২০০৭ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকেই রহস্যময় ‘ফাস্ট রেডিও বার্স্ট’ বা এফআরবি কিংবা মহাকাশ থেকে আসা মিলিসেকেন্ড-দীর্ঘ উজ্জ্বল রেডিও তরঙ্গ নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কৌতূহল বেড়েই চলেছে। এই তরঙ্গগুলো এক সেকেন্ডের কম সময়ের মধ্যে সূর্যের পুরো এক দিনের সমান শক্তি নির্গত করে।
শুক্রবার সিএনএন জানিয়েছে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এখনো এই মহাজাগতিক সংকেতগুলোর প্রকৃতি, উৎস এবং সৃষ্টির পদ্ধতি উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছেন। বিশেষায়িত টেলিস্কোপের সাহায্যে ইতিমধ্যে মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সি এবং পৃথিবী থেকে প্রায় ৮০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরত্বের এফআরবি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
নতুন চারটি গবেষণা সম্প্রতি এফআরবির উৎপত্তিস্থান সম্পর্কে তথ্য দিচ্ছে। এসব তথ্য রেডিও তরঙ্গটির কারণ উদ্ঘাটনে সহায়ক হতে পারে। তবে সাম্প্রতিক দুটি তরঙ্গ সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি জায়গা থেকে এসেছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে একটি এফআরবি এসেছে একটি চৌম্বকীয়ভাবে সক্রিয় পরিবেশ থেকে, যেখানে ‘ম্যাগনেটার’ নামে পরিচিত একটি ঘন নিউট্রন তারা অবস্থিত। আরেকটিকে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এটির উৎপত্তি হয়েছে একটি মৃত, তারকাহীন গ্যালাক্সির প্রান্ত থেকে।
এই সংকেতগুলো শনাক্ত করতে কানাডিয়ান হাইড্রোজেন ইনটেনসিটি ম্যাপিং এক্সপেরিমেন্ট রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করা হয়েছে। ২০২০ সালে এই টেলিস্কোপ হাজারো এফআরবি শনাক্ত করেছে।
২০২২ সালে টেলিস্কোপটি একটি দ্রুত রেডিও বার্স্ট শনাক্ত করেছিল, যা মাত্র ২.৫ মিলিসেকেন্ড স্থায়ী ছিল। গবেষণায় দেখা যায়, এই সংকেতের রেডিও তরঙ্গ অত্যন্ত মেরুকৃত এবং ইংরেজি ‘এস’ আকৃতির একটি নির্দিষ্ট পথে প্রবাহিত হয়েছে। এই বৈশিষ্ট্যি ম্যাগনেটারের ঘূর্ণনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
গবেষক দলটি সংকেতটির উৎস নির্ধারণ করে ২০ কোটি আলোকবর্ষ দূরের একটি গ্যালাক্সি। গবেষণায় আরও দেখা যায়, এটি নিউট্রন তারার চৌম্বক ক্ষেত্রের কাছ থেকে উদ্ভূত, যা অত্যন্ত চুম্বকীয় এবং ঘন প্লাজমায় পূর্ণ।
গবেষণা অনুযায়ী, এই পরিবেশে এমন শক্তি সঞ্চিত থাকে, যা চৌম্বক ক্ষেত্রকে পুনর্গঠন করে এবং এফআরবির মতো সংকেত তৈরি করে।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেকটি এফআরবি শনাক্ত করা হয়, যা পরবর্তী পাঁচ মাসে আরও ২১টি সংকেত পাঠিয়েছে। এই এফআরবির উৎস একটি ১ হাজার ১৩০ কোটি বছরের পুরোনো মৃত গ্যালাক্সির প্রান্ত। এখানে নতুন কোনো তারার সৃষ্টি হয় না।
গবেষকেরা ধারণা করছেন, এই সংকেতি এমন একটি তারার ঘনগুচ্ছ থেকে এসেছে, যেখানে নিউট্রন তারার সংঘর্ষ বা মৃত সাদা বামন তারার ধসের ফলে ম্যাগনেটার তৈরি হতে পারে।
এফআরবির উৎপত্তিস্থান সম্পর্কে বৈচিত্র্যময় তথ্য প্রকাশ পেয়েছে, যা এই সংকেতগুলোর সৃষ্টির প্রক্রিয়া এবং উৎস সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা দিচ্ছে। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই রহস্য পুরোপুরি উদ্ঘাটনে আরও অনেক গবেষণার প্রয়োজন।
২০০৭ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকেই রহস্যময় ‘ফাস্ট রেডিও বার্স্ট’ বা এফআরবি কিংবা মহাকাশ থেকে আসা মিলিসেকেন্ড-দীর্ঘ উজ্জ্বল রেডিও তরঙ্গ নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কৌতূহল বেড়েই চলেছে। এই তরঙ্গগুলো এক সেকেন্ডের কম সময়ের মধ্যে সূর্যের পুরো এক দিনের সমান শক্তি নির্গত করে।
শুক্রবার সিএনএন জানিয়েছে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এখনো এই মহাজাগতিক সংকেতগুলোর প্রকৃতি, উৎস এবং সৃষ্টির পদ্ধতি উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছেন। বিশেষায়িত টেলিস্কোপের সাহায্যে ইতিমধ্যে মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সি এবং পৃথিবী থেকে প্রায় ৮০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরত্বের এফআরবি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
নতুন চারটি গবেষণা সম্প্রতি এফআরবির উৎপত্তিস্থান সম্পর্কে তথ্য দিচ্ছে। এসব তথ্য রেডিও তরঙ্গটির কারণ উদ্ঘাটনে সহায়ক হতে পারে। তবে সাম্প্রতিক দুটি তরঙ্গ সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি জায়গা থেকে এসেছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে একটি এফআরবি এসেছে একটি চৌম্বকীয়ভাবে সক্রিয় পরিবেশ থেকে, যেখানে ‘ম্যাগনেটার’ নামে পরিচিত একটি ঘন নিউট্রন তারা অবস্থিত। আরেকটিকে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এটির উৎপত্তি হয়েছে একটি মৃত, তারকাহীন গ্যালাক্সির প্রান্ত থেকে।
এই সংকেতগুলো শনাক্ত করতে কানাডিয়ান হাইড্রোজেন ইনটেনসিটি ম্যাপিং এক্সপেরিমেন্ট রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করা হয়েছে। ২০২০ সালে এই টেলিস্কোপ হাজারো এফআরবি শনাক্ত করেছে।
২০২২ সালে টেলিস্কোপটি একটি দ্রুত রেডিও বার্স্ট শনাক্ত করেছিল, যা মাত্র ২.৫ মিলিসেকেন্ড স্থায়ী ছিল। গবেষণায় দেখা যায়, এই সংকেতের রেডিও তরঙ্গ অত্যন্ত মেরুকৃত এবং ইংরেজি ‘এস’ আকৃতির একটি নির্দিষ্ট পথে প্রবাহিত হয়েছে। এই বৈশিষ্ট্যি ম্যাগনেটারের ঘূর্ণনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
গবেষক দলটি সংকেতটির উৎস নির্ধারণ করে ২০ কোটি আলোকবর্ষ দূরের একটি গ্যালাক্সি। গবেষণায় আরও দেখা যায়, এটি নিউট্রন তারার চৌম্বক ক্ষেত্রের কাছ থেকে উদ্ভূত, যা অত্যন্ত চুম্বকীয় এবং ঘন প্লাজমায় পূর্ণ।
গবেষণা অনুযায়ী, এই পরিবেশে এমন শক্তি সঞ্চিত থাকে, যা চৌম্বক ক্ষেত্রকে পুনর্গঠন করে এবং এফআরবির মতো সংকেত তৈরি করে।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেকটি এফআরবি শনাক্ত করা হয়, যা পরবর্তী পাঁচ মাসে আরও ২১টি সংকেত পাঠিয়েছে। এই এফআরবির উৎস একটি ১ হাজার ১৩০ কোটি বছরের পুরোনো মৃত গ্যালাক্সির প্রান্ত। এখানে নতুন কোনো তারার সৃষ্টি হয় না।
গবেষকেরা ধারণা করছেন, এই সংকেতি এমন একটি তারার ঘনগুচ্ছ থেকে এসেছে, যেখানে নিউট্রন তারার সংঘর্ষ বা মৃত সাদা বামন তারার ধসের ফলে ম্যাগনেটার তৈরি হতে পারে।
এফআরবির উৎপত্তিস্থান সম্পর্কে বৈচিত্র্যময় তথ্য প্রকাশ পেয়েছে, যা এই সংকেতগুলোর সৃষ্টির প্রক্রিয়া এবং উৎস সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা দিচ্ছে। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই রহস্য পুরোপুরি উদ্ঘাটনে আরও অনেক গবেষণার প্রয়োজন।
যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকেরা এক যুগান্তকারী পদ্ধতি ব্যবহার করে আট সুস্থ শিশুর জন্ম দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই পদ্ধতিতে তিন ব্যক্তির ডিএনএ সমন্বয় করে আইভিএফ (ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) ভ্রূণ তৈরি করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল, যাতে শিশুরা দুরারোগ্য জিনগত ব্যাধি উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া থেকে রক্ষা পায়।
৪ দিন আগেপ্রাণীরা একে অপরের ডাকে সাড়া দেয়, এই তথ্য আমাদের অনেকের জানা। তবে সম্প্রতি এক নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে আরও বিস্ময়কর এক তথ্য। গাছও শব্দ করে, আর সেই শব্দ শুনেই সিদ্ধান্ত নেয় পোকামাকড়। এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে এক নতুন ধরনের যোগসূত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
৬ দিন আগেসবচেয়ে কাছ থেকে তোলা সূর্যের ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। এসব ছবি পাঠিয়েছে নাসার মহাকাশযান পার্কার সোলার প্রোব। এই মহাকাশযান সূর্যের পৃষ্ঠের মাত্র ৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন মাইল (৬ দশমিক ১ মিলিয়ন কিলোমিটার) দূর থেকে ছবি তোলে।
৭ দিন আগেপ্রাইমেট শ্রেণির প্রাণিজগতে দীর্ঘদিন ধরে পুরুষদের আধিপত্য নিয়ে যে ধারণা ছিল, তা ভেঙে দিয়েছে এক নতুন বৈজ্ঞানিক গবেষণা। ১০০টির বেশি প্রজাতির প্রাইমেটের মধ্যে পুরুষ ও স্ত্রীর মধ্যকার ক্ষমতার ভারসাম্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ প্রজাতিতেই কোনো একটি লিঙ্গ স্পষ্টভাবে অপর লিঙ্গের...
৮ দিন আগে