Ajker Patrika

বাজেট কমাচ্ছেন ট্রাম্প, নাসার পাশে থাকার অঙ্গীকার জাপানের

অনলাইন ডেস্ক
১৯৭২ সালের পর প্রথমবারের মতো চাঁদে মানুষ পাঠানোই হলো এই মিশনের একটি লক্ষ্য। ছবি: সংগৃহীত
১৯৭২ সালের পর প্রথমবারের মতো চাঁদে মানুষ পাঠানোই হলো এই মিশনের একটি লক্ষ্য। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের চাঁদে ফেরার মিশন আর্টেমিস কর্মসূচি নিয়ে নতুন অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও, নাসার পাশে থাকার অঙ্গীকার জানিয়েছে জাপান। দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাকসার (জেএএক্সএ) প্রধান হিরোশি ইয়ামাকাওয়া শুক্রবার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি কম খরচে কোনো বিকল্প পরিকল্পনা বিবেচনা করে, তাহলে জাপান সেটির প্রতি ইতিবাচক সাড়া দেবে।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৬ সালের বাজেট প্রস্তাবে নাসার বাজেট থেকে ছয় বিলিয়ন ডলার ছাঁটাইয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন, যা আর্টেমিস কর্মসূচির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলেছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো—১৯৭২ সালের পর প্রথমবারের মতো চাঁদে মানুষ পাঠানো।

জাপান, ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ইএসএ) ও কানাডাসহ বেশ কয়েকটি দেশ এই মিশনে যুক্ত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে গত বছর জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যাতে দুজন জাপানি নভোচারী ও টয়োটা নির্মিত একটি রোভার চাঁদের মাটিতে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

তবে নতুন বাজেট প্রস্তাবে নাসা তাদের গেটওয়ে প্রকল্প বাতিল করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গেটওয়ে ছিল একটি চাঁদের কক্ষপথে স্থাপিত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন, যা আর্টেমিস-৪ মিশনের অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে স্থাপনের কথা ছিল। ইতিমধ্যে নির্মিত অংশগুলো অন্য মিশনে ব্যবহার করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে নাসা এবং বলেছে, ‘নতুন প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক অংশীদারদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।’

এই গেটওয়ে স্টেশনের জন্য মানব বসবাসযোগ্য একটি মডিউল যৌথভাবে তৈরি করেছে জাপান ও ইএসএ, যা রসদ পরিবহনের জন্য জাপানের এইচটিআইভি-এক্স কার্গো যান ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল।

ইএসএ মহাপরিচালক জোসেফ অ্যাশবাখার এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাজেট কাটছাঁটের সম্পূর্ণ প্রভাব সম্পর্কে এখনো কিছু প্রশ্ন রয়ে গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ইউরোপীয় সংস্থা।

এ প্রসঙ্গে জাকসা প্রধান ইয়ামাকাওয়া বলেন, ‘গেটওয়ে নামের পরিবর্তন হলেও, চাঁদে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এ ধরনের অবকাঠামো প্রয়োজন। জাপান তা সরবরাহ করে যাবে।’

তিনি আরও জানান, জাপান চাঁদের পানির তথ্য, উচ্চ-নির্ভুল ল্যান্ডিং প্রযুক্তি, রোভার এবং সরবরাহ যানসহ বিভিন্নভাবে অবদান রাখতে পারে।

বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, মহাকাশে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। উভয় দেশই অংশীদার দেশ খুঁজছে এবং বেসরকারি কোম্পানির ওপর নির্ভর করছে। টোকিওর ইনস্টিটিউট অব জিওইকোনমিকসের গবেষক কোতা উমেদা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এমন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পরিত্যাগ করা কল্পনাও করা কঠিন। এটি চীনের বিরুদ্ধে তাদের একটি বড় কৌশলগত সম্পদ।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি আর্টেমিস কর্মসূচি আকারে ছোটও হয়, যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত জাপান ও ইউরোপের সঙ্গে সমন্বয় করে এমন একটি পথ খুঁজবে, যাতে সবাই সম্মান রক্ষা করতে পারে।’

চাঁদে যৌথভাবে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়তে সম্প্রতি চুক্তি করেছে রাশিয়া ও চীন। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র ব্যবহার করা হবে তাদের পরিকল্পিত ‘ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন’ বা আইএলআরএস চালাতে। দুই দেশের মধ্যে সম্প্রতি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে—বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০৩৬ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতের অফিসে আগুন নেভাতে গিয়ে কোরআন শরিফ দেখেননি, দাবি ফায়ার সার্ভিসের

ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স: রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে আসন নেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর

দিনাজপুরে নিহত মাইক্রোবাস-আরোহীদের সবাই সরকারি কর্মকর্তা

ফরিদপুরে গাড়ির চাকায় ছিন্নভিন্ন অজ্ঞাত ব্যক্তি, অক্ষত শুধু পায়ের জুতা

নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার বিব্রতকর: উপদেষ্টা ফারুকী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত