যানফিল্ড থেকে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখে পাড়ি জমাচ্ছেন তিনি। চার বছরের জন্য কলম্বিয়ান এই উইঙ্গারের সঙ্গে চুক্তি করেছে জার্মান লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
৭ ঘণ্টা আগেসাড়ে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ফিরেছিলেন ব্রেন্ডন টেলর। তাই এই টেস্টে সবার নজর ছিল তাঁর দিকে। তবে তাঁকে বাইরে রেখে টেস্টের একাদশ গড়ে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। তবু বুলাওয়ে টেস্টে শুরুটা তাদের মোটেও ভালো হয়নি। প্রথম ইনিংসে ১৪৯ ওভারে অলআউট হয়েছে তারা।
৮ ঘণ্টা আগেওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডসে রাউন্ড রবিন লিগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেনি ভারত। দারুণ ব্যাপার হলো, সেমিফাইনালেও প্রতিপক্ষে হিসেবে নিজেদের পেয়েছে তারা। আগামীকাল বার্মিংহামে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামার কথা ছিল ভারত-পাকিস্তানের। সে পর্যন্ত আর যেতে হয়নি, ভারত এবারও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেল
৯ ঘণ্টা আগেওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে বাঁ পায়ে ক্র্যাম্প এবং কাঁধে ব্যথায় ভুগছিলেন বেন স্টোকস। শেষ টেস্টে তাঁকে পাওয়া যাবে কি না, এমন সংশয় ছিলই। এর মধ্যে আজ ওভাল টেস্টের একাদশ ঘোষণা করেছে। কাল থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্টে নেই অধিনায়ক স্টোকস। তাঁর অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেবেন ওলি পোপ, এর আগেও ৪টি টেস্টে ইংল্যান্ডের
১০ ঘণ্টা আগে