নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আজ সাকিব আল হাসানের ব্যাটিংয়ের পর ছয় বছর আগে কলম্বো টেস্টে বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আর ব্যাটিং কোচ থিলান সামারাবীরার কথাটা মনে করিয়ে দেওয়া যায়। বাংলাদেশের ‘শততম টেস্ট’ হিসেবেই পরিচিত ওই টেস্টের আগে হাথুরু বলেছিলেন, ‘সাকিব এখন ২০১০ সালের ছায়া।’
কথাটা সাকিবের খুব ‘লেগেছিল’ কি না কে জানে, কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় দিনের বিকেলে পাগুলে আর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী দেখিয়েছিলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ধীরলয়ে শেষ বিকেলের কয়েকটি ওভার কাটিয়ে দিলেই চলত। অথচ এলোপাতাড়ি চালিয়ে ৮ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকলেন সাকিব। এর মধ্যে দুবার আউট হতে হতে বেঁচে গিয়েছিলেন। অহেতুক এ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যায় দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা সামারাবীরা বলেছিলেন, ‘আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমার মাথায় কিছু আসছে না।’
ভাগ্য গুণে বেঁচে যাওয়া সাকিব পরের দিন আর পাগুলে ব্যাটিং করেননি। পেয়েছিলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। ওই সেঞ্চুরির পর গত ছয় বছরে আর তিন অঙ্কের দেখা পাওয়া হয়নি সাকিবের। এ সময়ে ১৭ টেস্ট খেলে ১০টি ফিফটি পেয়েছেন। ১০ ফিফটির চারটি আবার ৮০ পেরোনো। টেস্ট ক্যারিয়ারে ৮০ পেরিয়েছেন কিন্তু সেঞ্চুরি পাননি এমন ইনিংসের সংখ্যা তাঁর ১৩টি (দুবার অপরাজিত ছিলেন)। ৮০ পেরিয়ে যাওয়া মানে সেঞ্চুরির দারুণ সম্ভাবনা। সে সম্ভাবনা কাজে লাগানোই বড় ব্যাটারের পরিচয়। অথচ সাকিব এখানেই সেঞ্চুরিটা হাতছাড়া করছেন বারবার। নড়বড় নব্বই নয়; সাকিবের ক্ষেত্রে বলতে হচ্ছে ‘নড়বড়ে আশি’। তাঁর অর্ধেক সংখ্যায়ও বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার টেস্টে আশির ঘরে আউট হননি।
আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে ৬ বছর আগের কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় দিনই মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন সাকিব। সকাল থেকেই তাঁর ঝোড়ো ব্যাটিং দেখে কে বলবে টেস্ট খেলছেন! দাপুটে ব্যাটিংয়ে মাত্র ৪৫ বলে ফিফটি। স্ট্রাইকরেট ১০০–এর কাছাকাছি রেখে ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। মনে হচ্ছিল, ৬ বছর পর টেস্টে সেঞ্চুরিখরা আজ ঘুচে যাবে সাকিবের। ওয়ানডেতেও তাঁর সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০১৯ সালে। তিন অঙ্কের হাপিত্যেশ কাটিয়ে ওঠার সুযোগটা এভাবে হাতছাড়া করবেন, কে ভেবেছিল!
অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলটা অন সাইডে প্যাডল সুইপ করতে চেয়েছিলেন সাকিব। লেগ সাইডে বড় ফাঁকা জায়গা কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। বল প্রত্যাশার বেশি লাফিয়ে উঠেছিল। পরিণতি? উইকেটকিপারের গ্লাভসে ধরা পড়া। এভাবে ‘মরিবার সাধ’ হলে সেঞ্চুরি কীভাবে ধরা দেবে সাকিবের হাতে? ১৪ চারে সাজানো বাংলাদেশ অধিনায়কের ইনিংস থামল ৮৭ রানে।
সাকিবের সেঞ্চুরির হাতছাড়ার ব্যাখ্যায় বর্তমান ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্সও যদি বলে বসেন, ‘আমার মাথায় কিছু আসছে না’—অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না!
আজ সাকিব আল হাসানের ব্যাটিংয়ের পর ছয় বছর আগে কলম্বো টেস্টে বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আর ব্যাটিং কোচ থিলান সামারাবীরার কথাটা মনে করিয়ে দেওয়া যায়। বাংলাদেশের ‘শততম টেস্ট’ হিসেবেই পরিচিত ওই টেস্টের আগে হাথুরু বলেছিলেন, ‘সাকিব এখন ২০১০ সালের ছায়া।’
কথাটা সাকিবের খুব ‘লেগেছিল’ কি না কে জানে, কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় দিনের বিকেলে পাগুলে আর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী দেখিয়েছিলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ধীরলয়ে শেষ বিকেলের কয়েকটি ওভার কাটিয়ে দিলেই চলত। অথচ এলোপাতাড়ি চালিয়ে ৮ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকলেন সাকিব। এর মধ্যে দুবার আউট হতে হতে বেঁচে গিয়েছিলেন। অহেতুক এ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যায় দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা সামারাবীরা বলেছিলেন, ‘আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমার মাথায় কিছু আসছে না।’
ভাগ্য গুণে বেঁচে যাওয়া সাকিব পরের দিন আর পাগুলে ব্যাটিং করেননি। পেয়েছিলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। ওই সেঞ্চুরির পর গত ছয় বছরে আর তিন অঙ্কের দেখা পাওয়া হয়নি সাকিবের। এ সময়ে ১৭ টেস্ট খেলে ১০টি ফিফটি পেয়েছেন। ১০ ফিফটির চারটি আবার ৮০ পেরোনো। টেস্ট ক্যারিয়ারে ৮০ পেরিয়েছেন কিন্তু সেঞ্চুরি পাননি এমন ইনিংসের সংখ্যা তাঁর ১৩টি (দুবার অপরাজিত ছিলেন)। ৮০ পেরিয়ে যাওয়া মানে সেঞ্চুরির দারুণ সম্ভাবনা। সে সম্ভাবনা কাজে লাগানোই বড় ব্যাটারের পরিচয়। অথচ সাকিব এখানেই সেঞ্চুরিটা হাতছাড়া করছেন বারবার। নড়বড় নব্বই নয়; সাকিবের ক্ষেত্রে বলতে হচ্ছে ‘নড়বড়ে আশি’। তাঁর অর্ধেক সংখ্যায়ও বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার টেস্টে আশির ঘরে আউট হননি।
আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে ৬ বছর আগের কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় দিনই মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন সাকিব। সকাল থেকেই তাঁর ঝোড়ো ব্যাটিং দেখে কে বলবে টেস্ট খেলছেন! দাপুটে ব্যাটিংয়ে মাত্র ৪৫ বলে ফিফটি। স্ট্রাইকরেট ১০০–এর কাছাকাছি রেখে ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। মনে হচ্ছিল, ৬ বছর পর টেস্টে সেঞ্চুরিখরা আজ ঘুচে যাবে সাকিবের। ওয়ানডেতেও তাঁর সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০১৯ সালে। তিন অঙ্কের হাপিত্যেশ কাটিয়ে ওঠার সুযোগটা এভাবে হাতছাড়া করবেন, কে ভেবেছিল!
অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলটা অন সাইডে প্যাডল সুইপ করতে চেয়েছিলেন সাকিব। লেগ সাইডে বড় ফাঁকা জায়গা কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। বল প্রত্যাশার বেশি লাফিয়ে উঠেছিল। পরিণতি? উইকেটকিপারের গ্লাভসে ধরা পড়া। এভাবে ‘মরিবার সাধ’ হলে সেঞ্চুরি কীভাবে ধরা দেবে সাকিবের হাতে? ১৪ চারে সাজানো বাংলাদেশ অধিনায়কের ইনিংস থামল ৮৭ রানে।
সাকিবের সেঞ্চুরির হাতছাড়ার ব্যাখ্যায় বর্তমান ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্সও যদি বলে বসেন, ‘আমার মাথায় কিছু আসছে না’—অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না!
নেইমার থাকবেন, অথচ তাঁকে নিয়ে আলোচনা হবে না—সেটা কি কখনো সম্ভব! মাঠের পারফরম্যান্স যেমনই হোক, তাঁর অন্যান্য কর্মকাণ্ড নিয়ে কথাবার্তা হয় প্রায় সময়ই। ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ডকে নিয়ে এবার তাঁর আলোচিত প্রেমিকা যা বললেন, সেটা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো।
১ ঘণ্টা আগেব্যাট সামনে দেখলেই নিশপিশ করত হাত। তাই নিজের ঘরেই একটি আলাদা ব্যাট রাখতেন তিনি। মন চাইলে করে নিতেন শ্যাডো ব্যাটিং। সেই স্টিভেন স্মিথ কি না ব্যাট ধরেননি তিন মাস। ব্যাটিং পাগল হিসেবে তিনি নিজেকে যেভাবে পরিচিত করেছেন, তারপর এমনটা শুনলে অবাকই হতে হয়। কিস্তু কথাটি যখন স্মিথ নিজেই বলেছেন, তখন বিশ্বাস না
১ ঘণ্টা আগেখেলোয়াড় হিসেবে রিকি পন্টিং কতটা সফল, সেটা বলবে তাঁর পরিসংখ্যান। রানের পর রান করে রেকর্ড গড়েছেন। তাঁর ক্যাবিনেটেও আছে একগাদা শিরোপা। হার না মানা মানসিকতা নিয়ে খেলে অসংখ্য হারা ম্যাচ জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই কিংবদন্তি।
২ ঘণ্টা আগেক্যারিয়ারে বেশির ভাগ সময় নেইমার লড়াই করেছেন চোটের সঙ্গে। প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে চোটে পড়ে কত ম্যাচ তিনি মিস করেছেন, সেটার হিসেব নেই। ব্রাজিলের ফরোয়ার্ডকে এবার আক্রমণ করল করোনা।
৩ ঘণ্টা আগে