প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা
পানির নিচে কোনো অবকাঠামো তৈরির জন্য ঝালাই করার প্রয়োজন হতে পারে। যেমন: গভীর পানিতে সেতুর পিলার, বড় জাহাজ মেরামত, তেল বা গ্যাসের রিগ বা পাইপলাইন মেরামতের জন্য পানির নিচে ঝালাই করার প্রয়োজন হয়।
পানির নিচে ঝালাইকে ইংরেজিতে হাইপারবারিক ওয়েল্ডিং বলে। ১৯৩২ সালে রুশ ধাতুবিদ কনস্তান্তিন ক্রেনভ হাইপারবারিক ওয়েল্ডিং উদ্ভাবন করেন। সেই সময় থেকে পানির মধ্যে জাহাজ, পাইপলাইন মেরামতের জন্য বিশ্বব্যাপী এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই ঝালাই দুই রকমের হয়। একটি হলো, ড্রাই বা শুকনো ঝালাই। এই ঝালাইয়ের ক্ষেত্রে চাপযুক্ত বায়ুরুদ্ধ স্থান তৈরি করা হয়। ইস্পাত জোড়া লাগানোর জন্যই সবচেয়ে বেশি ঝালাই করা হয়।
আর ওয়েট বা ভেজা ঝালাইয়ের ক্ষেত্রে পানির মধ্যেই সরাসরি ঝালাই করা হয়। শুকনো ঝালাই ভেজা ঝালাইয়ের চেয়ে টেকসই হয়। কারণ শুকনো ঝালাইয়ের ক্ষেত্রে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেই সঙ্গে ঝালাইয়ের পূর্বে ও পরে প্রয়োজনীয় তাপ দেওয়া যায়।
পানির নিচে ঝালাইয়ের মান নির্ধারণ করা কঠিন। বিশেষ করে ভেজা ঝালাইয়ের ক্ষেত্রে। কারণ পানির নিচে কোনো ত্রুটি ধরতে পারা কঠিন।
পরীক্ষাগারে ২ হাজার ৫০০ মিটার গভীরতায় ভেজা ঝালাই পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। তবে কিন্তু শুষ্ক ঝালাইয়ের ক্ষেত্রে ৪০০ মিটারের বেশি গভীরতায় অনুমতি দেওয়া হয় না।
ড্রাই বা শুকনো ঝালাইয়ের ক্ষেত্রে ঝালাই করা অংশ ঘিরে একটি হাইপারবারিক চেম্বার (আবদ্ধ স্থান) ব্যবহার করা হয়। পানি বের করার জন্য ও শুকনো পরিবেশ তৈরি করতে চেম্বারটি গ্যাস (সাধারণত অক্সিজেন ও হিলিয়ামের মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়) দিয়ে পূর্ণ করা হয়। ঝালাই করার সময় ওয়েল্ডারদের বা ঝালাই কর্মীদের যেন ডিকম্প্রেশন সিকনেস (নিম্ন চাপে অস্বস্তি) না হয়, সে জন্য চেম্বারের চাপ সঠিক মাত্রায় রাখতে হয়।
আবার অনেক সময় হাইপারবারিক চেম্বার তৈরি করা যায় না। তখন ভেজা ঝালাই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ঝালাই রক্ষা করতে ও পানিতে বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধে গ্যাসীয় বুদ্বুদ তৈরি করা হয়।
বুদ্বুদের এই অন্তরক (যে পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ পরিবাহিত হয় না সেটিকে অন্তরক পদার্থ বলে) স্তরটি ডুবুরিদের রক্ষা করে। কিন্তু বুদবুদগুলো ঝালাইয়ের জায়গাটিকেও ঝাপসা করে ফেলে, ফলে সঠিকভাবে ঝালাই করা কঠিন হয়ে পড়ে।
এ ছাড়া বুদ্বুদের জন্য তাপ ছড়িয়ে যাওয়ার কারণে ঝালাইয়ের স্থান খুব দ্রুত ঠান্ডা হতে পারে। এর ফলে ঝালাইটিতে ত্রুটি দেখা দিতে পারে। অর্থাৎ ঝালাই করা স্থানে খুব দ্রুত ফাটল ধরতে পারে।
পানির নিচে ঝালাইয়ের জন্য দিকপরিবর্তী বিদ্যুৎ বা অলটারনেটিং কারেন্টের (এসি) বদলে একমুখী বিদ্যুৎ প্রবাহ বা ডাইরেক্ট কারেন্ট (ডিসি) ব্যবহার করা হয়। কারণ পানির নিচে ঝালাইয়ের জন্য ডিসি কারেন্ট বেশি নিরাপদ।
পানির নিচে ঝালাইয়ের বিপদ রয়েছে। ওয়েল্ডার বৈদ্যুতিক শক পাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এটি প্রতিরোধ করার জন্য, ঝালাইয়ের সরঞ্জামগুলো অবশ্যই সামুদ্রিক পরিবেশের জন্য উপযুক্ত হতে হয়। পেশাদার ডুবুরিদের অবশ্যই পেশাগত নিরাপত্তার ঝুঁকিগুলো বিবেচনা করতে হবে। বিশেষ করে শ্বাস–প্রশ্বাসের গ্যাসের বর্ধিত চাপের কারণে অসুস্থতার ঝুঁকি থাকে। অনেক ডুবুরি ডেন্টাল অ্যামালগামের গ্যালভানিক ভাঙনের সঙ্গে সম্পর্কিত ধাতব স্বাদ মুখে লাগার কথা জানিয়েছেন। এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদে মস্তিষ্ক ও পেশির সমস্যা হতে পারে।
পানির নিচে কোনো অবকাঠামো তৈরির জন্য ঝালাই করার প্রয়োজন হতে পারে। যেমন: গভীর পানিতে সেতুর পিলার, বড় জাহাজ মেরামত, তেল বা গ্যাসের রিগ বা পাইপলাইন মেরামতের জন্য পানির নিচে ঝালাই করার প্রয়োজন হয়।
পানির নিচে ঝালাইকে ইংরেজিতে হাইপারবারিক ওয়েল্ডিং বলে। ১৯৩২ সালে রুশ ধাতুবিদ কনস্তান্তিন ক্রেনভ হাইপারবারিক ওয়েল্ডিং উদ্ভাবন করেন। সেই সময় থেকে পানির মধ্যে জাহাজ, পাইপলাইন মেরামতের জন্য বিশ্বব্যাপী এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই ঝালাই দুই রকমের হয়। একটি হলো, ড্রাই বা শুকনো ঝালাই। এই ঝালাইয়ের ক্ষেত্রে চাপযুক্ত বায়ুরুদ্ধ স্থান তৈরি করা হয়। ইস্পাত জোড়া লাগানোর জন্যই সবচেয়ে বেশি ঝালাই করা হয়।
আর ওয়েট বা ভেজা ঝালাইয়ের ক্ষেত্রে পানির মধ্যেই সরাসরি ঝালাই করা হয়। শুকনো ঝালাই ভেজা ঝালাইয়ের চেয়ে টেকসই হয়। কারণ শুকনো ঝালাইয়ের ক্ষেত্রে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেই সঙ্গে ঝালাইয়ের পূর্বে ও পরে প্রয়োজনীয় তাপ দেওয়া যায়।
পানির নিচে ঝালাইয়ের মান নির্ধারণ করা কঠিন। বিশেষ করে ভেজা ঝালাইয়ের ক্ষেত্রে। কারণ পানির নিচে কোনো ত্রুটি ধরতে পারা কঠিন।
পরীক্ষাগারে ২ হাজার ৫০০ মিটার গভীরতায় ভেজা ঝালাই পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। তবে কিন্তু শুষ্ক ঝালাইয়ের ক্ষেত্রে ৪০০ মিটারের বেশি গভীরতায় অনুমতি দেওয়া হয় না।
ড্রাই বা শুকনো ঝালাইয়ের ক্ষেত্রে ঝালাই করা অংশ ঘিরে একটি হাইপারবারিক চেম্বার (আবদ্ধ স্থান) ব্যবহার করা হয়। পানি বের করার জন্য ও শুকনো পরিবেশ তৈরি করতে চেম্বারটি গ্যাস (সাধারণত অক্সিজেন ও হিলিয়ামের মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়) দিয়ে পূর্ণ করা হয়। ঝালাই করার সময় ওয়েল্ডারদের বা ঝালাই কর্মীদের যেন ডিকম্প্রেশন সিকনেস (নিম্ন চাপে অস্বস্তি) না হয়, সে জন্য চেম্বারের চাপ সঠিক মাত্রায় রাখতে হয়।
আবার অনেক সময় হাইপারবারিক চেম্বার তৈরি করা যায় না। তখন ভেজা ঝালাই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ঝালাই রক্ষা করতে ও পানিতে বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধে গ্যাসীয় বুদ্বুদ তৈরি করা হয়।
বুদ্বুদের এই অন্তরক (যে পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ পরিবাহিত হয় না সেটিকে অন্তরক পদার্থ বলে) স্তরটি ডুবুরিদের রক্ষা করে। কিন্তু বুদবুদগুলো ঝালাইয়ের জায়গাটিকেও ঝাপসা করে ফেলে, ফলে সঠিকভাবে ঝালাই করা কঠিন হয়ে পড়ে।
এ ছাড়া বুদ্বুদের জন্য তাপ ছড়িয়ে যাওয়ার কারণে ঝালাইয়ের স্থান খুব দ্রুত ঠান্ডা হতে পারে। এর ফলে ঝালাইটিতে ত্রুটি দেখা দিতে পারে। অর্থাৎ ঝালাই করা স্থানে খুব দ্রুত ফাটল ধরতে পারে।
পানির নিচে ঝালাইয়ের জন্য দিকপরিবর্তী বিদ্যুৎ বা অলটারনেটিং কারেন্টের (এসি) বদলে একমুখী বিদ্যুৎ প্রবাহ বা ডাইরেক্ট কারেন্ট (ডিসি) ব্যবহার করা হয়। কারণ পানির নিচে ঝালাইয়ের জন্য ডিসি কারেন্ট বেশি নিরাপদ।
পানির নিচে ঝালাইয়ের বিপদ রয়েছে। ওয়েল্ডার বৈদ্যুতিক শক পাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এটি প্রতিরোধ করার জন্য, ঝালাইয়ের সরঞ্জামগুলো অবশ্যই সামুদ্রিক পরিবেশের জন্য উপযুক্ত হতে হয়। পেশাদার ডুবুরিদের অবশ্যই পেশাগত নিরাপত্তার ঝুঁকিগুলো বিবেচনা করতে হবে। বিশেষ করে শ্বাস–প্রশ্বাসের গ্যাসের বর্ধিত চাপের কারণে অসুস্থতার ঝুঁকি থাকে। অনেক ডুবুরি ডেন্টাল অ্যামালগামের গ্যালভানিক ভাঙনের সঙ্গে সম্পর্কিত ধাতব স্বাদ মুখে লাগার কথা জানিয়েছেন। এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদে মস্তিষ্ক ও পেশির সমস্যা হতে পারে।
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সস্তা ধাতু থেকে সোনা তৈরির চেষ্টা করেছেন বহু মানুষ। মধ্যযুগীয় ইউরোপে ধন-সম্পদ ও মর্যাদার আশায় বহু মানুষ সোনা উৎপাদনের স্বপ্নে বিভোর ছিলেন। ‘ক্রাইসোপোইয়া’ নামে পরিচিত এই প্রক্রিয়াকে আজকাল অনেকেই নিছক অলৌকিক কল্পনা মনে করেন। তবে আধুনিক বিজ্ঞান বলে ভিন্ন কথা।
১৭ ঘণ্টা আগেপ্রথমবারের মতো কোনো নক্ষত্রকে ঘিরে নতুন সৌরজগতের জন্ম হতে দেখেছেন বিশ্বের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি গ্রহ সৃষ্টি প্রক্রিয়ার এতটাই প্রাথমিক স্তর যে, আগে কখনো এমন দৃশ্যমান হয়নি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
২ দিন আগেযুক্তরাজ্যের চিকিৎসকেরা এক যুগান্তকারী পদ্ধতি ব্যবহার করে আট সুস্থ শিশুর জন্ম দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই পদ্ধতিতে তিন ব্যক্তির ডিএনএ সমন্বয় করে আইভিএফ (ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) ভ্রূণ তৈরি করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল, যাতে শিশুরা দুরারোগ্য জিনগত ব্যাধি উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া থেকে রক্ষা পায়।
৭ দিন আগেপ্রাণীরা একে অপরের ডাকে সাড়া দেয়, এই তথ্য আমাদের অনেকের জানা। তবে সম্প্রতি এক নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে আরও বিস্ময়কর এক তথ্য। গাছও শব্দ করে, আর সেই শব্দ শুনেই সিদ্ধান্ত নেয় পোকামাকড়। এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে এক নতুন ধরনের যোগসূত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
৯ দিন আগে