চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয়ের প্রতিযোগিতা দিন দিন জমে উঠছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, ইউরোপ, রাশিয়া, ভারতের পাশাপাশি স্পেসএক্সসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও এই প্রতিযোগিতায় নেমেছে। শত শত কোট ডলার খরচ করছে তারা।
সর্বশেষ, চন্দ্র জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে ভারত। সব ঠিকঠাক থাকলে বুধবার (২৩) ভারতের চন্দ্রযান–৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে। এ অভিযান সফল হলে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর নবীন মহাকাশ শিল্পের জন্য একটি মাইলফলক হবে এটি। গত ১৪ জুলাই চন্দ্রযান–৩ চাঁদের উদ্দেশে পৃথিবী থেকে যাত্রা করে।
প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ১০ আগস্ট রাশিয়ার লুনা–২৫ চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয়ের উদ্দেশে পৃথিবী ছেড়ে যায়। কিন্তু অবতরণের আগমুহূর্তে কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে বিধ্বস্ত হয় সেটি। তবে ভারতের পরে উৎক্ষেপণ করেও আগেই চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ রাশিয়ার সক্ষমতার একটি নমুনা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
কিন্তু এত টাকা খরচ করে সবাই কেন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশ যান অবতরণে উঠেপড়ে লেগেছে সেটি একটি প্রশ্ন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর পেছনে রয়েছে—বিজ্ঞানে সক্ষমতার প্রদর্শন, জাতীয় মর্যাদার রাজনীতি এবং বাণিজ্য।
চাঁদের এ অনাবিষ্কৃত অংশ নিয়ে হঠাৎ এমন প্রতিযোগিতা দেখে ১৯৬০–এর দশকের মহাকাশ প্রতিযোগিতার কথা স্মরণ করছেন অনেকে। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মহাকাশ প্রতিযোগিতা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা। এখন পর্যন্ত চাঁদের সফলভাবে অবতরণ করতে পারা দেশ হলো— সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। তবে দক্ষিণ মেরুতে এখনো সফল অবতরণ সম্ভব হয়নি।
চাঁদ জয়ের এই যে প্রতিযোগিতার পুরস্কার অপেক্ষা করছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। চাঁদের এই রহস্যময় অন্ধকার অঞ্চলে বরফ আকারে পানি আছে বলে ধারণা করা হয়। সেটি সত্য হলে সেখানে মানুষের ভবিষ্যৎ উপনিবেশ সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে রয়েছে খনি থেকে মূল্যবান ধাতু উত্তোলনের সুযোগ এবং মঙ্গল অভিযানের ট্রানজিট।
বিশেষ করে বিজ্ঞানীরা চাঁদের এই বরফ নিয়ে আগ্রহী। কারণ এই বরফ চাঁদের আগ্নেয়গিরি, পৃথিবীতে আসা ধূমকেতু ও গ্রহাণু এবং আদি সমুদ্র সৃষ্টির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারে।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যদি যথেষ্ট পরিমাণে বরফ থাকে তাহলে দীর্ঘ চন্দ্র অভিযান এবং যন্ত্রপাতি ঠান্ডা রাখার জন্য জন্য প্রয়োজনীয় পানির উৎস পাওয়া যাবে। এ ছাড়া মহাকাশযানের জ্বালানির জন্য পাওয়া যাবে হাইড্রোজেন এবং বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন। এটি মঙ্গলগ্রহে অভিযান এবং চাঁদে খনি কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজন হবে।
এসব কার্যক্রমে অবশ্য আন্তর্জাতিক আইনের কিছু জটিলতা রয়েছে। ১৯৬৭ সালে জাতিসংঘ আউটার স্পেস ট্রিটি করে। এ চুক্তি অনুযায়ী, চাঁদের কোনো কিছুর মালিকানা কেউ দাবি করতে পারবে না। তবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে কোনো ধারা এতে নেই।
এই সুযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে চন্দ্র অভিযান এবং এর সম্পদ ব্যবহারের একটি নীতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে আর্টেমিস অ্যাকর্ড। এতে ২৭টি দেশ ও পক্ষ স্বাক্ষর করেছে। তবে চীন এবং রাশিয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।
চন্দ্র অভিযান নিয়ে ভারতের বর্তমান উদ্যোগও এই বাণিজ্যের দিকটিই নির্দেশ করছে। ভারতের মহাকাশযান উৎক্ষেপণগুলো বেসরকারিকরণ করা হয়েছে। এখন তারা আগামী এক দশকে মহাকাশ অভিযানের বাজারে নিজেদের হিস্যা পাঁচগুণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদেশি বিনিয়োগের খোঁজ করছে।
চন্দ্রযান–৩ সফল হলে মহাকাশ খাতে ব্যয়ের পক্ষে এই ‘প্রতিযোগিতামূলক প্রকৌশল খ্যাতিকে’ ভারত পুঁজি করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। যেখানে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) এ মিশনের জন্য প্রায় ৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার বাজেট পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থার (নাসা) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে আর্টেমিস চন্দ্র অভিযানের জন্য বাজেট করেছে ৯ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চীনা মহাকাশযানের সফল অবতরণ হয় ২০১৯ সালে। চীন আরও মিশনের পরিকল্পনা এরই মধ্যে করে ফেলেছে। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইউরোকনসাল্টের হিসাবে, ২০২২ সালে মহাকাশ কর্মসূচিতে চীন ব্যয় করেছে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার।
বেসরকারি সংস্থাগুলোও বসে নেই। উদাহরণ হিসেবে ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের কথা বলা যায়। এই সংস্থা বিশ্বের বৃহত্তম রকেট স্টারশিপ তৈরি করছে। নাসার মহাকাশচারীদের চাঁদের মাটিতে পৌঁছে দিতে স্পেসএক্স ৩০০ কোটি ডলারের চুক্তি করেছে। এই চুক্তির বাইরে চলতি বছর স্পেসএক্স স্টারশিপের পেছনে আরও ২০০ কোটি ডলার ব্যয় করবে বলে জানিয়েছেন মাস্ক। ২০২৪ সালে মনুষ্যবাহী মহাকাশযান চাঁদে পাঠাবে নাসা ও স্পেসএক্স।
অন্যান্য সংস্থার মধ্যে এক্সিওম স্পেস এবং জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের বিকল্প মহাকাশ স্টেশন নির্মাণে তহবিল সরবরাহ করছে। এক্সিওম জানিয়েছে, তারা এরই মধ্যে সৌদি আরব এবং কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩৫ কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে।
সেদিক থেকে রাশিয়া কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে বলে ধারণা করছেন অনেকে। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে রাশিয়া ক্রমাগত একঘরে হতে থাকলে মহাকাশ অভিযানে অর্থসংস্থান চাপের মুখে পড়তে পারে। এর মধ্যে লুনা–২৫ মিশন ব্যর্থ হলো। পরবর্তী অভিযানের বিষয়ে রাশিয়া কিছু বলছে না। মহাকাশ বিশেষজ্ঞ ও মস্কো ভিত্তিক গবেষক ভাদিম লুকাশেভিচ বলছেন, ‘মহাকাশ অভিযানের জন্য ব্যয় নিয়মতান্ত্রিকভাবে কমিয়ে আনছে রাশিয়া।’
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ কেন কঠিন?
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান অবতরণ বেশ কঠিন। রাশিয়ার লুনা–২৫ চলতি সপ্তাহেই অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু রোববার (২০ আগস্ট) সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আছড়ে পড়ে।
এর আগেও বেশ কয়েকটি দেশের মিশন এভাবে ব্যর্থ হয়েছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরু বিষুবীয় অঞ্চল থেকে বেশ দূরে। যুক্তরাষ্ট্রের মনুষ্যবাহী অ্যাপোলো মহাকাশযান পৃথিবীর দিকে এই বিষুবীয় অঞ্চলেই অবতরণ করেছিল। দক্ষিণ মেরু অঞ্চলটিতে প্রচুর মৃত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ এবং গভীর খাদ রয়েছে।
ভারতের চন্দ্রযান–৩ এখানেই অবতরণ করার কথা। ২০১৯ সালে ভারতের এ ধরনের একটি মিশন ব্যর্থ হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনও চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে।
চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয়ের প্রতিযোগিতা দিন দিন জমে উঠছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, ইউরোপ, রাশিয়া, ভারতের পাশাপাশি স্পেসএক্সসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও এই প্রতিযোগিতায় নেমেছে। শত শত কোট ডলার খরচ করছে তারা।
সর্বশেষ, চন্দ্র জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে ভারত। সব ঠিকঠাক থাকলে বুধবার (২৩) ভারতের চন্দ্রযান–৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে। এ অভিযান সফল হলে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর নবীন মহাকাশ শিল্পের জন্য একটি মাইলফলক হবে এটি। গত ১৪ জুলাই চন্দ্রযান–৩ চাঁদের উদ্দেশে পৃথিবী থেকে যাত্রা করে।
প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ১০ আগস্ট রাশিয়ার লুনা–২৫ চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয়ের উদ্দেশে পৃথিবী ছেড়ে যায়। কিন্তু অবতরণের আগমুহূর্তে কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে বিধ্বস্ত হয় সেটি। তবে ভারতের পরে উৎক্ষেপণ করেও আগেই চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ রাশিয়ার সক্ষমতার একটি নমুনা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
কিন্তু এত টাকা খরচ করে সবাই কেন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশ যান অবতরণে উঠেপড়ে লেগেছে সেটি একটি প্রশ্ন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর পেছনে রয়েছে—বিজ্ঞানে সক্ষমতার প্রদর্শন, জাতীয় মর্যাদার রাজনীতি এবং বাণিজ্য।
চাঁদের এ অনাবিষ্কৃত অংশ নিয়ে হঠাৎ এমন প্রতিযোগিতা দেখে ১৯৬০–এর দশকের মহাকাশ প্রতিযোগিতার কথা স্মরণ করছেন অনেকে। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মহাকাশ প্রতিযোগিতা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা। এখন পর্যন্ত চাঁদের সফলভাবে অবতরণ করতে পারা দেশ হলো— সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। তবে দক্ষিণ মেরুতে এখনো সফল অবতরণ সম্ভব হয়নি।
চাঁদ জয়ের এই যে প্রতিযোগিতার পুরস্কার অপেক্ষা করছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। চাঁদের এই রহস্যময় অন্ধকার অঞ্চলে বরফ আকারে পানি আছে বলে ধারণা করা হয়। সেটি সত্য হলে সেখানে মানুষের ভবিষ্যৎ উপনিবেশ সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে রয়েছে খনি থেকে মূল্যবান ধাতু উত্তোলনের সুযোগ এবং মঙ্গল অভিযানের ট্রানজিট।
বিশেষ করে বিজ্ঞানীরা চাঁদের এই বরফ নিয়ে আগ্রহী। কারণ এই বরফ চাঁদের আগ্নেয়গিরি, পৃথিবীতে আসা ধূমকেতু ও গ্রহাণু এবং আদি সমুদ্র সৃষ্টির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারে।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যদি যথেষ্ট পরিমাণে বরফ থাকে তাহলে দীর্ঘ চন্দ্র অভিযান এবং যন্ত্রপাতি ঠান্ডা রাখার জন্য জন্য প্রয়োজনীয় পানির উৎস পাওয়া যাবে। এ ছাড়া মহাকাশযানের জ্বালানির জন্য পাওয়া যাবে হাইড্রোজেন এবং বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন। এটি মঙ্গলগ্রহে অভিযান এবং চাঁদে খনি কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজন হবে।
এসব কার্যক্রমে অবশ্য আন্তর্জাতিক আইনের কিছু জটিলতা রয়েছে। ১৯৬৭ সালে জাতিসংঘ আউটার স্পেস ট্রিটি করে। এ চুক্তি অনুযায়ী, চাঁদের কোনো কিছুর মালিকানা কেউ দাবি করতে পারবে না। তবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে কোনো ধারা এতে নেই।
এই সুযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে চন্দ্র অভিযান এবং এর সম্পদ ব্যবহারের একটি নীতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে আর্টেমিস অ্যাকর্ড। এতে ২৭টি দেশ ও পক্ষ স্বাক্ষর করেছে। তবে চীন এবং রাশিয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।
চন্দ্র অভিযান নিয়ে ভারতের বর্তমান উদ্যোগও এই বাণিজ্যের দিকটিই নির্দেশ করছে। ভারতের মহাকাশযান উৎক্ষেপণগুলো বেসরকারিকরণ করা হয়েছে। এখন তারা আগামী এক দশকে মহাকাশ অভিযানের বাজারে নিজেদের হিস্যা পাঁচগুণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদেশি বিনিয়োগের খোঁজ করছে।
চন্দ্রযান–৩ সফল হলে মহাকাশ খাতে ব্যয়ের পক্ষে এই ‘প্রতিযোগিতামূলক প্রকৌশল খ্যাতিকে’ ভারত পুঁজি করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। যেখানে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) এ মিশনের জন্য প্রায় ৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার বাজেট পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থার (নাসা) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে আর্টেমিস চন্দ্র অভিযানের জন্য বাজেট করেছে ৯ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চীনা মহাকাশযানের সফল অবতরণ হয় ২০১৯ সালে। চীন আরও মিশনের পরিকল্পনা এরই মধ্যে করে ফেলেছে। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইউরোকনসাল্টের হিসাবে, ২০২২ সালে মহাকাশ কর্মসূচিতে চীন ব্যয় করেছে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার।
বেসরকারি সংস্থাগুলোও বসে নেই। উদাহরণ হিসেবে ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের কথা বলা যায়। এই সংস্থা বিশ্বের বৃহত্তম রকেট স্টারশিপ তৈরি করছে। নাসার মহাকাশচারীদের চাঁদের মাটিতে পৌঁছে দিতে স্পেসএক্স ৩০০ কোটি ডলারের চুক্তি করেছে। এই চুক্তির বাইরে চলতি বছর স্পেসএক্স স্টারশিপের পেছনে আরও ২০০ কোটি ডলার ব্যয় করবে বলে জানিয়েছেন মাস্ক। ২০২৪ সালে মনুষ্যবাহী মহাকাশযান চাঁদে পাঠাবে নাসা ও স্পেসএক্স।
অন্যান্য সংস্থার মধ্যে এক্সিওম স্পেস এবং জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের বিকল্প মহাকাশ স্টেশন নির্মাণে তহবিল সরবরাহ করছে। এক্সিওম জানিয়েছে, তারা এরই মধ্যে সৌদি আরব এবং কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩৫ কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে।
সেদিক থেকে রাশিয়া কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে বলে ধারণা করছেন অনেকে। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে রাশিয়া ক্রমাগত একঘরে হতে থাকলে মহাকাশ অভিযানে অর্থসংস্থান চাপের মুখে পড়তে পারে। এর মধ্যে লুনা–২৫ মিশন ব্যর্থ হলো। পরবর্তী অভিযানের বিষয়ে রাশিয়া কিছু বলছে না। মহাকাশ বিশেষজ্ঞ ও মস্কো ভিত্তিক গবেষক ভাদিম লুকাশেভিচ বলছেন, ‘মহাকাশ অভিযানের জন্য ব্যয় নিয়মতান্ত্রিকভাবে কমিয়ে আনছে রাশিয়া।’
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ কেন কঠিন?
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান অবতরণ বেশ কঠিন। রাশিয়ার লুনা–২৫ চলতি সপ্তাহেই অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু রোববার (২০ আগস্ট) সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আছড়ে পড়ে।
এর আগেও বেশ কয়েকটি দেশের মিশন এভাবে ব্যর্থ হয়েছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরু বিষুবীয় অঞ্চল থেকে বেশ দূরে। যুক্তরাষ্ট্রের মনুষ্যবাহী অ্যাপোলো মহাকাশযান পৃথিবীর দিকে এই বিষুবীয় অঞ্চলেই অবতরণ করেছিল। দক্ষিণ মেরু অঞ্চলটিতে প্রচুর মৃত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ এবং গভীর খাদ রয়েছে।
ভারতের চন্দ্রযান–৩ এখানেই অবতরণ করার কথা। ২০১৯ সালে ভারতের এ ধরনের একটি মিশন ব্যর্থ হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনও চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে।
নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের (জেডব্লিউএসটি) মাধ্যমে মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় মানচিত্র তৈরি করলেন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই মানচিত্রটি মহাবিশ্বের একটি ছোট অংশজুড়ে বিস্তৃত, যেখানে প্রায় আট লাখ গ্যালাক্সি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে এমন গ্যালাক্সিও আছে, যা এত দূরে অবস্থিত যে সেগুলো মহাবিশ্বের শৈশবের সময়কার,
১৭ ঘণ্টা আগেআধুনিক জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার এড়িয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। তবে এই বহুল ব্যবহৃত উপাদানটিই আজ পরিবেশের জন্য এক ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই প্লাস্টিক জমে থাকছে নদী-নালা, সাগর ও মাটির গভীরে, যা জলজ প্রাণী থেকে শুরু করে মানবস্বাস্থ্যের ওপর ফেলছে মারাত্মক প্রভাব। বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা
২ দিন আগেবিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে অসংখ্য শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে। নক্ষত্রগুলো জ্বলছে বিশাল পরমাণু বিক্রিয়ার শক্তিতে, আর বিশাল উল্কাপিণ্ড ছুটে এসে ধাক্কা দিচ্ছে গ্রহে গ্রহে। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছেন, যা এই সব কিছুকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাদের দাবি, মহাকা
৩ দিন আগেআমাদের গ্রহে প্রাণের বিকাশ ও প্রাচুর্য টিকে আছে অক্সিজেনের কল্যাণে। কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সব সময় এমন ছিল না। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ভবিষ্যতে আমাদের বায়ুমণ্ডলে আবারও মিথেনের আধিক্য হবে এবং অক্সিজেনবিহীন অবস্থায় ফিরে যাবে। তবে এখনই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
৪ দিন আগে