অনলাইন ডেস্ক
চাঁদের পৃষ্ঠে বিশেষায়িত ভ্যাকুয়াম ক্লিনার পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে, ডিভাইসটি উপগ্রহটির পৃষ্ঠ পরিষ্কার করার উদ্দেশ্যে পাঠানো হচ্ছে না। বরং, চাঁদের মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা হবে। ব্লু ঘোস্ট মিশনের মাধ্যমে এই ডিভাইস পাঠানোর পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি। চাঁদ নিয়ে গবেষণার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
লুনার প্ল্যানটভ্যাক (এলপিভি) নামক যন্ত্রটি মূলত একটি ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের মতো কাজ করবে। তবে এটি পাঠানোর মূল উদ্দেশ্য হলো দ্রুত ও সাশ্রয়ী উপায়ে চাঁদের মাটির নমুনা সংগ্রহ করা। এটি তৈরি করেছে হানিবি রোবোটিকস, যা আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন স্পেস ভেঞ্চারের অংশ।
গত ৮ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে নাসা জানিয়েছে, ‘এলপিভি মূলত একটি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, যা পরিচালনার জন্য নিজস্ব গ্যাস ব্যবহার করে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে একটি নমুনা সংগ্রহ করতে সক্ষম।
ভ্যাকুয়াম ক্লিনারটি কীভাবে কাজ করবে, সে সম্পর্কে নাসা জানিয়েছে, ‘এলপিভির নমুনা সংগ্রহকারী অগ্রভাগে চাপযুক্ত গ্যাস ব্যবহার করে চাঁদের মাটিকে বিক্ষিপ্ত করবে, যা একটি ছোট টর্নেডো সৃষ্টি করবে।
এরপর যে ধূলিঝড় তৈরি হবে, তার উপাদানগুলো ডিভাইসটির দ্বিতীয় স্তরে থাকা বায়ু জেটের
মাধ্যমে ‘ট্রান্সফার টিউবে প্রবাহিত হবে এবং একটি পাত্রে সংগ্রহ করা হবে। পাত্রে থাকা নমুনাটির ছবি তোলা হবে এবং সেই ছবি পৃথিবীতে পাঠানো হবে।
নমুনা সংগ্রহ ও গবেষণার জন্য কার্যকর এবং স্থিতিস্থাপক পদ্ধতি হতে পারে এলপিভি। এতে যান্ত্রিক বাহু যুক্ত রয়েছে, যা মানব হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা ছাড়াই খননকাজ করতে পারে।
অ্যার্টেমিস প্রোগ্রামের মাধ্যমে নভোচারীদের চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নাসা। এই মিশনের মূল লক্ষ্য হলো চাঁদে মানুষের নিয়মিত উপস্থিতি তৈরি করা। এর জন্য চাঁদে থাকা সম্পদগুলো কাজে লাগাতে চাইছে সংস্থাটি। এর জন্য চাঁদের মাটি নিয়ে গবেষণা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামায় অবস্থিত নাসার মার্শাল স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের পে-লোড ম্যানেজার ডেনিস হ্যারিস বলেন, এলপিভি প্রযুক্তি পানি, হিলিয়াম এবং অন্যান্য সম্পদের অনুসন্ধানে সহায়ক হতে পারে।
সেই সঙ্গে চাঁদের আবাসন এবং লঞ্চ প্যাড তৈরির জন্য নাসা ও তার অংশীদারদের জন্য চাঁদের মাটির উপাদানগুলো সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা দেবে। এসব তথ্য বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের বিস্তার এবং সৌরজগতের তথ্য অনুসন্ধানের জন্য সহায়ক হবে।
বাণিজ্যিক মহাকাশ কোম্পানি ‘ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেস’-এর ব্লু ঘোস্ট মিশনের মাধ্যমে এলপিভি চাঁদে পৌঁছাবে। ব্লু ঘোস্ট ১ লুনার ল্যান্ডারটি নাসার ১০টি যন্ত্র চাঁদের পৃষ্ঠে পাঠাবে। এটি নাসার কমার্শিয়াল লুনার পে-লোড সার্ভিসেস (সিএলপিএস) উদ্যোগের অংশ। এটি নাসার একটি প্রচেষ্টা, যার মাধ্যমে তারা মহাকাশ অন্বেষণ কাজের জন্য বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলো ব্যবহার করতে চায়।
ফায়ারফ্লাই তাদের মিশনটির নাম রেখেছে ‘ঘোস্ট রাইডার্স ইন দ্য স্কাই।’ আগামী ১৫ জানুয়ারি ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ল্যান্ডারটি উৎক্ষেপণ করা হবে। ব্লু ঘোস্ট ১ লুনার ল্যান্ডারটি স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হবে।
উৎক্ষেপণটি সময়মতো ও সঠিকভাবে হলে ল্যান্ডারটি মার্চ মাসের শুরুতে চাঁদে অবতরণ করবে এবং তার সঙ্গে থাকবে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারটি। ব্লু ঘোস্ট মিশনটি প্রায় ১৪ পৃথিবী দিবস পর্যন্ত কাজ করবে এবং চাঁদের সূর্যাস্তের দৃশ্য ধারণ করবে।
এলপিভি প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করলে এই প্রযুক্তিটি ভবিষ্যতের মিশনে অভিযোজিত এবং উন্নত হতে পারে। এসব মিশনের মধ্যে রয়েছে চাঁদ থেকে নমুনা নিয়ে আসা বা অন্যান্য চাঁদ বা গ্রহের অভিযানে এটি অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
তথ্যসূত্র: ফোর্বস
চাঁদের পৃষ্ঠে বিশেষায়িত ভ্যাকুয়াম ক্লিনার পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে, ডিভাইসটি উপগ্রহটির পৃষ্ঠ পরিষ্কার করার উদ্দেশ্যে পাঠানো হচ্ছে না। বরং, চাঁদের মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা হবে। ব্লু ঘোস্ট মিশনের মাধ্যমে এই ডিভাইস পাঠানোর পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি। চাঁদ নিয়ে গবেষণার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
লুনার প্ল্যানটভ্যাক (এলপিভি) নামক যন্ত্রটি মূলত একটি ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের মতো কাজ করবে। তবে এটি পাঠানোর মূল উদ্দেশ্য হলো দ্রুত ও সাশ্রয়ী উপায়ে চাঁদের মাটির নমুনা সংগ্রহ করা। এটি তৈরি করেছে হানিবি রোবোটিকস, যা আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন স্পেস ভেঞ্চারের অংশ।
গত ৮ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে নাসা জানিয়েছে, ‘এলপিভি মূলত একটি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, যা পরিচালনার জন্য নিজস্ব গ্যাস ব্যবহার করে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে একটি নমুনা সংগ্রহ করতে সক্ষম।
ভ্যাকুয়াম ক্লিনারটি কীভাবে কাজ করবে, সে সম্পর্কে নাসা জানিয়েছে, ‘এলপিভির নমুনা সংগ্রহকারী অগ্রভাগে চাপযুক্ত গ্যাস ব্যবহার করে চাঁদের মাটিকে বিক্ষিপ্ত করবে, যা একটি ছোট টর্নেডো সৃষ্টি করবে।
এরপর যে ধূলিঝড় তৈরি হবে, তার উপাদানগুলো ডিভাইসটির দ্বিতীয় স্তরে থাকা বায়ু জেটের
মাধ্যমে ‘ট্রান্সফার টিউবে প্রবাহিত হবে এবং একটি পাত্রে সংগ্রহ করা হবে। পাত্রে থাকা নমুনাটির ছবি তোলা হবে এবং সেই ছবি পৃথিবীতে পাঠানো হবে।
নমুনা সংগ্রহ ও গবেষণার জন্য কার্যকর এবং স্থিতিস্থাপক পদ্ধতি হতে পারে এলপিভি। এতে যান্ত্রিক বাহু যুক্ত রয়েছে, যা মানব হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা ছাড়াই খননকাজ করতে পারে।
অ্যার্টেমিস প্রোগ্রামের মাধ্যমে নভোচারীদের চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নাসা। এই মিশনের মূল লক্ষ্য হলো চাঁদে মানুষের নিয়মিত উপস্থিতি তৈরি করা। এর জন্য চাঁদে থাকা সম্পদগুলো কাজে লাগাতে চাইছে সংস্থাটি। এর জন্য চাঁদের মাটি নিয়ে গবেষণা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামায় অবস্থিত নাসার মার্শাল স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের পে-লোড ম্যানেজার ডেনিস হ্যারিস বলেন, এলপিভি প্রযুক্তি পানি, হিলিয়াম এবং অন্যান্য সম্পদের অনুসন্ধানে সহায়ক হতে পারে।
সেই সঙ্গে চাঁদের আবাসন এবং লঞ্চ প্যাড তৈরির জন্য নাসা ও তার অংশীদারদের জন্য চাঁদের মাটির উপাদানগুলো সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা দেবে। এসব তথ্য বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের বিস্তার এবং সৌরজগতের তথ্য অনুসন্ধানের জন্য সহায়ক হবে।
বাণিজ্যিক মহাকাশ কোম্পানি ‘ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেস’-এর ব্লু ঘোস্ট মিশনের মাধ্যমে এলপিভি চাঁদে পৌঁছাবে। ব্লু ঘোস্ট ১ লুনার ল্যান্ডারটি নাসার ১০টি যন্ত্র চাঁদের পৃষ্ঠে পাঠাবে। এটি নাসার কমার্শিয়াল লুনার পে-লোড সার্ভিসেস (সিএলপিএস) উদ্যোগের অংশ। এটি নাসার একটি প্রচেষ্টা, যার মাধ্যমে তারা মহাকাশ অন্বেষণ কাজের জন্য বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলো ব্যবহার করতে চায়।
ফায়ারফ্লাই তাদের মিশনটির নাম রেখেছে ‘ঘোস্ট রাইডার্স ইন দ্য স্কাই।’ আগামী ১৫ জানুয়ারি ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ল্যান্ডারটি উৎক্ষেপণ করা হবে। ব্লু ঘোস্ট ১ লুনার ল্যান্ডারটি স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হবে।
উৎক্ষেপণটি সময়মতো ও সঠিকভাবে হলে ল্যান্ডারটি মার্চ মাসের শুরুতে চাঁদে অবতরণ করবে এবং তার সঙ্গে থাকবে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারটি। ব্লু ঘোস্ট মিশনটি প্রায় ১৪ পৃথিবী দিবস পর্যন্ত কাজ করবে এবং চাঁদের সূর্যাস্তের দৃশ্য ধারণ করবে।
এলপিভি প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করলে এই প্রযুক্তিটি ভবিষ্যতের মিশনে অভিযোজিত এবং উন্নত হতে পারে। এসব মিশনের মধ্যে রয়েছে চাঁদ থেকে নমুনা নিয়ে আসা বা অন্যান্য চাঁদ বা গ্রহের অভিযানে এটি অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
তথ্যসূত্র: ফোর্বস
আমাদের গ্রহের অভ্যন্তরে ঘটছে অসংখ্য জটিল প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটি পৃথিবীর উপরিভাগের চেয়ে অনেক বেশি রহস্যময়। ভূপৃষ্ঠের পাতলা স্তর এবং উত্তপ্ত কেন্দ্রের মাঝখানে অবস্থিত ম্যান্টল অঞ্চলটি প্রায় ২ হাজার ৯০০ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত।
২ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) প্রায় সাত মাস ধরে আটকে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর। এত দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকার কারণে সুনিতা এখন বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি ভুলে গেছেন কীভাবে হাঁটতে হয়! এই চ্যালেঞ্জটি তাঁর শরীরের ওপর দীর্ঘ মহাকাশ অভিযানের প্র
৪ ঘণ্টা আগেমহাকাশ স্টেশনে আটকে পড়া নভোচারী বাচ উইলমোর এবং সুনি উইলিয়ামসকে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে ইলন মাস্ককে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ তথ্য জানান মাস্ক। তবে এই ঘোষণার ফলে নাসার...
১ দিন আগেচাঁদে গিয়ে অক্সিজেনের সংকটে পড়েন নভোচারীরা। এই সংকট কাটিয়ে ওঠা যায় কীভাবে, সেই উদ্যোগ নিয়েছেন একদল প্রকৌশলী। তাঁরা চাইছেন, সেখানে যে অক্সিজেন পাওয়া যায়, এ জন্য একটি যন্ত্রের নকশা তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়েরা স্পেসের প্রকৌশলীরা। তাঁরা আশা করছেন
৩ দিন আগে