হাজার হাজার বছর ধরে ভয়ংকর ঘটনার চিহ্ন বহন করছে ভাঙা ঊরুর হাড়, থেঁতলে যাওয়া খুলি। প্রায় ৫০ ফুট খাদের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল হাড়গুলো। এই হাড়গুলোর ওপরের কাটা দাগ দেখে মনে হয়, যেন কোনো কসাই হাড় থেকে মাংস আলাদা করেছে।
প্রায় ৫০ বছরেরও বেশি আগে দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের চার্টারহাউস ওয়ারেন খামারের খাঁদের মধ্যে হাড়গুলো পাওয়া যায়। সে সময় ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাসে একটি ক্ষুদ্র ঘটনা হিসেবে মনে করা হয়েছিল আবিষ্কারটিকে। ১৯৭০ সালে এগুলো আবিষ্কার করেন গুহা অভিযাত্রীরা। প্রথমে মনে হয়েছিল, এটি আরেকটি ৪ হাজার বছর আগের ব্রোঞ্জ যুগের কবরস্থান। মাটি এবং পশুর কঙ্কালের সঙ্গে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল হাড়গুলো।
সম্প্রতি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পত্রিকা অ্যান্টিকুইটিতে প্রকাশিত হয় চার্টারহাউস ওয়ারেনে ঘটে যাওয়া অত্যন্ত ভয়ংকর ঘটনা নিয়ে গবেষণা।
গবেষণাটি বলছে, ওই হাড়গুলো অন্তত ৩৭ জন পুরুষ, নারী এবং শিশুর। সম্ভবত তাদের মেরে ফেলার পর আনুষ্ঠানিক ভোজে খাওয়া হয়েছিল।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্বের অধ্যাপক রিক শুলটিং বলেন, এটি আমাদের সবাইকে হতবাক করেছে। ব্রোঞ্জ যুগ এবং ব্রিটেনের প্রাক-ইতিহাসের ক্ষেত্রে এটি সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ঘটনা।
১৯৭০ সালে প্রাকৃতিক ৫০ ফুট দীর্ঘ খাদের মধ্যে মানবদেহের অস্থি খুঁজে পান ব্রিস্টল শহরের বাইরের কিছু গুহা অভিযাত্রীরা। তাদের সম্ভবত ২ হাজার ২১০ থেকে ২ হাজার ১০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে হত্যা করে কবর দেওয়া হয়। তবে গবেষক শুলটিং বলেন, গুহা অভিযাত্রীরা প্রশিক্ষিত প্রত্নতত্ত্ববিদ ছিলেন না এবং মূল আবিষ্কারের রেকর্ডে বৈজ্ঞানিক তথ্য বিস্তারিত ছিল খুবই কম। পরবর্তী দশকগুলোতে সাইটটি প্রত্নতাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণ থেকে অনেকটা বাদ পড়ে গিয়েছিল, যতক্ষণ না শুলটিং এবং তার দল তাদের গবেষণা শুরু করেন।
মানব ইতিহাসের প্রাথমিক যুগ ছিল একটি প্রাথমিক ও নিষ্ঠুর সময়। তবে এমন পরিস্থিতিতেও চার্টারহাউস ওয়ারেনের ঘটনার সম্পর্কে গবেষকদের মতামত আলাদা। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, এটি সম্ভবত একটি একক গণহত্যা ছিল, যাতে অনেক পুরুষ, নারী ও শিশু হত্যা করে হাড় থেকে মাংস আলাদা করা হয়। ভুক্তভোগীদের কাছে অস্ত্র থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তারা হয়তো বন্দী ছিল বা একেবারে অপ্রস্তুত অবস্থায় আক্রমণের শিকার হয়েছিল।
হাড়ের অবশিষ্টাংশগুলো ভয়াবহ অসম্পূর্ণ গল্প বলছে। একটি চোয়ালের হাড়ে এমন লক্ষণ রয়েছে যা দেখে বোঝা যায়, আক্রমণকারীরা ভুক্তভোগীদের জিহ্বা কেটে ফেলেছে। হাড়ের দাগ ও বিচ্ছিন্ন অংশগুলো নির্দেশ করে যে, ত্বক এবং পেশি হাড় থেকে আলাদা করা হয়েছিল।
গবেষক শুলটিং বলেন, ‘এটা ভাবা কঠিন যে, একজন মানুষের সঙ্গে আর কী করা যেতে পারে।’ এই কাজগুলোর চেয়েও আরও ভয়ংকর হলো এর পরিমাণ। প্রত্নতাত্ত্বিকেরা লক্ষ্য করেছেন যে, মানুষ এবং পশুর যে পরিমাণ হাড় খাওয়া হয়েছে, তা থেকে বোঝা যায় এই বিভীষিকাময় ভোজে কয়েক শ অতিথি অংশ নিয়েছিল।
তবে চার্টারহাউস ওয়ারেনের ঘটনাটির রহস্যভেদ এখনো হয়নি। কারণ আশপাশের অন্য কোনো প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের সঙ্গে এই ঘটনার খুব একটা মিল নেই। এমন একটি নিষ্ঠুর ও নির্বিচার গণহত্যা ব্যাখ্যা করার জন্য কোনো সহজ ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটও নেই।
মৃতদের পরিণাম উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করতে এবং হত্যাকারীদের মহিমান্বিত করতে এই ঘটনা ঘটানো হতে পারে। ব্রোঞ্জ যুগের বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে এমন সহিংসতার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল বলে প্রত্নতাত্ত্বিকেরা মনে করেন।
তথ্যসূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস
হাজার হাজার বছর ধরে ভয়ংকর ঘটনার চিহ্ন বহন করছে ভাঙা ঊরুর হাড়, থেঁতলে যাওয়া খুলি। প্রায় ৫০ ফুট খাদের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল হাড়গুলো। এই হাড়গুলোর ওপরের কাটা দাগ দেখে মনে হয়, যেন কোনো কসাই হাড় থেকে মাংস আলাদা করেছে।
প্রায় ৫০ বছরেরও বেশি আগে দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের চার্টারহাউস ওয়ারেন খামারের খাঁদের মধ্যে হাড়গুলো পাওয়া যায়। সে সময় ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাসে একটি ক্ষুদ্র ঘটনা হিসেবে মনে করা হয়েছিল আবিষ্কারটিকে। ১৯৭০ সালে এগুলো আবিষ্কার করেন গুহা অভিযাত্রীরা। প্রথমে মনে হয়েছিল, এটি আরেকটি ৪ হাজার বছর আগের ব্রোঞ্জ যুগের কবরস্থান। মাটি এবং পশুর কঙ্কালের সঙ্গে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল হাড়গুলো।
সম্প্রতি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পত্রিকা অ্যান্টিকুইটিতে প্রকাশিত হয় চার্টারহাউস ওয়ারেনে ঘটে যাওয়া অত্যন্ত ভয়ংকর ঘটনা নিয়ে গবেষণা।
গবেষণাটি বলছে, ওই হাড়গুলো অন্তত ৩৭ জন পুরুষ, নারী এবং শিশুর। সম্ভবত তাদের মেরে ফেলার পর আনুষ্ঠানিক ভোজে খাওয়া হয়েছিল।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্বের অধ্যাপক রিক শুলটিং বলেন, এটি আমাদের সবাইকে হতবাক করেছে। ব্রোঞ্জ যুগ এবং ব্রিটেনের প্রাক-ইতিহাসের ক্ষেত্রে এটি সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ঘটনা।
১৯৭০ সালে প্রাকৃতিক ৫০ ফুট দীর্ঘ খাদের মধ্যে মানবদেহের অস্থি খুঁজে পান ব্রিস্টল শহরের বাইরের কিছু গুহা অভিযাত্রীরা। তাদের সম্ভবত ২ হাজার ২১০ থেকে ২ হাজার ১০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে হত্যা করে কবর দেওয়া হয়। তবে গবেষক শুলটিং বলেন, গুহা অভিযাত্রীরা প্রশিক্ষিত প্রত্নতত্ত্ববিদ ছিলেন না এবং মূল আবিষ্কারের রেকর্ডে বৈজ্ঞানিক তথ্য বিস্তারিত ছিল খুবই কম। পরবর্তী দশকগুলোতে সাইটটি প্রত্নতাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণ থেকে অনেকটা বাদ পড়ে গিয়েছিল, যতক্ষণ না শুলটিং এবং তার দল তাদের গবেষণা শুরু করেন।
মানব ইতিহাসের প্রাথমিক যুগ ছিল একটি প্রাথমিক ও নিষ্ঠুর সময়। তবে এমন পরিস্থিতিতেও চার্টারহাউস ওয়ারেনের ঘটনার সম্পর্কে গবেষকদের মতামত আলাদা। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, এটি সম্ভবত একটি একক গণহত্যা ছিল, যাতে অনেক পুরুষ, নারী ও শিশু হত্যা করে হাড় থেকে মাংস আলাদা করা হয়। ভুক্তভোগীদের কাছে অস্ত্র থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তারা হয়তো বন্দী ছিল বা একেবারে অপ্রস্তুত অবস্থায় আক্রমণের শিকার হয়েছিল।
হাড়ের অবশিষ্টাংশগুলো ভয়াবহ অসম্পূর্ণ গল্প বলছে। একটি চোয়ালের হাড়ে এমন লক্ষণ রয়েছে যা দেখে বোঝা যায়, আক্রমণকারীরা ভুক্তভোগীদের জিহ্বা কেটে ফেলেছে। হাড়ের দাগ ও বিচ্ছিন্ন অংশগুলো নির্দেশ করে যে, ত্বক এবং পেশি হাড় থেকে আলাদা করা হয়েছিল।
গবেষক শুলটিং বলেন, ‘এটা ভাবা কঠিন যে, একজন মানুষের সঙ্গে আর কী করা যেতে পারে।’ এই কাজগুলোর চেয়েও আরও ভয়ংকর হলো এর পরিমাণ। প্রত্নতাত্ত্বিকেরা লক্ষ্য করেছেন যে, মানুষ এবং পশুর যে পরিমাণ হাড় খাওয়া হয়েছে, তা থেকে বোঝা যায় এই বিভীষিকাময় ভোজে কয়েক শ অতিথি অংশ নিয়েছিল।
তবে চার্টারহাউস ওয়ারেনের ঘটনাটির রহস্যভেদ এখনো হয়নি। কারণ আশপাশের অন্য কোনো প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের সঙ্গে এই ঘটনার খুব একটা মিল নেই। এমন একটি নিষ্ঠুর ও নির্বিচার গণহত্যা ব্যাখ্যা করার জন্য কোনো সহজ ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটও নেই।
মৃতদের পরিণাম উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করতে এবং হত্যাকারীদের মহিমান্বিত করতে এই ঘটনা ঘটানো হতে পারে। ব্রোঞ্জ যুগের বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে এমন সহিংসতার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল বলে প্রত্নতাত্ত্বিকেরা মনে করেন।
তথ্যসূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস
প্লাস্টিক দূষণ ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি উৎপাদনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বড় ধরনের সাফল্য পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা। কারণ পুনর্ব্যবহার করা যায় না এমন থার্মোসেট প্লাস্টিক থেকে হাইড্রোজেন গ্যাস বানাতে পেরেছেন তারা। পরিবেশবান্ধব ও কার্যকর এই পদ্ধতির নেতৃত্ব দেন কোরিয়া ইনস্টিটিউট অব এনার্জি রিসার্চ
২০ ঘণ্টা আগেনাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের (জেডব্লিউএসটি) মাধ্যমে মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় মানচিত্র তৈরি করলেন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই মানচিত্রটি মহাবিশ্বের একটি ছোট অংশজুড়ে বিস্তৃত, যেখানে প্রায় আট লাখ গ্যালাক্সি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে এমন গ্যালাক্সিও আছে, যা এত দূরে অবস্থিত যে সেগুলো মহাবিশ্বের শৈশবের সময়কার,
২ দিন আগেআধুনিক জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার এড়িয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। তবে এই বহুল ব্যবহৃত উপাদানটিই আজ পরিবেশের জন্য এক ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই প্লাস্টিক জমে থাকছে নদী-নালা, সাগর ও মাটির গভীরে, যা জলজ প্রাণী থেকে শুরু করে মানবস্বাস্থ্যের ওপর ফেলছে মারাত্মক প্রভাব। বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা
৩ দিন আগেবিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে অসংখ্য শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে। নক্ষত্রগুলো জ্বলছে বিশাল পরমাণু বিক্রিয়ার শক্তিতে, আর বিশাল উল্কাপিণ্ড ছুটে এসে ধাক্কা দিচ্ছে গ্রহে গ্রহে। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছেন, যা এই সব কিছুকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাদের দাবি, মহাকা
৪ দিন আগে