চলতি বছরের একদম শেষে এসে আরও এক মাইলফলক অর্জন করেছে ভারতের স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরোর। গত সোমবার স্পেস ডকিং পরীক্ষা বা স্পেডেক্স অভিযানটি সফলভাবে সূচনা করেছে সংস্থাটি। এর মাধ্যমে মহাকাশে দুটি মডিউল একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত (ডকিং) করার প্রযুক্তিতে এক ধাপ এগিয়ে গেল। এর আগে আমেরিকা, রাশিয়া, চীন এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সফলতা পেয়েছে। এবার চতুর্থ দেশ হিসেবে সেই তালিকায় নাম জুড়ে গেল ভারতের। মহাকাশে ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশন নির্মাণে ইসরোর ব্যাপক ভূমিকা রাখবে এই অভিযান।
গত ৩০ ডিসম্বের স্থানীয় সময় রাত ১০টায় ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস প্যাড থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় পিএসএলভি–সি ৬০ রকেটটি এবং দুটি ছোট মডিউল ৪৭৫ কিলোমিটার উচ্চতার বৃত্তাকার কক্ষপথে স্থাপন করে রকেটটি। প্রতিটি মডিউলের ওজন ২২০ কিলোগ্রাম।
পিএসএলভি হলো–পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল, যা উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
ইসরোর প্রধান এস সোমানাথ ঘোষণা করেন, ‘স্পেস ডকিং পরীক্ষার সফল উৎক্ষেপণ ঘোষণা করছি। রকেট মডিউলগুলোকে সঠিক কক্ষপথে স্থাপন করেছে এবং পুরো পিএসএলভি–প্রকল্প দলকে অভিনন্দন।
তিনি আরও জানান, উত্ক্ষেপণের পর দুটি মডিউল একে অপরের পেছনে চলে গেছে এবং পরবর্তীতে তারা একে অপরের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, মডিউল দুটি একে অপরের খুব কাছে পৌঁছাবে, এবং এরপর তারা একে অপরের সঙ্গে ডকিং বা যুক্ত হবে। এই ডকিং প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহে (২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি) শুরু হতে পারে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং ইসরোর মাইক্রোব্লগিং সাইটে বলেন, পিএসএলভি–সি ৬০ রকেটটি সফলভাবে স্পেডেক্স এবং ২৪টি পে-লোড উৎক্ষেপণ করেছে।
ইসরো জানিয়েছে, পিএসএলভি-সি ৬০ রকেটের মাধ্যমে সফল উৎক্ষেপণের পর, দুটি মহাকাশযান স্বাধীনভাবে এবং একযোগে পৃথিবী থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দূরত্বে ৫৫ ডিগ্রিতে কক্ষপথে যাবে। এই মহাকাশযানগুলোর স্থানীয় সময় চক্র হবে প্রায় ৬৬ দিনের।
এদের মধ্যে এসডিএক্স ০১ হবে ‘চেজার’ (পেছনে থাকা স্যাটেলাইট) এবং ‘এসডিএক্স ০২’ হবে ‘টার্গেট’ (লক্ষ্য স্যাটেলাইট)।
প্রথমে চেজার এবং টার্গেটের মধ্যে দূরত্ব থাকবে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা একে অপরের কাছে চলে আসবে। এরপর নির্দিষ্ট সময়ে ডকিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সফল ডকিংয়ের পর দুটি মহাকাশযানের মধ্যে বৈদ্যুতিক শক্তি স্থানান্তরিত হবে এবং শেষে শুরু হবে আনডকিং পদ্ধতি।
এই মিশনটি ভবিষ্যতের মহাকাশ মিশনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের জন্য, যার পরিকল্পনা ২০৩৫ সালের মধ্যে।
মিশনটির উৎক্ষেপণ ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ৯টা ৫৮ মিনিটে নির্ধারিত ছিল। তবে ‘কনজাঙ্কশন স্টাডি’ সম্পন্ন করার পর অভিজানটির সূচি নির্ধারণ পুনরায় ১০টায় করা হয়েছিল, যাতে কক্ষপথে মডিউলগুলোর মধ্যে কোনো কাছাকাছি অবস্থান না হয়।
ইসরো প্রধান জানিয়েছেন, ‘আগামী বছর ২০২৫-এ অনেক গুরুত্বপূর্ণ মিশন রয়েছে। জানুয়ারিতে জিএসএলভি (গিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট) রকেটের মাধ্যমে এনভিএস–০২ নেভিগেশন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। এছাড়া, শীঘ্রই তার ১০০ তম উৎক্ষেপণ উপলক্ষে একটি মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করবে ইসরো, যা শ্রীহরিকোটার স্পেসপোর্ট থেকে হবে।
এই স্পেস ডকিং পরীক্ষা ইসরোকে পৃথিবীর একটি বিশেষ মহাকাশ সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা ভবিষ্যতে আরো উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেছে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও বিবিসি
চলতি বছরের একদম শেষে এসে আরও এক মাইলফলক অর্জন করেছে ভারতের স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরোর। গত সোমবার স্পেস ডকিং পরীক্ষা বা স্পেডেক্স অভিযানটি সফলভাবে সূচনা করেছে সংস্থাটি। এর মাধ্যমে মহাকাশে দুটি মডিউল একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত (ডকিং) করার প্রযুক্তিতে এক ধাপ এগিয়ে গেল। এর আগে আমেরিকা, রাশিয়া, চীন এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সফলতা পেয়েছে। এবার চতুর্থ দেশ হিসেবে সেই তালিকায় নাম জুড়ে গেল ভারতের। মহাকাশে ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশন নির্মাণে ইসরোর ব্যাপক ভূমিকা রাখবে এই অভিযান।
গত ৩০ ডিসম্বের স্থানীয় সময় রাত ১০টায় ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস প্যাড থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় পিএসএলভি–সি ৬০ রকেটটি এবং দুটি ছোট মডিউল ৪৭৫ কিলোমিটার উচ্চতার বৃত্তাকার কক্ষপথে স্থাপন করে রকেটটি। প্রতিটি মডিউলের ওজন ২২০ কিলোগ্রাম।
পিএসএলভি হলো–পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল, যা উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
ইসরোর প্রধান এস সোমানাথ ঘোষণা করেন, ‘স্পেস ডকিং পরীক্ষার সফল উৎক্ষেপণ ঘোষণা করছি। রকেট মডিউলগুলোকে সঠিক কক্ষপথে স্থাপন করেছে এবং পুরো পিএসএলভি–প্রকল্প দলকে অভিনন্দন।
তিনি আরও জানান, উত্ক্ষেপণের পর দুটি মডিউল একে অপরের পেছনে চলে গেছে এবং পরবর্তীতে তারা একে অপরের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, মডিউল দুটি একে অপরের খুব কাছে পৌঁছাবে, এবং এরপর তারা একে অপরের সঙ্গে ডকিং বা যুক্ত হবে। এই ডকিং প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহে (২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি) শুরু হতে পারে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং ইসরোর মাইক্রোব্লগিং সাইটে বলেন, পিএসএলভি–সি ৬০ রকেটটি সফলভাবে স্পেডেক্স এবং ২৪টি পে-লোড উৎক্ষেপণ করেছে।
ইসরো জানিয়েছে, পিএসএলভি-সি ৬০ রকেটের মাধ্যমে সফল উৎক্ষেপণের পর, দুটি মহাকাশযান স্বাধীনভাবে এবং একযোগে পৃথিবী থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দূরত্বে ৫৫ ডিগ্রিতে কক্ষপথে যাবে। এই মহাকাশযানগুলোর স্থানীয় সময় চক্র হবে প্রায় ৬৬ দিনের।
এদের মধ্যে এসডিএক্স ০১ হবে ‘চেজার’ (পেছনে থাকা স্যাটেলাইট) এবং ‘এসডিএক্স ০২’ হবে ‘টার্গেট’ (লক্ষ্য স্যাটেলাইট)।
প্রথমে চেজার এবং টার্গেটের মধ্যে দূরত্ব থাকবে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা একে অপরের কাছে চলে আসবে। এরপর নির্দিষ্ট সময়ে ডকিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সফল ডকিংয়ের পর দুটি মহাকাশযানের মধ্যে বৈদ্যুতিক শক্তি স্থানান্তরিত হবে এবং শেষে শুরু হবে আনডকিং পদ্ধতি।
এই মিশনটি ভবিষ্যতের মহাকাশ মিশনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের জন্য, যার পরিকল্পনা ২০৩৫ সালের মধ্যে।
মিশনটির উৎক্ষেপণ ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ৯টা ৫৮ মিনিটে নির্ধারিত ছিল। তবে ‘কনজাঙ্কশন স্টাডি’ সম্পন্ন করার পর অভিজানটির সূচি নির্ধারণ পুনরায় ১০টায় করা হয়েছিল, যাতে কক্ষপথে মডিউলগুলোর মধ্যে কোনো কাছাকাছি অবস্থান না হয়।
ইসরো প্রধান জানিয়েছেন, ‘আগামী বছর ২০২৫-এ অনেক গুরুত্বপূর্ণ মিশন রয়েছে। জানুয়ারিতে জিএসএলভি (গিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট) রকেটের মাধ্যমে এনভিএস–০২ নেভিগেশন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। এছাড়া, শীঘ্রই তার ১০০ তম উৎক্ষেপণ উপলক্ষে একটি মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করবে ইসরো, যা শ্রীহরিকোটার স্পেসপোর্ট থেকে হবে।
এই স্পেস ডকিং পরীক্ষা ইসরোকে পৃথিবীর একটি বিশেষ মহাকাশ সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা ভবিষ্যতে আরো উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেছে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও বিবিসি
পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অনুসন্ধানে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন বিজ্ঞানীরা। মাত্র ৪০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ট্রাপিস্ট–১ই (TRAPPIST-1 e) গ্রহে পৃথিবীর মতো প্রাণের বিকাশ সহায়ক বায়ুমণ্ডল থাকার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এটি ট্রাপিস্ট ১ (TRAPPIST-1) লাল বামনের চারপাশে ঘুরতে থাকা সাতটি গ্রহের একটি।
৮ ঘণ্টা আগেমহাবিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো ‘ব্ল্যাক হোল’ আবিষ্কার করেছেন বলে দাবি করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। শক্তিশালী জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (জেডব্লিউএসটি) থেকে প্রাপ্ত ডেটা বিশ্লেষণ করে তারা জানান, এমন একটি ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্বের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, যার জন্ম হতে পারে বিগ ব্যাংয়ের মাত্র এক সেকেন্ডেরও কম সময় পরে
১ দিন আগেঢাকার সময় অনুযায়ী, আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ২৮ মিনিটে শুরু হয়েছে অত্যন্ত বিরল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের ‘পেনুম্ব্রাল’ বা সূক্ষ্ম ছায়া পর্ব। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ আংশিকভাবে গ্রহণ শুরু হবে। বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ থেকে এই গ্রহণ দেখা যাচ্ছে।
৩ দিন আগেপ্রায় দুই শতাব্দী ধরে বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে শেখানো হয়ে আসছে যে, বরফের ওপর চাপ বা ঘর্ষণের ফলে তার পৃষ্ঠে একটি পাতলা তরল স্তর তৈরি হয়, আর এই তরল স্তরই বরফকে পিচ্ছিল করে তোলে। শীতপ্রধান দেশে বরফে ঢাকা ফুটপাতে হাঁটার সময় হঠাৎ পিছলে পড়ে যাওয়ার ঘটনা তাই অনেকেই এভাবে ব্যাখ্যা করতেন।
৩ দিন আগে