নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে গুম-খুন বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে শুধু ‘হাস্যকর’ নয়, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুম হয়ে যাওয়াদের অনেকের ভূমধ্যসাগরে সলিলসমাধি হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই দাবির বিপরীতে জিজ্ঞাসা রেখেছেন বিএনপি মহাসচিব।
আজ সোমবার রাজধানীর পান্থপথের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজকে দেখতে যান মির্জা ফখরুল। সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যাদের সন্তান গেছে, স্বামী গেছে, যাদের পরিজন গেছে, সবাই জানে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁদের তুলে নিয়ে গেছে। এই সরকার এখন পর্যন্ত সেই জবাব দেয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, ভূমধ্যসাগরে যাদের সলিলসমাধি হয়েছে, তাঁদের নামগুলো প্রকাশ করুন। যারা গুম হয়ে গেছে, তাঁদের মধ্যে কারা কারা গেছে? আমরা মনে করব যে, আপনারা জানেন, কাদের আপনারা সলিলসমাধি করেছেন। আমি জিনিসটা জানতে চাই।’
মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বলতে গিয়ে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে বাংলাদেশের সরকারের কোনো পার্থক্য নেই বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সরকারের যে চরিত্র, মিয়ানমারের সরকারেরও একই চরিত্র। ওরা মিলিটারি জান্তা। মিলিটারি জান্তার সঙ্গে এদের কোনো পার্থক্য নেই। এরা জনগণকে বন্দুকের নল দিয়ে দমিয়ে রাখছে, মানুষের আশা-আকাঙ্খাগুলোকে তাঁরা ধ্বংস করে দিচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টা এখন গোটা বিশ্বে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। কারণ এরই মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দেশের কয়েকজন কর্মকর্তাকে, আইন শৃঙ্খলা সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তাকে, র্যাবের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এ রকম নিষেধাজ্ঞা তখনই আসে, যখন একটা দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়, জনগণকে নির্যাতন করা হয় এবং জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করে সরকার।’
এ সময় গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, আজিজের ওপর গুরুতর হামলা করা হয়েছে। তাঁর পঙ্গু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর ওপর হামলা করা হয়েছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রশ্রয়ে এই হামলা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
গতকাল রোববার নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর ওপরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অনেকটা বেড়েছে। ভয়ভীতি ত্রাস সৃষ্টি করে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। দেশের জনগণ কখনই এ ধরনের নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করেনি। গণতন্ত্রকে হত্যা করাও কখনো মানুষ মেনে নেয়নি। জনগণ সংগ্রামের মধ্য দিয়েই তাদের অধিকারকে ফিরিয়ে আনবে।’
বাংলাদেশে গুম-খুন বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে শুধু ‘হাস্যকর’ নয়, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুম হয়ে যাওয়াদের অনেকের ভূমধ্যসাগরে সলিলসমাধি হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই দাবির বিপরীতে জিজ্ঞাসা রেখেছেন বিএনপি মহাসচিব।
আজ সোমবার রাজধানীর পান্থপথের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজকে দেখতে যান মির্জা ফখরুল। সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যাদের সন্তান গেছে, স্বামী গেছে, যাদের পরিজন গেছে, সবাই জানে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁদের তুলে নিয়ে গেছে। এই সরকার এখন পর্যন্ত সেই জবাব দেয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, ভূমধ্যসাগরে যাদের সলিলসমাধি হয়েছে, তাঁদের নামগুলো প্রকাশ করুন। যারা গুম হয়ে গেছে, তাঁদের মধ্যে কারা কারা গেছে? আমরা মনে করব যে, আপনারা জানেন, কাদের আপনারা সলিলসমাধি করেছেন। আমি জিনিসটা জানতে চাই।’
মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বলতে গিয়ে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে বাংলাদেশের সরকারের কোনো পার্থক্য নেই বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সরকারের যে চরিত্র, মিয়ানমারের সরকারেরও একই চরিত্র। ওরা মিলিটারি জান্তা। মিলিটারি জান্তার সঙ্গে এদের কোনো পার্থক্য নেই। এরা জনগণকে বন্দুকের নল দিয়ে দমিয়ে রাখছে, মানুষের আশা-আকাঙ্খাগুলোকে তাঁরা ধ্বংস করে দিচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টা এখন গোটা বিশ্বে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। কারণ এরই মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দেশের কয়েকজন কর্মকর্তাকে, আইন শৃঙ্খলা সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তাকে, র্যাবের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এ রকম নিষেধাজ্ঞা তখনই আসে, যখন একটা দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়, জনগণকে নির্যাতন করা হয় এবং জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করে সরকার।’
এ সময় গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, আজিজের ওপর গুরুতর হামলা করা হয়েছে। তাঁর পঙ্গু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর ওপর হামলা করা হয়েছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রশ্রয়ে এই হামলা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
গতকাল রোববার নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর ওপরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অনেকটা বেড়েছে। ভয়ভীতি ত্রাস সৃষ্টি করে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। দেশের জনগণ কখনই এ ধরনের নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করেনি। গণতন্ত্রকে হত্যা করাও কখনো মানুষ মেনে নেয়নি। জনগণ সংগ্রামের মধ্য দিয়েই তাদের অধিকারকে ফিরিয়ে আনবে।’
সম্প্রতি লন্ডনে শেখ হাসিনার একটি ভার্চ্যুয়াল সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী–এমপিদের দেখা গিয়েছিল। এবার প্রকাশ্যে দেখা গেল সাবেক নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে। তাঁকে লন্ডনে প্রকাশ্যে লিফলেট বিতরণ করতে দেখা গেছে।
৩৬ মিনিট আগেইনাম আহমদ চৌধুরী ১৯৯৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন। এরপর ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর দলের ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছিল তাঁকে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক কর্মসূচি দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘গুলিবর্ষণের ক্ষমতা’ চিরতরে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আন্দোলন দমাতে গুলি করে হত্যার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, সেখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সফররত ব্রিটিশ মানবাধিকারবিষয়ক রাষ্ট্রদূত এলেনর স্যান্ডার্সের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির দুই নেতা। আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটায় ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১৭ ঘণ্টা আগে