এক ঘর থেকে অন্য ঘরে গিয়ে আর মনে করতে পারছেন না কেন এসেছেন? বিশেষ করে রান্না ঘরে গিয়ে ফ্রিজের দরজা খোলার পর কোনোভাবেই আর মনে আসছে না কেন খুলেছেন? এমনটি হয় অনেক সময়ই! আবার কথার মাঝে অন্য কেউ কথা বললে প্রসঙ্গ হারিয়ে ফেলার অভিজ্ঞতা তো অহরহ হয়। মনোবিদরা এই অভিজ্ঞতার নাম দিয়েছেন ‘ডোর ওয়ে ইফেক্ট’।
এগুলো সাধারণ ঘটনা হলেও ভুলগুলো অস্বস্তিকর হতে পারে। এটি আমাদের মনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে।
দৈনদিন জীবনে আমাদের মনোযোগ তিনটি স্তরের মধ্যে পরিবর্তিত হয়। যেমন: লক্ষ্য নির্ধারণ থেকে শুরু করে পরিকল্পনা ও কৌশল নির্ধারণ করা এবং সর্বনিম্ন স্তরে নির্দিষ্ট কাজগুলোতে মনোযোগ দেওয়া।
সাধারণত পরিচিত পরিস্থিতিতে কোনো কাজ নির্বিঘ্নে চললে লক্ষ্যগুলোর দিকে আমাদের মনোযোগ থাকে। আর কাজগুলো মনোযোগ ছাড়াই স্বাভাবিকভাবেই সম্পন্ন হতে থাকে। যেমন: একজন দক্ষ গাড়িচালক গিয়ার, ইন্ডিকেটর ও স্টিয়ারিং স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করেন, যদিও এ সময় তাঁর মনোযোগ ট্রাফিক লাইটের দিকে বা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার মতো তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকে।
কিন্তু পরিস্থিতি একটু পাল্টে গেলেই মনোযোগ সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজে ঘুরে যায় এবং কিছু সময়ের জন্য অন্যদিকে আর মনোযোগ দেওয়া হয় না। তাই চালক ইঞ্জিনের কোনো অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেলে বা কোনো জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলায় বিরতি দেন।
মনোযোগ বিভিন্ন স্তরের মধ্যে ওঠানামা করার ধরনই মানুষকে জটিল আচরণ করতে বাধ্য করে। কাজের গুরুত্বের ওপর মনোযোগের বিষয়টি পরিবর্তিত হয়। মানুষ বিভিন্ন স্তরে মনোযোগ দেয় সেটি লক্ষ্য বা পরিকল্পনা থেকে শুরু করে ছোটখাটো কাজের দিকে নজর দেওয়া পর্যন্ত। কোনো জটিল কাজ করার সময় আমাদের মনোযোগ একদিকে প্রধান পরিকল্পনায় থাকে— এটি হতে পারে কোনো প্রকল্পের সামগ্রিক লক্ষ্য। একই সময়ে আমাদের মনোযোগ সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ছোটখাটো কাজের দিকে চলে যায়।
আমাদের মনোযোগ বিভিন্ন স্তরের মধ্যে পরিবর্তিত হওয়ার সময় ‘ডোর ওয়ে ইফেক্ট’ ঘটে। মানুষের স্মৃতি বা যেসব স্মৃতি মনে করতে চায় তা বর্তমান পরিবেশের ওপর নির্ভর করে। এর কারণেই ‘ডোর ওয়ে ইফেক্ট’ ঘটে।
আবার কল্পনা করুন, চাবি আনার জন্য অন্য ঘরে প্রবেশ করলেন, তবে ঘরে কেন ঢুকলেন তা আর মনে করতে পারলেন না! স্নায়ুবিদদের মতে, এর মানে হচ্ছে, একটি প্রয়োজনীয় অংশ (ঘরে প্রবেশ) বাস্তবায়ন করলেও পরিকল্পনা (চাবি নিয়ে আসা) মাঝপথেই ভুলে গেছেন।
চাবি নিতে ঘরে যাওয়ার এই পরিকল্পনাটি আরও একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হতে পারে, যেমন— তালা লাগিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়া। এটি আবার আরও বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হতে পারে— কর্মস্থলে বা কেনাকাটা জন্য বাইরে যাওয়া।
এভাবে একেকটি পরিকল্পনার পর আরেকটি পরিকল্পনা সামনে আসে। একেক সময় একেক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মনোযোগ দিতে হয়। ফলে এই মনোযোগের স্তর পরিবর্তনের মধ্যে কাজের বিষয়টি মানুষ ভুলে যায়।
মানুষের স্মৃতি ও লক্ষ্যগুলো বিভিন্ন জালে একে অপরের সঙ্গে আবদ্ধ থাকে। যেমন, শৈশবের বাড়িতে ফিরে গেলে আগের দিনে ভুলে যাওয়া অনেক স্মৃতি ফিরে আসতে শুরু করে। অথবা সম্প্রতি কোনো কিছু নিয়ে ভাবতে ভাবতে সেই সম্পর্কিত আরও অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায়।
বাহ্যিক ও মানসিক উভয় পরিবেশ পরিবর্তিত হলে ‘ডোর ওয়ে ইফেক্ট’ ঘটে। এ জন্য একটি ঘর থেকে অন্য ঘরে গিয়ে মানুষ ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নিয়ে ভাবতে থাকে। ওই ঘরে পরিবেশ ও বিভিন্ন উপাদান অনেক স্মৃতির ভিড় জমিয়ে ফেলে। ফলে এই মুহূর্তে ঘরে আসার উদ্দেশ্যই ভুলে যায় মানুষ।
আবার স্নায়ুবিদদের মতে, কোনো একটি ঘটনা এর সীমা অর্থাৎ ‘ইভেন্ট বাউন্ডারি’ পেরিয়ে গেলে মানুষ প্রয়োজনীয় কাজ ভুলে যেতে পারেন। এতে আশপাশের প্রতিবেশে ঘটা পরিবর্তনে ফলে ব্যক্তি হঠাৎ কিছু সময়ের জন্য স্থবির হয়ে পড়েন। কী করবেন আর ভেবে পান না!
এক ঘর থেকে অন্য ঘরে গিয়ে আর মনে করতে পারছেন না কেন এসেছেন? বিশেষ করে রান্না ঘরে গিয়ে ফ্রিজের দরজা খোলার পর কোনোভাবেই আর মনে আসছে না কেন খুলেছেন? এমনটি হয় অনেক সময়ই! আবার কথার মাঝে অন্য কেউ কথা বললে প্রসঙ্গ হারিয়ে ফেলার অভিজ্ঞতা তো অহরহ হয়। মনোবিদরা এই অভিজ্ঞতার নাম দিয়েছেন ‘ডোর ওয়ে ইফেক্ট’।
এগুলো সাধারণ ঘটনা হলেও ভুলগুলো অস্বস্তিকর হতে পারে। এটি আমাদের মনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে।
দৈনদিন জীবনে আমাদের মনোযোগ তিনটি স্তরের মধ্যে পরিবর্তিত হয়। যেমন: লক্ষ্য নির্ধারণ থেকে শুরু করে পরিকল্পনা ও কৌশল নির্ধারণ করা এবং সর্বনিম্ন স্তরে নির্দিষ্ট কাজগুলোতে মনোযোগ দেওয়া।
সাধারণত পরিচিত পরিস্থিতিতে কোনো কাজ নির্বিঘ্নে চললে লক্ষ্যগুলোর দিকে আমাদের মনোযোগ থাকে। আর কাজগুলো মনোযোগ ছাড়াই স্বাভাবিকভাবেই সম্পন্ন হতে থাকে। যেমন: একজন দক্ষ গাড়িচালক গিয়ার, ইন্ডিকেটর ও স্টিয়ারিং স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করেন, যদিও এ সময় তাঁর মনোযোগ ট্রাফিক লাইটের দিকে বা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার মতো তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকে।
কিন্তু পরিস্থিতি একটু পাল্টে গেলেই মনোযোগ সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজে ঘুরে যায় এবং কিছু সময়ের জন্য অন্যদিকে আর মনোযোগ দেওয়া হয় না। তাই চালক ইঞ্জিনের কোনো অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেলে বা কোনো জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলায় বিরতি দেন।
মনোযোগ বিভিন্ন স্তরের মধ্যে ওঠানামা করার ধরনই মানুষকে জটিল আচরণ করতে বাধ্য করে। কাজের গুরুত্বের ওপর মনোযোগের বিষয়টি পরিবর্তিত হয়। মানুষ বিভিন্ন স্তরে মনোযোগ দেয় সেটি লক্ষ্য বা পরিকল্পনা থেকে শুরু করে ছোটখাটো কাজের দিকে নজর দেওয়া পর্যন্ত। কোনো জটিল কাজ করার সময় আমাদের মনোযোগ একদিকে প্রধান পরিকল্পনায় থাকে— এটি হতে পারে কোনো প্রকল্পের সামগ্রিক লক্ষ্য। একই সময়ে আমাদের মনোযোগ সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ছোটখাটো কাজের দিকে চলে যায়।
আমাদের মনোযোগ বিভিন্ন স্তরের মধ্যে পরিবর্তিত হওয়ার সময় ‘ডোর ওয়ে ইফেক্ট’ ঘটে। মানুষের স্মৃতি বা যেসব স্মৃতি মনে করতে চায় তা বর্তমান পরিবেশের ওপর নির্ভর করে। এর কারণেই ‘ডোর ওয়ে ইফেক্ট’ ঘটে।
আবার কল্পনা করুন, চাবি আনার জন্য অন্য ঘরে প্রবেশ করলেন, তবে ঘরে কেন ঢুকলেন তা আর মনে করতে পারলেন না! স্নায়ুবিদদের মতে, এর মানে হচ্ছে, একটি প্রয়োজনীয় অংশ (ঘরে প্রবেশ) বাস্তবায়ন করলেও পরিকল্পনা (চাবি নিয়ে আসা) মাঝপথেই ভুলে গেছেন।
চাবি নিতে ঘরে যাওয়ার এই পরিকল্পনাটি আরও একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হতে পারে, যেমন— তালা লাগিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়া। এটি আবার আরও বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হতে পারে— কর্মস্থলে বা কেনাকাটা জন্য বাইরে যাওয়া।
এভাবে একেকটি পরিকল্পনার পর আরেকটি পরিকল্পনা সামনে আসে। একেক সময় একেক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মনোযোগ দিতে হয়। ফলে এই মনোযোগের স্তর পরিবর্তনের মধ্যে কাজের বিষয়টি মানুষ ভুলে যায়।
মানুষের স্মৃতি ও লক্ষ্যগুলো বিভিন্ন জালে একে অপরের সঙ্গে আবদ্ধ থাকে। যেমন, শৈশবের বাড়িতে ফিরে গেলে আগের দিনে ভুলে যাওয়া অনেক স্মৃতি ফিরে আসতে শুরু করে। অথবা সম্প্রতি কোনো কিছু নিয়ে ভাবতে ভাবতে সেই সম্পর্কিত আরও অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায়।
বাহ্যিক ও মানসিক উভয় পরিবেশ পরিবর্তিত হলে ‘ডোর ওয়ে ইফেক্ট’ ঘটে। এ জন্য একটি ঘর থেকে অন্য ঘরে গিয়ে মানুষ ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নিয়ে ভাবতে থাকে। ওই ঘরে পরিবেশ ও বিভিন্ন উপাদান অনেক স্মৃতির ভিড় জমিয়ে ফেলে। ফলে এই মুহূর্তে ঘরে আসার উদ্দেশ্যই ভুলে যায় মানুষ।
আবার স্নায়ুবিদদের মতে, কোনো একটি ঘটনা এর সীমা অর্থাৎ ‘ইভেন্ট বাউন্ডারি’ পেরিয়ে গেলে মানুষ প্রয়োজনীয় কাজ ভুলে যেতে পারেন। এতে আশপাশের প্রতিবেশে ঘটা পরিবর্তনে ফলে ব্যক্তি হঠাৎ কিছু সময়ের জন্য স্থবির হয়ে পড়েন। কী করবেন আর ভেবে পান না!
আইনস্টাইনের কথা উঠলেই চলে আসে আরও একজনের নাম। তিনি হলের এমি নোয়েথার। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব সহজভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন এই নারী। তিনি ছিলেন জার্মান গণিতবিদ। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে মারা যান এই নারী। কিন্তু এই অল্প কিছুদিনেই গণিতে তাঁর অবদান অসামান্য।
১৩ ঘণ্টা আগেজলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই–অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কৃষিপ্রধান দেশগুলোর ধানে আর্সেনিকের উপস্থিতির আশঙ্কা বেড়ে গেছে। সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেডলফিনেরা পৃথিবীর অন্যতম বুদ্ধিমান প্রাণী, যাদের জটিল সামাজিক আচরণ ও শিসের মাধ্যমে নিজস্ব সাংকেতিক নাম রয়েছে। তারা ঘনঘন শব্দ, ক্লিক ও স্কোয়াক ব্যবহার করে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। রহস্যময় এই যোগাযোগব্যবস্থা ভেদ করার পথেই এগোচ্ছে বিজ্ঞান।
২ দিন আগেপৃথিবী ছাড়া মহাবিশ্বের অন্য কোনো গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা—এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বিগত কয়েক দশক ধরে গবেষণা পরিচালনা করেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার সেই উত্তরের খোঁজে আরেক ধাপ এগোল মানবজাতি। নাসার জ্যোতির্বিদরা দাবি করেছেন, পৃথিবী থেকে ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে ‘কে২–১৮ বি’ নামের একটি গ্রহের বায়ুমণ্ডলে...
২ দিন আগে