শব্দের চেয়ে বেশি গতিতে চলা যুদ্ধবিমানের সংখ্যা এখন অনেক বেশি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছেই এসব সুপারসনিক যুদ্ধবিমান রয়েছে। এসব বিমানের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো—প্রচণ্ড শব্দ। এই বিষয়টি কাটিয়ে উঠতে লকহিড-মার্টিন ও নাসা যৌথভাবে একটি যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে যা প্রায় নিঃশব্দে চলতে পারে। তাও আবার শব্দের বেগের চেয়ে ১ দশমিক ৪ গুণ বেশি গতিতে। সেই হিসেবে প্রতি ঘণ্টায় এই বিমানটির গতি ১ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটারেরও বেশি।
মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড-মার্টিন ও মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার তৈরি এই বিমানটির নাম দেওয়া হয়েছে এক্স-৫৯ কোয়েস্ট। এই বিমানটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি অন্যান্য সুপারসনিক বিমানের (যেগুলো শব্দের চেয়েও বেশি গতিতে চলে) মতো খুব বেশি শব্দ করে না। এক প্রকার নিঃশব্দেই চলাচল করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নাসার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে।
সাধারণত কোনো সুপারসনিক বিমান যখন চলাচল করে তখন সেটির ইঞ্জিন থেকে প্রচণ্ড শব্দ নির্গত হয়। এর ফলে অনেক সময় সৃষ্টি হয় সনিক বুম বা শব্দ নিনাদ। এই সনিক বুমের কারণে অনেক সময় সাধারণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নাসা এবং লকহিড-মার্টিনের গবেষকেরা মূলত সেই বিষয়টি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছেন। এরই মধ্যে গত শুক্রবার এক্স-৫৯ বিমানটির পরীক্ষামূলক উড্ডয়নও করিয়েছেন তারা।
নাসার নিবন্ধে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, এই ধরনের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন থেকে প্রাপ্ত তথ্য আগামী দিনে এ ধরনের ইঞ্জিন ব্যবহার করে বাণিজ্যিক বিমান তৈরির কাজে অনেক সহায়তা করবে এবং এর ফলে শব্দের গতিতে যাত্রীবাহী বিমান তৈরির বিষয়টি আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
নাসার ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর প্যাম মেলরয় বলেছেন, ‘এটি একটি বড় অর্জন। এটি সম্ভব হয়েছে কেবল নাসা ও এক্স-৫৯ টিমের কঠোর পরিশ্রম ও দক্ষতার মাধ্যমে। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে আমরা একটি উচ্চাভিলাষী ধারণা থেকে বাস্তবে চলে এসেছি। নাসা ও এক্স-৫৯ টিম আমাদের ভ্রমণের উপায় ও ধারণা পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে। আমাদের আরও অনেক কম সময়ে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসবে।’
নাসা ও লকহিডের তৈরি এই বিমানটি প্রায় ১০০ ফুট (৯৯ দশমিক ৭ ফুট) দীর্ঘ এবং ২৯ দশমিক ৫ ফুট চওড়া। এই বিমানটির দৈর্ঘ্যের এক-তৃতীয়াংশই এর তীক্ষ্ণ নাক। মূলত এই নাকটিই এর সামনে থেকে আসা শব্দ তরঙ্গের শক ওয়েভকে ভেঙে দেবে। মূলত এই শক ওয়েভের কারণেই সনিক বুম তৈরি হয়। বিমানটির এমন গঠনের কারণে এর ককপিট মূল দেহের প্রায় মাঝ বরাবর অবস্থিত।
এই বিমানের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো—অন্যান্য সুপারসনিক বিমানের মতো এর সামনে বরাবর কোনো জানালা নেই যা দিয়ে পাইলট সামনে দেখতে পাবেন। তার বদলে দুপাশে দুটি জানালা রাখা হয়েছে যা দিয়ে তিনি অনায়াসে সামনের অংশটা দেখতে পাবেন। এ ছাড়া ককপিটের ঠিক সামনে উচ্চ রেজুলেশনের এটি ৪কে ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। যা দিয়ে ভেতরে বসেই পাইলট সামনের বাইরের অংশ দেখতে পাবেন।
আরেকটি মজার বিষয় হলো এই বিমানটির ইঞ্জিন মূল দেহের নিচের দিকে নয় বরং ওপরের দিকে অবস্থিত এবং বিমানের তলদেশটি অনেক মসৃণ ও সমান করে রাখা হয়েছে যাতে করে শব্দ দ্রুত কেটে যেতে পারে শক ওয়েভ যাতে ইঞ্জিনের তরঙ্গের সঙ্গে মিশে সনিক বুম তৈরি করতে না পারে।
শব্দের চেয়ে বেশি গতিতে চলা যুদ্ধবিমানের সংখ্যা এখন অনেক বেশি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছেই এসব সুপারসনিক যুদ্ধবিমান রয়েছে। এসব বিমানের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো—প্রচণ্ড শব্দ। এই বিষয়টি কাটিয়ে উঠতে লকহিড-মার্টিন ও নাসা যৌথভাবে একটি যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে যা প্রায় নিঃশব্দে চলতে পারে। তাও আবার শব্দের বেগের চেয়ে ১ দশমিক ৪ গুণ বেশি গতিতে। সেই হিসেবে প্রতি ঘণ্টায় এই বিমানটির গতি ১ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটারেরও বেশি।
মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড-মার্টিন ও মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার তৈরি এই বিমানটির নাম দেওয়া হয়েছে এক্স-৫৯ কোয়েস্ট। এই বিমানটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি অন্যান্য সুপারসনিক বিমানের (যেগুলো শব্দের চেয়েও বেশি গতিতে চলে) মতো খুব বেশি শব্দ করে না। এক প্রকার নিঃশব্দেই চলাচল করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নাসার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে।
সাধারণত কোনো সুপারসনিক বিমান যখন চলাচল করে তখন সেটির ইঞ্জিন থেকে প্রচণ্ড শব্দ নির্গত হয়। এর ফলে অনেক সময় সৃষ্টি হয় সনিক বুম বা শব্দ নিনাদ। এই সনিক বুমের কারণে অনেক সময় সাধারণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নাসা এবং লকহিড-মার্টিনের গবেষকেরা মূলত সেই বিষয়টি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছেন। এরই মধ্যে গত শুক্রবার এক্স-৫৯ বিমানটির পরীক্ষামূলক উড্ডয়নও করিয়েছেন তারা।
নাসার নিবন্ধে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, এই ধরনের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন থেকে প্রাপ্ত তথ্য আগামী দিনে এ ধরনের ইঞ্জিন ব্যবহার করে বাণিজ্যিক বিমান তৈরির কাজে অনেক সহায়তা করবে এবং এর ফলে শব্দের গতিতে যাত্রীবাহী বিমান তৈরির বিষয়টি আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
নাসার ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর প্যাম মেলরয় বলেছেন, ‘এটি একটি বড় অর্জন। এটি সম্ভব হয়েছে কেবল নাসা ও এক্স-৫৯ টিমের কঠোর পরিশ্রম ও দক্ষতার মাধ্যমে। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে আমরা একটি উচ্চাভিলাষী ধারণা থেকে বাস্তবে চলে এসেছি। নাসা ও এক্স-৫৯ টিম আমাদের ভ্রমণের উপায় ও ধারণা পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে। আমাদের আরও অনেক কম সময়ে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসবে।’
নাসা ও লকহিডের তৈরি এই বিমানটি প্রায় ১০০ ফুট (৯৯ দশমিক ৭ ফুট) দীর্ঘ এবং ২৯ দশমিক ৫ ফুট চওড়া। এই বিমানটির দৈর্ঘ্যের এক-তৃতীয়াংশই এর তীক্ষ্ণ নাক। মূলত এই নাকটিই এর সামনে থেকে আসা শব্দ তরঙ্গের শক ওয়েভকে ভেঙে দেবে। মূলত এই শক ওয়েভের কারণেই সনিক বুম তৈরি হয়। বিমানটির এমন গঠনের কারণে এর ককপিট মূল দেহের প্রায় মাঝ বরাবর অবস্থিত।
এই বিমানের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো—অন্যান্য সুপারসনিক বিমানের মতো এর সামনে বরাবর কোনো জানালা নেই যা দিয়ে পাইলট সামনে দেখতে পাবেন। তার বদলে দুপাশে দুটি জানালা রাখা হয়েছে যা দিয়ে তিনি অনায়াসে সামনের অংশটা দেখতে পাবেন। এ ছাড়া ককপিটের ঠিক সামনে উচ্চ রেজুলেশনের এটি ৪কে ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। যা দিয়ে ভেতরে বসেই পাইলট সামনের বাইরের অংশ দেখতে পাবেন।
আরেকটি মজার বিষয় হলো এই বিমানটির ইঞ্জিন মূল দেহের নিচের দিকে নয় বরং ওপরের দিকে অবস্থিত এবং বিমানের তলদেশটি অনেক মসৃণ ও সমান করে রাখা হয়েছে যাতে করে শব্দ দ্রুত কেটে যেতে পারে শক ওয়েভ যাতে ইঞ্জিনের তরঙ্গের সঙ্গে মিশে সনিক বুম তৈরি করতে না পারে।
নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের (জেডব্লিউএসটি) মাধ্যমে মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় মানচিত্র তৈরি করলেন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই মানচিত্রটি মহাবিশ্বের একটি ছোট অংশজুড়ে বিস্তৃত, যেখানে প্রায় আট লাখ গ্যালাক্সি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে এমন গ্যালাক্সিও আছে, যা এত দূরে অবস্থিত যে সেগুলো মহাবিশ্বের শৈশবের সময়কার,
২ ঘণ্টা আগেআধুনিক জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার এড়িয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। তবে এই বহুল ব্যবহৃত উপাদানটিই আজ পরিবেশের জন্য এক ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই প্লাস্টিক জমে থাকছে নদী-নালা, সাগর ও মাটির গভীরে, যা জলজ প্রাণী থেকে শুরু করে মানবস্বাস্থ্যের ওপর ফেলছে মারাত্মক প্রভাব। বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা
১ দিন আগেবিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে অসংখ্য শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে। নক্ষত্রগুলো জ্বলছে বিশাল পরমাণু বিক্রিয়ার শক্তিতে, আর বিশাল উল্কাপিণ্ড ছুটে এসে ধাক্কা দিচ্ছে গ্রহে গ্রহে। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছেন, যা এই সব কিছুকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাদের দাবি, মহাকা
২ দিন আগেআমাদের গ্রহে প্রাণের বিকাশ ও প্রাচুর্য টিকে আছে অক্সিজেনের কল্যাণে। কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সব সময় এমন ছিল না। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ভবিষ্যতে আমাদের বায়ুমণ্ডলে আবারও মিথেনের আধিক্য হবে এবং অক্সিজেনবিহীন অবস্থায় ফিরে যাবে। তবে এখনই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
৩ দিন আগে