অনলাইন ডেস্ক
১২৪ বছরের বেশি সময় ধরে জ্বলছে একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব। অবিশ্বাস্য মনে হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফায়ার স্টেশনের ছাদে ঝুলে থাকা এই সাধারণ বাল্ব যেন সময়ের সাক্ষী হয়ে আজও আলো ছড়াচ্ছে।
এটি ‘সেন্টেনিয়াল বাল্ব’ নামে পরিচিত। ১৯০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শেলবি ইলেকট্রিক কোম্পানির তৈরি করা এই বাতি সেই সময়েই ফায়ার স্টেশনে স্থাপন করা হয়েছিল। দীর্ঘ ১২৪ বছরের বেশি সময় ধরে চলমান এই বাতিকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ‘বিশ্বের দীর্ঘতম সময় ধরে জ্বলতে থাকা বাতি’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তবে গিনেস জানায়, এই দীর্ঘ সময়ে বাতিটি সব সময় জ্বলেছে এমন নয়। ভবন পরিবর্তনের সময় বা কিছু প্রযুক্তিগত কারণে মাঝেমধ্যে তা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবু শতবর্ষ প্রাচীন একটি প্রযুক্তিপণ্য কীভাবে এত দীর্ঘকাল টিকে রইল, তা বিজ্ঞানীদের ভাবিয়ে তুলেছে। আধুনিক স্মার্ট বাল্বের যুগে এক শতকের বেশি সময় ধরে একটি বাতি জ্বলতে থাকা যেন অকল্পনীয়!
সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য এটি এখন পর্যটন আকর্ষণেও পরিণত হয়েছে। বাতিটির নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখানে দর্শনার্থীরা একটি গেস্টবুকে স্বাক্ষর করতে পারেন, এমনকি লাইভ ‘বাল্বক্যাম’-এর মাধ্যমে বাতিটির বর্তমান অবস্থা দেখে নিতে পারেন।
এর স্থায়িত্বের অন্যতম কারণ হতে পারে বাতিটি তৈরির উপাদান। নির্মাতা অ্যাডলফ চেইলেট এই বাতিতে হাতে তৈরি কাচ ব্যবহার করেছিলেন এবং খুব ঘন ফিলামেন্ট বসিয়েছিলেন। এর ফলে বাতির কাচ সহজে ভাঙে না এবং ফিলামেন্টও দীর্ঘদিন ধরে আলো দিতে সক্ষম হয়েছে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটি মাত্র ৪ ওয়াট শক্তিতে জ্বলে। এর মানে হলো, বাল্বটি খুব কম আলো দেয়। ফলে বিদ্যুৎশক্তির খরচও অনেক কম। তাই দীর্ঘদিন ধরে এটি টিকে আছে।
২০১৫ সালের জুনে বাতিটির এক মিলিয়ন ঘণ্টা আলো দেওয়া উপলক্ষে এক বিশাল অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। যুক্তরাজ্যের ‘ইনডিপেনডেন্ট’ পত্রিকার তথ্যানুযায়ী, সেদিন ফায়ার স্টেশনটি তাদের ঐতিহাসিক কিছু জিনিস প্রদর্শন করে, কিছু স্মারক বিক্রি করে এবং একটি বারবিকিউ পার্টির আয়োজন করে। এতে স্থানীয় জনগণের মধ্যে গর্ব ও সামাজিক বন্ধন আরও জোরদার হয়।
এরপর আরও একটি দশক পার করে ফেলেছে এই বাতি। কত দিন পর্যন্ত এটি জ্বলবে, তা কেউ জানে না। ২০১১ সালে ‘দ্য মার্কারি নিউজ’-এর প্রতিবেদনে মার্কিন নেভাল একাডেমির অধ্যাপক ডেবোরা কাটজ বলেছিলেন, ‘এটি যেন কম বিপাকীয় ক্ষমতার প্রাণীর মতো। এটি খুব অল্প শক্তি দেয়, তাই অনেক দিন ধরে চলতে পারে।’
তাঁর মতে, এটি হয়তো ১২ লাখ ৫০ হাজার ঘণ্টা পর্যন্ত চলবে। হতে পারে, ১৫ লাখ ঘণ্টাও পেরিয়ে যাবে। এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, সময় যতই যাবে, এই বাতির জনপ্রিয়তা ততই বাড়বে।
আধুনিক ফিলিপস হিউ স্মার্ট বাল্ব যেখানে ২৫ বছর পর্যন্ত চলার প্রতিশ্রুতি দেয়, সেখানে ১২৪ বছর ধরে জ্বলতে থাকা এই ‘সেন্টেনিয়াল বাল্ব’ নিঃসন্দেহে এক প্রকৌশল বিস্ময়।
তথ্যসূত্র: স্ল্যাশগিয়ার
১২৪ বছরের বেশি সময় ধরে জ্বলছে একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব। অবিশ্বাস্য মনে হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফায়ার স্টেশনের ছাদে ঝুলে থাকা এই সাধারণ বাল্ব যেন সময়ের সাক্ষী হয়ে আজও আলো ছড়াচ্ছে।
এটি ‘সেন্টেনিয়াল বাল্ব’ নামে পরিচিত। ১৯০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শেলবি ইলেকট্রিক কোম্পানির তৈরি করা এই বাতি সেই সময়েই ফায়ার স্টেশনে স্থাপন করা হয়েছিল। দীর্ঘ ১২৪ বছরের বেশি সময় ধরে চলমান এই বাতিকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ‘বিশ্বের দীর্ঘতম সময় ধরে জ্বলতে থাকা বাতি’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তবে গিনেস জানায়, এই দীর্ঘ সময়ে বাতিটি সব সময় জ্বলেছে এমন নয়। ভবন পরিবর্তনের সময় বা কিছু প্রযুক্তিগত কারণে মাঝেমধ্যে তা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবু শতবর্ষ প্রাচীন একটি প্রযুক্তিপণ্য কীভাবে এত দীর্ঘকাল টিকে রইল, তা বিজ্ঞানীদের ভাবিয়ে তুলেছে। আধুনিক স্মার্ট বাল্বের যুগে এক শতকের বেশি সময় ধরে একটি বাতি জ্বলতে থাকা যেন অকল্পনীয়!
সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য এটি এখন পর্যটন আকর্ষণেও পরিণত হয়েছে। বাতিটির নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখানে দর্শনার্থীরা একটি গেস্টবুকে স্বাক্ষর করতে পারেন, এমনকি লাইভ ‘বাল্বক্যাম’-এর মাধ্যমে বাতিটির বর্তমান অবস্থা দেখে নিতে পারেন।
এর স্থায়িত্বের অন্যতম কারণ হতে পারে বাতিটি তৈরির উপাদান। নির্মাতা অ্যাডলফ চেইলেট এই বাতিতে হাতে তৈরি কাচ ব্যবহার করেছিলেন এবং খুব ঘন ফিলামেন্ট বসিয়েছিলেন। এর ফলে বাতির কাচ সহজে ভাঙে না এবং ফিলামেন্টও দীর্ঘদিন ধরে আলো দিতে সক্ষম হয়েছে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটি মাত্র ৪ ওয়াট শক্তিতে জ্বলে। এর মানে হলো, বাল্বটি খুব কম আলো দেয়। ফলে বিদ্যুৎশক্তির খরচও অনেক কম। তাই দীর্ঘদিন ধরে এটি টিকে আছে।
২০১৫ সালের জুনে বাতিটির এক মিলিয়ন ঘণ্টা আলো দেওয়া উপলক্ষে এক বিশাল অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। যুক্তরাজ্যের ‘ইনডিপেনডেন্ট’ পত্রিকার তথ্যানুযায়ী, সেদিন ফায়ার স্টেশনটি তাদের ঐতিহাসিক কিছু জিনিস প্রদর্শন করে, কিছু স্মারক বিক্রি করে এবং একটি বারবিকিউ পার্টির আয়োজন করে। এতে স্থানীয় জনগণের মধ্যে গর্ব ও সামাজিক বন্ধন আরও জোরদার হয়।
এরপর আরও একটি দশক পার করে ফেলেছে এই বাতি। কত দিন পর্যন্ত এটি জ্বলবে, তা কেউ জানে না। ২০১১ সালে ‘দ্য মার্কারি নিউজ’-এর প্রতিবেদনে মার্কিন নেভাল একাডেমির অধ্যাপক ডেবোরা কাটজ বলেছিলেন, ‘এটি যেন কম বিপাকীয় ক্ষমতার প্রাণীর মতো। এটি খুব অল্প শক্তি দেয়, তাই অনেক দিন ধরে চলতে পারে।’
তাঁর মতে, এটি হয়তো ১২ লাখ ৫০ হাজার ঘণ্টা পর্যন্ত চলবে। হতে পারে, ১৫ লাখ ঘণ্টাও পেরিয়ে যাবে। এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, সময় যতই যাবে, এই বাতির জনপ্রিয়তা ততই বাড়বে।
আধুনিক ফিলিপস হিউ স্মার্ট বাল্ব যেখানে ২৫ বছর পর্যন্ত চলার প্রতিশ্রুতি দেয়, সেখানে ১২৪ বছর ধরে জ্বলতে থাকা এই ‘সেন্টেনিয়াল বাল্ব’ নিঃসন্দেহে এক প্রকৌশল বিস্ময়।
তথ্যসূত্র: স্ল্যাশগিয়ার
আমাদের আকাশগঙ্গায় ১৫ হাজার আলোকবর্ষ দূরে রহস্যময় বস্তুর সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। বস্তুটি প্রতি ৪৪ মিনিটে একই সঙ্গে রেডিও তরঙ্গ ও এক্স-রশ্মি বিকিরণের মাধ্যমে একবার করে জ্বলে ওঠে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ধরনের ঘটনা এর আগে কখনো দেখা যায়নি।
১৫ ঘণ্টা আগেচীন তাদের মহাকাশ গবেষণার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শুরু করেছে। দেশটি এবার মহাকাশে পাঠিয়েছে ‘তিয়ানওয়েন-২’ নামের একটি মহাকাশযান। এই মিশনে তারা দুটি এমন মহাজাগতিক বস্তু অনুসন্ধানে যাবে, যেখানে আগে কোনো মহাকাশযান পৌঁছায়নি।
৩ দিন আগেভবিষ্যতের কথা ভাবলেই কি তা সত্যি হয়ে যায়? এই প্রশ্ন অনেকের মনে এলেও উত্তরটা মোটেও জাদুবিদ্যার মতো নয়—বলেছেন নিউরোসায়েন্টিস্ট সাবিনা ব্রেনান। সম্প্রতি প্রকাশিত তাঁর বই ‘দ্য নিউরোসায়েন্স অব ম্যানিফেস্টিং’-এ তিনি জানিয়েছেন, ‘ম্যানিফেস্টেশন’ বা মনে মনে ভবিষ্যতের ছবি কল্পনা করার অভ্যাস আমাদের মস্তিষ্কে
৩ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের স্টারবেস থেকে বুধবার সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হলো বিশ্বের বৃহত্তম রকেট, স্পেসএক্সের স্টারশিপ। তবে প্রাথমিকভাবে সফল এই যাত্রা মাঝপথে গিয়েই কিছু বড় বাঁধার সম্মুখীন হয়, যা ইলন মাস্কের বহুল প্রচারিত মঙ্গলে অভিযানের প্রকল্পের জন্য নতুন করে কিছু প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
৪ দিন আগে