আজ থেকে ৫৪ বছর আগে শুক্র গ্রহে অবতরণ করেছিল রাশিয়ার (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) মহাকাশযান ‘ভেনেরা ৫’। শুক্রের আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কে বিপুল পরিমাণ উপাত্ত পাঠিয়েছিল। ১৯৬৯ সালের ১৬ মের এই মহাকাশযান শুক্রের কক্ষপথে পৌঁছায়। মজার ব্যাপার হলো একই বছরের জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে চাঁদে মানুষ পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য এর ১০ বছর আগে ১৯৫৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর চাঁদের প্রথম মহাকাশযান পাঠায় সোভিয়েত ইউনিয়ন। লুনা–২ নামে ওই মহাকাশযানই প্রথম চাঁদের মাটি স্পর্শ করা মনুষ্যনির্মিত কোনো বস্তু।
সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেনেরা–৫–এর ওই শুক্রাভিযান ‘ভেনেরা’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে গ্রহটি নিয়ে গবেষণায় ব্যবহৃত হয়েছিল। শুক্রের বায়ুমণ্ডলের তথ্য পেতেই মূলত ভেনেরা ৫-এর মিশনটি পরিচালনা করা হয়। মহাকাশযানটির সঙ্গে ‘ভেনেরা ৪’-এর খুব মিল থাকলেও ভেনেরা ৫ ছিল আরও শক্তিশালী। একটি মোলনিয়া-এম রকেট ব্যবহার করে কাজাখস্তানের মহাকাশযান উৎক্ষেপণকেন্দ্র বাইকোনুর কসমোড্রোম থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় ভেনেরা ৫।
মহাকাশযানটি শুক্রের কাছাকাছি আসার পর বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম ভর্তি ৪০৫ কেজি ওজনের একটি ক্যাপসুল গ্রহটির বায়ুমণ্ডলে ছেড়ে দেওয়া হয়। শুক্রের পৃষ্ঠে পড়ার সময় ক্যাপসুলটির গতি কমাতে একটি প্যারাসুট ব্যবহার করা হয়েছিল।
১৯৬৯ সালের ১৬ মে, ক্যাপসুলটি ৫৩ মিনিটের জন্য প্যারাসুটের মাধ্যমে ভেসে থাকে গ্রহটির বায়ুমণ্ডলে। ভেসে থাকা অবস্থায় এটি শুক্রের বায়ুমণ্ডল সম্পর্কে পৃথিবীতে তথ্য পাঠায়। মহাকাশযানটিতে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতীকসহ একটি মেডেলিয়ন (বড় মেডেল) ও রুশ বিপ্লবের নায়ক ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ লেনিনের ছবি ছিল।
ভেনেরা ৪ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ভেনেরা ৫ এবং ভেনেরা ৬ যানগুলোকে আরও উন্নত করা হয়েছিল। শুক্রের বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন উপাদান আরও ভালোভাবে পরিমাপের জন্য এগুলোতে নতুন সরঞ্জাম যুক্ত করা হয়েছিল। ভেনেরা ৪–এর মাধ্যমে জানা গিয়েছিল, শুক্রের বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব অনেক বেশি। ফলে পরের মিশনগুলোতে প্যারাসুটগুলোকে আরও ছোট করা হয়েছিল যাতে ক্যাপসুলের জ্বালানি শেষ হওয়ার আগেই যতটা সম্ভব গভীরে যেতে পারে এটি।
মিশনের বিস্তারিত
১৯৬৯ সালের ৫ জানুয়ারি প্রথমবারে মতো ভেনেরা ৫ মহাকাশযানটি পৃথিবীর একটি কক্ষপথে পাঠানো হয়েছিল। পরবর্তীতে তায়াঝেলি স্পুতনিক (৬৯-০০১ সি) মহাকাশযান থেকে এটিকে শুক্রে পাঠানো হয়। ১৪ মার্চ মহাকাশে থাকাকালীন এটি গতিপথ কিছুটা পরিবর্তন করে।
১৬ মে ভেনেরা ৫–কে মহাকাশযানের মূল অংশ থেকে অবমুক্ত করা হয়। তখন এটি শুক্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৭ হাজার কিলোমিটার দূরে ছিল।
ভেনেরা ৫ শুক্রের রাতের অংশে থাকা বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। যখন মহাকাশযানটির গতি সেকেন্ডে ২১০ মিটারে নেমে আসে, তখন প্যারাসুটটি অবমুক্ত করা হয় এবং এটি পৃথিবীতে ডেটা পাঠাতে শুরু করে। এটি প্রতি ৪৫ সেকেন্ড পরপর প্রায় ৫৩ মিনিট ধরে ডেটা পাঠায়। তবে শেষ পর্যন্ত প্রায় ৩২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উচ্চ তাপমাত্রা এবং প্রায় ২ হাজার ৬১০ কিলোপ্যাসকেল চাপের কারণে এটি কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
আলোক পরিমাপক সরঞ্জামটি প্রতি বর্গমিটারে ২৫০ ওয়াট আলোর স্তর খুঁজে পেয়েছে। এটিও নিশ্চিত করে যে, শুক্রের বায়ুমণ্ডল গরম, উচ্চ-চাপ এবং বেশির ভাগ কার্বন-ডাই-অক্সাইড দিয়ে তৈরি। একই তথ্য ভেনেরা ৪-এর অনুসন্ধানেও পাওয়া গিয়েছিল।
আজ থেকে ৫৪ বছর আগে শুক্র গ্রহে অবতরণ করেছিল রাশিয়ার (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) মহাকাশযান ‘ভেনেরা ৫’। শুক্রের আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কে বিপুল পরিমাণ উপাত্ত পাঠিয়েছিল। ১৯৬৯ সালের ১৬ মের এই মহাকাশযান শুক্রের কক্ষপথে পৌঁছায়। মজার ব্যাপার হলো একই বছরের জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে চাঁদে মানুষ পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্য এর ১০ বছর আগে ১৯৫৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর চাঁদের প্রথম মহাকাশযান পাঠায় সোভিয়েত ইউনিয়ন। লুনা–২ নামে ওই মহাকাশযানই প্রথম চাঁদের মাটি স্পর্শ করা মনুষ্যনির্মিত কোনো বস্তু।
সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেনেরা–৫–এর ওই শুক্রাভিযান ‘ভেনেরা’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে গ্রহটি নিয়ে গবেষণায় ব্যবহৃত হয়েছিল। শুক্রের বায়ুমণ্ডলের তথ্য পেতেই মূলত ভেনেরা ৫-এর মিশনটি পরিচালনা করা হয়। মহাকাশযানটির সঙ্গে ‘ভেনেরা ৪’-এর খুব মিল থাকলেও ভেনেরা ৫ ছিল আরও শক্তিশালী। একটি মোলনিয়া-এম রকেট ব্যবহার করে কাজাখস্তানের মহাকাশযান উৎক্ষেপণকেন্দ্র বাইকোনুর কসমোড্রোম থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় ভেনেরা ৫।
মহাকাশযানটি শুক্রের কাছাকাছি আসার পর বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম ভর্তি ৪০৫ কেজি ওজনের একটি ক্যাপসুল গ্রহটির বায়ুমণ্ডলে ছেড়ে দেওয়া হয়। শুক্রের পৃষ্ঠে পড়ার সময় ক্যাপসুলটির গতি কমাতে একটি প্যারাসুট ব্যবহার করা হয়েছিল।
১৯৬৯ সালের ১৬ মে, ক্যাপসুলটি ৫৩ মিনিটের জন্য প্যারাসুটের মাধ্যমে ভেসে থাকে গ্রহটির বায়ুমণ্ডলে। ভেসে থাকা অবস্থায় এটি শুক্রের বায়ুমণ্ডল সম্পর্কে পৃথিবীতে তথ্য পাঠায়। মহাকাশযানটিতে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতীকসহ একটি মেডেলিয়ন (বড় মেডেল) ও রুশ বিপ্লবের নায়ক ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ লেনিনের ছবি ছিল।
ভেনেরা ৪ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ভেনেরা ৫ এবং ভেনেরা ৬ যানগুলোকে আরও উন্নত করা হয়েছিল। শুক্রের বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন উপাদান আরও ভালোভাবে পরিমাপের জন্য এগুলোতে নতুন সরঞ্জাম যুক্ত করা হয়েছিল। ভেনেরা ৪–এর মাধ্যমে জানা গিয়েছিল, শুক্রের বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব অনেক বেশি। ফলে পরের মিশনগুলোতে প্যারাসুটগুলোকে আরও ছোট করা হয়েছিল যাতে ক্যাপসুলের জ্বালানি শেষ হওয়ার আগেই যতটা সম্ভব গভীরে যেতে পারে এটি।
মিশনের বিস্তারিত
১৯৬৯ সালের ৫ জানুয়ারি প্রথমবারে মতো ভেনেরা ৫ মহাকাশযানটি পৃথিবীর একটি কক্ষপথে পাঠানো হয়েছিল। পরবর্তীতে তায়াঝেলি স্পুতনিক (৬৯-০০১ সি) মহাকাশযান থেকে এটিকে শুক্রে পাঠানো হয়। ১৪ মার্চ মহাকাশে থাকাকালীন এটি গতিপথ কিছুটা পরিবর্তন করে।
১৬ মে ভেনেরা ৫–কে মহাকাশযানের মূল অংশ থেকে অবমুক্ত করা হয়। তখন এটি শুক্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৭ হাজার কিলোমিটার দূরে ছিল।
ভেনেরা ৫ শুক্রের রাতের অংশে থাকা বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। যখন মহাকাশযানটির গতি সেকেন্ডে ২১০ মিটারে নেমে আসে, তখন প্যারাসুটটি অবমুক্ত করা হয় এবং এটি পৃথিবীতে ডেটা পাঠাতে শুরু করে। এটি প্রতি ৪৫ সেকেন্ড পরপর প্রায় ৫৩ মিনিট ধরে ডেটা পাঠায়। তবে শেষ পর্যন্ত প্রায় ৩২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উচ্চ তাপমাত্রা এবং প্রায় ২ হাজার ৬১০ কিলোপ্যাসকেল চাপের কারণে এটি কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
আলোক পরিমাপক সরঞ্জামটি প্রতি বর্গমিটারে ২৫০ ওয়াট আলোর স্তর খুঁজে পেয়েছে। এটিও নিশ্চিত করে যে, শুক্রের বায়ুমণ্ডল গরম, উচ্চ-চাপ এবং বেশির ভাগ কার্বন-ডাই-অক্সাইড দিয়ে তৈরি। একই তথ্য ভেনেরা ৪-এর অনুসন্ধানেও পাওয়া গিয়েছিল।
যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকেরা এক যুগান্তকারী পদ্ধতি ব্যবহার করে আট সুস্থ শিশুর জন্ম দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই পদ্ধতিতে তিন ব্যক্তির ডিএনএ সমন্বয় করে আইভিএফ (ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) ভ্রূণ তৈরি করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল, যাতে শিশুরা দুরারোগ্য জিনগত ব্যাধি উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া থেকে রক্ষা পায়।
৩ দিন আগেপ্রাণীরা একে অপরের ডাকে সাড়া দেয়, এই তথ্য আমাদের অনেকের জানা। তবে সম্প্রতি এক নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে আরও বিস্ময়কর এক তথ্য। গাছও শব্দ করে, আর সেই শব্দ শুনেই সিদ্ধান্ত নেয় পোকামাকড়। এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে এক নতুন ধরনের যোগসূত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
৫ দিন আগেসবচেয়ে কাছ থেকে তোলা সূর্যের ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। এসব ছবি পাঠিয়েছে নাসার মহাকাশযান পার্কার সোলার প্রোব। এই মহাকাশযানটি সূর্যের পৃষ্ঠের মাত্র ৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন মাইল (৬ দশমিক ১ মিলিয়ন কিলোমিটার) দূর থেকে ঐতিহাসিক ছবি তোলে।
৬ দিন আগেপ্রাইমেট শ্রেণির প্রাণিজগতে দীর্ঘদিন ধরে পুরুষদের আধিপত্য নিয়ে যে ধারণা ছিল, তা ভেঙে দিয়েছে এক নতুন বৈজ্ঞানিক গবেষণা। ১০০টির বেশি প্রজাতির প্রাইমেটের মধ্যে পুরুষ ও স্ত্রীর মধ্যকার ক্ষমতার ভারসাম্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ প্রজাতিতেই কোনো একটি লিঙ্গ স্পষ্টভাবে অপর লিঙ্গের...
৭ দিন আগে