অনলাইন ডেস্ক
কোভিড–১৯ মহামারিকালে মানুষের সবচেয়ে বড় অগ্রগতি কোনটি—এই প্রশ্ন যদি করা হয় তবে প্রায় সবাই বলবেন, দ্রুততম সময়ে এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার। কিন্তু এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরও দেখা গেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে সৃষ্ট রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে ভাইরাসটি নতুন নতুন ধরন নিয়ে হাজির হয়েছে। এমতাবস্থায় শরীরে ইনজেকশন আকারে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানীদের নজর বাড়ছে নাকে স্প্রে করার ওষুধ বা ন্যাসাল স্প্রের ওপর।
এই স্প্রে নাক, মুখ ও গলায় শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সক্ষম। নাক, মুখ এবং গলাই করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রধান মাধ্যম। এ ছাড়া, যারা টিকা নিতে অনিচ্ছুক তাদের জন্যও একটি দারুণ বিকল্প হতে পারে এই ন্যাসাল স্প্রে। গবেষকেরা কোভিড সংক্রমণের ক্ষেত্রে মানবদেহকে একটি দুর্গ এবং নাক, মুখ এবং গলাকে দুর্গের প্রবেশদ্বার বলে আখ্যা দিচ্ছেন। তাঁরা দুর্গের অভ্যন্তরীণ শক্তি বৃদ্ধিকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভাবছেন তার চেয়েও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন দুর্গের প্রবেশদ্বারের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার বিষয়ে।
নিউ ইয়র্ক সিটির মাউন্ট সিনাইয়ের আইকান স্কুল অব মেডিসিনের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. শন লিউ বলেছেন, ‘আপনি যদি আপনার শরীরকে একটি দুর্গ হিসেবে বিবেচনা করেন, তবে ইন্ট্রামাসকুলার টিকা সত্যিই আপনার দুর্গের অভ্যন্তরীণ অংশগুলোকে রক্ষা করছে ভেতরে প্রবেশ করা আক্রমণকারীদের হাত থেকে। কিন্তু আপনি যদি আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্গের প্রবেশদ্বার রক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দেন, তাহলে আক্রমণকারীদের কেবল দুর্গের ভেতরেই প্রবেশ করতেই সমস্যা হবে না দুর্গের ভেতরেও ছড়িয়ে পড়তেও বাধা পাবে।’
লিউ নিজেও সাধারণ মৌসুমি ফ্লুর ভ্যাকসিনের মতো অনুরূপ একটি ইন্ট্রান্যাসাল কোভিড ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্ট্রান্যাসাল ভ্যাকসিন নিয়ে এক ডজনেরও বেশি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। কিন্তু চূড়ান্ত কোনো ফলাফল এখনো আসেনি। ফাইজার ও মডার্নার মতো প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত ট্র্যাডিশনাল ভ্যাকসিন নিয়েই কাজ করে। তবে শুধুমাত্র অ্যাস্ট্রাজেনেকাই এখন পর্যন্ত ইন্ট্রান্যাসাল ভ্যাকসিন নিয়ে বেশ খানিকটা এগিয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার একটি ইন্ট্রান্যাসাল স্প্রের প্রাথমিক পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলাফল শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে এই ন্যাসাল স্প্রের চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ইন্ট্রান্যাসাল ভ্যাকসিন নাক বা মুখের অভ্যন্তরের ত্বকের মিউকোসা স্তরে শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরোধ তৈরি করবে বলেই ধারণা গবেষকদের। কিন্তু যদি লোকজন স্প্রে গ্রহণের পর সেটি গিলে ফেলে কিংবা হাঁচি দেয় সে ক্ষেত্রে স্প্রের কার্যকারিতা কেমন হয়ে তা নিয়ে এখনো সন্দিহান গবেষকেরা। এ ছাড়াও, গবেষকেরা ইন্ট্রান্যাসাল ভ্যাকসিন নিয়ে যেসব প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছেন সেগুলো হলো—এই স্প্রের প্রতিরোধ ক্ষমতার কতটা হবে, কতক্ষণ স্থায়ী হবে। এই বিষয়গুলো সমাধানেও কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা।
তবে বিজ্ঞানীরা ন্যাসাল স্প্রেকে চূড়ান্ত বলে মনে করছেন না। বরং এটিকে ট্র্যাডিশনাল টিকার সঙ্গে একটি উপযুক্ত বুস্টার হিসেবে কাজ করতে পারে। এ প্রসঙ্গে, ব্রিটিশ সরকারের রেসপিরেটরি ভাইরাস থ্রেটস অ্যাডভাইজরি গ্রুপের (নার্ভট্যাগ) সদস্য অধ্যাপক পিটার ওপেনশ বলেছেন, ‘আমি মনে করি, আপনি ট্র্যাডিশনাল ভ্যাকসিনটিও চাইবেন। কারণ এটি গুরুতর রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি কেবল মিউকোসাল ইমিউনাইজেশনের ওপর নির্ভর করতে চাই না।’
ফলে, ইন্ট্রান্যাসাল স্প্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধের ক্ষেত্রে একমাত্র চিকিৎসা কিনা তা জানতে আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে। তবে, ট্র্যাডিশনাল টিকার সঙ্গে এই ন্যাসাল স্প্রে মিলে যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে দারুণভাবে মোকাবিলা করবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
কোভিড–১৯ মহামারিকালে মানুষের সবচেয়ে বড় অগ্রগতি কোনটি—এই প্রশ্ন যদি করা হয় তবে প্রায় সবাই বলবেন, দ্রুততম সময়ে এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার। কিন্তু এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরও দেখা গেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে সৃষ্ট রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে ভাইরাসটি নতুন নতুন ধরন নিয়ে হাজির হয়েছে। এমতাবস্থায় শরীরে ইনজেকশন আকারে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানীদের নজর বাড়ছে নাকে স্প্রে করার ওষুধ বা ন্যাসাল স্প্রের ওপর।
এই স্প্রে নাক, মুখ ও গলায় শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সক্ষম। নাক, মুখ এবং গলাই করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রধান মাধ্যম। এ ছাড়া, যারা টিকা নিতে অনিচ্ছুক তাদের জন্যও একটি দারুণ বিকল্প হতে পারে এই ন্যাসাল স্প্রে। গবেষকেরা কোভিড সংক্রমণের ক্ষেত্রে মানবদেহকে একটি দুর্গ এবং নাক, মুখ এবং গলাকে দুর্গের প্রবেশদ্বার বলে আখ্যা দিচ্ছেন। তাঁরা দুর্গের অভ্যন্তরীণ শক্তি বৃদ্ধিকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভাবছেন তার চেয়েও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন দুর্গের প্রবেশদ্বারের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার বিষয়ে।
নিউ ইয়র্ক সিটির মাউন্ট সিনাইয়ের আইকান স্কুল অব মেডিসিনের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. শন লিউ বলেছেন, ‘আপনি যদি আপনার শরীরকে একটি দুর্গ হিসেবে বিবেচনা করেন, তবে ইন্ট্রামাসকুলার টিকা সত্যিই আপনার দুর্গের অভ্যন্তরীণ অংশগুলোকে রক্ষা করছে ভেতরে প্রবেশ করা আক্রমণকারীদের হাত থেকে। কিন্তু আপনি যদি আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্গের প্রবেশদ্বার রক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দেন, তাহলে আক্রমণকারীদের কেবল দুর্গের ভেতরেই প্রবেশ করতেই সমস্যা হবে না দুর্গের ভেতরেও ছড়িয়ে পড়তেও বাধা পাবে।’
লিউ নিজেও সাধারণ মৌসুমি ফ্লুর ভ্যাকসিনের মতো অনুরূপ একটি ইন্ট্রান্যাসাল কোভিড ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্ট্রান্যাসাল ভ্যাকসিন নিয়ে এক ডজনেরও বেশি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। কিন্তু চূড়ান্ত কোনো ফলাফল এখনো আসেনি। ফাইজার ও মডার্নার মতো প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত ট্র্যাডিশনাল ভ্যাকসিন নিয়েই কাজ করে। তবে শুধুমাত্র অ্যাস্ট্রাজেনেকাই এখন পর্যন্ত ইন্ট্রান্যাসাল ভ্যাকসিন নিয়ে বেশ খানিকটা এগিয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার একটি ইন্ট্রান্যাসাল স্প্রের প্রাথমিক পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলাফল শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে এই ন্যাসাল স্প্রের চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ইন্ট্রান্যাসাল ভ্যাকসিন নাক বা মুখের অভ্যন্তরের ত্বকের মিউকোসা স্তরে শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরোধ তৈরি করবে বলেই ধারণা গবেষকদের। কিন্তু যদি লোকজন স্প্রে গ্রহণের পর সেটি গিলে ফেলে কিংবা হাঁচি দেয় সে ক্ষেত্রে স্প্রের কার্যকারিতা কেমন হয়ে তা নিয়ে এখনো সন্দিহান গবেষকেরা। এ ছাড়াও, গবেষকেরা ইন্ট্রান্যাসাল ভ্যাকসিন নিয়ে যেসব প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছেন সেগুলো হলো—এই স্প্রের প্রতিরোধ ক্ষমতার কতটা হবে, কতক্ষণ স্থায়ী হবে। এই বিষয়গুলো সমাধানেও কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা।
তবে বিজ্ঞানীরা ন্যাসাল স্প্রেকে চূড়ান্ত বলে মনে করছেন না। বরং এটিকে ট্র্যাডিশনাল টিকার সঙ্গে একটি উপযুক্ত বুস্টার হিসেবে কাজ করতে পারে। এ প্রসঙ্গে, ব্রিটিশ সরকারের রেসপিরেটরি ভাইরাস থ্রেটস অ্যাডভাইজরি গ্রুপের (নার্ভট্যাগ) সদস্য অধ্যাপক পিটার ওপেনশ বলেছেন, ‘আমি মনে করি, আপনি ট্র্যাডিশনাল ভ্যাকসিনটিও চাইবেন। কারণ এটি গুরুতর রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি কেবল মিউকোসাল ইমিউনাইজেশনের ওপর নির্ভর করতে চাই না।’
ফলে, ইন্ট্রান্যাসাল স্প্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধের ক্ষেত্রে একমাত্র চিকিৎসা কিনা তা জানতে আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে। তবে, ট্র্যাডিশনাল টিকার সঙ্গে এই ন্যাসাল স্প্রে মিলে যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে দারুণভাবে মোকাবিলা করবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। এটি এক মুহূর্তও দূরে থাকলে অস্বস্তি বোধ করেন অনেকেই। বর্তমানে স্মার্টফোন নিকোটিন বা অ্যালকোহলের মতোই আসক্তি তৈরি করে। নতুন গবেষণায় এমনই তথ্য পেয়েছেন গবেষকেরা।
৫ ঘণ্টা আগেসূর্যগ্রহণের সময় চাঁদে কী হয়, তা দেখতে ও দেখাতে পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো চাঁদে অবতরণ করেছে ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের একটি মহাকাশযান। আজ রোববার মার্কিন সময় রাত ৩টা ৩৫ মিনিটের দিকে (স্থানীয়) চাঁদের মাটি স্পর্শ করে টেক্সাসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেসের চন্দ্রযান ব্লু ঘোস্ট।
২ দিন আগেপৃথিবীর নিকটতম গ্রহ মঙ্গলে আজ থেকে ৩৬০ কোটি বছর আগে বিশাল এক মহাসাগর ছিল এবং তার ঢেউ সৈকতে আছড়ে পড়ত। সম্প্রতি এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে নতুন গবেষণা। চীনের ঝুরং রোভার ২০২১-২২ সাল সময়ের মধ্যে মঙ্গলের ইউটোপিয়া প্লানিশিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভূগর্ভস্থ রাডার ব্যবহার করে সম্ভাব্য এই প্রাচীন মহাসাগরের উপকূলরেখ
২ দিন আগেঅতীতের দিকে তাকালে পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তনকে রোলার কোস্টারের সঙ্গে তুলনা করা যায়। সময়ে সময়ে এই গ্রহের তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটেছে। একবার উষ্ণ হয়ে উঠেছে, আবার বরফযুগ শুরু হয়েছে। এই পরিবর্তনগুলো কখনোই স্থায়ী নয়। কিছু সময় পর পৃথিবী বর্তমানে উষ্ণ পরিবেশে ফিরে আসে। তবে নতুন এক গবেষণায় জানা যায়, আজ থেকে ১১
৩ দিন আগে