রানা আব্বাস, দুবাই থেকে
মাসকাট শহরে এক সপ্তাহ থেকে স্টেডিয়াম বাদে কোথাও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আমেজটা বোঝা যায়নি। এমনকি বিমানবন্দরে ওমানের আসার কারণ হিসেবে ইমিগ্রেশন অফিসারদের ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে’র কথা বললেও তাঁদের মধ্যে বিশেষ কোনো প্রতিক্রিয়া বা অনুভূতি বোঝা যায়নি। সেখানে আরব আমিরাতের দৃশ্য ভিন্ন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কিংবা ক্রিকেটের কথা বললে দুবাই বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন অফিসারদের অহেতুক জেরা থেকে অনেকটাই মুক্তি! দুবাই শহরে অবশ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপলক্ষে ঠিক নয়, উৎসবের একটা আমেজ আছে আমিরাতে হওয়া ‘এক্সপো ২০২০’ উপলক্ষে। মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে পর্যটকদের জন্য আবার দুয়ার উন্মুক্ত করেছে আমিরাত সরকার। কোভিড নীতিমালা মেনে আসা যেকোনো পর্যটককে তারা সহজেই স্বাগত জানাচ্ছে। আইসিসিকেও অনুসরণ করতে হচ্ছে একই পথ।
মাসকাটে যেখানে ম্যাচের আগে কোভিড পরীক্ষায় যেতে হয়নি, আরব আমিরাতে এটি প্রতিটি ম্যাচের আগে করতে হবে। শুধু খেলোয়াড়েরাই নন, মাঠে থাকা সবাইকে কঠোর নিয়ম মানতে হবে। সাংবাদিকদের করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল নিয়ে ঢুকতে হবে প্রেসবক্সে, এমনকি সংবাদ সম্মেলনেও। মাসকাট প্রেসবক্সটা গত এক সপ্তাহে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সে রূপ নিলেও দুবাই, আবুধাবি কিংবা শারজায় সেটি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। করোনা পরীক্ষা তো আছেই, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সংবাদকর্মীদের স্বাধীন ঘোরাফেরায়ও নিষেধাজ্ঞা থাকছে। ওমানে অবশ্য এসব নিয়ম শিথিল ছিল। আমিরাতে কেন কড়াকড়ি? আইসিসির মিডিয়া কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তাঁদের উত্তর, ‘আমিরাত সরকারের নির্দেশনা, কিছুই করার নেই। ওমান সরকারের অবশ্য এত কড়াকড়ি ছিল না।’
মহামারিতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ কতটা জটিল ও কঠিন, সেটি বোঝা যাচ্ছে আমিরাত অংশে। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ওমানে শুরু হলেও (প্রথম রাউন্ড) টুর্নামেন্টের আসল মজা আর রোমাঞ্চের শুরু আসলে আজ থেকে। আবুধাবিতে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে সুপার টুয়েলভের খেলা। দুবাইয়ে সন্ধ্যার ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি গতবারের রানার্সআপ ইংল্যান্ড। স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচের আগে এসেছে ইডেন গার্ডেনের সেই ফাইনাল। বেন স্টোকসের করা শেষ ওভারে কার্লোস ব্রাথওয়েটের টানা চার ছক্কায় ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিজেদের করে নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওই ফাইনাল হারের একটা মনস্তাত্ত্বিক বাধা ইংলিশদের মনে কাজ করাটা অস্বাভাবিক নয়। ইংল্যান্ড অধিনায়ক এউইন মরগানকে তো কাল এক সাংবাদিক প্রশ্নই করলেন, ‘পুরোনো ভয়টা কি ফিরে আসার আশঙ্কা আছে?’ ইংল্যান্ড অধিনায়ক এক শব্দে উত্তর দিয়েছেন, ‘না!’
মরগান এই ‘না’ বলার আত্মবিশ্বাসটা কোত্থেকে পাচ্ছেন? ‘যেকোনো ক্যারিয়ারেরই বড় হতাশা ভয়ের চেয়ে বেশি শেখায়। যদি আমরা ভয়ই পেতাম, তাহলে অনেক খেলোয়াড় হারিয়ে ফেলতাম, যারা গত চার-পাঁচ বছরে অনেক উন্নতি করেছে।’
টুর্নামেন্ট রঙিন করে তোলার সুযোগ আছে বাংলাদেশেরও। এই মরুর দেশে চার-ছক্কার উৎসব জমিয়ে তুলতে গ্যালারিতে থাকবেন উপমহাদেশের বিপুল প্রবাসী। আরব আমিরাতে প্রথমবারের মতো আইসিসির টুর্নামেন্টটা জমিয়ে তোলার সব উপকরণ তৈরি, এখন শুধু সুপার টুয়েলভের পর্দাটা ওঠার অপেক্ষা!
মাসকাট শহরে এক সপ্তাহ থেকে স্টেডিয়াম বাদে কোথাও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আমেজটা বোঝা যায়নি। এমনকি বিমানবন্দরে ওমানের আসার কারণ হিসেবে ইমিগ্রেশন অফিসারদের ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে’র কথা বললেও তাঁদের মধ্যে বিশেষ কোনো প্রতিক্রিয়া বা অনুভূতি বোঝা যায়নি। সেখানে আরব আমিরাতের দৃশ্য ভিন্ন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কিংবা ক্রিকেটের কথা বললে দুবাই বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন অফিসারদের অহেতুক জেরা থেকে অনেকটাই মুক্তি! দুবাই শহরে অবশ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপলক্ষে ঠিক নয়, উৎসবের একটা আমেজ আছে আমিরাতে হওয়া ‘এক্সপো ২০২০’ উপলক্ষে। মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে পর্যটকদের জন্য আবার দুয়ার উন্মুক্ত করেছে আমিরাত সরকার। কোভিড নীতিমালা মেনে আসা যেকোনো পর্যটককে তারা সহজেই স্বাগত জানাচ্ছে। আইসিসিকেও অনুসরণ করতে হচ্ছে একই পথ।
মাসকাটে যেখানে ম্যাচের আগে কোভিড পরীক্ষায় যেতে হয়নি, আরব আমিরাতে এটি প্রতিটি ম্যাচের আগে করতে হবে। শুধু খেলোয়াড়েরাই নন, মাঠে থাকা সবাইকে কঠোর নিয়ম মানতে হবে। সাংবাদিকদের করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল নিয়ে ঢুকতে হবে প্রেসবক্সে, এমনকি সংবাদ সম্মেলনেও। মাসকাট প্রেসবক্সটা গত এক সপ্তাহে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সে রূপ নিলেও দুবাই, আবুধাবি কিংবা শারজায় সেটি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। করোনা পরীক্ষা তো আছেই, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সংবাদকর্মীদের স্বাধীন ঘোরাফেরায়ও নিষেধাজ্ঞা থাকছে। ওমানে অবশ্য এসব নিয়ম শিথিল ছিল। আমিরাতে কেন কড়াকড়ি? আইসিসির মিডিয়া কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তাঁদের উত্তর, ‘আমিরাত সরকারের নির্দেশনা, কিছুই করার নেই। ওমান সরকারের অবশ্য এত কড়াকড়ি ছিল না।’
মহামারিতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ কতটা জটিল ও কঠিন, সেটি বোঝা যাচ্ছে আমিরাত অংশে। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ওমানে শুরু হলেও (প্রথম রাউন্ড) টুর্নামেন্টের আসল মজা আর রোমাঞ্চের শুরু আসলে আজ থেকে। আবুধাবিতে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে সুপার টুয়েলভের খেলা। দুবাইয়ে সন্ধ্যার ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি গতবারের রানার্সআপ ইংল্যান্ড। স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচের আগে এসেছে ইডেন গার্ডেনের সেই ফাইনাল। বেন স্টোকসের করা শেষ ওভারে কার্লোস ব্রাথওয়েটের টানা চার ছক্কায় ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিজেদের করে নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওই ফাইনাল হারের একটা মনস্তাত্ত্বিক বাধা ইংলিশদের মনে কাজ করাটা অস্বাভাবিক নয়। ইংল্যান্ড অধিনায়ক এউইন মরগানকে তো কাল এক সাংবাদিক প্রশ্নই করলেন, ‘পুরোনো ভয়টা কি ফিরে আসার আশঙ্কা আছে?’ ইংল্যান্ড অধিনায়ক এক শব্দে উত্তর দিয়েছেন, ‘না!’
মরগান এই ‘না’ বলার আত্মবিশ্বাসটা কোত্থেকে পাচ্ছেন? ‘যেকোনো ক্যারিয়ারেরই বড় হতাশা ভয়ের চেয়ে বেশি শেখায়। যদি আমরা ভয়ই পেতাম, তাহলে অনেক খেলোয়াড় হারিয়ে ফেলতাম, যারা গত চার-পাঁচ বছরে অনেক উন্নতি করেছে।’
টুর্নামেন্ট রঙিন করে তোলার সুযোগ আছে বাংলাদেশেরও। এই মরুর দেশে চার-ছক্কার উৎসব জমিয়ে তুলতে গ্যালারিতে থাকবেন উপমহাদেশের বিপুল প্রবাসী। আরব আমিরাতে প্রথমবারের মতো আইসিসির টুর্নামেন্টটা জমিয়ে তোলার সব উপকরণ তৈরি, এখন শুধু সুপার টুয়েলভের পর্দাটা ওঠার অপেক্ষা!
ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ পাচ্ছে নতুনত্ব। এখন থেকে এই সিরিজ পরিচিতি পাবে টেন্ডুলকার-অ্যান্ডারসন সিরিজ হিসেবে। পাঁচ ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজ শুরু হবে লর্ডসে ২০ জুন থেকে। নিজের নামে সিরিজের নামকরণ তা ভাবতেই বেশ অবাক লাগছে সাবেক ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের।
৪ মিনিট আগেসংবাদ সম্মেলনে এত সাংবাদিক দেখে খুব অবাকই হয়েছেন সিঙ্গাপুর কোচ সুতোমু ওগুরা। টের পেয়েছেন উত্তাপও। তবে খেলাটা যেহেতু মাঠে হবে, তাই তাঁর পুরো মনোযোগ ৯০ মিনিটের ম্যাচ ঘিরেই। একইসঙ্গে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাখলেন বাংলাদেশকেও। কারণ তাঁর দল এখানে ট্যুরিস্ট (পর্যটক) হিসেবে আসেনি।
১ ঘণ্টা আগেবড় মঞ্চে কীভাবে পারফর্ম করতে হয়, সেটা অস্ট্রেলিয়া ভালো করেই জানে। ওয়ানডে বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ— একমাত্র দল হিসেবে আইসিসির সব টুর্নামেন্ট জিতে চক্রপূরণ করেছে অজিরা। তবে এবার গল্পটা ভিন্ন হবে বলে মনে করেন দক্ষিণ আফ্রিকার লুঙ্গি এনগিদি।
৪ ঘণ্টা আগেশিলংয়ের মতো ঢাকায়ও দেখা গেল একই দৃশ্য। কোচ হাভিয়ের কাবরেরার সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে এলেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। কিন্তু মার্চে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে এক মিনিটও খেলার সুযোগ পাননি। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি কি আবারও হবে?
৪ ঘণ্টা আগে