নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের রোডম্যাপ না দেওয়ার কারণে জনগণের মাঝে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে, যা ভালো কিছু বয়ে আনবে না—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ অবস্থায় জাতিকে সংশয়মুক্ত করতে অনতিবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপির) বৈঠক শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।
নির্বাচনকে গণতন্ত্রের বাহক আখ্যা দিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘নির্বাচনের রোডম্যাপ না দেওয়ার কারণে জনগণের মাঝে যে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে, যে প্রশ্নের উদ্রেক হচ্ছে, এটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য, আগামী দিনের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের রোডম্যাপ দিয়ে আশ্বস্ত করতে হবে জাতি গণতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে, জাতি গণতন্ত্র ফিরে পেতে যাচ্ছে।’
সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে তো আমরা বাকশাল করতে যাচ্ছি না। সবাইকে যে একমত হতে হবে, এটা যারা চিন্তা করে, সেটা তো বাকশালি চিন্তা। বিভিন্ন দলের বিভিন্ন চিন্তা, দর্শন, ভিন্ন মত থাকবে। বিষয়টা হচ্ছে, যেখানে ঐকমত্য হয়েছে, তার বাইরে সংস্কার করার কোনো সুযোগ নাই। এর বাইরে কিছু করতে গেলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে করতে হবে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো কেন জাতির সামনে তুলে ধরা হচ্ছে না, সেটাই প্রশ্ন। ইতিমধ্যে সবাই তাদের মতামত জানিয়েছে। অনেক সময় চলে গেছে। আলোচনা শেষ। এর জন্য এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগবে না। জাতি জানুক কোথায় ঐকমত্য হয়েছে। ওই ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা সনদ সই করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাই, খুব সহজ। এর বাইরে যাওয়ার তো কোনো সুযোগ নাই।’
নির্বাচনের কারণে দেশের বিনিয়োগও অনেকটা থমকে আছে বলে মনে করেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা যারা আসছেন বাংলাদেশে, তাঁদের সবার একটা প্রশ্ন—নির্বাচন কবে হবে? সবাই জানতে চায়, নির্বাচন কবে হবে। নির্বাচনের পরে তারা সিদ্ধান্ত নেবে, দেশের ভেতরের বিনিয়োগকারী, দেশের বাইরের বিনিয়োগকারী বাই নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে।’
দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির আলোচনার উদ্যোগ প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেখানে স্বাভাবিকভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার যে প্রচেষ্টা, সেটা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া হিসেবেই আমরা প্রত্যেকটি দল একে অপরের সঙ্গে কথা বলছি। একে অপরের প্রতি সহনশীল হওয়া, ভিন্ন মতকে সম্মান জানানোর অংশ হিসেবে আমরা সবার সঙ্গে আছি। সবাই মতামত দিচ্ছে। এত বছর যেটা ছিল না, সেটা করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।’
বিএনপির এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ‘রকম একটি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিএনপিকে ধন্যবাদ। আমরা সবাই উপলব্ধি করি বাংলাদেশে গত ১৬-১৭ বছরে কোনো নির্বাচন হয়নি। ২০১৪ থেকে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। মানুষের আকাঙ্ক্ষা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের সমস্যার সমাধান হবে। বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে একটা নির্বাচনের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এটা বিশ্বাস করি যে এই সরকার আমাদের সরকার এবং এই সরকার আমাদের আন্দোলনের সরকার। এই সরকার জনগণের সরকার হলেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। আমরা সব সময় এই সরকারের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।’
নির্বাচন ও সংস্কার প্রসঙ্গে পার্থ বলেন, ‘সংস্কার আমরা সবাই চাই। কিন্তু সংস্কারের নাম করে নির্বাচন যদি পেছানো হয়, দেশ অনিশ্চয়তার দিকে যায়... এমন অনিশ্চয়তার দিকে দেশকে সরকার ঠেলে দিতে পারে না। নির্বাচনের রোডম্যাপ সুনির্দিষ্ট থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনোভাবেই চাই না, এই সরকার ব্যর্থ হোক। আমরা চাই জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটুক। কোনো সংস্কারের নামে যাতে কালক্ষেপণ না হয়। যাতে নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। রোডম্যাপ মনোযোগী হওয়া উচিত সরকারের।’
বৈঠকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু এই বৈঠকে অংশ নেন।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের রোডম্যাপ না দেওয়ার কারণে জনগণের মাঝে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে, যা ভালো কিছু বয়ে আনবে না—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ অবস্থায় জাতিকে সংশয়মুক্ত করতে অনতিবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপির) বৈঠক শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।
নির্বাচনকে গণতন্ত্রের বাহক আখ্যা দিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘নির্বাচনের রোডম্যাপ না দেওয়ার কারণে জনগণের মাঝে যে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে, যে প্রশ্নের উদ্রেক হচ্ছে, এটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য, আগামী দিনের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের রোডম্যাপ দিয়ে আশ্বস্ত করতে হবে জাতি গণতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে, জাতি গণতন্ত্র ফিরে পেতে যাচ্ছে।’
সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে তো আমরা বাকশাল করতে যাচ্ছি না। সবাইকে যে একমত হতে হবে, এটা যারা চিন্তা করে, সেটা তো বাকশালি চিন্তা। বিভিন্ন দলের বিভিন্ন চিন্তা, দর্শন, ভিন্ন মত থাকবে। বিষয়টা হচ্ছে, যেখানে ঐকমত্য হয়েছে, তার বাইরে সংস্কার করার কোনো সুযোগ নাই। এর বাইরে কিছু করতে গেলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে করতে হবে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো কেন জাতির সামনে তুলে ধরা হচ্ছে না, সেটাই প্রশ্ন। ইতিমধ্যে সবাই তাদের মতামত জানিয়েছে। অনেক সময় চলে গেছে। আলোচনা শেষ। এর জন্য এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগবে না। জাতি জানুক কোথায় ঐকমত্য হয়েছে। ওই ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা সনদ সই করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাই, খুব সহজ। এর বাইরে যাওয়ার তো কোনো সুযোগ নাই।’
নির্বাচনের কারণে দেশের বিনিয়োগও অনেকটা থমকে আছে বলে মনে করেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা যারা আসছেন বাংলাদেশে, তাঁদের সবার একটা প্রশ্ন—নির্বাচন কবে হবে? সবাই জানতে চায়, নির্বাচন কবে হবে। নির্বাচনের পরে তারা সিদ্ধান্ত নেবে, দেশের ভেতরের বিনিয়োগকারী, দেশের বাইরের বিনিয়োগকারী বাই নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে।’
দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির আলোচনার উদ্যোগ প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেখানে স্বাভাবিকভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার যে প্রচেষ্টা, সেটা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া হিসেবেই আমরা প্রত্যেকটি দল একে অপরের সঙ্গে কথা বলছি। একে অপরের প্রতি সহনশীল হওয়া, ভিন্ন মতকে সম্মান জানানোর অংশ হিসেবে আমরা সবার সঙ্গে আছি। সবাই মতামত দিচ্ছে। এত বছর যেটা ছিল না, সেটা করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।’
বিএনপির এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ‘রকম একটি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিএনপিকে ধন্যবাদ। আমরা সবাই উপলব্ধি করি বাংলাদেশে গত ১৬-১৭ বছরে কোনো নির্বাচন হয়নি। ২০১৪ থেকে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। মানুষের আকাঙ্ক্ষা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের সমস্যার সমাধান হবে। বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে একটা নির্বাচনের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এটা বিশ্বাস করি যে এই সরকার আমাদের সরকার এবং এই সরকার আমাদের আন্দোলনের সরকার। এই সরকার জনগণের সরকার হলেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। আমরা সব সময় এই সরকারের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।’
নির্বাচন ও সংস্কার প্রসঙ্গে পার্থ বলেন, ‘সংস্কার আমরা সবাই চাই। কিন্তু সংস্কারের নাম করে নির্বাচন যদি পেছানো হয়, দেশ অনিশ্চয়তার দিকে যায়... এমন অনিশ্চয়তার দিকে দেশকে সরকার ঠেলে দিতে পারে না। নির্বাচনের রোডম্যাপ সুনির্দিষ্ট থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনোভাবেই চাই না, এই সরকার ব্যর্থ হোক। আমরা চাই জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটুক। কোনো সংস্কারের নামে যাতে কালক্ষেপণ না হয়। যাতে নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। রোডম্যাপ মনোযোগী হওয়া উচিত সরকারের।’
বৈঠকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু এই বৈঠকে অংশ নেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের রোডম্যাপ না দেওয়ার কারণে জনগণের মাঝে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে, যা ভালো কিছু বয়ে আনবে না—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ অবস্থায় জাতিকে সংশয়মুক্ত করতে অনতিবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপির) বৈঠক শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।
নির্বাচনকে গণতন্ত্রের বাহক আখ্যা দিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘নির্বাচনের রোডম্যাপ না দেওয়ার কারণে জনগণের মাঝে যে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে, যে প্রশ্নের উদ্রেক হচ্ছে, এটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য, আগামী দিনের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের রোডম্যাপ দিয়ে আশ্বস্ত করতে হবে জাতি গণতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে, জাতি গণতন্ত্র ফিরে পেতে যাচ্ছে।’
সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে তো আমরা বাকশাল করতে যাচ্ছি না। সবাইকে যে একমত হতে হবে, এটা যারা চিন্তা করে, সেটা তো বাকশালি চিন্তা। বিভিন্ন দলের বিভিন্ন চিন্তা, দর্শন, ভিন্ন মত থাকবে। বিষয়টা হচ্ছে, যেখানে ঐকমত্য হয়েছে, তার বাইরে সংস্কার করার কোনো সুযোগ নাই। এর বাইরে কিছু করতে গেলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে করতে হবে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো কেন জাতির সামনে তুলে ধরা হচ্ছে না, সেটাই প্রশ্ন। ইতিমধ্যে সবাই তাদের মতামত জানিয়েছে। অনেক সময় চলে গেছে। আলোচনা শেষ। এর জন্য এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগবে না। জাতি জানুক কোথায় ঐকমত্য হয়েছে। ওই ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা সনদ সই করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাই, খুব সহজ। এর বাইরে যাওয়ার তো কোনো সুযোগ নাই।’
নির্বাচনের কারণে দেশের বিনিয়োগও অনেকটা থমকে আছে বলে মনে করেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা যারা আসছেন বাংলাদেশে, তাঁদের সবার একটা প্রশ্ন—নির্বাচন কবে হবে? সবাই জানতে চায়, নির্বাচন কবে হবে। নির্বাচনের পরে তারা সিদ্ধান্ত নেবে, দেশের ভেতরের বিনিয়োগকারী, দেশের বাইরের বিনিয়োগকারী বাই নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে।’
দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির আলোচনার উদ্যোগ প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেখানে স্বাভাবিকভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার যে প্রচেষ্টা, সেটা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া হিসেবেই আমরা প্রত্যেকটি দল একে অপরের সঙ্গে কথা বলছি। একে অপরের প্রতি সহনশীল হওয়া, ভিন্ন মতকে সম্মান জানানোর অংশ হিসেবে আমরা সবার সঙ্গে আছি। সবাই মতামত দিচ্ছে। এত বছর যেটা ছিল না, সেটা করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।’
বিএনপির এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ‘রকম একটি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিএনপিকে ধন্যবাদ। আমরা সবাই উপলব্ধি করি বাংলাদেশে গত ১৬-১৭ বছরে কোনো নির্বাচন হয়নি। ২০১৪ থেকে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। মানুষের আকাঙ্ক্ষা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের সমস্যার সমাধান হবে। বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে একটা নির্বাচনের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এটা বিশ্বাস করি যে এই সরকার আমাদের সরকার এবং এই সরকার আমাদের আন্দোলনের সরকার। এই সরকার জনগণের সরকার হলেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। আমরা সব সময় এই সরকারের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।’
নির্বাচন ও সংস্কার প্রসঙ্গে পার্থ বলেন, ‘সংস্কার আমরা সবাই চাই। কিন্তু সংস্কারের নাম করে নির্বাচন যদি পেছানো হয়, দেশ অনিশ্চয়তার দিকে যায়... এমন অনিশ্চয়তার দিকে দেশকে সরকার ঠেলে দিতে পারে না। নির্বাচনের রোডম্যাপ সুনির্দিষ্ট থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনোভাবেই চাই না, এই সরকার ব্যর্থ হোক। আমরা চাই জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটুক। কোনো সংস্কারের নামে যাতে কালক্ষেপণ না হয়। যাতে নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। রোডম্যাপ মনোযোগী হওয়া উচিত সরকারের।’
বৈঠকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু এই বৈঠকে অংশ নেন।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের রোডম্যাপ না দেওয়ার কারণে জনগণের মাঝে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে, যা ভালো কিছু বয়ে আনবে না—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ অবস্থায় জাতিকে সংশয়মুক্ত করতে অনতিবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপির) বৈঠক শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।
নির্বাচনকে গণতন্ত্রের বাহক আখ্যা দিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘নির্বাচনের রোডম্যাপ না দেওয়ার কারণে জনগণের মাঝে যে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে, যে প্রশ্নের উদ্রেক হচ্ছে, এটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য, আগামী দিনের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের রোডম্যাপ দিয়ে আশ্বস্ত করতে হবে জাতি গণতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে, জাতি গণতন্ত্র ফিরে পেতে যাচ্ছে।’
সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে তো আমরা বাকশাল করতে যাচ্ছি না। সবাইকে যে একমত হতে হবে, এটা যারা চিন্তা করে, সেটা তো বাকশালি চিন্তা। বিভিন্ন দলের বিভিন্ন চিন্তা, দর্শন, ভিন্ন মত থাকবে। বিষয়টা হচ্ছে, যেখানে ঐকমত্য হয়েছে, তার বাইরে সংস্কার করার কোনো সুযোগ নাই। এর বাইরে কিছু করতে গেলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে করতে হবে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো কেন জাতির সামনে তুলে ধরা হচ্ছে না, সেটাই প্রশ্ন। ইতিমধ্যে সবাই তাদের মতামত জানিয়েছে। অনেক সময় চলে গেছে। আলোচনা শেষ। এর জন্য এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগবে না। জাতি জানুক কোথায় ঐকমত্য হয়েছে। ওই ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা সনদ সই করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাই, খুব সহজ। এর বাইরে যাওয়ার তো কোনো সুযোগ নাই।’
নির্বাচনের কারণে দেশের বিনিয়োগও অনেকটা থমকে আছে বলে মনে করেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা যারা আসছেন বাংলাদেশে, তাঁদের সবার একটা প্রশ্ন—নির্বাচন কবে হবে? সবাই জানতে চায়, নির্বাচন কবে হবে। নির্বাচনের পরে তারা সিদ্ধান্ত নেবে, দেশের ভেতরের বিনিয়োগকারী, দেশের বাইরের বিনিয়োগকারী বাই নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে।’
দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির আলোচনার উদ্যোগ প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেখানে স্বাভাবিকভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার যে প্রচেষ্টা, সেটা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া হিসেবেই আমরা প্রত্যেকটি দল একে অপরের সঙ্গে কথা বলছি। একে অপরের প্রতি সহনশীল হওয়া, ভিন্ন মতকে সম্মান জানানোর অংশ হিসেবে আমরা সবার সঙ্গে আছি। সবাই মতামত দিচ্ছে। এত বছর যেটা ছিল না, সেটা করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।’
বিএনপির এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ‘রকম একটি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিএনপিকে ধন্যবাদ। আমরা সবাই উপলব্ধি করি বাংলাদেশে গত ১৬-১৭ বছরে কোনো নির্বাচন হয়নি। ২০১৪ থেকে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। মানুষের আকাঙ্ক্ষা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের সমস্যার সমাধান হবে। বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে একটা নির্বাচনের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এটা বিশ্বাস করি যে এই সরকার আমাদের সরকার এবং এই সরকার আমাদের আন্দোলনের সরকার। এই সরকার জনগণের সরকার হলেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। আমরা সব সময় এই সরকারের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।’
নির্বাচন ও সংস্কার প্রসঙ্গে পার্থ বলেন, ‘সংস্কার আমরা সবাই চাই। কিন্তু সংস্কারের নাম করে নির্বাচন যদি পেছানো হয়, দেশ অনিশ্চয়তার দিকে যায়... এমন অনিশ্চয়তার দিকে দেশকে সরকার ঠেলে দিতে পারে না। নির্বাচনের রোডম্যাপ সুনির্দিষ্ট থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনোভাবেই চাই না, এই সরকার ব্যর্থ হোক। আমরা চাই জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটুক। কোনো সংস্কারের নামে যাতে কালক্ষেপণ না হয়। যাতে নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। রোডম্যাপ মনোযোগী হওয়া উচিত সরকারের।’
বৈঠকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু এই বৈঠকে অংশ নেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে বামপন্থী দলগুলো। এ লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাই করে চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে দলগুলোর মধ্যে। নেতারা বলছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ভিত্তি ধরে নির্বাচনী পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তাঁরা।
১০ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনের পর আমলারা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ে চলমান বিসিএসগুলোর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি
৪ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংকসহ জামায়াতে ইসলামী প্রভাবিত চারটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে বিএনপির আহ্বানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দলটি। আজ রোববার এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই দাবিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনী জোট করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের মার্কায় নির্বাচন করতে হবে, যা পূর্বে জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। এই সংশোধনীর বিষয়ে এনডিএমও তীব্র আপত্তি এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাত্র দেড় মাস আগে এ রকম একটি..
৮ ঘণ্টা আগেসাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে বামপন্থী দলগুলো। এ লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাই করে চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে দলগুলোর মধ্যে। নেতারা বলছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ভিত্তি ধরে নির্বাচনী পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তাঁরা।
বাম দলগুলো বলেছে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে। দলীয় প্রার্থীদের বাইরেও প্রগতিশীল, মুক্তমনা মানুষ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সদস্যদেরও নির্বাচনে সমর্থন দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
দেশের নিবন্ধিত বামপন্থী দলগুলোর অধিকাংশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের অংশ হওয়ায় ৫ আগস্টের পর বামপন্থী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নেতৃত্বাধীন ৬ দলের সমন্বয়ে গড়া বাম গণতান্ত্রিক জোট। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই জোটের পাশাপাশি অন্য ৭টি বামপন্থী দলের জোট ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা’, বাংলাদেশ জাসদ, ঐক্য ন্যাপ এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও গণসংগঠনের সমন্বয়ে বড় বামবলয় তৈরির চেষ্টা করছেন দলগুলোর শীর্ষ নেতারা।
বাম দলগুলোর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সারা দেশের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক, বামপন্থী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো এবং ব্যক্তিদের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে কার্যক্রম চলছে। প্রার্থী বাছাইসহ সার্বিক নির্বাচনী পরিকল্পনার পেছনের অন্যতম ভিত্তি হতে যাচ্ছে দেশের ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধীনতাযুদ্ধে সরাসরি অংশ নেওয়া অনেক মুক্তিযোদ্ধাও এ বলয়ের আওতায় প্রার্থী হতে পারেন বলে জানা গেছে।
সিপিবির ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, দেড় শর বেশি আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।
অন্যদিকে বাসদের নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যে ১১০ জন প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা করেছেন। অন্যান্য বাম দল, সংগঠন, জোটের নেতারাও প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
নেতাদের কাছ থেকে জানা গেছে, দলগুলোর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা সমন্বয়ের লক্ষ্যে আগামী ৩১ অক্টোবর তাঁরা বৈঠকে বসতে পারেন। সে বিবেচনায় ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই সব প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষ হবে। এরপর আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রাথমিকভাবে কিছু আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দলগুলো বলছে, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার, শ্রমিক-কৃষকসহ শ্রমজীবী মানুষের অধিকার রক্ষায় ভূমিকা, দুর্নীতিমুক্ত ও জনসম্পৃক্ত রাজনীতির পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং এলাকায় গ্রহণযোগ্যতার দিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ৩০০ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করব। প্রার্থীরা সবাই দলীয় না-ও হতে পারেন। তাঁদের মধ্যে স্থানীয় সমাজের পরিচিত বা প্রগতিশীল ব্যক্তিরাও থাকতে পারেন। মুক্তিযুদ্ধকে আমাদের নির্বাচনী পরিকল্পনার ভিত্তি বিবেচনা করা হয়েছে। কেউ কেউ ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানকে মুক্তিযুদ্ধের বিকল্প হিসেবে দেখাতে চায়। আমরা মনে করি, এটি অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষার পরিণতি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হয়নি বলেই ’২৪ ঘটেছে।’
একাত্তরে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নেওয়া একাধিক মুক্তিযোদ্ধাও বামবলয়ের প্রার্থী তালিকায় থাকবেন বলে জানিয়েছেন বাসদ সাধারণ সম্পাদক। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সব সময় আমরা প্রাধান্য দেই। আর মুক্তিযুদ্ধকে বাদ দিয়ে গণতন্ত্রের সংগ্রাম কল্পনা করা যায় না।’ ’২৪ হলো মুক্তিযুদ্ধের অপরিণত আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ।’
জুলাই জাতীয় সনদে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-সংক্রান্ত সংবিধানের মূলনীতি অক্ষুণ্ন রাখার প্রশ্নে জোরালো অবস্থান নিয়েছে সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ। সংবিধানের চার মূলনীতিসহ ৭টি বিষয়ে সমাধান না হলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলগুলো। তাদের অভিযোগ, জুলাই সনদের মাধ্যমে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিদ্যমান সংবিধানের চার মূলনীতি বাদ দেওয়াসহ মুক্তিযুদ্ধকে অপ্রাসঙ্গিক করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ কাফি রতনও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে দৃঢ় অবস্থানের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘দেশের সংবিধানের দার্শনিক ভিত্তি রচিত হয়েছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ববর্তী ২৩ বছরের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। তা-ই প্রতিফলিত হয়েছে ১৯৭১-এর ১০ এপ্রিল গৃহীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে। সংবিধানের প্রায়োগিক বিষয় নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বহু বিষয়ে সংস্কার আনায় ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সংবিধানের দার্শনিক ভিত্তি এর চার মূলনীতি প্রশ্নে আপস করার কোনো সুযোগ নেই।’
প্রার্থী বাছাই প্রসঙ্গে সিপিবি সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে মানে এমন দেশপ্রেমিক ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিকে নিয়ে একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক ফ্রন্ট গঠনের চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক দল ছাড়াও থাকবে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, ছাত্র, শ্রমিক, খেতমজুর ও কৃষক সংগঠন, দলিত সম্প্রদায়, পাহাড়-সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ইত্যাদি। স্থানীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য নির্দলীয় ব্যক্তিদেরও প্রার্থী হিসেবে আমরা সমর্থন দেব।’
মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অনুপ্রাণিত গণতন্ত্রমনা এই জোট গঠনের লক্ষ্যে বামপন্থী দল ও সংগঠনগুলোর যৌথ উদ্যোগে আগামী ১৪ নভেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘জাতীয় সমাবেশ’ আয়োজনের কথা জানিয়েছেন বাম নেতারা। এ ছাড়াও আগামী ৩১ অক্টোবর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক কনভেনশন, ২৮ নভেম্বর গ্রাম ও শহরের শ্রমজীবী মানুষের কনভেনশন, ৫ ডিসেম্বর নারীসমাজের কনভেনশন এবং ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে বামপন্থী দলগুলো। এ লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাই করে চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে দলগুলোর মধ্যে। নেতারা বলছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ভিত্তি ধরে নির্বাচনী পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তাঁরা।
বাম দলগুলো বলেছে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে। দলীয় প্রার্থীদের বাইরেও প্রগতিশীল, মুক্তমনা মানুষ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সদস্যদেরও নির্বাচনে সমর্থন দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
দেশের নিবন্ধিত বামপন্থী দলগুলোর অধিকাংশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের অংশ হওয়ায় ৫ আগস্টের পর বামপন্থী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নেতৃত্বাধীন ৬ দলের সমন্বয়ে গড়া বাম গণতান্ত্রিক জোট। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই জোটের পাশাপাশি অন্য ৭টি বামপন্থী দলের জোট ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা’, বাংলাদেশ জাসদ, ঐক্য ন্যাপ এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও গণসংগঠনের সমন্বয়ে বড় বামবলয় তৈরির চেষ্টা করছেন দলগুলোর শীর্ষ নেতারা।
বাম দলগুলোর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সারা দেশের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক, বামপন্থী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো এবং ব্যক্তিদের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে কার্যক্রম চলছে। প্রার্থী বাছাইসহ সার্বিক নির্বাচনী পরিকল্পনার পেছনের অন্যতম ভিত্তি হতে যাচ্ছে দেশের ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধীনতাযুদ্ধে সরাসরি অংশ নেওয়া অনেক মুক্তিযোদ্ধাও এ বলয়ের আওতায় প্রার্থী হতে পারেন বলে জানা গেছে।
সিপিবির ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, দেড় শর বেশি আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।
অন্যদিকে বাসদের নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যে ১১০ জন প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা করেছেন। অন্যান্য বাম দল, সংগঠন, জোটের নেতারাও প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
নেতাদের কাছ থেকে জানা গেছে, দলগুলোর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা সমন্বয়ের লক্ষ্যে আগামী ৩১ অক্টোবর তাঁরা বৈঠকে বসতে পারেন। সে বিবেচনায় ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই সব প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষ হবে। এরপর আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রাথমিকভাবে কিছু আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দলগুলো বলছে, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার, শ্রমিক-কৃষকসহ শ্রমজীবী মানুষের অধিকার রক্ষায় ভূমিকা, দুর্নীতিমুক্ত ও জনসম্পৃক্ত রাজনীতির পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং এলাকায় গ্রহণযোগ্যতার দিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ৩০০ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করব। প্রার্থীরা সবাই দলীয় না-ও হতে পারেন। তাঁদের মধ্যে স্থানীয় সমাজের পরিচিত বা প্রগতিশীল ব্যক্তিরাও থাকতে পারেন। মুক্তিযুদ্ধকে আমাদের নির্বাচনী পরিকল্পনার ভিত্তি বিবেচনা করা হয়েছে। কেউ কেউ ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানকে মুক্তিযুদ্ধের বিকল্প হিসেবে দেখাতে চায়। আমরা মনে করি, এটি অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষার পরিণতি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হয়নি বলেই ’২৪ ঘটেছে।’
একাত্তরে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নেওয়া একাধিক মুক্তিযোদ্ধাও বামবলয়ের প্রার্থী তালিকায় থাকবেন বলে জানিয়েছেন বাসদ সাধারণ সম্পাদক। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সব সময় আমরা প্রাধান্য দেই। আর মুক্তিযুদ্ধকে বাদ দিয়ে গণতন্ত্রের সংগ্রাম কল্পনা করা যায় না।’ ’২৪ হলো মুক্তিযুদ্ধের অপরিণত আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ।’
জুলাই জাতীয় সনদে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-সংক্রান্ত সংবিধানের মূলনীতি অক্ষুণ্ন রাখার প্রশ্নে জোরালো অবস্থান নিয়েছে সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ। সংবিধানের চার মূলনীতিসহ ৭টি বিষয়ে সমাধান না হলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলগুলো। তাদের অভিযোগ, জুলাই সনদের মাধ্যমে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিদ্যমান সংবিধানের চার মূলনীতি বাদ দেওয়াসহ মুক্তিযুদ্ধকে অপ্রাসঙ্গিক করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ কাফি রতনও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে দৃঢ় অবস্থানের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘দেশের সংবিধানের দার্শনিক ভিত্তি রচিত হয়েছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ববর্তী ২৩ বছরের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। তা-ই প্রতিফলিত হয়েছে ১৯৭১-এর ১০ এপ্রিল গৃহীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে। সংবিধানের প্রায়োগিক বিষয় নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বহু বিষয়ে সংস্কার আনায় ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সংবিধানের দার্শনিক ভিত্তি এর চার মূলনীতি প্রশ্নে আপস করার কোনো সুযোগ নেই।’
প্রার্থী বাছাই প্রসঙ্গে সিপিবি সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে মানে এমন দেশপ্রেমিক ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিকে নিয়ে একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক ফ্রন্ট গঠনের চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক দল ছাড়াও থাকবে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, ছাত্র, শ্রমিক, খেতমজুর ও কৃষক সংগঠন, দলিত সম্প্রদায়, পাহাড়-সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ইত্যাদি। স্থানীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য নির্দলীয় ব্যক্তিদেরও প্রার্থী হিসেবে আমরা সমর্থন দেব।’
মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অনুপ্রাণিত গণতন্ত্রমনা এই জোট গঠনের লক্ষ্যে বামপন্থী দল ও সংগঠনগুলোর যৌথ উদ্যোগে আগামী ১৪ নভেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘জাতীয় সমাবেশ’ আয়োজনের কথা জানিয়েছেন বাম নেতারা। এ ছাড়াও আগামী ৩১ অক্টোবর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক কনভেনশন, ২৮ নভেম্বর গ্রাম ও শহরের শ্রমজীবী মানুষের কনভেনশন, ৫ ডিসেম্বর নারীসমাজের কনভেনশন এবং ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের রোডম্যাপ না দেওয়ার কারণে জনগণের মাঝে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে, যা ভালো কিছু বয়ে আনবে না—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ অবস্থায় জাতিকে সংশয়মুক্ত করতে অনতিবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি
২৭ এপ্রিল ২০২৫
জুলাই আন্দোলনের পর আমলারা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ে চলমান বিসিএসগুলোর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি
৪ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংকসহ জামায়াতে ইসলামী প্রভাবিত চারটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে বিএনপির আহ্বানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দলটি। আজ রোববার এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই দাবিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনী জোট করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের মার্কায় নির্বাচন করতে হবে, যা পূর্বে জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। এই সংশোধনীর বিষয়ে এনডিএমও তীব্র আপত্তি এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাত্র দেড় মাস আগে এ রকম একটি..
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই আন্দোলনের পর আমলারা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ে চলমান বিসিএসগুলোর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সব জায়গায় গুন্ডামি চালাচ্ছে। জুলাই আন্দোলনের পর সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে আমলারা, কিন্তু চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। পিএসসি চায় আর্থিক ও কার্যকর স্বায়ত্তশাসন, কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পিএসসির মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। চাকরি প্রার্থীরা এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নোটবুকের বাইরে।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আমলাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ভাগ-বাঁটোয়ারা ও পোস্টিং-প্রমোশন নিয়েই ব্যস্ত। ৫ আগস্টের পর কেউ সবচেয়ে বেশি বেনিফিট পেয়ে থাকলে, তা হলো আমলারা।’
আমলাতান্ত্রিক জটিলতার সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, ‘সচিবালয়ে এখনো মধ্যযুগীয় চিন্তাভাবনা চলছে। ২০১ নম্বর রুম থেকে ২০২ নম্বর রুমে একটা চিঠি পাঠাতে গেলেও সেটা প্রথমে জিপিওতে যায়, পরে আবার ফিরে আসে। অথচ তারা একসঙ্গে বসে চা খায়, ব্যবসাও করে, কিন্তু অফিশিয়াল কাজের ক্ষেত্রে এই সনাতনী প্রক্রিয়া বজায় রাখে।’
সচিবালয়ের কর্মকর্তারা প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে জানিয়ে হাসনাত বলেন, ‘একজন সচিব এখনো বাটন ফোন ব্যবহার করেন, এটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এই যুগে এসে বাটন ফোন ব্যবহার করাকে অযোগ্যতা হিসেবেই দেখা উচিত।’
হাসনাত বলেন, ‘আমাদের প্রশাসনের পুরো চেহারা বদলাতে হবে। মাঝে মাঝে মনে হয়, মাইলস্টোনে যে বিমানটা পড়েছিল, সেটা যদি সচিবালয়ে পড়ত, তাহলে ভালো হতো।’
রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের নোটবুকেও আমরা নেই। তাঁরা শুধু নির্বাচন, আসন ভাগাভাগি আর মন্ত্রণালয় ভাগাভাগি নিয়েই ব্যস্ত। চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে কেউ ভাবেন না। কোনো আন্দোলন হলে তখনই তাঁরা মাঠে নামেন, যাতে তাঁদের পোর্টফোলিও ভারী হয়।’
এদিন হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে এনসিপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পিএসসির কাছে ১৫ দফা প্রস্তাবনা জমা দেয়। এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও যুগ্ম সদস্যসচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া।

জুলাই আন্দোলনের পর আমলারা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ে চলমান বিসিএসগুলোর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সব জায়গায় গুন্ডামি চালাচ্ছে। জুলাই আন্দোলনের পর সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে আমলারা, কিন্তু চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। পিএসসি চায় আর্থিক ও কার্যকর স্বায়ত্তশাসন, কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পিএসসির মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। চাকরি প্রার্থীরা এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নোটবুকের বাইরে।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আমলাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ভাগ-বাঁটোয়ারা ও পোস্টিং-প্রমোশন নিয়েই ব্যস্ত। ৫ আগস্টের পর কেউ সবচেয়ে বেশি বেনিফিট পেয়ে থাকলে, তা হলো আমলারা।’
আমলাতান্ত্রিক জটিলতার সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, ‘সচিবালয়ে এখনো মধ্যযুগীয় চিন্তাভাবনা চলছে। ২০১ নম্বর রুম থেকে ২০২ নম্বর রুমে একটা চিঠি পাঠাতে গেলেও সেটা প্রথমে জিপিওতে যায়, পরে আবার ফিরে আসে। অথচ তারা একসঙ্গে বসে চা খায়, ব্যবসাও করে, কিন্তু অফিশিয়াল কাজের ক্ষেত্রে এই সনাতনী প্রক্রিয়া বজায় রাখে।’
সচিবালয়ের কর্মকর্তারা প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে জানিয়ে হাসনাত বলেন, ‘একজন সচিব এখনো বাটন ফোন ব্যবহার করেন, এটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এই যুগে এসে বাটন ফোন ব্যবহার করাকে অযোগ্যতা হিসেবেই দেখা উচিত।’
হাসনাত বলেন, ‘আমাদের প্রশাসনের পুরো চেহারা বদলাতে হবে। মাঝে মাঝে মনে হয়, মাইলস্টোনে যে বিমানটা পড়েছিল, সেটা যদি সচিবালয়ে পড়ত, তাহলে ভালো হতো।’
রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের নোটবুকেও আমরা নেই। তাঁরা শুধু নির্বাচন, আসন ভাগাভাগি আর মন্ত্রণালয় ভাগাভাগি নিয়েই ব্যস্ত। চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে কেউ ভাবেন না। কোনো আন্দোলন হলে তখনই তাঁরা মাঠে নামেন, যাতে তাঁদের পোর্টফোলিও ভারী হয়।’
এদিন হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে এনসিপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পিএসসির কাছে ১৫ দফা প্রস্তাবনা জমা দেয়। এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও যুগ্ম সদস্যসচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের রোডম্যাপ না দেওয়ার কারণে জনগণের মাঝে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে, যা ভালো কিছু বয়ে আনবে না—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ অবস্থায় জাতিকে সংশয়মুক্ত করতে অনতিবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি
২৭ এপ্রিল ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে বামপন্থী দলগুলো। এ লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাই করে চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে দলগুলোর মধ্যে। নেতারা বলছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ভিত্তি ধরে নির্বাচনী পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তাঁরা।
১০ মিনিট আগে
ইসলামী ব্যাংকসহ জামায়াতে ইসলামী প্রভাবিত চারটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে বিএনপির আহ্বানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দলটি। আজ রোববার এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই দাবিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনী জোট করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের মার্কায় নির্বাচন করতে হবে, যা পূর্বে জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। এই সংশোধনীর বিষয়ে এনডিএমও তীব্র আপত্তি এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাত্র দেড় মাস আগে এ রকম একটি..
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইসলামী ব্যাংকসহ জামায়াতে ইসলামী প্রভাবিত চারটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে বিএনপির আহ্বানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দলটি। আজ রোববার এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই দাবিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেন।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘গত ২৩ অক্টোবর দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও ইবনে সিনা হাসপাতালসহ বিভিন্ন সেবামূলক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনী দায়িত্ব না দেওয়ার যে আহ্বান জানিয়েছেন—তাতে আমি উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমরা মনে করি, এ দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অযৌক্তিক ও সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এর পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।’
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘ওই প্রতিষ্ঠানগুলো অরাজনৈতিক ও সেবামূলক। তারা দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। ধর্মবর্ণ-নির্বিশেষে দেশের সর্বস্তরের মানুষ এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সেবাগ্রহণ করে সন্তুষ্ট। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন—তাঁদের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘দেশবাসী মনে করে, যদি রাজনৈতিক দলগুলো এভাবে সেবামূলক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন দাবি উত্থাপন করতে থাকে, তবে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়েই অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। নির্বাচন কমিশন যদি এ ধরনের ঠুনকো, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর দাবি গ্রহণ করে, তবে ভবিষ্যতে আরও অনেক অনর্থক দাবি উঠবে, যা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।’
বিএনপির এই ‘বিভ্রান্তিকর, অমূলক, ঠুনকো ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি আমলে না নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ইসলামী ব্যাংকসহ জামায়াতে ইসলামী প্রভাবিত চারটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে বিএনপির আহ্বানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দলটি। আজ রোববার এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই দাবিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেন।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘গত ২৩ অক্টোবর দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও ইবনে সিনা হাসপাতালসহ বিভিন্ন সেবামূলক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনী দায়িত্ব না দেওয়ার যে আহ্বান জানিয়েছেন—তাতে আমি উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমরা মনে করি, এ দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অযৌক্তিক ও সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এর পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।’
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘ওই প্রতিষ্ঠানগুলো অরাজনৈতিক ও সেবামূলক। তারা দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। ধর্মবর্ণ-নির্বিশেষে দেশের সর্বস্তরের মানুষ এসব প্রতিষ্ঠান থেকে সেবাগ্রহণ করে সন্তুষ্ট। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন—তাঁদের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘দেশবাসী মনে করে, যদি রাজনৈতিক দলগুলো এভাবে সেবামূলক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন দাবি উত্থাপন করতে থাকে, তবে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়েই অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। নির্বাচন কমিশন যদি এ ধরনের ঠুনকো, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর দাবি গ্রহণ করে, তবে ভবিষ্যতে আরও অনেক অনর্থক দাবি উঠবে, যা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।’
বিএনপির এই ‘বিভ্রান্তিকর, অমূলক, ঠুনকো ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি আমলে না নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের রোডম্যাপ না দেওয়ার কারণে জনগণের মাঝে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে, যা ভালো কিছু বয়ে আনবে না—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ অবস্থায় জাতিকে সংশয়মুক্ত করতে অনতিবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি
২৭ এপ্রিল ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে বামপন্থী দলগুলো। এ লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাই করে চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে দলগুলোর মধ্যে। নেতারা বলছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ভিত্তি ধরে নির্বাচনী পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তাঁরা।
১০ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনের পর আমলারা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ে চলমান বিসিএসগুলোর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি
৪ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনী জোট করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের মার্কায় নির্বাচন করতে হবে, যা পূর্বে জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। এই সংশোধনীর বিষয়ে এনডিএমও তীব্র আপত্তি এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাত্র দেড় মাস আগে এ রকম একটি..
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করলে রাজনৈতিক দলগুলোর জোটের যেকোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ চায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)। আজ রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের বরাবর দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। এনডিএমের দপ্তর সম্পাদক জাবেদুর রহমান জনি সিইসির কার্যালয়ে এই চিঠি জমা দেন।
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনী জোট করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের মার্কায় নির্বাচন করতে হবে, যা পূর্বে জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। এই সংশোধনীর বিষয়ে এনডিএম তীব্র আপত্তি এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাত্র দেড় মাস আগে এ রকম একটি বিধান চালুকে আমরা দুরভিসন্ধিমূলক বলে মনে করছি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নির্বাচনী জোট খুবই স্বতঃসিদ্ধ একটি প্রক্রিয়া এবং সাধারণত জোটের নেতৃত্বদানকারী দলের মার্কায় নির্বাচন করার মাধ্যমেই সেই জোটের শক্তিমত্তা প্রকাশ পায়। কোনো আইনের মাধ্যমে এই গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার এখতিয়ার কারও নেই। একটি রাজনৈতিক দল জোটবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে পারলে কেন জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার জন্য নিজস্ব মার্কায় নির্বাচন করতে আইনগতভাবে বাধ্য থাকবে তার কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা নাই।
চিঠিতে বলা হয়, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নেওয়ার সময় এই শর্ত ছিল না যে, নিজস্ব মার্কায় নির্বাচন করতে বাধ্য থাকবে বরং এটা ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। নির্বাচনের মাত্র সাড়ে তিন মাস আগে এ ধরনের বিধান চালুর অর্থ হলো পর্যাপ্ত সময় না দিয়েই রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী কৌশল এবং প্রস্তুতিতে বাধা সৃষ্টি করা। আমরা জোটবদ্ধ নির্বাচন করলে রাজনৈতিক দলগুলো যাতে জোটের যেকোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করার স্বাধীনতা লাভ করে—এ-সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২-এর পূর্বের বিধান বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে বিএনপির দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে জোটের ভোটে দলগুলো ইচ্ছেমতো প্রতীক ব্যবহার করার একই দাবি জানায়।

জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করলে রাজনৈতিক দলগুলোর জোটের যেকোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ চায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)। আজ রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের বরাবর দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। এনডিএমের দপ্তর সম্পাদক জাবেদুর রহমান জনি সিইসির কার্যালয়ে এই চিঠি জমা দেন।
চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনী জোট করলেও প্রার্থীকে নিজ দলের মার্কায় নির্বাচন করতে হবে, যা পূর্বে জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। এই সংশোধনীর বিষয়ে এনডিএম তীব্র আপত্তি এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাত্র দেড় মাস আগে এ রকম একটি বিধান চালুকে আমরা দুরভিসন্ধিমূলক বলে মনে করছি।
চিঠিতে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নির্বাচনী জোট খুবই স্বতঃসিদ্ধ একটি প্রক্রিয়া এবং সাধারণত জোটের নেতৃত্বদানকারী দলের মার্কায় নির্বাচন করার মাধ্যমেই সেই জোটের শক্তিমত্তা প্রকাশ পায়। কোনো আইনের মাধ্যমে এই গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার এখতিয়ার কারও নেই। একটি রাজনৈতিক দল জোটবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে পারলে কেন জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার জন্য নিজস্ব মার্কায় নির্বাচন করতে আইনগতভাবে বাধ্য থাকবে তার কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা নাই।
চিঠিতে বলা হয়, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নেওয়ার সময় এই শর্ত ছিল না যে, নিজস্ব মার্কায় নির্বাচন করতে বাধ্য থাকবে বরং এটা ইচ্ছাধীন বিষয় ছিল। নির্বাচনের মাত্র সাড়ে তিন মাস আগে এ ধরনের বিধান চালুর অর্থ হলো পর্যাপ্ত সময় না দিয়েই রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী কৌশল এবং প্রস্তুতিতে বাধা সৃষ্টি করা। আমরা জোটবদ্ধ নির্বাচন করলে রাজনৈতিক দলগুলো যাতে জোটের যেকোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করার স্বাধীনতা লাভ করে—এ-সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২-এর পূর্বের বিধান বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে বিএনপির দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে জোটের ভোটে দলগুলো ইচ্ছেমতো প্রতীক ব্যবহার করার একই দাবি জানায়।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের রোডম্যাপ না দেওয়ার কারণে জনগণের মাঝে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে, যা ভালো কিছু বয়ে আনবে না—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ অবস্থায় জাতিকে সংশয়মুক্ত করতে অনতিবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি
২৭ এপ্রিল ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে বামপন্থী দলগুলো। এ লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাই করে চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে দলগুলোর মধ্যে। নেতারা বলছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ভিত্তি ধরে নির্বাচনী পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তাঁরা।
১০ মিনিট আগে
জুলাই আন্দোলনের পর আমলারা সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ে চলমান বিসিএসগুলোর অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি
৪ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংকসহ জামায়াতে ইসলামী প্রভাবিত চারটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে বিএনপির আহ্বানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দলটি। আজ রোববার এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই দাবিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেন।
৬ ঘণ্টা আগে