আরও ৫০ বছর আগেই মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আবিষ্কার হয়েছিল বলে দাবি করেছেন জার্মানির এক অ্যাস্ট্রো বায়োলজি অধ্যাপক। তবে ওই প্রাণ পরবর্তীতে খুব দ্রুত নির্মূল হয়ে গেছে। ডার্ক শুলজ-মাকুচ নামের ওই বিজ্ঞানী বার্লিনে অবস্থিত টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি সদস্য।
শুলজ মনে করেন, পৃথিবীর বাইরে প্রাণের সন্ধান পাওয়া গেলেও দুর্ঘটনা এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে এগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ‘সায়েন্স অ্যালার্ট’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭৬ সালে ভাইকিং মিশনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা মঙ্গল গ্রহে দুটি ল্যান্ডার পাঠিয়েছিল। এর মধ্যে ওই বছরের ২০ জুলাই একটি ল্যান্ডার এবং ৩ সেপ্টেম্বর আরেকটি ল্যান্ডার মঙ্গল গ্রহে অবতরণ করে। ওই অভিযানের মধ্য দিয়েই মানবজাতি প্রথমবারের মতো মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠ সম্পর্কে ধারণা পেয়েছিল।
শুধু তাই নয়, প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে দেখতে মঙ্গলের মাটি নিয়ে জৈব বিশ্লেষণের মতো পরীক্ষাও সংঘটিত হয়েছিল ওই অভিযানে। পরীক্ষাটি মূলত মঙ্গল গ্রহের মাটিতে পুষ্টিযুক্ত পানি প্রবাহের মধ্য দিয়ে জীবন্ত অণুজীবের উপস্থিতি শনাক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। তত্ত্বটি ছিল—মঙ্গলে প্রাণ থাকলে, অণুজীবগুলো পানির মধ্যে থাকা পুষ্টি গ্রহণ করবে এবং তেজস্ক্রিয় কার্বনকে গ্যাস হিসেবে ছেড়ে দেবে।
কিন্তু শুলজ মনে করেন, পুষ্টির দ্রবণ ধারণ করা পানি মাটিতে প্রবাহের ফলে যে কোনো জীবন কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যেতে পারে।
পরীক্ষাটি ভাইকিং-ওয়ান এবং ভাইকিং-টু উভয় ল্যান্ডিং সাইটে পরিচালিত হয়েছিল। উভয় ক্ষেত্রেই কার্বনজাত গ্যাস নিঃসরণের ইতিবাচক ফলাফলও পাওয়া গিয়েছিল। তবে ওই ফলাফল নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। একদল বিশ্বাস করেন মঙ্গল গ্রহের মাটিতে জীবন্ত অণুজীবের উপস্থিতির কারণেই ইতিবাচক ফল এসেছে। আবার অন্যরা বিশ্বাস করেন অজৈবিক প্রক্রিয়ার কারণেই এমন ফলাফল পাওয়া গেছে। তাঁদের মতে, ফলাফলগুলো ছিল মূলত মঙ্গল গ্রহের মাটি দ্বারা জৈব যৌগগুলোর অক্সিডেশন।
এ বিষয়ে শুলজ মত দিয়েছেন, ভাইকিং-যুগের বিজ্ঞানীরা মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ সম্পর্কে খুব কমই বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি বলেন, ‘পৃথিবী যেহেতু একটি পানি সমৃদ্ধ গ্রহ, তাই এটাই ভাবা হয়েছিল যে মঙ্গল গ্রহের অত্যন্ত শুষ্ক পরিবেশে পানি যোগ করলে তা কোনো জীবনকে প্রশমিত করবে। অদূরদর্শীতাই এমন চিন্তাকে সঠিক বলতে পারে।’
আরও ৫০ বছর আগেই মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আবিষ্কার হয়েছিল বলে দাবি করেছেন জার্মানির এক অ্যাস্ট্রো বায়োলজি অধ্যাপক। তবে ওই প্রাণ পরবর্তীতে খুব দ্রুত নির্মূল হয়ে গেছে। ডার্ক শুলজ-মাকুচ নামের ওই বিজ্ঞানী বার্লিনে অবস্থিত টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি সদস্য।
শুলজ মনে করেন, পৃথিবীর বাইরে প্রাণের সন্ধান পাওয়া গেলেও দুর্ঘটনা এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে এগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ‘সায়েন্স অ্যালার্ট’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭৬ সালে ভাইকিং মিশনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা মঙ্গল গ্রহে দুটি ল্যান্ডার পাঠিয়েছিল। এর মধ্যে ওই বছরের ২০ জুলাই একটি ল্যান্ডার এবং ৩ সেপ্টেম্বর আরেকটি ল্যান্ডার মঙ্গল গ্রহে অবতরণ করে। ওই অভিযানের মধ্য দিয়েই মানবজাতি প্রথমবারের মতো মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠ সম্পর্কে ধারণা পেয়েছিল।
শুধু তাই নয়, প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে দেখতে মঙ্গলের মাটি নিয়ে জৈব বিশ্লেষণের মতো পরীক্ষাও সংঘটিত হয়েছিল ওই অভিযানে। পরীক্ষাটি মূলত মঙ্গল গ্রহের মাটিতে পুষ্টিযুক্ত পানি প্রবাহের মধ্য দিয়ে জীবন্ত অণুজীবের উপস্থিতি শনাক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। তত্ত্বটি ছিল—মঙ্গলে প্রাণ থাকলে, অণুজীবগুলো পানির মধ্যে থাকা পুষ্টি গ্রহণ করবে এবং তেজস্ক্রিয় কার্বনকে গ্যাস হিসেবে ছেড়ে দেবে।
কিন্তু শুলজ মনে করেন, পুষ্টির দ্রবণ ধারণ করা পানি মাটিতে প্রবাহের ফলে যে কোনো জীবন কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যেতে পারে।
পরীক্ষাটি ভাইকিং-ওয়ান এবং ভাইকিং-টু উভয় ল্যান্ডিং সাইটে পরিচালিত হয়েছিল। উভয় ক্ষেত্রেই কার্বনজাত গ্যাস নিঃসরণের ইতিবাচক ফলাফলও পাওয়া গিয়েছিল। তবে ওই ফলাফল নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। একদল বিশ্বাস করেন মঙ্গল গ্রহের মাটিতে জীবন্ত অণুজীবের উপস্থিতির কারণেই ইতিবাচক ফল এসেছে। আবার অন্যরা বিশ্বাস করেন অজৈবিক প্রক্রিয়ার কারণেই এমন ফলাফল পাওয়া গেছে। তাঁদের মতে, ফলাফলগুলো ছিল মূলত মঙ্গল গ্রহের মাটি দ্বারা জৈব যৌগগুলোর অক্সিডেশন।
এ বিষয়ে শুলজ মত দিয়েছেন, ভাইকিং-যুগের বিজ্ঞানীরা মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ সম্পর্কে খুব কমই বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি বলেন, ‘পৃথিবী যেহেতু একটি পানি সমৃদ্ধ গ্রহ, তাই এটাই ভাবা হয়েছিল যে মঙ্গল গ্রহের অত্যন্ত শুষ্ক পরিবেশে পানি যোগ করলে তা কোনো জীবনকে প্রশমিত করবে। অদূরদর্শীতাই এমন চিন্তাকে সঠিক বলতে পারে।’
মহাকাশ গবেষণায় নতুন এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে যা সৌরজগৎ সম্পর্কে আমাদের ধারণা আবারও বদলে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক গবেষকদলের দাবি, সৌরজগতের একেবারে প্রান্তে লুকিয়ে আছে রহস্যময় নবম গ্রহ ‘প্ল্যানেট নাইন’ বা ‘প্ল্যানেট এক্স’।
৩ দিন আগেপৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। সাধারণ মানুষেরই যেখানে আগ্রহ সীমাহীন, সেখানে যেসব গবেষক চাঁদ নিয়ে কাজ করছেন তাদের আগ্রহ কেমন হতে পারে? এবার বিজ্ঞানীদের সেই আগ্রহ মেটাতেই চাঁদের মাটিতে ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন বা আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র (আইএলআরএস) গড়তে
৪ দিন আগেসাধারণত গাছের চাহিদা বুঝতে নিজের অভিজ্ঞতা এবং অনুমানের ওপর নির্ভর করেন কৃষকেরা। তবে ভবিষ্যতে গাছও জানাতে পারবে তার প্রয়োজনের কথা। কখন তার পানির প্রয়োজন বা কীটের আক্রমণ হয়েছে, তা সে নিজেই কৃষককে জানিয়ে দেবে।
৪ দিন আগেআপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন—কেন কুকুর, বিড়াল বা গরিলার মতো আপনার সারা শরীর ঘন লোমে ঢাকা নয়? মানুষই একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী নয় যাদের লোম পাতলা। হাতি, গন্ডার এবং নেংটি ইঁদুরের গায়েও খুব কম লোম থাকে। তিমি এবং ডলফিনের মতো কিছু সামুদ্রিক স্তন্যপায়ীর ক্ষেত্রেও এটা সত্যি।
৬ দিন আগে