Ajker Patrika

বাবর ভাই, কাজটা আপনার ঠিক হয়নি: ১০ ট্রাক অস্ত্র প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনায় জুলাই পদযাত্রার সমাবেশ মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: আজকের পত্রিকা
নেত্রকোনায় জুলাই পদযাত্রার সমাবেশ মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর (লুৎফুজ্জামান বাবর) সময় ১০ ট্রাক অস্ত্রের কল্পকাহিনির কারণে বাংলাদেশ সার্বভৌমত্ব হুমকির মধ্যে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

আজ রোববার নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পুরোনো কালেক্টরেট মাঠে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘যার হাতে সংসদীয় ক্ষমতা, যার হাতে বিচারালয়ের ক্ষমতা, যার হাতে নির্বাহী ক্ষমতা, এ জন্য আমরা পাওয়ার ব্যালেন্স ঠিক করার জন্য উচ্চকক্ষের পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চেয়েছি। কিন্তু যারা ফ্যাসিস্ট ক্ষমতার কাঠামোতে থাকতে চায়, তারা এ বিষয়ে জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের মানুষ নতুন সংবিধান, সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের টিকিট নিয়েই ঘরে ফিরবে ইনশা আল্লাহ।’

নাসীরুদ্দীন আরও বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা শান্তি চাই, আমরা মানুষের অধিকার চাই। মানবিক মর্যাদা চাই।’

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের উদ্দেশে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সময় ১০ ট্রাক অস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছিল। বাবর ভাই, আমি আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি। কিন্তু এই কাজটা আপনার ঠিক হয়নি। যদি অস্ত্র হ্যান্ডেলই করতে না পারেন, তবে নিয়ে আসছিলেন কেন?’

নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘আমাদের দক্ষিণ এশিয়াতে এই কল্পকাহিনির কারণে বাংলাদেশ সার্বভৌমত্ব হুমকির মধ্যে পড়েছে। অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন হয়েছে। পার্শ্ববর্তী আঞ্চলিক সংঘাত বিরাজ করেছে। আমরা দেখতে পেয়েছি বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে। আমরা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে যাঁরা সরকারি বা প্রশাসনে রয়েছেন, রাজনৈতিক চেয়ারে আসবেন, তাঁদের বলতে চাই, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত আসে—এমন কোনো অযাচিত সিদ্ধান্ত আপনারা আর নেবেন না।’

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে আমরা বলেছিলাম, এক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা হবে। আমাদের এক নতুন বন্দোবস্ত লাগবে। পুরোনো সিস্টেমে, পুরোনো আইনে আমরা আর এ বাংলাদেশকে পরিচালিত হতে দেব না।

‘আমরা একটি ন্যায়ভিত্তিক ও জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র তৈরি করতে চাই। সেখানে শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ সব ক্ষেত্রে মানুষ মানবিক মর্যাদা পাবে। এই নেত্রকোনায় নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। এখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্যের বেহাল দশাসহ কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে। আমরা এনসিপি এসব সমস্যা দূর করতে চাই।’

নাহিদ আরও বলেন, ‘আমরা দেশব্যাপী সংস্কারের দাবিতে নেমেছি। আমরা এমন একটা নতুন সংবিধানের দাবিতে নেমেছি, যে সংবিধানের জন্য আমাদের একটা গণপরিষদ নির্বাচন লাগবে। যে গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ, বাংলাদেশের অভ্যুত্থানকারী জনতা বাংলাদেশের আগামীর নতুন সংবিধান নির্ধারণ করবে।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ঠিক এক বছর আগে জুলাই মাসে জীবন দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের যেসব নেতা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) প্রীতম সোহাগ, কেন্দ্রীয় সদস্য ফাহিম খান পাঠান। তবে মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমসহ বিভিন্ন নেতারা উপস্থিত থাকলেও কোনো বক্তব্য দেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আখতারের উদ্দেশে জামায়াতের বিবৃতিকে ‘মিথ্যাচার’ বলল এনসিপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেনকে উদ্দেশ করে গতকাল রোববার জামায়াতে ইসলামী ‘অসত্য, মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর’ বিবৃতি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এনসিপি এই বিবৃতিকে ‘বাস্তবতাবিবর্জিত, রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত এবং জনমত বিভ্রান্ত করার স্পষ্ট অপচেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছে।

আজ সোমবার এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব ও মিডিয়া সেল সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৬ ডিসেম্বর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ন্যাশনাল প্রফেশনালস অ্যালায়েন্স (এনপিএ)-এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এনসিপি সদস্যসচিব আখতার হোসেন সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রমাণ-নির্ভর যে মন্তব্য করেছিলেন, তা সম্পূর্ণ তথ্যসম্মত ও দায়িত্বশীল।

এনসিপি সেই মন্তব্যের পক্ষে স্পষ্ট প্রমাণ তুলে ধরে জানিয়েছে, ২৭ নভেম্বর পাবনার ঈশ্বরদী থানায় নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুলি চালানো তুষার মণ্ডল জামায়াতে ইসলামীর কর্মী। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে এটি নিশ্চিত করেছে এবং তাঁকে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে। এনসিপি মনে করে, এমন স্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বাস্তবতা অস্বীকার করা কেবলই সত্য গোপন ও দায় এড়ানোর নিন্দনীয় অপচেষ্টা।

জাতীয় নাগরিক পার্টি মনে করে, জামায়াতে ইসলামী ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে দেশে বিভাজন, ঘৃণা ও সহিংসতার রাজনীতি উসকে দিচ্ছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে যে নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির সূচনা হয়েছে, তাকে গ্রহণ না করে জামায়াত পুরোনো সহিংস ও আধিপত্যবাদী রাজনীতির পথে ‘নতুন খেলোয়াড়’ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার চেষ্টা করছে, যা দেশের স্থিতিশীলতার জন্য একটি অশুভ সংকেত।

এনসিপি বলেছে, সহিংসতা, অস্ত্র নির্ভরতা ও ধর্মের অপব্যবহার কখনোই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হতে পারে না। দলটি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে, জাতীয় নাগরিক পার্টি জামায়াতে ইসলামীকে সত্য, শান্তি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে সুস্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

একটি দল ধর্মের নামে ‘ট্যাবলেট’ বেচে মানুষকে প্রতারণার পরিকল্পনা করছে: সালাহউদ্দিন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘একটি দল ধর্মের নামে ট্যাবলেট বিক্রি করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করার পরিকল্পনা করছে। তাদের জনগণ এরই মধ্যে চিনেছে। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।’

আজ সোমবার রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘তারা (জামায়াত) কেবলই বলছে যে, এখানে একটু মার্কাতে ভোট দিলে তরতরাইয়া জান্নাতে যাবে। তার আগে ইহকালে কীভাবে চলব এর কোনো বক্তব্য নাই।’ তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘যারা বিনা কষ্টে জান্নাতে যেতে চাচ্ছেন সেটার বাসস্ট্যান্ড কোথায় একটু আগে জেনে নেবেন।’ তিনি বলেন, ‘জনগণ এখন এসব বোঝে।’

ধর্মীয় প্রলোভনের বিপরীতে বিএনপি জনকল্যাণমুখী রাজনীতির ওপর জোর দিচ্ছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশের মানুষের কাছে সমর্থন চাচ্ছি, ভোট চাচ্ছি। জনগণ আমাদের কাছে কী চায়, তা আমাদের দিতে হবে। আমরা তো কেবল ধর্মের একটা ট্যাবলেট বিক্রি করতে চাই না। আমরা চাই জনগণের কল্যাণের জন্য, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য, আমাদের সুষ্ঠু পরিকল্পনা কী আছে সেটা জনগণের সামনে রাখা।’

তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) রাজনৈতিক ইতিহাস তুলে ধরে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং বর্তমান নেতা তারেক রহমানের সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এই তিনটা বিশ্লেষণ করলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে বাংলাদেশ মানেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল।’

সালাহউদ্দিন তারেক রহমানের দেওয়া স্লোগান ‘সবার আগে বাংলাদেশ’-এর কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘সমস্ত কর্ম পরিকল্পনায়, সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সকল বিষয়ে আমাদের মাথায় থাকতে হবে এখানে আমাদের স্বার্থটা ওপরে সবার ওপরে বাংলাদেশ।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হোন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ১৫
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার জন্য নির্ধারিত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি পূর্বঘোষিত সময়ে (আগামীকাল মঙ্গলবার) ঢাকায় আসছে না। এরই মধ্যে অপারেটর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বেবিচকের অনুমোদন বাতিলের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, সেটি বাতিলের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানো হয়েছে অপারেটর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, জার্মানভিত্তিক এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ তাদের স্থানীয় সমন্বয়কারী সংস্থার মাধ্যমে স্লট অনুমোদন প্রত্যাহারের আবেদন করেছে। তিনি বলেন, ‘বাতিলের অনুরোধটি আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠাব।’

এর আগে গতকাল রোববার জমা দেওয়া প্রাথমিক আবেদনের ভিত্তিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির মঙ্গলবার সকাল ৮টায় অবতরণ এবং রাত ৯টার দিকে উড্ডয়নের অনুমতি দিয়েছিল বেবিচক।

কাতার সরকারের ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘ–দূরত্বের চিকিৎসা পরিবহনের জন্য বিকল্প এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নির্বাচন করা হলে, সেটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এফএআই এভিয়েশন গ্রুপকে চার্টার করে খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল ইভাকুয়েশন ফ্লাইটের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল।

বিশ্বস্বীকৃত এয়ার অ্যাম্বুলেন্স অপারেটর এফএআই বেগম খালেদা জিয়ার জন্য বোম্বার্ডিয়ার চ্যালেঞ্জার ৬০৪ (সিএল ৬০) নির্ধারণ করে।

দীর্ঘ দূরত্বে চিকিৎসা পরিবহনে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য এই বিমানটি উন্নত ক্রিটিক্যাল–কেয়ার কনফিগারেশন, বাড়তি পরিসীমা এবং স্থিতিশীলতার জন্য বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫২
রাজধানীর একটি হোটেলে ২০ দলের সমন্বয়ে নতুন জোট আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর একটি হোটেলে ২০ দলের সমন্বয়ে নতুন জোট আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (একাংশ) এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতৃত্বে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) আত্মপ্রকাশ হয়েছে। এই জোটে মোট দলের সংখ্যা ২০।

আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানের ইমানুয়েলন্স পার্টি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ২০ দলের সমন্বয়ে নতুন জোটের ঘোষণা দেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। জোটের প্রধান উপদেষ্টা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, মুখপাত্র জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, জোটের মহাসচিব জনতা পার্টি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার মিলন।

জাতীয় পার্টি ও জেপি ছাড়াও জোটের অন্য দলগুলো হলো—জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, জাতীয় ইসলামিক মহাজোট, জাতীয় সংস্কার জোট, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি, বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, বাংলাদেশ জনকল্যাণ পার্টি, অ্যাপ্লায়েড ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ।

লিখিত বক্তব্যে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রকৃত গণতান্ত্রিক রূপান্তর, বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থান আকাঙ্ক্ষার সমন্বয়ে আগামী দিনের রাষ্ট্র সংস্কার, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, মধ্যপন্থার উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বেগবান করা, ইসলামি মূল্যবোধ এবং সর্ব ধর্ম সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা প্রবর্তন, ফ্যাসিবাদের চির অবসান এবং সুশাসন প্রত্যাশী জনগণের ম্রিয়মাণ কণ্ঠস্বরকে সোচ্চার করতে রাজনৈতিক জোট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি বলেন, জোটভুক্ত দলগুলো নিজ নিজ আদর্শ ও স্বকীয়তা বজায় রেখে উপযুক্ত নীতিমালা এবং কয়েকটি দাবির ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন ও রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। এর নাম হবে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট।

লিখিত বক্তব্যে সাত দফা দাবি জানানো হয়—

১. ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় বৈষম্যহীন, নিরপেক্ষ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। অন্তর্বর্তী সরকারকে আগামী দুই মাসে নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারে পরিণত হতে হবে।

ক) সকল হয়রানিমূলক মামলা তুলে নিয়ে ভোটে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

খ) অন্তর্ভুক্তিমূলক ভোটের ব্যবস্থা জরুরি।

২. জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে।

৩. আইনের শাসন, সুস্থ, উদার গণতান্ত্রিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় জনগণের সম্মতিমূলক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করা জরুরি, যার লক্ষ্য একটি ভয়হীন, নিরাপদ ও কার্যকর রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে।

৪. অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত ও দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ জরুরি। সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ—যে দলেরই হোক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

৫. নিত্যপণ্যের অসহনীয় মূল্যস্ফীতি রোধ করতে হবে।

৬. স্বনির্ভর অর্থনীতি, বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের ওপর জরুরি মনোযোগ দিতে হবে।

৭. দুর্নীতি মুক্ত, বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত