বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিতে প্রায়ই পৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে একটি স্বচ্ছ অবকাঠামোর ভেতরে গাছপালা ও প্রাণী দিয়ে পূর্ণ কৃত্রিম পরিবেশের কথা উল্লেখ করা হয়। সম্প্রতি ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক, উদ্ভিদবিদ ও পরিবেশবিদ পল স্মিথ কৃত্রিমভাবে মঙ্গল গ্রহে প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরির একটি বিশদ প্রস্তাব তৈরি করেছেন। গত মাসে তিনি ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব অ্যাস্ট্রো বায়োলজিতে প্রস্তাবটি প্রকাশ করেন। মঙ্গলের বুকে এক ‘ক্ষুদ্র পৃথিবী’ নির্মাণের প্রস্তাবই বলা যায় একে।
সি-নেটের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্মিথের প্রস্তাবে মঙ্গলে পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রের অনুকরণে মূলত প্রাকৃতিক সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। এই প্রাকৃতিক সংরক্ষণ মানুষের জন্য একটি আশ্রয়স্থল এবং খাদ্য ও কাঁচামাল সরবরাহ করবে। প্রস্তাবটিকে প্রাথমিকভাবে শুধুই একটি ধারণা মনে হতে পারে অনেকের কাছে। তবে স্মিথ এই পরিকল্পনার মৌলিক ধারণাগুলোকে তুলে ধরেছেন তাঁর প্রস্তাবে। এ ছাড়া, সম্ভাব্য অনেকগুলো চ্যালেঞ্জের মধ্যে কয়েকটির সমাধানও দিয়েছেন স্মিথ।
প্রস্তাবে মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডল, তাপমাত্রা, ঋতু, আবহাওয়া, মাধ্যাকর্ষণ, ক্ষতিকারক রশ্মির বিকিরণ এবং সূর্যালোক সম্পর্কিত অন্যান্য চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেছেন স্মিথ। তিনি প্রাণীদের একটি তালিকা তৈরি করেছেন, যেগুলোতে মঙ্গলের জন্য প্রস্তাবিত প্রাকৃতিক সংরক্ষণে বসবাস করতে পারবে।
স্মিথ তাঁর তালিকায় রেখেছেন জুনিপার ও বার্চ উদ্ভিদ। প্রাণীদের মধ্যে স্মিথ রেখেছেন মাটির জীবাণু, ছত্রাক ও কেঁচো এবং মাকড়সার মতো অমেরুদণ্ডী প্রাণী।
উল্লেখ্য, মানুষ ছাড়া অন্য মেরুদণ্ডী প্রাণী যেমন—পাখি, মাছ ও র্যাকুন এই তালিকায় নেই। এসব প্রাণী মঙ্গলে স্বাভাবিক জীবন পাবে না, তাই তাদের বহির্জাগতিক আবাসস্থলে থাকতে বাধ্য করার নৈতিক দিক নিয়েও কথা বলেছেন স্মিথ।
স্মিথ অবশ্য পৃথিবীর হুবহু অনুকরণে কোনো বন তৈরির কথা বলছেন না। তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক সংরক্ষণটির যাঁরা নকশা করবেন, তাঁদের এই প্রজাতিগুলোকে পরিবেশের উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। যারা একত্রিত হয়ে একটি বাস্তুতন্ত্র গড়ে তুলতে পারবে। হুবহু পৃথিবীর মতো বনের ধারণা এখনো বাস্তবসম্মত নয়। কিন্তু নতুন বাস্তুতন্ত্র গড়ে তোলা, এর উন্নতি এবং এটি অপ্রত্যাশিত উপায়ে কাজ করবে—এমনটা আমরা ভাবতেই পারি।’
তবে এই প্রস্তাব বাস্তবায়নে কী পরিমাণ খরচ হতে পারে তা স্মিথ ভাবেননি। তিনি বলেন, ‘মানুষকে মহাকাশে পাঠানোই যথেষ্ট ব্যয়বহুল একটি প্রক্রিয়া। সেখানে আপনি ধারণা করে নিতে পারেন মঙ্গলের বুকে এ ধরনের একটি পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ দেওয়া কতটা ব্যয়বহুল হতে পারে?’
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিতে প্রায়ই পৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে একটি স্বচ্ছ অবকাঠামোর ভেতরে গাছপালা ও প্রাণী দিয়ে পূর্ণ কৃত্রিম পরিবেশের কথা উল্লেখ করা হয়। সম্প্রতি ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক, উদ্ভিদবিদ ও পরিবেশবিদ পল স্মিথ কৃত্রিমভাবে মঙ্গল গ্রহে প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরির একটি বিশদ প্রস্তাব তৈরি করেছেন। গত মাসে তিনি ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব অ্যাস্ট্রো বায়োলজিতে প্রস্তাবটি প্রকাশ করেন। মঙ্গলের বুকে এক ‘ক্ষুদ্র পৃথিবী’ নির্মাণের প্রস্তাবই বলা যায় একে।
সি-নেটের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্মিথের প্রস্তাবে মঙ্গলে পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রের অনুকরণে মূলত প্রাকৃতিক সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। এই প্রাকৃতিক সংরক্ষণ মানুষের জন্য একটি আশ্রয়স্থল এবং খাদ্য ও কাঁচামাল সরবরাহ করবে। প্রস্তাবটিকে প্রাথমিকভাবে শুধুই একটি ধারণা মনে হতে পারে অনেকের কাছে। তবে স্মিথ এই পরিকল্পনার মৌলিক ধারণাগুলোকে তুলে ধরেছেন তাঁর প্রস্তাবে। এ ছাড়া, সম্ভাব্য অনেকগুলো চ্যালেঞ্জের মধ্যে কয়েকটির সমাধানও দিয়েছেন স্মিথ।
প্রস্তাবে মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডল, তাপমাত্রা, ঋতু, আবহাওয়া, মাধ্যাকর্ষণ, ক্ষতিকারক রশ্মির বিকিরণ এবং সূর্যালোক সম্পর্কিত অন্যান্য চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেছেন স্মিথ। তিনি প্রাণীদের একটি তালিকা তৈরি করেছেন, যেগুলোতে মঙ্গলের জন্য প্রস্তাবিত প্রাকৃতিক সংরক্ষণে বসবাস করতে পারবে।
স্মিথ তাঁর তালিকায় রেখেছেন জুনিপার ও বার্চ উদ্ভিদ। প্রাণীদের মধ্যে স্মিথ রেখেছেন মাটির জীবাণু, ছত্রাক ও কেঁচো এবং মাকড়সার মতো অমেরুদণ্ডী প্রাণী।
উল্লেখ্য, মানুষ ছাড়া অন্য মেরুদণ্ডী প্রাণী যেমন—পাখি, মাছ ও র্যাকুন এই তালিকায় নেই। এসব প্রাণী মঙ্গলে স্বাভাবিক জীবন পাবে না, তাই তাদের বহির্জাগতিক আবাসস্থলে থাকতে বাধ্য করার নৈতিক দিক নিয়েও কথা বলেছেন স্মিথ।
স্মিথ অবশ্য পৃথিবীর হুবহু অনুকরণে কোনো বন তৈরির কথা বলছেন না। তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক সংরক্ষণটির যাঁরা নকশা করবেন, তাঁদের এই প্রজাতিগুলোকে পরিবেশের উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। যারা একত্রিত হয়ে একটি বাস্তুতন্ত্র গড়ে তুলতে পারবে। হুবহু পৃথিবীর মতো বনের ধারণা এখনো বাস্তবসম্মত নয়। কিন্তু নতুন বাস্তুতন্ত্র গড়ে তোলা, এর উন্নতি এবং এটি অপ্রত্যাশিত উপায়ে কাজ করবে—এমনটা আমরা ভাবতেই পারি।’
তবে এই প্রস্তাব বাস্তবায়নে কী পরিমাণ খরচ হতে পারে তা স্মিথ ভাবেননি। তিনি বলেন, ‘মানুষকে মহাকাশে পাঠানোই যথেষ্ট ব্যয়বহুল একটি প্রক্রিয়া। সেখানে আপনি ধারণা করে নিতে পারেন মঙ্গলের বুকে এ ধরনের একটি পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ দেওয়া কতটা ব্যয়বহুল হতে পারে?’
প্রথমবারের মতো মঙ্গল গ্রহে মানুষের চোখে দৃশ্যমান এমন অরোরা বা মেরুপ্রভা শনাক্ত করেছে নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার। এই সাফল্য ভবিষ্যতের নভোচারীদের জন্য আশার আলো দেখাচ্ছে—যারা লাল গ্রহে গিয়ে এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।
১৫ ঘণ্টা আগেচাঁদে যৌথভাবে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়তে চুক্তি করেছে রাশিয়া ও চীন। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ব্যবহার করা হবে তাদের পরিকল্পিত ‘ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন’ বা আইএলআরএস চালাতে। দুই দেশের মধ্যে সম্প্রতি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে—বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০৩৬ সালের মধ্যে
২ দিন আগেজীবন বা প্রাণ সত্যিই ‘জ্যোতির্ময়’ বা আলোক বিচ্ছুরণ করে। এমনটাই বলছেন কানাডার ক্যালগারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল অব কানাডার গবেষকেরা। ইঁদুর ও দুটি ভিন্ন প্রজাতির গাছের পাতা নিয়ে করা এক অসাধারণ পরীক্ষায় ‘বায়োফোটন’ নামক এক রহস্যময় ঘটনার সরাসরি প্রমাণ মিলেছে। দেখা গেছে, মৃত্যুর পর এই আল
২ দিন আগেপূর্বের ধারণার চেয়ে অনেক অনেক আগেই হয়তো মহাবিশ্ব ধ্বংস হবে। এমনটাই জানিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের র্যাডবাউড ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানী। সম্প্রতি প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা জার্নাল অব কসমোলজি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোপারটিকাল ফিজিক্স–নামের গবেষণাপত্রে এই চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে।
৩ দিন আগে