Ajker Patrika

বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড়ানোর উপায় বাতলে দিলেন হৃদয়

ক্রীড়া ডেস্ক
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৭: ৩২
Thumbnail image

পাঁচ বছর পর ভারতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে গিয়ে বাংলাদেশের ভরাডুবি হয়েছে। ২ টেস্ট, ৩ টি-টোয়েন্টি—৫ ম্যাচের প্রতিটিতেই বাজেভাবে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর টোটকা দিলেন তাওহীদ হৃদয়। 

১২৭, ১৩৫, ১৬৪—টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচে বাংলাদেশের দলীয় স্কোরই বলে দিচ্ছে এই সংস্করণে তারা কতটা পিছিয়ে। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে গত রাতে ভারত ২৯৭ রান করার পর সেটা আরও স্পষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশের বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে রেকর্ড বই তছনছ করে ফেলেন সঞ্জু স্যামসন-সূর্যকুমার যাদবরা। ধবলধোলাই এড়ানোর ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ১৩৩ রানে। বিব্রতকর এই পরাজয়ের ম্যাচে ৪২ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৩ রান করে অপরাজিত থাকেন হৃদয়।  

ম্যাচ শেষে রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে যখন হৃদয় এলেন, তখন তাঁর কাছে প্রশ্ন টেকনিকের দিক থেকে ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা পিছিয়ে রয়েছে কিনা। বাংলাদেশের ২৩ বছর বয়সী ক্রিকেটার বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় ভালো প্রশ্ন করেছেন। আমরা বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই উইকেটটা পড়তে পারি না। বেশির ভাগ ম্যাচ খেলি মিরপুরে। চট্টগ্রামে খেললে আমরা জানি কী হতে পারে। এটাও একটা কারণ হতে পারে।’

গোয়ালিয়র, দিল্লি, হায়দরাবাদ—বাংলাদেশ-ভারত সিরিজের তিনটি টি-টোয়েন্টি হয়েছে তিন ভেন্যুতে। তিন ভেন্যুতেই ভারতের ব্যাটাররা রীতিমতো তান্ডব চালিয়েছে। যেখানে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে একটা পর্যায়ে ভারতের স্কোর ছিল ৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৫ রান। সেখান থেকে রিংকু সিং, নীতিশ কুমার রেড্ডি,হার্দিক পান্ডিয়াদের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে স্বাগতিকেরা করে ৯ উইকেটে ২২১ রান। বাংলাদেশের উন্নতিতে ফ্ল্যাট উইকেটে খেলার তাগিদ হৃদয়ের, ‘অন্য জায়গায় একেক দিন একেক রকম উইকেট থাকে। তাই উইকেট নিয়ে ধারণা করা কঠিন হয় আমাদের কাছে। আমার মনে হয়েছে, যদি ভালো উইকেটে খেলতে থাকি, তাহলে রাতারাতি পরিবর্তন হবে না। তবে আমরা দিন দিন উন্নতি করতে পারব ইনশা আল্লাহ।’

২০০৮ থেকে শুরু করে আইপিএল ইতিহাসে ২৫০ বা তার বেশি রান হয়েছে ১০ ইনিংসে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭৭ রান সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এ বছরের শুরুতেই করেছিল রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে। অথচ বিপিএলে দলীয় সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ২৩৯ রান। আইপিএল-বিপিএল তুলনায় না গিয়ে হৃদয় বলেন,‘বিপিএলের সঙ্গে আইপিএলের তুলনা করতে চাচ্ছি না। শুধু উইকেটের কথা চিন্তা করলে হবে না। স্কিলেও আমাদের উন্নতি করতে হবে। আমাদের চিন্তাভাবনাও ঠিক করতে হবে। আমাদের অনেক জায়গায় উন্নতির জায়গা রয়েছে। আশা করি আমরা আস্তে আস্তে এটা ভালো করব ইনশা আল্লাহ।’

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত