Ajker Patrika

গোয়েন্দা রিপোর্টকে ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা’র মোড়কে উপস্থাপন করা হচ্ছে: এনসিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০১ জুন ২০২৫, ১৬: ২৯
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

গোয়েন্দা সংস্থার তথাকথিত ‘রেডিমেড’ রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলামকে জড়িয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দলটি। দলটি বলছে, বিভিন্ন গণমাধ্যম গোয়েন্দা রিপোর্টকে ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা’র মোড়কে উপস্থাপন করছে।

আজ শনিবার (৩১ মে) দলের যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের পাঠানো এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ ধরনের প্রতিবেদনগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সংশোধনের দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানবজমিন, কালবেলা, কালের কণ্ঠ, এনটিভিসহ একাধিক গণমাধ্যম ‘সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে’ আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এনসিপি এ ধরনের ‘ক্লিকবেইট ও শিকারি সাংবাদিকতা’কে ফ্যাসিবাদী কায়দায় পরিচালিত প্রচারযন্ত্রের পুনরাবৃত্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে।

প্রসঙ্গত, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে এই প্রতিবেদনগুলো প্রকাশিত হয়। তবে এনসিপির ভাষ্য অনুযায়ী, আতিক মোর্শেদ বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের অধীনে কর্মরত। এ ছাড়া গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এনসিপি আহ্বায়ক পরিষ্কার করেছেন যে উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত থাকাবস্থায় ‘নগদ’ বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে ছিল। ফলে নগদ-সংক্রান্ত ব্যাপারে তাঁকে জড়িয়ে এমন প্রতিবেদন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

এনসিপির দাবি, গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে ‘গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথাকথিত গোয়েন্দা প্রতিবেদন’কে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মোড়কে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা সাংবাদিকতার ন্যূনতম মানদণ্ড ও দায়িত্ববোধ লঙ্ঘন করে। এতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, বিশেষ করে এক-এগারো আমলের ‘ফরমায়েশি রিপোর্টিং’য়ের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা বলে দলটি প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের মিডিয়া সেল থেকে ধারাবাহিকভাবে এনসিপি এবং মো. নাহিদ ইসলামকে নিয়ে ‘ফটোকার্ড’ প্রকাশ করা হয়েছে, যা এনসিপি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছে।

এনসিপির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমের কাছে বিভ্রান্তিকর তথ্যের অবিলম্বে সংশোধন ও দুঃখপ্রকাশের আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে দলটি দাবি করেছে, গণমাধ্যমের মালিকানা ও সম্পাদনা পর্যায়ে এখনো রাজনৈতিক দখলদারত্ব এবং অলিগার্ক মাফিয়াদের সরাসরি প্রভাব রয়েছে। এতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা হুমকির মুখে পড়েছে বলে উল্লেখ করে এনসিপি।

বিজ্ঞপ্তির একপর্যায়ে বলা হয়, ‘গণমাধ্যমের মালিকানা ও পদের হাতবদল হয়েছে শুধু, গুণগত কোনো পরিবর্তন আসেনি।’ এনসিপি মনে করে, এই পরিস্থিতি পরিবর্তনে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন অবিলম্বে বাস্তবায়ন জরুরি।

সবশেষে এনসিপি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমে ফ্যাসিবাদী ও দলীয় প্রভাব মোকাবিলায় জনগণের পক্ষ নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় শুধু একটি দল—প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের যে ব্যাখ্যা দিল প্রেস উইং

মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র হাতে লড়েছিলেন বলেই কি জামিন পেলেন না অধ্যাপক আনোয়ারা

হঠাৎ ব্যাংকের ভেতরে সবাই অচেতন

সৌদি আরবে পুরুষের ‘অবাধ্য’ হলে নারীর যে পরিণতি হয়

নাহিদের সাবেক পিএ আতিক মোর্শেদের স্ত্রী জুঁইকে দুদকে তলব

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত