বিশ্বে প্রথমবারের মতো জীবন্ত কোনো মানুষের শরীরে শূকরের একটি কিডনির সফল প্রতিস্থাপন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একদল চিকিৎসক। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে ওই রোগীর শরীরে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনএবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, কিডনি রোগে ভুগছেন ৬২ বছর বয়সী এমন এক ব্যক্তির শরীরে চার ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করে কিডনিটি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি কিডনি রোগের একেবারে শেষ পর্যায়ে ছিলেন।
বোস্টনের চিকিৎসকেরা বলেছেন, তাঁরা শূকরের একটি কিডনিতে জিনগত পরিবর্তন এনে ওই রোগীর শরীরে তা প্রতিস্থাপন করেছেন। ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতাল বলেছে, বিশ্বে তাঁরাই প্রথমবারের মতো শূকরের কিডনি জীবিত মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করেছে।
তবে কয়েক বছর আগে শূকরের একটি কিডনি ‘ব্রেইন-ডেড বা ক্লিনিক্যালি ডেড’ একজন মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। এ ছাড়া শূকরের হৃদ্যন্ত্র দুজন পুরুষের শরীরে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয়েছিল। যদিও হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টের কয়েক মাসের মধ্যেই ওই দুই ব্যক্তি মারা যান।
ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ওই রোগীর শরীরে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।
বৃহস্পতিবার চিকিৎসকেরা বলেছেন, রিচার্ড রিক স্লেম্যান নামের ম্যাসাচুসেটসের ওয়েমাউথের বাসিন্দা ওই রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। শিগগিরই তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
হাসপাতালের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এর আগে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে স্লেম্যানের একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু গত বছর তার সেই কিডনিটি বিকল হয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। পরে ডায়ালাইসিস নেওয়া শুরু করেন তিনি। ডায়ালাইসিসের কারণে শরীরে জটিলতা তৈরি হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাঁকে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন।
স্লেম্যান বলেছেন, ‘আমি এটাকে কেবল আমার নিজের উপকার হিসেবে দেখছি না। বরং এটা হাজার হাজার মানুষকে আশান্বিত করে; যাদের বেঁচে থাকার জন্য কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট প্রয়োজন।’
চিকিৎসকদের এই ঘোষণা জেনোট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের যুগান্তকরী এক সফলতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রাণিকুলের শরীরের কোষ, টিস্যু বা অঙ্গ দিয়ে মানুষের রোগ নিরাময়ে যুগের পর যুগ ধরে চিকিৎসকেরা যে চেষ্টা চালিয়েছেন, তারই উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলে প্রশংসা করেছেন অনেকে।
কয়েক দশক ধরে চিকিৎসকেরা চেষ্টা চালালেও মানুষের শরীরে শূকরের কিডনি কাজ করেনি। বরং মানুষের শরীরের ইমিউন সিস্টেম তাৎক্ষণিকভাবে অন্য প্রাণীর টিস্যু ধ্বংস করে ফেলে। সম্প্রতি শূকরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপনের বেশ কিছু প্রচেষ্টা চালিয়েছেন চিকিৎসকেরা। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নেওয়ার আগে জিনগত পরিবর্তন এনে শূকরের জন্ম দেওয়া হয়; যাতে তাঁদের অঙ্গগুলো মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মতো হয়।
এর আগে, ২০২১ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একদল চিকিৎসক মানবদেহে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করে অনন্য এক সফলতা পান। তবে সেটি করা হয়েছিল ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করা এক নারীর শরীরে। একদিন জীবন-রক্ষাকারী কিডনি প্রতিস্থাপনে মানুষের শরীরে প্রাণীর কিডনি সফলতার মুখ দেখবে বলে গত কয়েক দশক ধরে চিকিৎসকেরা যে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন; নিউইয়র্কের চিকিৎসকেরা সেই প্রচেষ্টায় প্রথম সফলতা পান।
ওই সময় চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, শূকরের একটি জিন পাল্টে দিয়েছিলেন তারা। পরে পরিবর্তিত জিনে নতুন শূকরের জন্ম দিয়ে সেটি বড় করে তোলেন। এরপর সেই শূকরের কিডনি মানবদেহে প্রতিস্থাপন করে দেখতে পান সেটি স্বাভাবিকভাবেই কাজ করছে।
মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের ঘাটতি মেটাতে বহুকাল ধরেই শূকরের অঙ্গ নিয়ে গবেষণা চলছে। কিন্তু শূকরের শরীরের কোষে বিশেষ এক ধরনের সুগার রয়েছে; যা মানবদেহের কাছে আগন্তুক হিসেবে শনাক্ত হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে মানবদেহ তা প্রত্যাখ্যান করে। যে কারণে কিডনি প্রতিস্থাপনের এই পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকেরা জিন-সম্পাদনা করে শূকরের জন্ম দেন। জিন সম্পাদনা করে শূকরের শরীর থেকে সেই সুগার ফেলে দেওয়া হয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাতে আক্রান্ত না হয় সে জন্য শূকরের জিন সম্পাদনা করা হয়।
জটিল ওই অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছিল নিউ ইয়র্ক সিটির এনওয়াইইউ ল্যাংগোন হেলথ হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা ‘‘ব্রেইন ডেড’’ এক নারীর শরীরের বাইরে এক জোড়া বড় রক্তনালির সঙ্গে শূকরের কিডনি সংযুক্ত করে দিয়েছিলেন। এরপর চিকিৎসকেরা দু’দিন ধরে ওই কিডনি প্রতিস্থাপন পর্যবেক্ষণ করেন।
এতে দেখা যায়, কিডনির যেভাবে কাজ করার কথা ছিল, ঠিক সেভাবেই কাজ করছে। মানুষের কিডনি যে পরিমাণ বর্জ্য পরিশোধন করে মূত্র নিষ্কাশনে সহায়তা করে শূকরের কিডনিও একই কাজ করছে এবং তা মানবদেহ প্রত্যাখ্যান করেনি। অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকেরা সেই সময় বলেছিলেন, কিডনি গ্রহীতার শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা অস্বাভাবিক ছিল। তবে কিডনি প্রতিস্থাপনের পর তা স্বাভাবিক হয়ে যায়।
এনওয়াইইউ ল্যাংগোন হেলথ হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপনে চিকিৎসক দলের নেতৃত্বে থাকা ডা. রবার্ট মন্টগোমারি জানান, এটা পুরোপুরি স্বাভাবিক কাজ করেছে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে মানবদেহে এটার প্রত্যাখ্যাত হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকলেও সেটি হয়নি।
পশুর থেকে মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপনের স্বপ্ন অথবা জেনোট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের এই প্রচেষ্টা সতেরো শতকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়; ওই সময় পশুর রক্ত মানবদেহে ব্যবহারের এক স্বপ্ন অঙ্কুরেই হোঁচট খেয়েছিল।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বেশ কয়েকটি বায়োটেক কোম্পানি মানবদেহের অঙ্গের ঘাটতি মেটাতে সহায়তা করার জন্য প্রতিস্থাপনের উপযুক্ত শূকরের অঙ্গ তৈরির কাজ করে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। দেশটিতে গড়ে প্রতিদিন কিডনি প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় থাকা অন্তত ১২ জন মারা যান।
বিশ্বে প্রথমবারের মতো জীবন্ত কোনো মানুষের শরীরে শূকরের একটি কিডনির সফল প্রতিস্থাপন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একদল চিকিৎসক। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে ওই রোগীর শরীরে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনএবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, কিডনি রোগে ভুগছেন ৬২ বছর বয়সী এমন এক ব্যক্তির শরীরে চার ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করে কিডনিটি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি কিডনি রোগের একেবারে শেষ পর্যায়ে ছিলেন।
বোস্টনের চিকিৎসকেরা বলেছেন, তাঁরা শূকরের একটি কিডনিতে জিনগত পরিবর্তন এনে ওই রোগীর শরীরে তা প্রতিস্থাপন করেছেন। ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতাল বলেছে, বিশ্বে তাঁরাই প্রথমবারের মতো শূকরের কিডনি জীবিত মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করেছে।
তবে কয়েক বছর আগে শূকরের একটি কিডনি ‘ব্রেইন-ডেড বা ক্লিনিক্যালি ডেড’ একজন মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। এ ছাড়া শূকরের হৃদ্যন্ত্র দুজন পুরুষের শরীরে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয়েছিল। যদিও হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টের কয়েক মাসের মধ্যেই ওই দুই ব্যক্তি মারা যান।
ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ওই রোগীর শরীরে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।
বৃহস্পতিবার চিকিৎসকেরা বলেছেন, রিচার্ড রিক স্লেম্যান নামের ম্যাসাচুসেটসের ওয়েমাউথের বাসিন্দা ওই রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। শিগগিরই তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
হাসপাতালের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এর আগে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে স্লেম্যানের একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু গত বছর তার সেই কিডনিটি বিকল হয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। পরে ডায়ালাইসিস নেওয়া শুরু করেন তিনি। ডায়ালাইসিসের কারণে শরীরে জটিলতা তৈরি হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাঁকে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন।
স্লেম্যান বলেছেন, ‘আমি এটাকে কেবল আমার নিজের উপকার হিসেবে দেখছি না। বরং এটা হাজার হাজার মানুষকে আশান্বিত করে; যাদের বেঁচে থাকার জন্য কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট প্রয়োজন।’
চিকিৎসকদের এই ঘোষণা জেনোট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের যুগান্তকরী এক সফলতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রাণিকুলের শরীরের কোষ, টিস্যু বা অঙ্গ দিয়ে মানুষের রোগ নিরাময়ে যুগের পর যুগ ধরে চিকিৎসকেরা যে চেষ্টা চালিয়েছেন, তারই উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলে প্রশংসা করেছেন অনেকে।
কয়েক দশক ধরে চিকিৎসকেরা চেষ্টা চালালেও মানুষের শরীরে শূকরের কিডনি কাজ করেনি। বরং মানুষের শরীরের ইমিউন সিস্টেম তাৎক্ষণিকভাবে অন্য প্রাণীর টিস্যু ধ্বংস করে ফেলে। সম্প্রতি শূকরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপনের বেশ কিছু প্রচেষ্টা চালিয়েছেন চিকিৎসকেরা। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নেওয়ার আগে জিনগত পরিবর্তন এনে শূকরের জন্ম দেওয়া হয়; যাতে তাঁদের অঙ্গগুলো মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মতো হয়।
এর আগে, ২০২১ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একদল চিকিৎসক মানবদেহে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করে অনন্য এক সফলতা পান। তবে সেটি করা হয়েছিল ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করা এক নারীর শরীরে। একদিন জীবন-রক্ষাকারী কিডনি প্রতিস্থাপনে মানুষের শরীরে প্রাণীর কিডনি সফলতার মুখ দেখবে বলে গত কয়েক দশক ধরে চিকিৎসকেরা যে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন; নিউইয়র্কের চিকিৎসকেরা সেই প্রচেষ্টায় প্রথম সফলতা পান।
ওই সময় চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, শূকরের একটি জিন পাল্টে দিয়েছিলেন তারা। পরে পরিবর্তিত জিনে নতুন শূকরের জন্ম দিয়ে সেটি বড় করে তোলেন। এরপর সেই শূকরের কিডনি মানবদেহে প্রতিস্থাপন করে দেখতে পান সেটি স্বাভাবিকভাবেই কাজ করছে।
মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের ঘাটতি মেটাতে বহুকাল ধরেই শূকরের অঙ্গ নিয়ে গবেষণা চলছে। কিন্তু শূকরের শরীরের কোষে বিশেষ এক ধরনের সুগার রয়েছে; যা মানবদেহের কাছে আগন্তুক হিসেবে শনাক্ত হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে মানবদেহ তা প্রত্যাখ্যান করে। যে কারণে কিডনি প্রতিস্থাপনের এই পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকেরা জিন-সম্পাদনা করে শূকরের জন্ম দেন। জিন সম্পাদনা করে শূকরের শরীর থেকে সেই সুগার ফেলে দেওয়া হয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাতে আক্রান্ত না হয় সে জন্য শূকরের জিন সম্পাদনা করা হয়।
জটিল ওই অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছিল নিউ ইয়র্ক সিটির এনওয়াইইউ ল্যাংগোন হেলথ হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা ‘‘ব্রেইন ডেড’’ এক নারীর শরীরের বাইরে এক জোড়া বড় রক্তনালির সঙ্গে শূকরের কিডনি সংযুক্ত করে দিয়েছিলেন। এরপর চিকিৎসকেরা দু’দিন ধরে ওই কিডনি প্রতিস্থাপন পর্যবেক্ষণ করেন।
এতে দেখা যায়, কিডনির যেভাবে কাজ করার কথা ছিল, ঠিক সেভাবেই কাজ করছে। মানুষের কিডনি যে পরিমাণ বর্জ্য পরিশোধন করে মূত্র নিষ্কাশনে সহায়তা করে শূকরের কিডনিও একই কাজ করছে এবং তা মানবদেহ প্রত্যাখ্যান করেনি। অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকেরা সেই সময় বলেছিলেন, কিডনি গ্রহীতার শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা অস্বাভাবিক ছিল। তবে কিডনি প্রতিস্থাপনের পর তা স্বাভাবিক হয়ে যায়।
এনওয়াইইউ ল্যাংগোন হেলথ হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপনে চিকিৎসক দলের নেতৃত্বে থাকা ডা. রবার্ট মন্টগোমারি জানান, এটা পুরোপুরি স্বাভাবিক কাজ করেছে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে মানবদেহে এটার প্রত্যাখ্যাত হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকলেও সেটি হয়নি।
পশুর থেকে মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপনের স্বপ্ন অথবা জেনোট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের এই প্রচেষ্টা সতেরো শতকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়; ওই সময় পশুর রক্ত মানবদেহে ব্যবহারের এক স্বপ্ন অঙ্কুরেই হোঁচট খেয়েছিল।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বেশ কয়েকটি বায়োটেক কোম্পানি মানবদেহের অঙ্গের ঘাটতি মেটাতে সহায়তা করার জন্য প্রতিস্থাপনের উপযুক্ত শূকরের অঙ্গ তৈরির কাজ করে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। দেশটিতে গড়ে প্রতিদিন কিডনি প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় থাকা অন্তত ১২ জন মারা যান।
আধুনিক জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার এড়িয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। তবে এই বহুল ব্যবহৃত উপাদানটিই আজ পরিবেশের জন্য এক ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই প্লাস্টিক জমে থাকছে নদী-নালা, সাগর ও মাটির গভীরে, যা জলজ প্রাণী থেকে শুরু করে মানবস্বাস্থ্যের ওপর ফেলছে মারাত্মক প্রভাব। বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা
১৮ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে অসংখ্য শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে। নক্ষত্রগুলো জ্বলছে বিশাল পরমাণু বিক্রিয়ার শক্তিতে, আর বিশাল উল্কাপিণ্ড ছুটে এসে ধাক্কা দিচ্ছে গ্রহে গ্রহে। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছেন, যা এই সব কিছুকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাদের দাবি, মহাকা
২ দিন আগেআমাদের গ্রহে প্রাণের বিকাশ ও প্রাচুর্য টিকে আছে অক্সিজেনের কল্যাণে। কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সব সময় এমন ছিল না। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ভবিষ্যতে আমাদের বায়ুমণ্ডলে আবারও মিথেনের আধিক্য হবে এবং অক্সিজেনবিহীন অবস্থায় ফিরে যাবে। তবে এখনই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
৩ দিন আগেবসন্ত এলেই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে লাখ লাখ পিঁপড়া। দলবদ্ধভাবে তারা ছড়িয়ে পড়ে উঠোন, বারান্দা ও রান্নাঘরের মেঝেতে—উদ্দেশ্য একটাই, কলোনির জন্য খাবার খুঁজে বের করা। তবে এদের সব সময় সারিবদ্ধভাবেই হাঁটতে দেখা যায়। তবে তাদের এই শৃঙ্খলাবদ্ধ হাঁটার পেছনে লুকিয়ে আছে চমকপ্রদ এক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
৪ দিন আগে