অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা: তিন টনেরও বেশি ওজনের একটি চালান নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে স্পেসএক্সের রকেট। এই কার্গো রকেটে রয়েছে কয়েক হাজার ক্ষুদ্র প্রাণী, বিশেষ টুথপেস্ট এবং শক্তিশালী সৌর প্যানেল।
স্পেসএক্সের ফ্যালকন রকেট কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বৃহস্পতিবারের ধোঁয়াটে বিকেলের আকাশে উৎক্ষিপ্ত হয়। প্রথম পর্যায়ের বুস্টারটি ছিল নতুন। উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিট পরই সেটি মূল রকেট থেকে বিযুক্ত হয়ে সমুদ্র উপকূলে স্থাপিত প্ল্যাটফর্মে অবতরণ করে। আসন্ন শরৎকালে নাসা নভোচারীদের জন্য এই বুস্টারই আবার ব্যবহার করা হবে।
স্পেসএক্সের এই কার্গো রকেটে রয়েছে ৩ হাজার ৩০০ কেজির চালান। এতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে অবস্থানরত সাত নভোচারীর জন্য অন্যান্য জিনিসের মধ্যে রয়েছে–তাজা লেবু, পেঁয়াজ, অ্যাভোকাডো এবং চেরি টমেটো। আগামীকাল শনিবার কার্গোটি মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছানোর কথা।
স্পেসএক্সের ড্রাগন কার্গো ক্যাপসুলটিও সম্পূর্ণ নতুন। এটি উচ্চ প্রযুক্তির সোলার প্যানেলের প্রথম তিন সেট মহাকাশ স্টেশনে সরবরাহ করবে। এই সোলার প্যানেল পুরোনো গ্রিডে শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। মহাকাশ স্টেশনে ২০ বছর ধরে অবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে যাচ্ছে দুটি সৌর ডানা। নভোচারীরা চলতি মাসের শেষ নাগাদ এর পাশাপাশি দুটি ফাঁজযোগ্য প্যানেল স্থাপনে দুটি স্পেস ওয়াক পরিচালনা করবেন।
এদিকে নাসার স্পেস স্টেশন প্রোগ্রাম ম্যানেজার জোয়েল মন্টালবানো বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, দর্শনার্থীদের টিকিট কেনার প্রবণতা বাড়ছে। এর জন্য আরও বেশি সক্ষমতার প্রয়োজন হবে। হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের মধ্যে অভিনেতা টম ক্রুজ মহাকাশ স্টেশন পরিদর্শনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ড্রাগন কার্গোতে দাঁতের রোগীদের লালা এবং মুখের ব্যাকটেরিয়ার নমুনাও রয়েছে। মহাকাশচারীদের দাঁত এবং মাড়ি স্বাস্থ্যকর রাখার উদ্দেশ্যে এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বিশেষ টুথপেস্ট এবং মাউথওয়াশ দিয়ে চিকিৎসা করা হবে। বিষয়টির ব্যাখ্যায় নেভাডা লাস ভেগাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জেফ্রি এবারসোল বলেন, পৃথিবীর পদ্ধতিগুলো শূন্য মাধ্যাকর্ষণে কাজ করবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন একটি অত্যাধুনিক গবেষণাগারও। এটি প্রতিনিয়ত পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। এই ল্যাবে অন্যান্য জিনিসের পাশাপাশি এবার পৌঁছানো হচ্ছে ২০ হাজার টার্ডিগ্রেড বা জল ভালুক, ১২৮টি স্কুইড, মরিচ গাছ এবং তুলার চারা।
টার্ডিগ্রেড সম্ভবত একমাত্র প্রাণী যেটি পৃথিবীতে চরম পরিবেশে এমনকি মহাশূন্যেও বাঁচতে পারে। এগুলো হিমায়িত অবস্থায় পাঠানো হচ্ছে। এরপর মহাকাশ স্টেশনে আণুবীক্ষণিক প্রাণীগুলোকে কক্ষ তাপমাত্রায় নেওয়া হবে। এই প্রাণীদের অভিযোজন ক্ষমতার পেছনের জিনগুলো শনাক্ত করা হবে। এর মাধ্যমে পৃথিবী থেকে অনেক উপরে স্থায়ীভাবে থাকার সময় মানবদেহের ওপর সৃষ্ট চাপগুলো আরও ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করবেন বিজ্ঞানীরা।
আর স্কুইডগুলো নেওয়া হয়েছে উপকারী ব্যাকটেরিয়া এবং তাদের প্রাণী পোষক দেহের মধ্যে সম্পর্ক পর্যবেক্ষণের একটি গবেষণার অংশ হিসেবে।
এটি নাসার হয়ে স্পেসএক্সের ২২ তম চালান সরবরাহ। গত এপ্রিলে সংস্থাটি ছয় মাসের মিশনের জন্য চার নভোচারীকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছে দেয়। এক দশক আগে নাসার শাটলগুলোকে অবসরে পাঠানোর পর কার্গো এবং নভোচারী পরিবহনের জন্য বেসরকারি মহাকাশ সংস্থাগুলোর দিকে ঝুঁকেছে নাসা। সে ক্ষেত্রে নাসার আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে মার্কিন বিলিয়নিয়ার উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স।
স্পেসএক্স সম্প্রতি প্রথম সফলভাবে স্টারশিপ রকেটের অবতরণ করাতে সক্ষম হয়েছে। ইলন মাস্ক চাঁদ এবং মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের জন্য এই বিশালাকৃতির রকেট তৈরি করছেন।
ঢাকা: তিন টনেরও বেশি ওজনের একটি চালান নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে স্পেসএক্সের রকেট। এই কার্গো রকেটে রয়েছে কয়েক হাজার ক্ষুদ্র প্রাণী, বিশেষ টুথপেস্ট এবং শক্তিশালী সৌর প্যানেল।
স্পেসএক্সের ফ্যালকন রকেট কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বৃহস্পতিবারের ধোঁয়াটে বিকেলের আকাশে উৎক্ষিপ্ত হয়। প্রথম পর্যায়ের বুস্টারটি ছিল নতুন। উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিট পরই সেটি মূল রকেট থেকে বিযুক্ত হয়ে সমুদ্র উপকূলে স্থাপিত প্ল্যাটফর্মে অবতরণ করে। আসন্ন শরৎকালে নাসা নভোচারীদের জন্য এই বুস্টারই আবার ব্যবহার করা হবে।
স্পেসএক্সের এই কার্গো রকেটে রয়েছে ৩ হাজার ৩০০ কেজির চালান। এতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে অবস্থানরত সাত নভোচারীর জন্য অন্যান্য জিনিসের মধ্যে রয়েছে–তাজা লেবু, পেঁয়াজ, অ্যাভোকাডো এবং চেরি টমেটো। আগামীকাল শনিবার কার্গোটি মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছানোর কথা।
স্পেসএক্সের ড্রাগন কার্গো ক্যাপসুলটিও সম্পূর্ণ নতুন। এটি উচ্চ প্রযুক্তির সোলার প্যানেলের প্রথম তিন সেট মহাকাশ স্টেশনে সরবরাহ করবে। এই সোলার প্যানেল পুরোনো গ্রিডে শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। মহাকাশ স্টেশনে ২০ বছর ধরে অবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে যাচ্ছে দুটি সৌর ডানা। নভোচারীরা চলতি মাসের শেষ নাগাদ এর পাশাপাশি দুটি ফাঁজযোগ্য প্যানেল স্থাপনে দুটি স্পেস ওয়াক পরিচালনা করবেন।
এদিকে নাসার স্পেস স্টেশন প্রোগ্রাম ম্যানেজার জোয়েল মন্টালবানো বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, দর্শনার্থীদের টিকিট কেনার প্রবণতা বাড়ছে। এর জন্য আরও বেশি সক্ষমতার প্রয়োজন হবে। হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের মধ্যে অভিনেতা টম ক্রুজ মহাকাশ স্টেশন পরিদর্শনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ড্রাগন কার্গোতে দাঁতের রোগীদের লালা এবং মুখের ব্যাকটেরিয়ার নমুনাও রয়েছে। মহাকাশচারীদের দাঁত এবং মাড়ি স্বাস্থ্যকর রাখার উদ্দেশ্যে এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বিশেষ টুথপেস্ট এবং মাউথওয়াশ দিয়ে চিকিৎসা করা হবে। বিষয়টির ব্যাখ্যায় নেভাডা লাস ভেগাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জেফ্রি এবারসোল বলেন, পৃথিবীর পদ্ধতিগুলো শূন্য মাধ্যাকর্ষণে কাজ করবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন একটি অত্যাধুনিক গবেষণাগারও। এটি প্রতিনিয়ত পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে। এই ল্যাবে অন্যান্য জিনিসের পাশাপাশি এবার পৌঁছানো হচ্ছে ২০ হাজার টার্ডিগ্রেড বা জল ভালুক, ১২৮টি স্কুইড, মরিচ গাছ এবং তুলার চারা।
টার্ডিগ্রেড সম্ভবত একমাত্র প্রাণী যেটি পৃথিবীতে চরম পরিবেশে এমনকি মহাশূন্যেও বাঁচতে পারে। এগুলো হিমায়িত অবস্থায় পাঠানো হচ্ছে। এরপর মহাকাশ স্টেশনে আণুবীক্ষণিক প্রাণীগুলোকে কক্ষ তাপমাত্রায় নেওয়া হবে। এই প্রাণীদের অভিযোজন ক্ষমতার পেছনের জিনগুলো শনাক্ত করা হবে। এর মাধ্যমে পৃথিবী থেকে অনেক উপরে স্থায়ীভাবে থাকার সময় মানবদেহের ওপর সৃষ্ট চাপগুলো আরও ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করবেন বিজ্ঞানীরা।
আর স্কুইডগুলো নেওয়া হয়েছে উপকারী ব্যাকটেরিয়া এবং তাদের প্রাণী পোষক দেহের মধ্যে সম্পর্ক পর্যবেক্ষণের একটি গবেষণার অংশ হিসেবে।
এটি নাসার হয়ে স্পেসএক্সের ২২ তম চালান সরবরাহ। গত এপ্রিলে সংস্থাটি ছয় মাসের মিশনের জন্য চার নভোচারীকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছে দেয়। এক দশক আগে নাসার শাটলগুলোকে অবসরে পাঠানোর পর কার্গো এবং নভোচারী পরিবহনের জন্য বেসরকারি মহাকাশ সংস্থাগুলোর দিকে ঝুঁকেছে নাসা। সে ক্ষেত্রে নাসার আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে মার্কিন বিলিয়নিয়ার উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স।
স্পেসএক্স সম্প্রতি প্রথম সফলভাবে স্টারশিপ রকেটের অবতরণ করাতে সক্ষম হয়েছে। ইলন মাস্ক চাঁদ এবং মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের জন্য এই বিশালাকৃতির রকেট তৈরি করছেন।
সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদে কী হয়, তা দেখতে ও দেখাতে পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো চাঁদে অবতরণ করেছে ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের একটি মহাকাশযান। আজ রোববার মার্কিন সময় রাত ৩টা ৩৫ মিনিটের দিকে (স্থানীয়) চাঁদের মাটি স্পর্শ করে টেক্সাসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেসের চন্দ্রযান ব্লু ঘোস্ট।
২১ ঘণ্টা আগেপৃথিবীর নিকটতম গ্রহ মঙ্গলে আজ থেকে ৩৬০ কোটি বছর আগে বিশাল এক মহাসাগর ছিল এবং তার ঢেউ সৈকতে আছড়ে পড়ত। সম্প্রতি এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে নতুন গবেষণা। চীনের ঝুরং রোভার ২০২১-২২ সাল সময়ের মধ্যে মঙ্গলের ইউটোপিয়া প্লানিশিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভূগর্ভস্থ রাডার ব্যবহার করে সম্ভাব্য এই প্রাচীন মহাসাগরের উপকূলরেখ
১ দিন আগেঅতীতের দিকে তাকালে পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তনকে রোলার কোস্টারের সঙ্গে তুলনা করা যায়। সময়ে সময়ে এই গ্রহের তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটেছে। একবার উষ্ণ হয়ে উঠেছে, আবার বরফযুগ শুরু হয়েছে। এই পরিবর্তনগুলো কখনোই স্থায়ী নয়। কিছু সময় পর পৃথিবী বর্তমানে উষ্ণ পরিবেশে ফিরে আসে। তবে নতুন এক গবেষণায় জানা যায়, আজ থেকে ১১
২ দিন আগেবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল। তারা একটি নতুন পরমাণু ব্যাটারি উদ্ভাবন করেছেন, যা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্য ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। এটি একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার। কারণ এই ধরনের পরমাণু ব্যাটারি কোনো চার্জ বা রক্ষণাবেক্ষণ...
৩ দিন আগে