নিজস্ব প্রতিবেদক ও কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান ইমরান প্রার্থিতা প্রত্যাহার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ দুপুরে কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কার্যালয়ে এ ঘোষণা দেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি। এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত নেতা কর্মীরা না না বলে তাঁর ঘোষণার বিরোধীতা করা শুরু করে। পরে তিনি উত্তেজিত নেতা কর্মীদের শান্ত করেন।
এসময় পারভেজ খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। আমি নিজের ইচ্ছায় নির্বাচনে আসিনি। আমার নেতা কর্মীদের কারণে ও কুমিল্লার ২৭টি ওয়ার্ডের মানুষের দিকে চেয়ে নির্বাচনে এসেছি। তারা অতিষ্ট হয়ে গেছে স্থানীয় এমপির লোকদের নির্যাতনে। তাই নির্বাচনের জন্য আমার সকল প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু আমরা সবাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার রাজনীতি করি। আমরা তাঁর নৌকার বিরুদ্ধে যেতে পারিনা। নেত্রীর নির্দেশ অমান্য করার মতো সাহস আমার নেই। তাই নেত্রীর নির্দেশে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। আমি আমার সমল নেতাকর্মীকে বলবো আপনারা নৌকার পক্ষে কাজ শুরু করেন। আমিও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নৌকা উপহার দিতে কাজ শুরু করছি। কারণ নৌকা কোন ব্যক্তির না। নৌকা আমাদের বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, নৌকা শেখ হাসিনার প্রতীক।’
এ সময় পারভেজ খান আক্ষেপ করে বলেন, ‘যারা নৌকা পেয়েছে তারা আমাদের কোন নেতাকর্মীকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে রাখেনি। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই। তারা আমাকে ডাকুক বা না ডাকুক আমরা নৌকার পক্ষেই মাঠে আছি।’
২০১২ সালে অনুষ্ঠিত কুসিকের প্রথম নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ প্রয়াত আফজল খানকে সমর্থন দিয়েছিল আওয়ামী লীগ, আর ২০১৭ সালের নির্বাচনে তাঁর মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে মনোনয়ন দেয় দলটি। বাবা ও মেয়ে বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর কাছে পরাজিত হন।
আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত তৃতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন আফজল খানের ছেলে মাসুদ পারভেজ খান ইমরান। কিন্তু দলটি মনোনয়ন দেয় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতকে। বিদ্রোহী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন ইমরান।
বিদ্রোহী ইমরানকে নির্বাচন থেকে বসাতে গত মঙ্গলবার (২৪ মে) রাতে ঢাকায় ডেকে পাঠায় আওয়ামী লীগ। দলটির সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে বৈঠক করা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও ইমরানের বোন আঞ্জুম সুলতানা সীমা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, ইমরান নির্বাচন থেকে প্রর্থিতা প্রত্যাহার করবেন। সেদিন ইমরান জানান, তাঁর কিছু দাবি-দাওয়া আছে, সেগুলো পূরণ হলে বৃহস্পতিবার মনোনয়ন প্রত্যাহার করবেন।
১৫ জুন অনুষ্ঠিত হওয়া কুসিক নির্বাচনে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু দলটির সদ্য বহিষ্কৃত নেতা বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদ্য পদত্যাগ করা সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া কামরুল আহসান বাবুল এবং ইসলামী আন্দোলনের রাশেদুল ইসলাম মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান ইমরান প্রার্থিতা প্রত্যাহার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ দুপুরে কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কার্যালয়ে এ ঘোষণা দেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি। এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত নেতা কর্মীরা না না বলে তাঁর ঘোষণার বিরোধীতা করা শুরু করে। পরে তিনি উত্তেজিত নেতা কর্মীদের শান্ত করেন।
এসময় পারভেজ খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। আমি নিজের ইচ্ছায় নির্বাচনে আসিনি। আমার নেতা কর্মীদের কারণে ও কুমিল্লার ২৭টি ওয়ার্ডের মানুষের দিকে চেয়ে নির্বাচনে এসেছি। তারা অতিষ্ট হয়ে গেছে স্থানীয় এমপির লোকদের নির্যাতনে। তাই নির্বাচনের জন্য আমার সকল প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু আমরা সবাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার রাজনীতি করি। আমরা তাঁর নৌকার বিরুদ্ধে যেতে পারিনা। নেত্রীর নির্দেশ অমান্য করার মতো সাহস আমার নেই। তাই নেত্রীর নির্দেশে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। আমি আমার সমল নেতাকর্মীকে বলবো আপনারা নৌকার পক্ষে কাজ শুরু করেন। আমিও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নৌকা উপহার দিতে কাজ শুরু করছি। কারণ নৌকা কোন ব্যক্তির না। নৌকা আমাদের বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, নৌকা শেখ হাসিনার প্রতীক।’
এ সময় পারভেজ খান আক্ষেপ করে বলেন, ‘যারা নৌকা পেয়েছে তারা আমাদের কোন নেতাকর্মীকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে রাখেনি। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই। তারা আমাকে ডাকুক বা না ডাকুক আমরা নৌকার পক্ষেই মাঠে আছি।’
২০১২ সালে অনুষ্ঠিত কুসিকের প্রথম নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ প্রয়াত আফজল খানকে সমর্থন দিয়েছিল আওয়ামী লীগ, আর ২০১৭ সালের নির্বাচনে তাঁর মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে মনোনয়ন দেয় দলটি। বাবা ও মেয়ে বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর কাছে পরাজিত হন।
আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত তৃতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন আফজল খানের ছেলে মাসুদ পারভেজ খান ইমরান। কিন্তু দলটি মনোনয়ন দেয় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতকে। বিদ্রোহী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন ইমরান।
বিদ্রোহী ইমরানকে নির্বাচন থেকে বসাতে গত মঙ্গলবার (২৪ মে) রাতে ঢাকায় ডেকে পাঠায় আওয়ামী লীগ। দলটির সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে বৈঠক করা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও ইমরানের বোন আঞ্জুম সুলতানা সীমা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, ইমরান নির্বাচন থেকে প্রর্থিতা প্রত্যাহার করবেন। সেদিন ইমরান জানান, তাঁর কিছু দাবি-দাওয়া আছে, সেগুলো পূরণ হলে বৃহস্পতিবার মনোনয়ন প্রত্যাহার করবেন।
১৫ জুন অনুষ্ঠিত হওয়া কুসিক নির্বাচনে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু দলটির সদ্য বহিষ্কৃত নেতা বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদ্য পদত্যাগ করা সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া কামরুল আহসান বাবুল এবং ইসলামী আন্দোলনের রাশেদুল ইসলাম মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন।
বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকের পক্ষে নয় এবং এই নীতিটি সংবিধানে সংযুক্ত করার পক্ষেও দলটি একমত। সংবিধান সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অসন্তুষ্ট নয় বিএনপি। বরং রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ও শক্তিশালী কাঠামো দাঁড় করানোর জন্য তাঁরা সর্বাত্মক...
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গতকাল তাদের সুপারিশমালা জমা দেওয়ার পর কয়েকটি সুপারিশ নিয়ে তীব্র আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার এবং ভরণপোষণের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করার সুপারিশগুলো নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেসংস্কারের বিষয়ে আর কোনো সংকট দেখছে না বিএনপি। এই অবস্থায় চলতি বছরের ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব বলে মনে করছে দলটি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে কোনো সংকট নেই। সবাই সবার মতামত দিয়েছে। ঐকমত্য কোথায় কোথায় হয়েছে, তা জানতে এক সপ্তাহের...
৩ ঘণ্টা আগেসংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি মনে করিয়ে দিয়ে সতর্ক থেকে কাজ করতে দলের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সজাগ থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে যে আমাদের সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। গণতান্ত্রিক উত্তরণ এখনো আমাদের হয়নি, নির্বাচনের..
৪ ঘণ্টা আগে