নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অর্থ, পরিকল্পনা ও আইন উপদেষ্টাকে একহাত নিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে শিক্ষা খাত ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য ওয়াহিদউদ্দিন ভাই কাজ করছেন, অর্থনৈতিক খাত ধ্বংসের জন্য সালেহউদ্দিন ভাই আর আইন মন্ত্রণালয় ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করছেন আসিফ নজরুল। আমরা বাধ্য করব এসব উপদেষ্টাকে পদত্যাগে।’
আজ বুধবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন ও দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এ মাঠে কুসুম-কুসুম খেলা চলবে না। এবার কর্মসূচি দিয়ে তাঁদের পদত্যাগে বাধ্য করব।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে পাটোয়ারী বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে অবশ্যই স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে। স্থানীয় নির্বাচন ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হবে না। যত দিন এনসিপি থাকবে, তত দিন এই দাবি থেকে আমরা একচুলও সরব না।’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ দাবির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিলাম; সেটা হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের তৈরি নির্বাচন কমিশন ও সংবিধান এখনো নিষিদ্ধ হয়নি।’
উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে পাটওয়ারী বলেন, ‘ঘোষণাপত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। একবার ছাত্র-জনতাকে মুলা দেখিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা রাখেননি। এটা বিশ্বাসঘাতকতা। এবার যদি কোনো হেরফের হয়, আসিফ নজরুল বাংলাদেশে থাকবেন কি না, তা বলা মুশকিল। জনগণের সঙ্গে অনেক বাটপারি হয়েছে, বেইমানি হয়েছে। আপনি (আসিফ নজরুল) এই বেইমানি নিয়ে সরকারি অফিসে আসতে পারেন না।’
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, ইসি পুনর্গঠন না হলে বর্তমান ইসির অধীনে নির্বাচনে যাবে না এনসিপি। অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টাকে বিএনপির মুখপাত্র বলে মন্তব্য করেন এই এনসিপি নেতা।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ২০২২ সালের আইন অনুযায়ী বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হলেও সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কথা না বলে একটি দলের মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করছে, যা দেশের জন্য লজ্জাজনক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেরানোর জন্য এবং মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে যদি সঠিকভাবে গঠন না করা যায়, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আমরা মনে করি না। তাই নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ইসির ফিটনেস আছে কি না, তার প্রথম কেস হিসেবে আমরা ধরে নেব স্থানীয় সরকার নির্বাচন। যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন সুন্দরভাবে আয়োজন করতে পারে, তাহলে আমরা মনে করব, এই কমিশনের ফিটনেস রয়েছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনার জন্য।’
রকিব উদ্দীন কমিশন থেকে শুরু করে যারা নির্বাচনের নামে নাটক মঞ্চস্থ করেছে, যারা দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর ছুরি চালিয়েছে, তারা এখনো দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি। গত ১৫ বছরে হাসিনা রেজিমের সঙ্গে যারা ছিল, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। যদি না আনা হয়, তাহলে ছাত্র-জনতা তাদের নিজ হাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেবে।
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা জনসেবা উপেক্ষা করে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন, আজ পুরো ঢাকা অবরুদ্ধ। জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। এখনো নির্বাচন হয়নি, আর আপনারা আগেই জোর-জবরদস্তি শুরু করেছেন। নির্বাচন হলে তো আপনারা হাসিনার চেয়েও বড় ফ্যাসিস্ট হিসেবে আবির্ভূত হবেন।
শেষে পাটওয়ারী বলেন, আমরা অপেক্ষায় আছি—ঘোষণাপত্র আসবে, ইসি পুনর্গঠন হবে, স্থানীয় নির্বাচন ও গণপরিষদ নির্বাচন হবে এবং আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ পাব—এই প্রত্যাশায় আজকের বিক্ষোভ শেষ করছি।
এর আগে বিক্ষোভ সমাবেশে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, আমরা আজকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও ইসি পুনর্গঠনের দাবিতে এখানে একত্র হয়েছি। এ দাবিগুলো মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে। কিন্তু আমরা বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ করছি নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। এ কারণে আমরা এখানে বিক্ষোভ করছি।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, দুপুর ১২টা থেকে ইসির সামনে জড়ো হন এনসিপি নেতা-কর্মীরা। বেলা সোয়া ১টার দিকে নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে নির্বাচন ভবনের মূল গেটের সামনে তাঁরা অবস্থান নেন। এনসিপি ঢাকা মহানগর কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
অর্থ, পরিকল্পনা ও আইন উপদেষ্টাকে একহাত নিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে শিক্ষা খাত ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য ওয়াহিদউদ্দিন ভাই কাজ করছেন, অর্থনৈতিক খাত ধ্বংসের জন্য সালেহউদ্দিন ভাই আর আইন মন্ত্রণালয় ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করছেন আসিফ নজরুল। আমরা বাধ্য করব এসব উপদেষ্টাকে পদত্যাগে।’
আজ বুধবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন ও দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এ মাঠে কুসুম-কুসুম খেলা চলবে না। এবার কর্মসূচি দিয়ে তাঁদের পদত্যাগে বাধ্য করব।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে পাটোয়ারী বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে অবশ্যই স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে। স্থানীয় নির্বাচন ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হবে না। যত দিন এনসিপি থাকবে, তত দিন এই দাবি থেকে আমরা একচুলও সরব না।’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ দাবির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিলাম; সেটা হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের তৈরি নির্বাচন কমিশন ও সংবিধান এখনো নিষিদ্ধ হয়নি।’
উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে পাটওয়ারী বলেন, ‘ঘোষণাপত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। একবার ছাত্র-জনতাকে মুলা দেখিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা রাখেননি। এটা বিশ্বাসঘাতকতা। এবার যদি কোনো হেরফের হয়, আসিফ নজরুল বাংলাদেশে থাকবেন কি না, তা বলা মুশকিল। জনগণের সঙ্গে অনেক বাটপারি হয়েছে, বেইমানি হয়েছে। আপনি (আসিফ নজরুল) এই বেইমানি নিয়ে সরকারি অফিসে আসতে পারেন না।’
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, ইসি পুনর্গঠন না হলে বর্তমান ইসির অধীনে নির্বাচনে যাবে না এনসিপি। অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টাকে বিএনপির মুখপাত্র বলে মন্তব্য করেন এই এনসিপি নেতা।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ২০২২ সালের আইন অনুযায়ী বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হলেও সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কথা না বলে একটি দলের মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করছে, যা দেশের জন্য লজ্জাজনক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেরানোর জন্য এবং মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে যদি সঠিকভাবে গঠন না করা যায়, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আমরা মনে করি না। তাই নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ইসির ফিটনেস আছে কি না, তার প্রথম কেস হিসেবে আমরা ধরে নেব স্থানীয় সরকার নির্বাচন। যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন সুন্দরভাবে আয়োজন করতে পারে, তাহলে আমরা মনে করব, এই কমিশনের ফিটনেস রয়েছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনার জন্য।’
রকিব উদ্দীন কমিশন থেকে শুরু করে যারা নির্বাচনের নামে নাটক মঞ্চস্থ করেছে, যারা দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর ছুরি চালিয়েছে, তারা এখনো দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি। গত ১৫ বছরে হাসিনা রেজিমের সঙ্গে যারা ছিল, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। যদি না আনা হয়, তাহলে ছাত্র-জনতা তাদের নিজ হাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেবে।
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা জনসেবা উপেক্ষা করে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন, আজ পুরো ঢাকা অবরুদ্ধ। জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। এখনো নির্বাচন হয়নি, আর আপনারা আগেই জোর-জবরদস্তি শুরু করেছেন। নির্বাচন হলে তো আপনারা হাসিনার চেয়েও বড় ফ্যাসিস্ট হিসেবে আবির্ভূত হবেন।
শেষে পাটওয়ারী বলেন, আমরা অপেক্ষায় আছি—ঘোষণাপত্র আসবে, ইসি পুনর্গঠন হবে, স্থানীয় নির্বাচন ও গণপরিষদ নির্বাচন হবে এবং আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ পাব—এই প্রত্যাশায় আজকের বিক্ষোভ শেষ করছি।
এর আগে বিক্ষোভ সমাবেশে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, আমরা আজকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও ইসি পুনর্গঠনের দাবিতে এখানে একত্র হয়েছি। এ দাবিগুলো মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে। কিন্তু আমরা বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ করছি নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। এ কারণে আমরা এখানে বিক্ষোভ করছি।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, দুপুর ১২টা থেকে ইসির সামনে জড়ো হন এনসিপি নেতা-কর্মীরা। বেলা সোয়া ১টার দিকে নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে নির্বাচন ভবনের মূল গেটের সামনে তাঁরা অবস্থান নেন। এনসিপি ঢাকা মহানগর কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
শুধু এনসিপির নেতা না হয়ে বাংলাদেশের নেতা হয়ে উঠতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আহ্বান জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। বুধবার বিকেলে রাজধানীর মগবাজারের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।
১৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত অধিকাংশ সংস্কার প্রস্তাবে প্রায় সব দল একমত হওয়ার পরও কমিশন কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা কেন করা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ফ্যাসিবাদ,
১৪ ঘণ্টা আগেবিএনপিকে নিয়ে অপতথ্য ও কুৎসা রটানোর অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। এ ব্যাপারে শক্ত জবাব দিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ‘যারা বলে, বিএনপি এলে নাকি আবার স্বৈরতন্ত্র হবে, তাদের উদ্দেশে বলি, এসব গল্পকাহিনি, গালগল্প দিয়ে বাংলাদেশের...
১৫ ঘণ্টা আগেবিদেশ ভ্রমণের টিকিট দিলে আমলারা অনেক কিছু স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত থাকেন বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, আমলাদের পরিবারসহ বিদেশ ভ্রমণের টিকিট দিলে তাঁরা অনেক কিছু স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত থাকেন।
১৬ ঘণ্টা আগে