নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বর্তমান সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে, কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বাম গণতান্ত্রিক জোট। দাবি না মানলে হরতাল, ঘেরাও, অবস্থান ও তীব্র বিক্ষোভের মতো কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এ জন্য দেশবাসীকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নেতারা।
আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন উচ্ছেদ-ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হন’ শিরোনামে আয়োজিত এক সমাবেশে জোটের নেতারা এ হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশ শেষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক মাসুদ রানা। তিনি বলেন, ‘এই সমাবেশ অনতিবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচন কমিশন বাতিল, নির্দলীয় তদারক সরকারের অধীনে নির্বাচন ঘোষণা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে। এসব দাবিতে সকল শ্রেণিপেশার মানুষ, বিরোধী রাজনৈতিক দল, প্রগতিশীল ও মুক্তমনা, গণতন্ত্রমনা মানুষদের গণ-আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। এই সরকার জনমত উপেক্ষা করে দলীয় সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচনের ঘোষণা দিলে, সর্বোচ্চ বিক্ষোভ সংগঠিত করার প্রস্তুতি নেওয়া, ঘেরাও, অবস্থান, অবরোধ, হরতালের প্রস্তুতি রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।’
এসব দাবি নিয়ে আগামীকাল ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন থানা ও উপজেলায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। একই দাবিতে আগামী ৫ অক্টোবর অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে। এদিন ঢাকায় বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রেস ক্লাবে এই অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে এবং জেলা, উপজেলা পর্যায়ের প্রেসক্লাব বা সুবিধামতো স্থানে অবস্থান নেবেন। ৮-১৫ অক্টোবর জেলা ও বিভাগীয় শহরে পদযাত্রা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে বক্তব্যে জানান মাসুদ রানা।
বামেরা এবার কারও ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবে না মন্তব্য করে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘অনেক রাজনীতি হয়েছে, অনেক আন্দোলন হয়েছে, সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এক সরকার পরিবর্তন হয়ে আরেক সরকার এসেছে কিন্তু জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি। আন্দোলন হচ্ছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাচ্ছে, আন্দোলন হচ্ছে বিএনপি ক্ষমতায় যাচ্ছে। জনগণের পক্ষের কেউ ক্ষমতায় যাচ্ছে না। এ কারণে দ্বিধাহীন চিত্তে বলতে চাই গণতান্ত্রিক জোট ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবে না।’
বর্তমান সরকারের দুঃশাসনে জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বর্তমানে যে অগণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে, এটি থাকলে দেশ আরও অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়বে। এই অন্ধকার থেকে বাঁচার জন্য জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন ভোট নিয়ে নাকি আমরা কথা বলি। কেন কথা বলব না? ভোটের নামে কী করেছেন? যদি লজ্জা থাকত, এই কথা আপনি বলতে পারতেন না। আপনি কীভাবে ভাবলেন ভোট নিয়ে আমরা কথা বলব না? যত দিন আমাদের অধিকার আদায় হবে না, তত দিন আমাদের কণ্ঠ সোচ্চার থাকবে।’
সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বিশেষ সুবিধা দিয়ে দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট এবং ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা লোকেদের মাধ্যমে একটি পরিবার হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আমলের লড়াই ছিল ২২ পরিবারের বিরুদ্ধে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের জন্য। আজকে লড়াই করতে হচ্ছে আবার গণতন্ত্রের জন্য। বৈষম্য আকাশচুম্বী! একই তথ্য পাই আরেক ২২ পরিবারের বিরুদ্ধে। তাদের সম্পদ কত জানেন? ১০ হাজার কোটি টাকা!’
বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া এই সমাবেশে অংশ নেয় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট লীগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতা ও কর্মীরা। এ সময় তাঁরা ভাত ও ভোটের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। শেখ হাসিনার পদত্যাগ চেয়ে দেওয়া স্লোগানে তাঁরা নির্দলীয় তদারক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করেন।
এ ছাড়া সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদসহ সমমনা অন্যান্য বামধারার রাজনৈতিক দলের নেতারা।
বর্তমান সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে, কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বাম গণতান্ত্রিক জোট। দাবি না মানলে হরতাল, ঘেরাও, অবস্থান ও তীব্র বিক্ষোভের মতো কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এ জন্য দেশবাসীকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নেতারা।
আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন উচ্ছেদ-ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হন’ শিরোনামে আয়োজিত এক সমাবেশে জোটের নেতারা এ হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশ শেষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক মাসুদ রানা। তিনি বলেন, ‘এই সমাবেশ অনতিবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচন কমিশন বাতিল, নির্দলীয় তদারক সরকারের অধীনে নির্বাচন ঘোষণা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে। এসব দাবিতে সকল শ্রেণিপেশার মানুষ, বিরোধী রাজনৈতিক দল, প্রগতিশীল ও মুক্তমনা, গণতন্ত্রমনা মানুষদের গণ-আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। এই সরকার জনমত উপেক্ষা করে দলীয় সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচনের ঘোষণা দিলে, সর্বোচ্চ বিক্ষোভ সংগঠিত করার প্রস্তুতি নেওয়া, ঘেরাও, অবস্থান, অবরোধ, হরতালের প্রস্তুতি রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।’
এসব দাবি নিয়ে আগামীকাল ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন থানা ও উপজেলায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। একই দাবিতে আগামী ৫ অক্টোবর অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে। এদিন ঢাকায় বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রেস ক্লাবে এই অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে এবং জেলা, উপজেলা পর্যায়ের প্রেসক্লাব বা সুবিধামতো স্থানে অবস্থান নেবেন। ৮-১৫ অক্টোবর জেলা ও বিভাগীয় শহরে পদযাত্রা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে বক্তব্যে জানান মাসুদ রানা।
বামেরা এবার কারও ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবে না মন্তব্য করে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘অনেক রাজনীতি হয়েছে, অনেক আন্দোলন হয়েছে, সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এক সরকার পরিবর্তন হয়ে আরেক সরকার এসেছে কিন্তু জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি। আন্দোলন হচ্ছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাচ্ছে, আন্দোলন হচ্ছে বিএনপি ক্ষমতায় যাচ্ছে। জনগণের পক্ষের কেউ ক্ষমতায় যাচ্ছে না। এ কারণে দ্বিধাহীন চিত্তে বলতে চাই গণতান্ত্রিক জোট ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবে না।’
বর্তমান সরকারের দুঃশাসনে জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বর্তমানে যে অগণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে, এটি থাকলে দেশ আরও অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়বে। এই অন্ধকার থেকে বাঁচার জন্য জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন ভোট নিয়ে নাকি আমরা কথা বলি। কেন কথা বলব না? ভোটের নামে কী করেছেন? যদি লজ্জা থাকত, এই কথা আপনি বলতে পারতেন না। আপনি কীভাবে ভাবলেন ভোট নিয়ে আমরা কথা বলব না? যত দিন আমাদের অধিকার আদায় হবে না, তত দিন আমাদের কণ্ঠ সোচ্চার থাকবে।’
সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বিশেষ সুবিধা দিয়ে দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট এবং ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা লোকেদের মাধ্যমে একটি পরিবার হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আমলের লড়াই ছিল ২২ পরিবারের বিরুদ্ধে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের জন্য। আজকে লড়াই করতে হচ্ছে আবার গণতন্ত্রের জন্য। বৈষম্য আকাশচুম্বী! একই তথ্য পাই আরেক ২২ পরিবারের বিরুদ্ধে। তাদের সম্পদ কত জানেন? ১০ হাজার কোটি টাকা!’
বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া এই সমাবেশে অংশ নেয় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট লীগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতা ও কর্মীরা। এ সময় তাঁরা ভাত ও ভোটের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। শেখ হাসিনার পদত্যাগ চেয়ে দেওয়া স্লোগানে তাঁরা নির্দলীয় তদারক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করেন।
এ ছাড়া সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদসহ সমমনা অন্যান্য বামধারার রাজনৈতিক দলের নেতারা।
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আগামী বছরের প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনিবার্য। তবে কোনো অপরিপক্ব বা প্রহসনের নির্বাচন জনগণ আর মেনে নেবে না। নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও পেশিশক্তি ও কালোটাকামুক্ত। প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত না হলে এই নির্বাচনও ব্যর্থ হবে। প্রবাসীদের ভোটাধিকার
৭ ঘণ্টা আগেগণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আগামী ৫ আগস্ট বা এর পরবর্তী দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জনগণ আশা করে। তিনি মনে করেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ
৭ ঘণ্টা আগেবর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নানা দিক থেকে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। আজ বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ১৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেবজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘সরকার যখন খুব বিপদে পড়ে, আর সামলাতে পারছে না, টালমাটাল অবস্থা এবং মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে, তখন রাজনৈতিক দলগুলোকে ডাকে। তারা দেখাতে চায় যে, এরা সবাই আমার সঙ্গে আছে। আমরা এই সরকারকে সমর্থন করেছি ঠিক, কিন্তু অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী কোনো কাজ করলে আমরা এই...
৮ ঘণ্টা আগে