আজকের পত্রিকা ডেস্ক
পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। সাধারণ মানুষেরই যেখানে আগ্রহ সীমাহীন, সেখানে যেসব গবেষক চাঁদ নিয়ে কাজ করছেন তাঁদের আগ্রহ কেমন হতে পারে? এবার বিজ্ঞানীদের সেই আগ্রহ মেটাতেই চাঁদের মাটিতে ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন বা আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র (আইএলআরএস) গড়তে চাইছে চীন ও রাশিয়া। আর সেই স্টেশনের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য সেখানে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও বসানোর কথা ভাবছে দেশ দুটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, চাঁদে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কথা ভাবছে চীন। রাশিয়ার সঙ্গে মিলে তারা যে আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তুলতে চাইছে, সেই প্রকল্পে বিদ্যুৎ জোগাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। চীনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার উপস্থাপনায় এমন ইঙ্গিত মিলেছে।
খবরে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর লক্ষ্য নিয়েছে চীন। সে লক্ষ্যেই দেশটি মহাকাশে বড় শক্তি হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। ২০২৮ সালে চীনের ‘চাংই-৮’ নামের যে অভিযানের পরিকল্পনা আছে, তাতে একটি স্থায়ী ও মানুষের বসবাসযোগ্য চন্দ্রঘাঁটি নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর তৈরি হবে।
সাংহাইয়ে এক উপস্থাপনায় এই মিশনের প্রধান প্রকৌশলী পেই ঝাওইউ জানান, চাঁদের ঘাঁটিতে জ্বালানি সরবরাহের জন্য বড় ধরনের সৌর প্যানেল বসানো হতে পারে। বিদ্যুৎ ও তাপ সরবরাহের জন্য চাঁদের মাটির ওপর দিয়ে পাইপলাইন ও তারও টানা হবে।
তবে এর আগে, রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমস গত বছর জানিয়েছিল, তারা ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনা মহাকাশ সংস্থা সিএনএসএ—এর সঙ্গে যৌথভাবে চাঁদের মাটিতে একটি পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণ করবে, যা আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। চীনা মহাকাশ কর্মকর্তার উপস্থাপনায় এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটের কথা আসায় ধারণা করা যায়, বেইজিং প্রকল্পটির পক্ষে। যদিও সরকারিভাবে চীন এখনো তা ঘোষণা করেনি।
আইএলআরএসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি হলো বিদ্যুৎ সরবরাহ। এ বিষয়ে রাশিয়ার রয়েছে উন্নত ও ব্যাপক দক্ষতা। বিশেষ করে ‘পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র মহাকাশে পাঠানোর ক্ষেত্রে রাশিয়া বিশ্বের অন্য সব দেশের চেয়ে এগিয়ে’—এমন মন্তব্যই করেছেন চীনের চন্দ্র অনুসন্ধান প্রকল্পের প্রধান নকশাকারী উ ওয়েইরেন। শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে রয়টার্সকে এ কথা বলেন তিনি।
মহাকাশে পারমাণবিক চুল্লি পাঠানো নিয়ে এত দিন খুব একটা অগ্রগতি হয়নি। তবে এবার উ ওয়েইরেন আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘আশা করি, এবার দুই দেশ মিলে চাঁদে পারমাণবিক চুল্লি পাঠাতে পারবে।’
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে একটি ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনাও করছে চীন। আর একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘আর্টেমিস’ কর্মসূচি আরও বড় পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরেই আবার চাঁদে মানুষ পাঠাতে চায় নাসা। গত বছর উ ওয়েইরেন বলেছিলেন, আইএলআরএসের একটি ‘বেসিক মডেল’ ২০৩৫ সালের মধ্যে নির্মিত হবে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুই থাকবে এর কেন্দ্রবিন্দু।
ভবিষ্যতে চীন ‘৫৫৫ প্রকল্প’ চালু করবে। এই প্রকল্পে ৫০টি দেশ, ৫০০টি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং ৫ হাজার বিদেশি গবেষককে আইএলআরএস-প্রকল্পে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। শীর্ষ সম্মেলনে রসকসমসের গবেষকরাও অংশ নেন। তাঁরা চাঁদে খনিজ ও পানি সম্পদের অনুসন্ধান এবং সম্ভব হলে চাঁদের মাটির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়েও তথ্য দেন।
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর আগেই আইএলআরএস প্রকল্প শুরু হয়। তবে যুদ্ধ শুরুর পর রসকসমস ও সিএনএসএ-এর মধ্যে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়েছে বলে মনে করেন চীনা বিশ্লেষকেরা।
চীনের দ্রুত প্রযুক্তিগত উন্নতি এবং চন্দ্র অভিযানের সাফল্যের পাশাপাশি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে রসকসমস অনেক ধরনের মহাকাশ প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতে পারছে না। ফলে চীন এখন রাশিয়া চাপ কিছুটা লাঘব করতে পারছে এবং উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, চন্দ্র অনুসন্ধান ও মহাকাশ স্টেশনে নতুন সাফল্য অর্জনে রাশিয়াকে সাহায্য করতে পারছে।
পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। সাধারণ মানুষেরই যেখানে আগ্রহ সীমাহীন, সেখানে যেসব গবেষক চাঁদ নিয়ে কাজ করছেন তাঁদের আগ্রহ কেমন হতে পারে? এবার বিজ্ঞানীদের সেই আগ্রহ মেটাতেই চাঁদের মাটিতে ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন বা আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র (আইএলআরএস) গড়তে চাইছে চীন ও রাশিয়া। আর সেই স্টেশনের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর জন্য সেখানে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও বসানোর কথা ভাবছে দেশ দুটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, চাঁদে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কথা ভাবছে চীন। রাশিয়ার সঙ্গে মিলে তারা যে আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তুলতে চাইছে, সেই প্রকল্পে বিদ্যুৎ জোগাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। চীনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার উপস্থাপনায় এমন ইঙ্গিত মিলেছে।
খবরে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর লক্ষ্য নিয়েছে চীন। সে লক্ষ্যেই দেশটি মহাকাশে বড় শক্তি হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। ২০২৮ সালে চীনের ‘চাংই-৮’ নামের যে অভিযানের পরিকল্পনা আছে, তাতে একটি স্থায়ী ও মানুষের বসবাসযোগ্য চন্দ্রঘাঁটি নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর তৈরি হবে।
সাংহাইয়ে এক উপস্থাপনায় এই মিশনের প্রধান প্রকৌশলী পেই ঝাওইউ জানান, চাঁদের ঘাঁটিতে জ্বালানি সরবরাহের জন্য বড় ধরনের সৌর প্যানেল বসানো হতে পারে। বিদ্যুৎ ও তাপ সরবরাহের জন্য চাঁদের মাটির ওপর দিয়ে পাইপলাইন ও তারও টানা হবে।
তবে এর আগে, রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমস গত বছর জানিয়েছিল, তারা ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনা মহাকাশ সংস্থা সিএনএসএ—এর সঙ্গে যৌথভাবে চাঁদের মাটিতে একটি পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণ করবে, যা আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। চীনা মহাকাশ কর্মকর্তার উপস্থাপনায় এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটের কথা আসায় ধারণা করা যায়, বেইজিং প্রকল্পটির পক্ষে। যদিও সরকারিভাবে চীন এখনো তা ঘোষণা করেনি।
আইএলআরএসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি হলো বিদ্যুৎ সরবরাহ। এ বিষয়ে রাশিয়ার রয়েছে উন্নত ও ব্যাপক দক্ষতা। বিশেষ করে ‘পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র মহাকাশে পাঠানোর ক্ষেত্রে রাশিয়া বিশ্বের অন্য সব দেশের চেয়ে এগিয়ে’—এমন মন্তব্যই করেছেন চীনের চন্দ্র অনুসন্ধান প্রকল্পের প্রধান নকশাকারী উ ওয়েইরেন। শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে রয়টার্সকে এ কথা বলেন তিনি।
মহাকাশে পারমাণবিক চুল্লি পাঠানো নিয়ে এত দিন খুব একটা অগ্রগতি হয়নি। তবে এবার উ ওয়েইরেন আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘আশা করি, এবার দুই দেশ মিলে চাঁদে পারমাণবিক চুল্লি পাঠাতে পারবে।’
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে একটি ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনাও করছে চীন। আর একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘আর্টেমিস’ কর্মসূচি আরও বড় পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরেই আবার চাঁদে মানুষ পাঠাতে চায় নাসা। গত বছর উ ওয়েইরেন বলেছিলেন, আইএলআরএসের একটি ‘বেসিক মডেল’ ২০৩৫ সালের মধ্যে নির্মিত হবে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুই থাকবে এর কেন্দ্রবিন্দু।
ভবিষ্যতে চীন ‘৫৫৫ প্রকল্প’ চালু করবে। এই প্রকল্পে ৫০টি দেশ, ৫০০টি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং ৫ হাজার বিদেশি গবেষককে আইএলআরএস-প্রকল্পে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। শীর্ষ সম্মেলনে রসকসমসের গবেষকরাও অংশ নেন। তাঁরা চাঁদে খনিজ ও পানি সম্পদের অনুসন্ধান এবং সম্ভব হলে চাঁদের মাটির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়েও তথ্য দেন।
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর আগেই আইএলআরএস প্রকল্প শুরু হয়। তবে যুদ্ধ শুরুর পর রসকসমস ও সিএনএসএ-এর মধ্যে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়েছে বলে মনে করেন চীনা বিশ্লেষকেরা।
চীনের দ্রুত প্রযুক্তিগত উন্নতি এবং চন্দ্র অভিযানের সাফল্যের পাশাপাশি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে রসকসমস অনেক ধরনের মহাকাশ প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতে পারছে না। ফলে চীন এখন রাশিয়া চাপ কিছুটা লাঘব করতে পারছে এবং উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, চন্দ্র অনুসন্ধান ও মহাকাশ স্টেশনে নতুন সাফল্য অর্জনে রাশিয়াকে সাহায্য করতে পারছে।
মহাবিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো ‘ব্ল্যাক হোল’ আবিষ্কার করেছেন বলে দাবি করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। শক্তিশালী জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (জেডব্লিউএসটি) থেকে প্রাপ্ত ডেটা বিশ্লেষণ করে তারা জানান, এমন একটি ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্বের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, যার জন্ম হতে পারে বিগ ব্যাংয়ের মাত্র এক সেকেন্ডেরও কম সময় পরে
১৯ ঘণ্টা আগেঢাকার সময় অনুযায়ী, আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ২৮ মিনিটে শুরু হয়েছে অত্যন্ত বিরল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের ‘পেনুম্ব্রাল’ বা সূক্ষ্ম ছায়া পর্ব। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ আংশিকভাবে গ্রহণ শুরু হবে। বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ থেকে এই গ্রহণ দেখা যাচ্ছে।
২ দিন আগেপ্রায় দুই শতাব্দী ধরে বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে শেখানো হয়ে আসছে যে, বরফের ওপর চাপ বা ঘর্ষণের ফলে তার পৃষ্ঠে একটি পাতলা তরল স্তর তৈরি হয়, আর এই তরল স্তরই বরফকে পিচ্ছিল করে তোলে। শীতপ্রধান দেশে বরফে ঢাকা ফুটপাতে হাঁটার সময় হঠাৎ পিছলে পড়ে যাওয়ার ঘটনা তাই অনেকেই এভাবে ব্যাখ্যা করতেন।
৩ দিন আগেপ্রকৃতি আবার সাজিয়েছে এক মায়াবী আয়োজন। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর রাতে আবারও ফিরে আসছে ‘ব্লাড মুন’। অর্থাৎ চাঁদ রূপ বদলে হয়ে উঠবে লাল। এই রক্তিম আভা রাতের আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। আর বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ দেখতে পাবে এই দুর্লভ চন্দ্রগ্রহণ।
৪ দিন আগে