আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল। তারা একটি নতুন পরমাণু ব্যাটারি উদ্ভাবন করেছে, যা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্য ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। এটি একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার। কারণ এ ধরনের পরমাণু ব্যাটারি কোনো চার্জ বা রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াই কয়েক দশক পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে।
পরবর্তী প্রজন্মের ব্যাটারিটি একটি প্রোটোটাইপ ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষা করেছেন গবেষকেরা। ডিভাইসটি পরমাণু রশ্মি সংগ্রহ করে মাইক্রো চিপ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত শক্তি উৎপাদন করতে পারে।
এই নতুন ব্যাটারি তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা। ব্যাটারিটি পারমাণবিক জ্বালানি থেকে নির্গত গামা রশ্মি সংগ্রহ করে সেন্টিলেটর ক্রিস্টালের মাধ্যমে তা আলোতে রূপান্তরিত করে। এরপর এই আলোকে সৌর কোষের মাধ্যমে বিদ্যুৎ-শক্তিতে রূপান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, সেন্টিলেটর ক্রিস্টাল একটি বিশেষ ধরনের উপাদান, যা রেডিয়েশন বা পারমাণবিক রশ্মি শোষণ করে এবং তা থেকে আলো (ফোটন) নিঃসৃত হয়। এই আলো পরবর্তী সময়ে ব্যবহারযোগ্য শক্তিতে রূপান্তর করা যায়।
গবেষণার নেতৃত্বদানকারী মেকানিক্যাল ও অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক রেমন্ড কাও বলেন, ‘আমরা যা বর্জ্য হিসেবে বিবেচনা করেছিলাম, সেটিকে ধীরে ধীরে সম্পদে পরিণত করার চেষ্টা করছি।’
এই ব্যাটারিতে কোনো ধরনের পারমাণবিক উপাদান ব্যবহার করা হয়নি, ফলে এটি নিরাপদ। কোনো ঝুঁকি ছাড়াই এটি স্পর্শ করা যাবে। তবে এটি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হচ্ছে না। এই প্রযুক্তি মহাকাশ ও গভীর সমুদ্র অনুসন্ধানে পারমাণবিক ব্যবস্থায় ব্যবহার করার কথা ভাবছেন গবেষকেরা।
চীনের ১৪তম পঞ্চম বর্ষ পরিকল্পনার আওতায় বেইজিংয়েও এই প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে। গত বছর চীনা কোম্পানি বেটাভোল্ট বলে, তারা ফোন, ড্রোন ও মেডিকেল ডিভাইসের মতো বাণিজ্যিক কাজের জন্য পারমাণবিক ব্যাটারি উৎপাদন করতে চায়।
ওহাইওর পরীক্ষামূলক সংস্করণটির আকার প্রায় একটি চিনির দানার সমান, যা ১ দশমিক ৫ মাইক্রোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। তবে বড় আকারের সংস্করণগুলো উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আরও বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গবেষক ইব্রাহিম অকসুজ বলেন, ‘এটি শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি বৈপ্লবিক ফলাফল।’
তিনি আরও বলেন, ‘পারমাণবিক ব্যাটারি ধারণাটি খুবই আশাপ্রদ। একে আরও উন্নত করার সুযোগ রয়েছে। তবে আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে এই পদ্ধতি শক্তি উৎপাদন এবং সেন্সর শিল্পে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান তৈরি করবে।’
এই প্রযুক্তি নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা ‘মাইক্রোওয়াট স্তরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সিন্টিলেটর-ভিত্তিক পারমাণবিক ফটোভোলটাইক ব্যাটারি’ শিরোনামে ‘অপটিক্যাল ম্যাটেরিয়ালস: এক্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট ইউকে
বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল। তারা একটি নতুন পরমাণু ব্যাটারি উদ্ভাবন করেছে, যা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্য ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। এটি একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার। কারণ এ ধরনের পরমাণু ব্যাটারি কোনো চার্জ বা রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াই কয়েক দশক পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে।
পরবর্তী প্রজন্মের ব্যাটারিটি একটি প্রোটোটাইপ ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষা করেছেন গবেষকেরা। ডিভাইসটি পরমাণু রশ্মি সংগ্রহ করে মাইক্রো চিপ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত শক্তি উৎপাদন করতে পারে।
এই নতুন ব্যাটারি তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা। ব্যাটারিটি পারমাণবিক জ্বালানি থেকে নির্গত গামা রশ্মি সংগ্রহ করে সেন্টিলেটর ক্রিস্টালের মাধ্যমে তা আলোতে রূপান্তরিত করে। এরপর এই আলোকে সৌর কোষের মাধ্যমে বিদ্যুৎ-শক্তিতে রূপান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, সেন্টিলেটর ক্রিস্টাল একটি বিশেষ ধরনের উপাদান, যা রেডিয়েশন বা পারমাণবিক রশ্মি শোষণ করে এবং তা থেকে আলো (ফোটন) নিঃসৃত হয়। এই আলো পরবর্তী সময়ে ব্যবহারযোগ্য শক্তিতে রূপান্তর করা যায়।
গবেষণার নেতৃত্বদানকারী মেকানিক্যাল ও অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক রেমন্ড কাও বলেন, ‘আমরা যা বর্জ্য হিসেবে বিবেচনা করেছিলাম, সেটিকে ধীরে ধীরে সম্পদে পরিণত করার চেষ্টা করছি।’
এই ব্যাটারিতে কোনো ধরনের পারমাণবিক উপাদান ব্যবহার করা হয়নি, ফলে এটি নিরাপদ। কোনো ঝুঁকি ছাড়াই এটি স্পর্শ করা যাবে। তবে এটি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হচ্ছে না। এই প্রযুক্তি মহাকাশ ও গভীর সমুদ্র অনুসন্ধানে পারমাণবিক ব্যবস্থায় ব্যবহার করার কথা ভাবছেন গবেষকেরা।
চীনের ১৪তম পঞ্চম বর্ষ পরিকল্পনার আওতায় বেইজিংয়েও এই প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে। গত বছর চীনা কোম্পানি বেটাভোল্ট বলে, তারা ফোন, ড্রোন ও মেডিকেল ডিভাইসের মতো বাণিজ্যিক কাজের জন্য পারমাণবিক ব্যাটারি উৎপাদন করতে চায়।
ওহাইওর পরীক্ষামূলক সংস্করণটির আকার প্রায় একটি চিনির দানার সমান, যা ১ দশমিক ৫ মাইক্রোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। তবে বড় আকারের সংস্করণগুলো উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আরও বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গবেষক ইব্রাহিম অকসুজ বলেন, ‘এটি শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি বৈপ্লবিক ফলাফল।’
তিনি আরও বলেন, ‘পারমাণবিক ব্যাটারি ধারণাটি খুবই আশাপ্রদ। একে আরও উন্নত করার সুযোগ রয়েছে। তবে আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে এই পদ্ধতি শক্তি উৎপাদন এবং সেন্সর শিল্পে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান তৈরি করবে।’
এই প্রযুক্তি নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা ‘মাইক্রোওয়াট স্তরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সিন্টিলেটর-ভিত্তিক পারমাণবিক ফটোভোলটাইক ব্যাটারি’ শিরোনামে ‘অপটিক্যাল ম্যাটেরিয়ালস: এক্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট ইউকে
মহাবিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো ‘ব্ল্যাক হোল’ আবিষ্কার করেছেন বলে দাবি করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। শক্তিশালী জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (জেডব্লিউএসটি) থেকে প্রাপ্ত ডেটা বিশ্লেষণ করে তারা জানান, এমন একটি ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্বের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, যার জন্ম হতে পারে বিগ ব্যাংয়ের মাত্র এক সেকেন্ডেরও কম সময় পরে
১ দিন আগেঢাকার সময় অনুযায়ী, আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ২৮ মিনিটে শুরু হয়েছে অত্যন্ত বিরল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের ‘পেনুম্ব্রাল’ বা সূক্ষ্ম ছায়া পর্ব। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ আংশিকভাবে গ্রহণ শুরু হবে। বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ থেকে এই গ্রহণ দেখা যাচ্ছে।
৩ দিন আগেপ্রায় দুই শতাব্দী ধরে বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে শেখানো হয়ে আসছে যে, বরফের ওপর চাপ বা ঘর্ষণের ফলে তার পৃষ্ঠে একটি পাতলা তরল স্তর তৈরি হয়, আর এই তরল স্তরই বরফকে পিচ্ছিল করে তোলে। শীতপ্রধান দেশে বরফে ঢাকা ফুটপাতে হাঁটার সময় হঠাৎ পিছলে পড়ে যাওয়ার ঘটনা তাই অনেকেই এভাবে ব্যাখ্যা করতেন।
৩ দিন আগেপ্রকৃতি আবার সাজিয়েছে এক মায়াবী আয়োজন। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর রাতে আবারও ফিরে আসছে ‘ব্লাড মুন’। অর্থাৎ চাঁদ রূপ বদলে হয়ে উঠবে লাল। এই রক্তিম আভা রাতের আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। আর বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ দেখতে পাবে এই দুর্লভ চন্দ্রগ্রহণ।
৪ দিন আগে