Ajker Patrika

কারও দল গোছানোর জন্য নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে না: নজরুল ইসলাম খান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ মে ২০২৫, ১৮: ০৬
জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘কারও দল গোছানোর কিংবা বন্ধু জোগাড়ের জন্য সময় লাগলেও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা বিলম্বিত হতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘ভোট দেওয়া জনগণের মৌলিক মানবাধিকার। এই অধিকার ফিরিয়ে দিতেই হবে।’

আজ শুক্রবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ‘শোষণমুক্ত সমাজ গঠনে মাওলানা মতিনের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।

সভায় নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘কারও দল গোছানোর জন্য সময় দরকার, কারও বন্ধু জোগাড় করার জন্য সময় দরকার। কিন্তু তার জন্য জনগণের ভোট দেওয়ার যে মৌলিক মানবাধিকার বিলম্বিত হবে—এটা হতে পারে না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর ধরে মানুষ তাঁদের মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। অনেক তরুণ আছেন, যাঁদের বয়স কম, কিন্তু ভোটার হয়েছেন অনেক দিন আগে—তবুও আজ পর্যন্ত তাঁরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। তাঁরা সেই অধিকার প্রয়োগ করতে চান, রাষ্ট্র পরিচালনায় নিজেদের মতামত জানাতে চান। এটি তাঁদের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক অধিকার। এই অধিকার অর্জনের জন্যই হাজার হাজার মানুষ কারারুদ্ধ হয়েছেন, প্রাণ দিয়েছেন, নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।’

নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘আজ এই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে নানা মহলে নানা আলোচনা চলছে। আলোচনার বিস্তারে না গিয়ে আমি শুধু এতটুকুই বলব—আমরা বলেছি, লেবার পার্টি বলেছে যে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হোক। আমি এখানে উপস্থিত সাংবাদিক বন্ধুদের সামনে প্রশ্ন রাখতে চাই—যাঁরা এর বিরোধিতা করছেন, তাঁরা শুধু বলুন, কোন যুক্তিতে ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন হওয়া উচিত? কারণটা কী?’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই বলেছে, তারা জুন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো অসুবিধাই থাকার কথা নয়। অনেকে বলছেন, আগে সংস্কার করতে হবে। তাহলে প্রশ্ন আসে, আপনারা কবে থেকে সংস্কারের কথা বলছেন?’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, ‘আমরা সংস্কারের বিপক্ষে নই, আমরা পরিপূর্ণভাবে সংস্কারের পক্ষে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে—সংস্কার কি একবারেই সম্পন্ন করার বিষয়? পরিবর্তনের দুটি পথ—একটি বিপ্লব, অন্যটি সংস্কার। বৈপ্লবিক পরিবর্তন দ্রুত ঘটে যায়, আর সংস্কার হয় একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, সবার সম্মতিতে—বিশেষ করে যারা স্টেকহোল্ডার।’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, যেসব সংস্কার তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব, তা আইনের বা অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যকর হবে; যেগুলোর জন্য সংবিধান পরিবর্তন দরকার, তা নির্বাচিত সংসদে হবে। এই কাজ যদি জুনের মধ্যেও সম্ভব না হয়, জুলাইয়ের মধ্যেও হতে পারে। তাহলে প্রশ্ন হলো—ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধাটা কোথায়?’

সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান খান ইরান, মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত