আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের কাপ ও স্ট্রর বিকল্প হিসেবে উদ্ভিদ থেকে একটি জলরোধী উপাদান তৈরি করেছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা। এই উপাদান সমুদ্রে দ্রুত পচনশীল, যা পরিবেশের জন্য একটি টেকসই সমাধান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
উপাদানটি স্বচ্ছ পেপারবোর্ড সেলুলোজ থেকে তৈরি করা হয়েছে। এটি উদ্ভিদের কোষপ্রাচীরের মূল উপাদান। সেলোফেনের হলেও এর আগে এটিকে শক্ত করে তৈরি করা সম্ভব হয়নি। তাই এটি শুধু খাদ্য প্যাকেজিংয়ের মতো কাজে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু লিথিয়াম ব্রোমাইড দ্রবণে সেলুলোজ প্রক্রিয়াজাত করলে কোনো কোগুল্যান্ট (জমাটকারী রাসায়নিক) ছাড়াই এটি শুকিয়ে শক্ত করা যায়। আর এ থেকেই ওয়ান টাইম কাপ তৈরি করেছেন জাপানের ইয়োকোসুকায় অবস্থিত জাপান এজেন্সি ফর মেরিন-আর্থ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষক নোরিয়ুকি ইসোবে ও তাঁর দল।
ইসোবে বলেন, ‘আমরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে একটি রিজেনারেটেড সেলুলোজ উপাদান তৈরি করেছি, যাকে কেবল আকৃতি দেওয়া যায় না; বরং এটি প্রচলিত প্লাস্টিকের টেকসই বিকল্প হতে পারে। এর থেকে কাপ ও স্ট্র তৈরি করা সম্ভব; যা দ্রুত পচনশীল।’
সংশ্লিষ্ট গবেষকেরাও দেখেছেন, এই উপাদান দিয়ে তৈরি কাপ ফুটন্ত জল ৩ ঘণ্টার বেশি সময় পর্যন্ত ধরে রাখতে পারে। এ ছাড়া কাপটিকে আরও বেশি জলরোধী করতে উদ্ভিদজাত ফ্যাটি অ্যাসিড লবণের একটি প্রলেপ দেওয়া হয়, যা এটিকে সম্পূর্ণভাবে জল নিরোধক করে তোলে।
এই উপাদান পুনর্ব্যবহৃত (রিসাইকেলড) বা আপসাইকেলড সেলুলোজ (যেমন পুরোনো পোশাক) থেকেও তৈরি করা যায়। সমুদ্রে এর ক্ষয়ক্ষতি পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এটি ৩০০ দিনের মধ্যে গভীর সমুদ্রে সম্পূর্ণভাবে এবং অগভীর জলে আরও দ্রুত পচে যায়।
অস্ট্রেলিয়ার রয়্যাল মেলবোর্ন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষক ভাবনা মিড্ডা জানান, প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে উদ্ভিজ্জ উপাদান ভালো সমাধান। তবে একবার ব্যবহারযোগ্য পণ্য নিয়ে তাঁর কিছু সংশয় রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ওয়ান টাইম জিনিসের ব্যবহার কমানোই সবচেয়ে ভালো। শুধু চিকিৎসার মতো অত্যাবশ্যক ক্ষেত্রেই ওয়ান টাইম উপাদান ব্যবহার করা উচিত।’
সূত্র: নিউ সায়েন্টিস্ট
ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের কাপ ও স্ট্রর বিকল্প হিসেবে উদ্ভিদ থেকে একটি জলরোধী উপাদান তৈরি করেছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা। এই উপাদান সমুদ্রে দ্রুত পচনশীল, যা পরিবেশের জন্য একটি টেকসই সমাধান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
উপাদানটি স্বচ্ছ পেপারবোর্ড সেলুলোজ থেকে তৈরি করা হয়েছে। এটি উদ্ভিদের কোষপ্রাচীরের মূল উপাদান। সেলোফেনের হলেও এর আগে এটিকে শক্ত করে তৈরি করা সম্ভব হয়নি। তাই এটি শুধু খাদ্য প্যাকেজিংয়ের মতো কাজে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু লিথিয়াম ব্রোমাইড দ্রবণে সেলুলোজ প্রক্রিয়াজাত করলে কোনো কোগুল্যান্ট (জমাটকারী রাসায়নিক) ছাড়াই এটি শুকিয়ে শক্ত করা যায়। আর এ থেকেই ওয়ান টাইম কাপ তৈরি করেছেন জাপানের ইয়োকোসুকায় অবস্থিত জাপান এজেন্সি ফর মেরিন-আর্থ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষক নোরিয়ুকি ইসোবে ও তাঁর দল।
ইসোবে বলেন, ‘আমরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে একটি রিজেনারেটেড সেলুলোজ উপাদান তৈরি করেছি, যাকে কেবল আকৃতি দেওয়া যায় না; বরং এটি প্রচলিত প্লাস্টিকের টেকসই বিকল্প হতে পারে। এর থেকে কাপ ও স্ট্র তৈরি করা সম্ভব; যা দ্রুত পচনশীল।’
সংশ্লিষ্ট গবেষকেরাও দেখেছেন, এই উপাদান দিয়ে তৈরি কাপ ফুটন্ত জল ৩ ঘণ্টার বেশি সময় পর্যন্ত ধরে রাখতে পারে। এ ছাড়া কাপটিকে আরও বেশি জলরোধী করতে উদ্ভিদজাত ফ্যাটি অ্যাসিড লবণের একটি প্রলেপ দেওয়া হয়, যা এটিকে সম্পূর্ণভাবে জল নিরোধক করে তোলে।
এই উপাদান পুনর্ব্যবহৃত (রিসাইকেলড) বা আপসাইকেলড সেলুলোজ (যেমন পুরোনো পোশাক) থেকেও তৈরি করা যায়। সমুদ্রে এর ক্ষয়ক্ষতি পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এটি ৩০০ দিনের মধ্যে গভীর সমুদ্রে সম্পূর্ণভাবে এবং অগভীর জলে আরও দ্রুত পচে যায়।
অস্ট্রেলিয়ার রয়্যাল মেলবোর্ন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষক ভাবনা মিড্ডা জানান, প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে উদ্ভিজ্জ উপাদান ভালো সমাধান। তবে একবার ব্যবহারযোগ্য পণ্য নিয়ে তাঁর কিছু সংশয় রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ওয়ান টাইম জিনিসের ব্যবহার কমানোই সবচেয়ে ভালো। শুধু চিকিৎসার মতো অত্যাবশ্যক ক্ষেত্রেই ওয়ান টাইম উপাদান ব্যবহার করা উচিত।’
সূত্র: নিউ সায়েন্টিস্ট
‘ইভেন্টউড’ নামে একটি মার্কিন কোম্পানি এমন এক ধরনের কাঠ তৈরি করেছে, যার শক্তি ইস্পাতের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি এবং ওজন ছয় গুণ কম। এই কাঠের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুপারউড’। কোম্পানিটি ইতিমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে এই কাঠের উৎপাদন শুরু করেছে।
৬ দিন আগেআন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতিমান রসায়নবিদ ড. ওমর ইয়াঘি রসায়নে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি দ্বিতীয় মুসলিম বিজ্ঞানী হিসেবে রসায়নে নোবেল জয় করলেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং শুষ্ক অঞ্চল থেকে পানীয় জল সংগ্রহের প্রযুক্তিতে তাঁর যুগান্তকারী গবেষণার জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
১২ দিন আগেচলতি বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী—সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন ও ওমর এম ইয়াঘি। আজ বুধবার সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস এ পুরস্কারের বিজয়ী হিসেবে তাঁদের নাম ঘোষণা করেছে। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, তাঁরা ‘মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কসের বিকাশ’ ঘটানোর জন্য এ সম্মাননা পাচ্ছেন।
১২ দিন আগেপদার্থবিজ্ঞানের একটি অন্যতম প্রধান প্রশ্ন হলো—কত বড় ব্যবস্থার (system) মধ্যে কোয়ান্টাম বলবিদ্যার প্রভাব দৃশ্যমান করা সম্ভব? এ বছরের নোবেল বিজয়ীরা একটি বৈদ্যুতিক সার্কিট ব্যবহার করে এমন একটি ব্যবস্থায় কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং ও কোয়ান্টাইজড শক্তির স্তর প্রমাণ করেছেন—যেটির আকার রীতিমতো...
১৩ দিন আগে