বিগত ২৬ কোটি বছরে পৃথিবীর বুকে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটেছে। ডাইনোসর এসে বিলুপ্ত হয়ে গেছে, প্যানজিয়া মহাদেশ বিভক্ত হয়ে একাধিক মহাদেশে পরিণত হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় এবং অপরিবর্তনীয় বদল এনেছে মানুষ নিজে। দীর্ঘ এই সময়ে পৃথিবী নিজের মতো করে স্পন্দিত হয়েছে, একেবারেই নিজের গতিতে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীর সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন, পৃথিবীরও নিজস্ব স্পন্দন রয়েছে, যা ঘটে প্রতি ২ কোটি ৭৫ লাখ বছর পরপর। বিজ্ঞানীরা একে অনেকটা পৃথিবীর হৃৎস্পন্দন বলে আখ্যা দিয়েছেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক বিষয়টি সামনে এনেছেন। নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। পরে নিবন্ধটির ওপর ভিত্তি করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিজ্ঞানবিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্স অ্যালার্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীর এই ‘হৃৎস্পন্দন’ বা নিয়মিত বিরতিতে স্পন্দন মূলত একগুচ্ছ ভূতাত্ত্বিক ঘটনাবলির সমষ্টি। বিশেষ করে অগ্ন্যুৎপাত, গণবিলুপ্তি, টেকটোনিক প্লেটের পুনর্বিন্যাস, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো ঘটনার সমষ্টি হলো এই স্পন্দন। যদিও এই ঘটনাগুলোর প্রক্রিয়া অনেক ধীর। সাধারণত খুব বেশি একটা ঘটে না। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এমন হৃৎস্পন্দনের নির্দিষ্ট একটি প্যাটার্ন খুঁজে পেয়েছেন।
বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি ২ কোটি ৭৫ লাখ বছর বা তার আশপাশের সময়ে এই স্পন্দন ঘটে। এ সময় পৃথিবীর বুকে আক্ষরিক অর্থেই ঝড় বয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আমাদের নিকটবর্তী সময়ে এমন স্পন্দন ঘটনার সম্ভাবনা নেই। পরবর্তী স্পন্দন ঘটবে আরও অন্তত ২ কোটি বছর পর।
নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ভূতত্ত্ববিদ ও এই গবেষণার অন্যতম প্রধান মিশেল র্যামপিনো বলেন, ‘অনেক ভূতত্ত্ববিদই মনে করেন এমন ভূতাত্ত্বিক ঘটনাবলি বিচ্ছিন্নভাবে ভিন্ন ভিন্নভাবে সংঘটিত হয়। কিন্তু আমাদের গবেষণা পরিসংখ্যানগত প্রমাণ দিচ্ছে যে, এসব ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়, বরং পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত।’
গবেষক দলটি বিগত ২৬ কোটি বছরের ৮৯টি ভূতাত্ত্বিক ঘটনা নিয়ে গবেষণা করেছেন। সেই গবেষণার ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক ও অসামুদ্রিক জীবজগতের বিলুপ্তি, প্রধান মহাসাগরগুলোতে অক্সিজেনের অভাব, মহাদেশীয় বন্যা, ব্যাসল্টের অগ্ন্যুৎপাত, সমুদ্র স্তরের ওঠানামা, টেকটোনিক প্লেট ও পৃথিবীর চুম্বকীয় ক্ষেত্রের বৈশ্বিক স্পন্দন, সমুদ্রপৃষ্ঠ বৃদ্ধি এবং টেকটোনিক প্লেটের পুনর্বিন্যাস।
গবেষকেরা বলছেন, ‘আমাদের গবেষণা বলছে, সাধারণত বিশ্বের ভূতাত্ত্বিক ঘটনাগুলো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং আমাদের অনুমান প্রতি ২ কোটি ৭৫ লাখ বছর পরপর এসব ঘটনার সমষ্টিতে পৃথিবীতে একটি স্পন্দন ঘটে।’
বিগত ২৬ কোটি বছরে পৃথিবীর বুকে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটেছে। ডাইনোসর এসে বিলুপ্ত হয়ে গেছে, প্যানজিয়া মহাদেশ বিভক্ত হয়ে একাধিক মহাদেশে পরিণত হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় এবং অপরিবর্তনীয় বদল এনেছে মানুষ নিজে। দীর্ঘ এই সময়ে পৃথিবী নিজের মতো করে স্পন্দিত হয়েছে, একেবারেই নিজের গতিতে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীর সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন, পৃথিবীরও নিজস্ব স্পন্দন রয়েছে, যা ঘটে প্রতি ২ কোটি ৭৫ লাখ বছর পরপর। বিজ্ঞানীরা একে অনেকটা পৃথিবীর হৃৎস্পন্দন বলে আখ্যা দিয়েছেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক বিষয়টি সামনে এনেছেন। নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। পরে নিবন্ধটির ওপর ভিত্তি করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিজ্ঞানবিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্স অ্যালার্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীর এই ‘হৃৎস্পন্দন’ বা নিয়মিত বিরতিতে স্পন্দন মূলত একগুচ্ছ ভূতাত্ত্বিক ঘটনাবলির সমষ্টি। বিশেষ করে অগ্ন্যুৎপাত, গণবিলুপ্তি, টেকটোনিক প্লেটের পুনর্বিন্যাস, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো ঘটনার সমষ্টি হলো এই স্পন্দন। যদিও এই ঘটনাগুলোর প্রক্রিয়া অনেক ধীর। সাধারণত খুব বেশি একটা ঘটে না। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এমন হৃৎস্পন্দনের নির্দিষ্ট একটি প্যাটার্ন খুঁজে পেয়েছেন।
বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি ২ কোটি ৭৫ লাখ বছর বা তার আশপাশের সময়ে এই স্পন্দন ঘটে। এ সময় পৃথিবীর বুকে আক্ষরিক অর্থেই ঝড় বয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আমাদের নিকটবর্তী সময়ে এমন স্পন্দন ঘটনার সম্ভাবনা নেই। পরবর্তী স্পন্দন ঘটবে আরও অন্তত ২ কোটি বছর পর।
নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ভূতত্ত্ববিদ ও এই গবেষণার অন্যতম প্রধান মিশেল র্যামপিনো বলেন, ‘অনেক ভূতত্ত্ববিদই মনে করেন এমন ভূতাত্ত্বিক ঘটনাবলি বিচ্ছিন্নভাবে ভিন্ন ভিন্নভাবে সংঘটিত হয়। কিন্তু আমাদের গবেষণা পরিসংখ্যানগত প্রমাণ দিচ্ছে যে, এসব ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়, বরং পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত।’
গবেষক দলটি বিগত ২৬ কোটি বছরের ৮৯টি ভূতাত্ত্বিক ঘটনা নিয়ে গবেষণা করেছেন। সেই গবেষণার ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক ও অসামুদ্রিক জীবজগতের বিলুপ্তি, প্রধান মহাসাগরগুলোতে অক্সিজেনের অভাব, মহাদেশীয় বন্যা, ব্যাসল্টের অগ্ন্যুৎপাত, সমুদ্র স্তরের ওঠানামা, টেকটোনিক প্লেট ও পৃথিবীর চুম্বকীয় ক্ষেত্রের বৈশ্বিক স্পন্দন, সমুদ্রপৃষ্ঠ বৃদ্ধি এবং টেকটোনিক প্লেটের পুনর্বিন্যাস।
গবেষকেরা বলছেন, ‘আমাদের গবেষণা বলছে, সাধারণত বিশ্বের ভূতাত্ত্বিক ঘটনাগুলো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং আমাদের অনুমান প্রতি ২ কোটি ৭৫ লাখ বছর পরপর এসব ঘটনার সমষ্টিতে পৃথিবীতে একটি স্পন্দন ঘটে।’
মহাকাশে ২২০ দিন কাটিয়ে আজ রোববার ভোরে পৃথিবীতে ফিরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবীণতম কর্মরত মহাকাশচারী ডন পেটিট। বিশেষ এই প্রত্যাবর্তন ঘটেছে তাঁর ৭০তম জন্মদিনে। রুশ মহাকাশযান সয়ুজ এমএস-২৬ চড়ে কাজাখস্তানের স্টেপ অঞ্চলে অবতরণ করেন তিনি ও তাঁর দুই রুশ সহযাত্রী আলেক্সি ওভচিনিন ও ইভান ভাগনার।
১৭ ঘণ্টা আগেপ্রাচীন মানবের টিকে থাকার লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ও চমকপ্রদ উপাদান খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা। ৪০ হাজার বছর আগে পৃথিবীর চুম্বকক্ষেত্রের বড় রকমের পরিবর্তনের সময় সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির মারাত্মক প্রভাবে হুমকির মুখে পড়েছিল পৃথিবীর জীবজগৎ।
২১ ঘণ্টা আগেরাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিভা ও বিতর্কিত কর্মজীবনের জন্য পরিচিত ছিলেন। বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক আবিষ্কার করেছিলেন এই প্রত্নতত্ত্ববিদ। কিন্তু ইতিহাসের পাতায় আজও উপেক্ষিত।
২ দিন আগেরঙের জগতে নতুন চমক নিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, তারা এমন একটি রং আবিষ্কার করেছেন, যা সাধারণ চোখে আগে কখনো দেখা যায়নি। এই রঙের নাম রাখা হয়েছে ‘ওলো’, যা দেখতে একধরনের গাড় সবুজাভ নীল।
২ দিন আগে