আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আজ শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের ইতিহাসের প্রথম জাতীয় সমাবেশ করছে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং ঐতিহাসিক আয়োজনের প্রস্তুতি লক্ষ করা যাচ্ছে।
জামায়াতে ইসলামী এই সমাবেশকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ এবং ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ঐতিহাসিক মহড়া’ হিসেবে দেখছে। সাত দফা দাবির মাধ্যমে দলটি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চাইছে। এই দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু দিক হলো:
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা: জামায়াত চায়, আসন্ন নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ ও পরিবেশ নিশ্চিত করা হোক, যাতে কোনো দল বিশেষ সুবিধা না পায়। এটিকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে তারা দেখছে।
‘জুলাই গণহত্যার’ বিচার: যদিও ‘জুলাই গণহত্যার’ সুনির্দিষ্ট বিবরণ দেওয়া হয়নি, তবে এই দাবির মাধ্যমে দলটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিচার চেয়েছে, যা তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডার একটি সংবেদনশীল অংশ। এটি অতীতের কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার: দেশের শাসনব্যবস্থা, আইন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মৌলিক সংস্কার আনার দাবি জানিয়েছে দলটি। এর মাধ্যমে তারা একটি জবাবদিহিমূলক এবং জনমুখী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
সংখ্যানুপাতিক হারে (পিআর পদ্ধতি) সংসদ নির্বাচন: জামায়াত মনে করে, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি অনুযায়ী নির্বাচন হলে একটি ‘কোয়ালিটি পার্লামেন্ট’ গঠন করা সম্ভব হবে। তারা এই পদ্ধতির নির্বাচনকে বাংলাদেশের জন্য ‘সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত’ বলে দাবি করছে। তাদের যুক্তি হলো, এই পদ্ধতি ছোট দলগুলোকেও সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেবে এবং ভোট আয়োজনের পেছনে রাষ্ট্রের অপচয় কমাবে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিও জানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের একটি পূর্বাভাসও পাওয়া যাবে বলে তারা মনে করে।
দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সংস্থার ব্যর্থতা: জামায়াত সমাবেশ থেকে দেশের দায়িত্বরত বিভিন্ন সরকারি সংস্থার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার বিষয়টি তুলে ধরার কথা বলেছে। এটি সরকারের কার্যকারিতা এবং জবাবদিহি নিয়ে প্রশ্ন তোলার একটি কৌশল হতে পারে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই সমাবেশ সফল করতে জামায়াতে ইসলামী নজিরবিহীন প্রস্তুতি নিয়েছে। তাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা এবং সদস্যদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে অবশ্য কখনো প্রশ্ন ছিল না। আদর্শ ও রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে অনেক সমালোচনা থাকলেও বিশেষ করে একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াত বরাবরই প্রশংসিত হয়েছে।
দলটির নেতারা আশা করছেন, সারা দেশ থেকে প্রায় ১০ লাখ নেতা-কর্মী এই সমাবেশে অংশ নেবেন। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের ব্যবস্থাপনা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ, যার জন্য তারা বিস্তারিত পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাঁচ শতািধক অস্থায়ী টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে, যা এত বড় জনসমাগমের জন্য অপরিহার্য। হাজারেরও বেশি পানির কল স্থাপন করা হয়েছে অজু ও পানীয় জলের জন্য, যা নেতা-কর্মীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করবে। মঞ্চের দুপাশে দুটি বড় স্ক্রিন এবং সমাবেশের আশপাশের ৫০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এলইডি স্ক্রিন বসানো হয়েছে, যাতে দূর থেকেও সমাবেশের কার্যক্রম দেখা যায়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চার শতাধিক মাইক বসানো হয়েছে, যাতে সমাবেশের বক্তব্য বহুদূর পর্যন্ত শোনা যায়। অতিথি ও গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বসার জন্য মঞ্চের সামনের দুপাশে ৬০০ চেয়ার রাখা হয়েছে।
প্রায় ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক আটটি ভিন্ন বিভাগের আওতায় দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের কাজ হলো জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং আগত নেতা-কর্মীদের সহায়তা করা। এই বিশাল স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী সমাবেশের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার বাইরের জেলা থেকে আগত নেতা-কর্মীদের জন্য বিশেষ পরিবহনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে ঢাকার বাইরের বাসগুলোর জন্য নির্দিষ্ট ’ড্রপিং পয়েন্ট’ নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে যানজট এড়ানো যায় এবং নেতা-কর্মীরা সহজে পৌঁছাতে পারেন। নেতা-কর্মীদের সুবিধার্থে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে। রেলওয়েকে ভাড়া বাবদ প্রায় ৩২ লাখ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করেছে তারা। এই ট্রেনগুলো রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ-ঢাকা-সিরাজগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ-ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে একবার করে চলাচল করবে। এটি দূর-দূরান্ত থেকে আসা নেতা-কর্মীদের জন্য একটি বড় সুবিধা।
মাঠের ভেতরে ও বাইরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে একাধিক মনিটরিং সেল স্থাপন করা হয়েছে। এটি যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেছেন। তাদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ এবং একটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ শনিবার সকাল ৮টার মধ্যেই উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।
আগত নেতা-কর্মীদের অনেকেই জামায়াতের লোগো সংবলিত টি-শার্ট পরেছেন এবং মাথায় দলীয় সাদা ফিতা বেঁধেছেন। কেউ কেউ দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লাও নিয়ে এসেছেন। অনেক নেতা-কর্মী রাতটি মাঠেই ত্রিপল বিছিয়ে শুয়ে-বসে কাটিয়েছেন। তাঁদের অনেকে স্লোগান দিতে দিতে সময় কাটাচ্ছেন এবং রাতে সেখানেই অবস্থান করার কথা জানিয়েছেন।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সমাবেশের প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত সময়সূচি জানিয়েছেন। শনিবার সকাল ১০টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এরপর হামদ ও নাত পরিবেশন করা হবে। দুপুর ২টায় মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে, যেখানে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন এবং তাঁদের দাবিগুলো তুলে ধরবেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের এই সমাবেশ বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন অনেকে। দীর্ঘ বিরতির পর একটি প্রধান রাজনৈতিক সমাবেশে দলটির উপস্থিতি নতুন করে আলোচনার জন্ম দেবে।
এই সমাবেশ জামায়াতের পুনরুত্থানের একটি প্রচেষ্টা এবং তাদের রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের একটি বড় মঞ্চ। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের জনভিত্তি এবং সাংগঠনিক সক্ষমতা দেখাতে চাইছে। সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব, জুলাই গণহত্যার বিচার এবং অন্যান্য সংস্কারের দাবিগুলো নিয়ে জামায়াত এই সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে। দলটি আশা করছে, এই সমাবেশ থেকে তাদের ৭ দফা দাবি জনগণের কাছে পৌঁছাবে এবং ব্যাপক জনমত তৈরি করতে সহায়ক হবে।
এই সমাবেশ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে জামায়াতের ভূমিকা এবং নির্বাচনী জোট-মহাজোটের সমীকরণ নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিতে পারে। যেমনটি সিলেট মহানগরী জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, এই সমাবেশ ‘নতুন ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের উত্থান বন্ধ’ করার একটি প্রয়াস এবং ‘দেশের রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট’ হবে।
আরও খবর পড়ুন:

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আজ শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের ইতিহাসের প্রথম জাতীয় সমাবেশ করছে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং ঐতিহাসিক আয়োজনের প্রস্তুতি লক্ষ করা যাচ্ছে।
জামায়াতে ইসলামী এই সমাবেশকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ এবং ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ঐতিহাসিক মহড়া’ হিসেবে দেখছে। সাত দফা দাবির মাধ্যমে দলটি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চাইছে। এই দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু দিক হলো:
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা: জামায়াত চায়, আসন্ন নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ ও পরিবেশ নিশ্চিত করা হোক, যাতে কোনো দল বিশেষ সুবিধা না পায়। এটিকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে তারা দেখছে।
‘জুলাই গণহত্যার’ বিচার: যদিও ‘জুলাই গণহত্যার’ সুনির্দিষ্ট বিবরণ দেওয়া হয়নি, তবে এই দাবির মাধ্যমে দলটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিচার চেয়েছে, যা তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডার একটি সংবেদনশীল অংশ। এটি অতীতের কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার: দেশের শাসনব্যবস্থা, আইন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মৌলিক সংস্কার আনার দাবি জানিয়েছে দলটি। এর মাধ্যমে তারা একটি জবাবদিহিমূলক এবং জনমুখী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
সংখ্যানুপাতিক হারে (পিআর পদ্ধতি) সংসদ নির্বাচন: জামায়াত মনে করে, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি অনুযায়ী নির্বাচন হলে একটি ‘কোয়ালিটি পার্লামেন্ট’ গঠন করা সম্ভব হবে। তারা এই পদ্ধতির নির্বাচনকে বাংলাদেশের জন্য ‘সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত’ বলে দাবি করছে। তাদের যুক্তি হলো, এই পদ্ধতি ছোট দলগুলোকেও সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেবে এবং ভোট আয়োজনের পেছনে রাষ্ট্রের অপচয় কমাবে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিও জানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের একটি পূর্বাভাসও পাওয়া যাবে বলে তারা মনে করে।
দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সংস্থার ব্যর্থতা: জামায়াত সমাবেশ থেকে দেশের দায়িত্বরত বিভিন্ন সরকারি সংস্থার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার বিষয়টি তুলে ধরার কথা বলেছে। এটি সরকারের কার্যকারিতা এবং জবাবদিহি নিয়ে প্রশ্ন তোলার একটি কৌশল হতে পারে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই সমাবেশ সফল করতে জামায়াতে ইসলামী নজিরবিহীন প্রস্তুতি নিয়েছে। তাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা এবং সদস্যদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে অবশ্য কখনো প্রশ্ন ছিল না। আদর্শ ও রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে অনেক সমালোচনা থাকলেও বিশেষ করে একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াত বরাবরই প্রশংসিত হয়েছে।
দলটির নেতারা আশা করছেন, সারা দেশ থেকে প্রায় ১০ লাখ নেতা-কর্মী এই সমাবেশে অংশ নেবেন। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের ব্যবস্থাপনা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ, যার জন্য তারা বিস্তারিত পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাঁচ শতািধক অস্থায়ী টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে, যা এত বড় জনসমাগমের জন্য অপরিহার্য। হাজারেরও বেশি পানির কল স্থাপন করা হয়েছে অজু ও পানীয় জলের জন্য, যা নেতা-কর্মীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করবে। মঞ্চের দুপাশে দুটি বড় স্ক্রিন এবং সমাবেশের আশপাশের ৫০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এলইডি স্ক্রিন বসানো হয়েছে, যাতে দূর থেকেও সমাবেশের কার্যক্রম দেখা যায়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চার শতাধিক মাইক বসানো হয়েছে, যাতে সমাবেশের বক্তব্য বহুদূর পর্যন্ত শোনা যায়। অতিথি ও গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বসার জন্য মঞ্চের সামনের দুপাশে ৬০০ চেয়ার রাখা হয়েছে।
প্রায় ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক আটটি ভিন্ন বিভাগের আওতায় দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের কাজ হলো জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং আগত নেতা-কর্মীদের সহায়তা করা। এই বিশাল স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী সমাবেশের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার বাইরের জেলা থেকে আগত নেতা-কর্মীদের জন্য বিশেষ পরিবহনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে ঢাকার বাইরের বাসগুলোর জন্য নির্দিষ্ট ’ড্রপিং পয়েন্ট’ নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে যানজট এড়ানো যায় এবং নেতা-কর্মীরা সহজে পৌঁছাতে পারেন। নেতা-কর্মীদের সুবিধার্থে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে। রেলওয়েকে ভাড়া বাবদ প্রায় ৩২ লাখ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করেছে তারা। এই ট্রেনগুলো রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ-ঢাকা-সিরাজগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ-ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে একবার করে চলাচল করবে। এটি দূর-দূরান্ত থেকে আসা নেতা-কর্মীদের জন্য একটি বড় সুবিধা।
মাঠের ভেতরে ও বাইরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে একাধিক মনিটরিং সেল স্থাপন করা হয়েছে। এটি যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেছেন। তাদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ এবং একটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ শনিবার সকাল ৮টার মধ্যেই উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।
আগত নেতা-কর্মীদের অনেকেই জামায়াতের লোগো সংবলিত টি-শার্ট পরেছেন এবং মাথায় দলীয় সাদা ফিতা বেঁধেছেন। কেউ কেউ দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লাও নিয়ে এসেছেন। অনেক নেতা-কর্মী রাতটি মাঠেই ত্রিপল বিছিয়ে শুয়ে-বসে কাটিয়েছেন। তাঁদের অনেকে স্লোগান দিতে দিতে সময় কাটাচ্ছেন এবং রাতে সেখানেই অবস্থান করার কথা জানিয়েছেন।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সমাবেশের প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত সময়সূচি জানিয়েছেন। শনিবার সকাল ১০টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এরপর হামদ ও নাত পরিবেশন করা হবে। দুপুর ২টায় মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে, যেখানে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন এবং তাঁদের দাবিগুলো তুলে ধরবেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের এই সমাবেশ বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন অনেকে। দীর্ঘ বিরতির পর একটি প্রধান রাজনৈতিক সমাবেশে দলটির উপস্থিতি নতুন করে আলোচনার জন্ম দেবে।
এই সমাবেশ জামায়াতের পুনরুত্থানের একটি প্রচেষ্টা এবং তাদের রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের একটি বড় মঞ্চ। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের জনভিত্তি এবং সাংগঠনিক সক্ষমতা দেখাতে চাইছে। সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব, জুলাই গণহত্যার বিচার এবং অন্যান্য সংস্কারের দাবিগুলো নিয়ে জামায়াত এই সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে। দলটি আশা করছে, এই সমাবেশ থেকে তাদের ৭ দফা দাবি জনগণের কাছে পৌঁছাবে এবং ব্যাপক জনমত তৈরি করতে সহায়ক হবে।
এই সমাবেশ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে জামায়াতের ভূমিকা এবং নির্বাচনী জোট-মহাজোটের সমীকরণ নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিতে পারে। যেমনটি সিলেট মহানগরী জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, এই সমাবেশ ‘নতুন ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের উত্থান বন্ধ’ করার একটি প্রয়াস এবং ‘দেশের রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট’ হবে।
আরও খবর পড়ুন:
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আজ শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের ইতিহাসের প্রথম জাতীয় সমাবেশ করছে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং ঐতিহাসিক আয়োজনের প্রস্তুতি লক্ষ করা যাচ্ছে।
জামায়াতে ইসলামী এই সমাবেশকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ এবং ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ঐতিহাসিক মহড়া’ হিসেবে দেখছে। সাত দফা দাবির মাধ্যমে দলটি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চাইছে। এই দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু দিক হলো:
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা: জামায়াত চায়, আসন্ন নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ ও পরিবেশ নিশ্চিত করা হোক, যাতে কোনো দল বিশেষ সুবিধা না পায়। এটিকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে তারা দেখছে।
‘জুলাই গণহত্যার’ বিচার: যদিও ‘জুলাই গণহত্যার’ সুনির্দিষ্ট বিবরণ দেওয়া হয়নি, তবে এই দাবির মাধ্যমে দলটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিচার চেয়েছে, যা তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডার একটি সংবেদনশীল অংশ। এটি অতীতের কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার: দেশের শাসনব্যবস্থা, আইন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মৌলিক সংস্কার আনার দাবি জানিয়েছে দলটি। এর মাধ্যমে তারা একটি জবাবদিহিমূলক এবং জনমুখী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
সংখ্যানুপাতিক হারে (পিআর পদ্ধতি) সংসদ নির্বাচন: জামায়াত মনে করে, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি অনুযায়ী নির্বাচন হলে একটি ‘কোয়ালিটি পার্লামেন্ট’ গঠন করা সম্ভব হবে। তারা এই পদ্ধতির নির্বাচনকে বাংলাদেশের জন্য ‘সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত’ বলে দাবি করছে। তাদের যুক্তি হলো, এই পদ্ধতি ছোট দলগুলোকেও সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেবে এবং ভোট আয়োজনের পেছনে রাষ্ট্রের অপচয় কমাবে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিও জানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের একটি পূর্বাভাসও পাওয়া যাবে বলে তারা মনে করে।
দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সংস্থার ব্যর্থতা: জামায়াত সমাবেশ থেকে দেশের দায়িত্বরত বিভিন্ন সরকারি সংস্থার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার বিষয়টি তুলে ধরার কথা বলেছে। এটি সরকারের কার্যকারিতা এবং জবাবদিহি নিয়ে প্রশ্ন তোলার একটি কৌশল হতে পারে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই সমাবেশ সফল করতে জামায়াতে ইসলামী নজিরবিহীন প্রস্তুতি নিয়েছে। তাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা এবং সদস্যদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে অবশ্য কখনো প্রশ্ন ছিল না। আদর্শ ও রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে অনেক সমালোচনা থাকলেও বিশেষ করে একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াত বরাবরই প্রশংসিত হয়েছে।
দলটির নেতারা আশা করছেন, সারা দেশ থেকে প্রায় ১০ লাখ নেতা-কর্মী এই সমাবেশে অংশ নেবেন। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের ব্যবস্থাপনা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ, যার জন্য তারা বিস্তারিত পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাঁচ শতািধক অস্থায়ী টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে, যা এত বড় জনসমাগমের জন্য অপরিহার্য। হাজারেরও বেশি পানির কল স্থাপন করা হয়েছে অজু ও পানীয় জলের জন্য, যা নেতা-কর্মীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করবে। মঞ্চের দুপাশে দুটি বড় স্ক্রিন এবং সমাবেশের আশপাশের ৫০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এলইডি স্ক্রিন বসানো হয়েছে, যাতে দূর থেকেও সমাবেশের কার্যক্রম দেখা যায়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চার শতাধিক মাইক বসানো হয়েছে, যাতে সমাবেশের বক্তব্য বহুদূর পর্যন্ত শোনা যায়। অতিথি ও গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বসার জন্য মঞ্চের সামনের দুপাশে ৬০০ চেয়ার রাখা হয়েছে।
প্রায় ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক আটটি ভিন্ন বিভাগের আওতায় দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের কাজ হলো জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং আগত নেতা-কর্মীদের সহায়তা করা। এই বিশাল স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী সমাবেশের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার বাইরের জেলা থেকে আগত নেতা-কর্মীদের জন্য বিশেষ পরিবহনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে ঢাকার বাইরের বাসগুলোর জন্য নির্দিষ্ট ’ড্রপিং পয়েন্ট’ নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে যানজট এড়ানো যায় এবং নেতা-কর্মীরা সহজে পৌঁছাতে পারেন। নেতা-কর্মীদের সুবিধার্থে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে। রেলওয়েকে ভাড়া বাবদ প্রায় ৩২ লাখ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করেছে তারা। এই ট্রেনগুলো রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ-ঢাকা-সিরাজগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ-ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে একবার করে চলাচল করবে। এটি দূর-দূরান্ত থেকে আসা নেতা-কর্মীদের জন্য একটি বড় সুবিধা।
মাঠের ভেতরে ও বাইরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে একাধিক মনিটরিং সেল স্থাপন করা হয়েছে। এটি যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেছেন। তাদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ এবং একটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ শনিবার সকাল ৮টার মধ্যেই উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।
আগত নেতা-কর্মীদের অনেকেই জামায়াতের লোগো সংবলিত টি-শার্ট পরেছেন এবং মাথায় দলীয় সাদা ফিতা বেঁধেছেন। কেউ কেউ দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লাও নিয়ে এসেছেন। অনেক নেতা-কর্মী রাতটি মাঠেই ত্রিপল বিছিয়ে শুয়ে-বসে কাটিয়েছেন। তাঁদের অনেকে স্লোগান দিতে দিতে সময় কাটাচ্ছেন এবং রাতে সেখানেই অবস্থান করার কথা জানিয়েছেন।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সমাবেশের প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত সময়সূচি জানিয়েছেন। শনিবার সকাল ১০টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এরপর হামদ ও নাত পরিবেশন করা হবে। দুপুর ২টায় মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে, যেখানে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন এবং তাঁদের দাবিগুলো তুলে ধরবেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের এই সমাবেশ বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন অনেকে। দীর্ঘ বিরতির পর একটি প্রধান রাজনৈতিক সমাবেশে দলটির উপস্থিতি নতুন করে আলোচনার জন্ম দেবে।
এই সমাবেশ জামায়াতের পুনরুত্থানের একটি প্রচেষ্টা এবং তাদের রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের একটি বড় মঞ্চ। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের জনভিত্তি এবং সাংগঠনিক সক্ষমতা দেখাতে চাইছে। সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব, জুলাই গণহত্যার বিচার এবং অন্যান্য সংস্কারের দাবিগুলো নিয়ে জামায়াত এই সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে। দলটি আশা করছে, এই সমাবেশ থেকে তাদের ৭ দফা দাবি জনগণের কাছে পৌঁছাবে এবং ব্যাপক জনমত তৈরি করতে সহায়ক হবে।
এই সমাবেশ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে জামায়াতের ভূমিকা এবং নির্বাচনী জোট-মহাজোটের সমীকরণ নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিতে পারে। যেমনটি সিলেট মহানগরী জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, এই সমাবেশ ‘নতুন ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের উত্থান বন্ধ’ করার একটি প্রয়াস এবং ‘দেশের রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট’ হবে।
আরও খবর পড়ুন:

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আজ শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের ইতিহাসের প্রথম জাতীয় সমাবেশ করছে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং ঐতিহাসিক আয়োজনের প্রস্তুতি লক্ষ করা যাচ্ছে।
জামায়াতে ইসলামী এই সমাবেশকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ এবং ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ঐতিহাসিক মহড়া’ হিসেবে দেখছে। সাত দফা দাবির মাধ্যমে দলটি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চাইছে। এই দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু দিক হলো:
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা: জামায়াত চায়, আসন্ন নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ ও পরিবেশ নিশ্চিত করা হোক, যাতে কোনো দল বিশেষ সুবিধা না পায়। এটিকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে তারা দেখছে।
‘জুলাই গণহত্যার’ বিচার: যদিও ‘জুলাই গণহত্যার’ সুনির্দিষ্ট বিবরণ দেওয়া হয়নি, তবে এই দাবির মাধ্যমে দলটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিচার চেয়েছে, যা তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডার একটি সংবেদনশীল অংশ। এটি অতীতের কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার: দেশের শাসনব্যবস্থা, আইন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মৌলিক সংস্কার আনার দাবি জানিয়েছে দলটি। এর মাধ্যমে তারা একটি জবাবদিহিমূলক এবং জনমুখী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
সংখ্যানুপাতিক হারে (পিআর পদ্ধতি) সংসদ নির্বাচন: জামায়াত মনে করে, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি অনুযায়ী নির্বাচন হলে একটি ‘কোয়ালিটি পার্লামেন্ট’ গঠন করা সম্ভব হবে। তারা এই পদ্ধতির নির্বাচনকে বাংলাদেশের জন্য ‘সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত’ বলে দাবি করছে। তাদের যুক্তি হলো, এই পদ্ধতি ছোট দলগুলোকেও সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেবে এবং ভোট আয়োজনের পেছনে রাষ্ট্রের অপচয় কমাবে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিও জানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের একটি পূর্বাভাসও পাওয়া যাবে বলে তারা মনে করে।
দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সংস্থার ব্যর্থতা: জামায়াত সমাবেশ থেকে দেশের দায়িত্বরত বিভিন্ন সরকারি সংস্থার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার বিষয়টি তুলে ধরার কথা বলেছে। এটি সরকারের কার্যকারিতা এবং জবাবদিহি নিয়ে প্রশ্ন তোলার একটি কৌশল হতে পারে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই সমাবেশ সফল করতে জামায়াতে ইসলামী নজিরবিহীন প্রস্তুতি নিয়েছে। তাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা এবং সদস্যদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে অবশ্য কখনো প্রশ্ন ছিল না। আদর্শ ও রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে অনেক সমালোচনা থাকলেও বিশেষ করে একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াত বরাবরই প্রশংসিত হয়েছে।
দলটির নেতারা আশা করছেন, সারা দেশ থেকে প্রায় ১০ লাখ নেতা-কর্মী এই সমাবেশে অংশ নেবেন। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের ব্যবস্থাপনা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ, যার জন্য তারা বিস্তারিত পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাঁচ শতািধক অস্থায়ী টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে, যা এত বড় জনসমাগমের জন্য অপরিহার্য। হাজারেরও বেশি পানির কল স্থাপন করা হয়েছে অজু ও পানীয় জলের জন্য, যা নেতা-কর্মীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করবে। মঞ্চের দুপাশে দুটি বড় স্ক্রিন এবং সমাবেশের আশপাশের ৫০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এলইডি স্ক্রিন বসানো হয়েছে, যাতে দূর থেকেও সমাবেশের কার্যক্রম দেখা যায়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চার শতাধিক মাইক বসানো হয়েছে, যাতে সমাবেশের বক্তব্য বহুদূর পর্যন্ত শোনা যায়। অতিথি ও গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বসার জন্য মঞ্চের সামনের দুপাশে ৬০০ চেয়ার রাখা হয়েছে।
প্রায় ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক আটটি ভিন্ন বিভাগের আওতায় দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের কাজ হলো জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং আগত নেতা-কর্মীদের সহায়তা করা। এই বিশাল স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী সমাবেশের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার বাইরের জেলা থেকে আগত নেতা-কর্মীদের জন্য বিশেষ পরিবহনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে ঢাকার বাইরের বাসগুলোর জন্য নির্দিষ্ট ’ড্রপিং পয়েন্ট’ নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে যানজট এড়ানো যায় এবং নেতা-কর্মীরা সহজে পৌঁছাতে পারেন। নেতা-কর্মীদের সুবিধার্থে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে। রেলওয়েকে ভাড়া বাবদ প্রায় ৩২ লাখ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করেছে তারা। এই ট্রেনগুলো রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ-ঢাকা-সিরাজগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ-ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে একবার করে চলাচল করবে। এটি দূর-দূরান্ত থেকে আসা নেতা-কর্মীদের জন্য একটি বড় সুবিধা।
মাঠের ভেতরে ও বাইরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে একাধিক মনিটরিং সেল স্থাপন করা হয়েছে। এটি যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেছেন। তাদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ এবং একটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ শনিবার সকাল ৮টার মধ্যেই উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।
আগত নেতা-কর্মীদের অনেকেই জামায়াতের লোগো সংবলিত টি-শার্ট পরেছেন এবং মাথায় দলীয় সাদা ফিতা বেঁধেছেন। কেউ কেউ দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লাও নিয়ে এসেছেন। অনেক নেতা-কর্মী রাতটি মাঠেই ত্রিপল বিছিয়ে শুয়ে-বসে কাটিয়েছেন। তাঁদের অনেকে স্লোগান দিতে দিতে সময় কাটাচ্ছেন এবং রাতে সেখানেই অবস্থান করার কথা জানিয়েছেন।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সমাবেশের প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত সময়সূচি জানিয়েছেন। শনিবার সকাল ১০টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এরপর হামদ ও নাত পরিবেশন করা হবে। দুপুর ২টায় মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে, যেখানে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন এবং তাঁদের দাবিগুলো তুলে ধরবেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের এই সমাবেশ বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন অনেকে। দীর্ঘ বিরতির পর একটি প্রধান রাজনৈতিক সমাবেশে দলটির উপস্থিতি নতুন করে আলোচনার জন্ম দেবে।
এই সমাবেশ জামায়াতের পুনরুত্থানের একটি প্রচেষ্টা এবং তাদের রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের একটি বড় মঞ্চ। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের জনভিত্তি এবং সাংগঠনিক সক্ষমতা দেখাতে চাইছে। সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব, জুলাই গণহত্যার বিচার এবং অন্যান্য সংস্কারের দাবিগুলো নিয়ে জামায়াত এই সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে। দলটি আশা করছে, এই সমাবেশ থেকে তাদের ৭ দফা দাবি জনগণের কাছে পৌঁছাবে এবং ব্যাপক জনমত তৈরি করতে সহায়ক হবে।
এই সমাবেশ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে জামায়াতের ভূমিকা এবং নির্বাচনী জোট-মহাজোটের সমীকরণ নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিতে পারে। যেমনটি সিলেট মহানগরী জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, এই সমাবেশ ‘নতুন ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের উত্থান বন্ধ’ করার একটি প্রয়াস এবং ‘দেশের রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট’ হবে।
আরও খবর পড়ুন:

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
৩১ মিনিট আগে
‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত প্রস্তাব থেকে সরে এলে, সরকার লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে।’
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
গত ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এনসিপি অংশগ্রহণ থেকে বিরত ছিল। এ প্রসঙ্গে আখতার হোসেন বলেন, ‘বাস্তবায়ন ব্যতিরেকে এই সনদ স্বাক্ষরিত হলে তা কেবল “আনুষ্ঠানিকতা” হয়ে থাকবে এবং জনগণের অর্জন ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে।’
তিনি স্পষ্ট করেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরকে তাঁরা মূল বিষয়বস্তু মনে করেন না, বরং এটি একটি আনুষ্ঠানিকতা। এনসিপি মনে করে, জনগণের কাছে বাস্তবায়নের আদেশ সম্পর্কে পরিষ্কার বার্তা উপস্থাপন করাই মূল লক্ষ্য।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আখতার হোসেন।
আখতার হোসেন দাবি করেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একটি আদেশ জারি, গণভোট এবং সামনের সংসদকে জনগণ কর্তৃক ন্যস্ত ক্ষমতা (Constituent Power) প্রদানের মাধ্যমে একটি সংস্কারকৃত সংবিধান প্রণয়নের বিষয়ে একমত হয়েছিল।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আইনি ভিত্তি দেওয়ার ব্যাপারে একমত হওয়া সত্ত্বেও সে আইনি ভিত্তি কীভাবে অর্জিত হবে? সেটা কখন থেকে কার্যকর হবে? সেই জায়গা জনগণের কাছে এখনো পর্যন্ত খোলাসা করা হয় নাই।’
তিনি যোগ করেন, জুলাই সনদকে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার প্রধান হিসেবে এই সনদ জারি করবেন এবং গণভোটের মাধ্যমে আগামীর সংসদকে ‘কনস্টিটিউয়েন্ট পাওয়ার’ প্রয়োগের সুযোগ দিতে হবে। এরপর সেই সংসদ সংস্কারগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে ২০২৬ সালের সংস্কারকৃত সংবিধান ঘোষণা করবে।
সনদ বাস্তবায়নের পথরেখা জাতির কাছে পরিষ্কার করার লক্ষ্যে এনসিপি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সদস্যসচিব জানান, অনানুষ্ঠানিকভাবে কমিশনের সঙ্গে তাঁদের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে, যেখানে তাঁরা তাঁদের দাবিগুলো পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এনসিপি কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশের খসড়া, বিষয়বস্তু ও পরিধি—প্রত্যেকটি জিনিস জাতির কাছে অবিলম্বে উপস্থাপন করতে হবে।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের একটি আদেশ প্রস্তুত করছেন, যা এনসিপি অগ্রগতি হিসেবে দেখলেও, সে আদেশের মধ্যকার বক্তব্য এখনো পর্যন্ত উপস্থাপন করতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাঁরা পুরোপুরি আশাবাদী হতে পারেননি বলে জানান আখতার হোসেন।
আখতার হোসেন সতর্ক বলেন, কমিশন আন্তরিকতা থেকে কাজ শুরু করলেও, এটি যেন কোনোভাবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের’ মতো করে কোনো দলের চাপে পড়ে কেবল একটি কাগুজে দলিল হিসেবে বাস্তবায়ন পরিপন্থীভাবে উপস্থাপিত না হয়।
আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘জুলাই সনদকে আমরা শুধু রাজনৈতিক দলিল হিসেবে দেখি না। এটি জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের প্রতিফলন।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, আদেশের স্পষ্ট ধারণা না থাকলে শুধু গণভোট সংস্কারের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে পারবে না। তাই কমিশনকে সর্বাধিক সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
গত ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এনসিপি অংশগ্রহণ থেকে বিরত ছিল। এ প্রসঙ্গে আখতার হোসেন বলেন, ‘বাস্তবায়ন ব্যতিরেকে এই সনদ স্বাক্ষরিত হলে তা কেবল “আনুষ্ঠানিকতা” হয়ে থাকবে এবং জনগণের অর্জন ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে।’
তিনি স্পষ্ট করেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরকে তাঁরা মূল বিষয়বস্তু মনে করেন না, বরং এটি একটি আনুষ্ঠানিকতা। এনসিপি মনে করে, জনগণের কাছে বাস্তবায়নের আদেশ সম্পর্কে পরিষ্কার বার্তা উপস্থাপন করাই মূল লক্ষ্য।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আখতার হোসেন।
আখতার হোসেন দাবি করেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একটি আদেশ জারি, গণভোট এবং সামনের সংসদকে জনগণ কর্তৃক ন্যস্ত ক্ষমতা (Constituent Power) প্রদানের মাধ্যমে একটি সংস্কারকৃত সংবিধান প্রণয়নের বিষয়ে একমত হয়েছিল।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আইনি ভিত্তি দেওয়ার ব্যাপারে একমত হওয়া সত্ত্বেও সে আইনি ভিত্তি কীভাবে অর্জিত হবে? সেটা কখন থেকে কার্যকর হবে? সেই জায়গা জনগণের কাছে এখনো পর্যন্ত খোলাসা করা হয় নাই।’
তিনি যোগ করেন, জুলাই সনদকে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার প্রধান হিসেবে এই সনদ জারি করবেন এবং গণভোটের মাধ্যমে আগামীর সংসদকে ‘কনস্টিটিউয়েন্ট পাওয়ার’ প্রয়োগের সুযোগ দিতে হবে। এরপর সেই সংসদ সংস্কারগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে ২০২৬ সালের সংস্কারকৃত সংবিধান ঘোষণা করবে।
সনদ বাস্তবায়নের পথরেখা জাতির কাছে পরিষ্কার করার লক্ষ্যে এনসিপি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সদস্যসচিব জানান, অনানুষ্ঠানিকভাবে কমিশনের সঙ্গে তাঁদের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে, যেখানে তাঁরা তাঁদের দাবিগুলো পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এনসিপি কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশের খসড়া, বিষয়বস্তু ও পরিধি—প্রত্যেকটি জিনিস জাতির কাছে অবিলম্বে উপস্থাপন করতে হবে।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের একটি আদেশ প্রস্তুত করছেন, যা এনসিপি অগ্রগতি হিসেবে দেখলেও, সে আদেশের মধ্যকার বক্তব্য এখনো পর্যন্ত উপস্থাপন করতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাঁরা পুরোপুরি আশাবাদী হতে পারেননি বলে জানান আখতার হোসেন।
আখতার হোসেন সতর্ক বলেন, কমিশন আন্তরিকতা থেকে কাজ শুরু করলেও, এটি যেন কোনোভাবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের’ মতো করে কোনো দলের চাপে পড়ে কেবল একটি কাগুজে দলিল হিসেবে বাস্তবায়ন পরিপন্থীভাবে উপস্থাপিত না হয়।
আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘জুলাই সনদকে আমরা শুধু রাজনৈতিক দলিল হিসেবে দেখি না। এটি জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের প্রতিফলন।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, আদেশের স্পষ্ট ধারণা না থাকলে শুধু গণভোট সংস্কারের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে পারবে না। তাই কমিশনকে সর্বাধিক সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আজ, শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের ইতিহাসের প্রথম জাতীয় সমাবেশ করছে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং ঐতিহাসিক আয়োজনের প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
১৯ জুলাই ২০২৫
‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত প্রস্তাব থেকে সরে এলে, সরকার লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে।’
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত প্রস্তাব থেকে সরে এলে, সরকার লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে।’
এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। আজ সকাল ১০টার পরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে এনসিপি, দুপুর ১টার দিকে শেষ হয়।
উল্লেখ্য, সংশোধিত আরপিও প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নির্বাচনী জোট হলেও প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীকে জাতীয় নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করতে হবে। তবে এতে দ্বিমত করেছে বিএনপি। এ ছাড়া গত সেপ্টেম্বরে জুলাই সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাব বাস্তবায়ন প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যে বিশেষজ্ঞদের নতুন পরামর্শ প্রস্তাব সামনে এনেছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়, মৌলিক সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার একটি ‘সংবিধান আদেশ’ জারি করতে পারে। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। এরপর ওই আদেশ নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোট করা যেতে পারে। সে সময় বিএনপিসহ কয়েকটি দল সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাবে দ্বিমত করে। তবে জামায়াতে ইসলামী সমর্থন করে। আর প্রস্তাবটি নিয়ে এনসিপি বলেছিল, এ নিয়ে তারা দলের ভেতরে আলোচনা করবে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে গতকাল শুক্রবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘গণভোটের প্রস্তাব বিএনপিই দিয়েছে। নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। এই প্রস্তাবে দুটি রাজনৈতিক দল ছাড়া সবাই একমত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েই আমরা সিদ্ধান্ত নেব—জুলাই জাতীয় সনদের প্রজ্ঞাপন বা গেজেট নোটিফিকেশন কীভাবে করা যায়। কারণ, যেভাবেই হোক, সেটি শেষ পর্যন্ত জনগণের গণভোটের মাধ্যমেই আইনি রূপ পাবে।’
আজ শনিবার জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারির বিষয়ে আখতার হোসেন বলেন, ‘সে আদেশের কনটেন্ট কী হবে, টেক্সট কী হবে, তার কার্যকারিতার জায়গাগুলো কী হবে? সেটা পরিষ্কার করা। যদি আদেশের বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা না থাকে, তাহলে শুধু গণভোট আমাদের সংস্কারের বাস্তবায়নকে সিকিউর করতে পারবে না। এই কারণে আমরা আদেশের বিষয়টাতে সরকারের তরফ থেকে পরিপূর্ণভাবে আশ্বস্ত হয়ে তারপরেই গণভোট এবং স্বাক্ষরের মতো বিষয়গুলোতে অগ্রসর হতে চাই।’
আরপিও সংশোধনীতে বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, ‘আরপিওতে যে সংশোধনীর বিষয়গুলো নিয়ে আসা হয়েছে এগুলোকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখি। আমরা খেয়াল করেছি যে আরপিওতে সংশোধনী আনার পরে বিএনপি তাদের পূর্বতন বক্তব্য থেকে সরে এসে, আরপিও সংশোধনীকে বাতিল করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে দরখাস্ত দেবেন বলে তাঁরা বলেছেন। কিন্তু আইন উপদেষ্টা এই প্রক্রিয়ার অংশ নন।’
আখতার হোসেন বলেন, ‘আইন উপদেষ্টার কাছে দরখাস্ত দিয়ে আরপিও সংশোধনীকে আটকে দেওয়ার যে মানসিকতার কথা বলা হচ্ছে তাতে করে মনে হয়, সরকার কোনো বিশেষ বিশেষ উপদেষ্টার মধ্য থেকে কারও কারও সঙ্গে কোনো কোনো দলের সম্পর্কের জায়গা থেকে, সেই ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা থেকে, তারা কোনো একটা বিষয়কে বাস্তবায়ন করতে চান। যেটাকে আমরা ইনঅ্যাপ্রোপ্রিয়েট (যথোপযুক্ত নয়) মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে এটাও মনে হয়, যদি কোনো দলের কারণে সরকার এই সংশোধনী প্রস্তাবগুলো থেকে সরে আসে, তাহলে আমাদের কাছে আবারও প্রতীয়মান হবে যে, সরকার লন্ডনে যে বৈঠক করেছিল তার ধারাবাহিকতায়, সেভাবেই তারা ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই জাতির জন্য কোনো সুস্থ প্রক্রিয়া হতে পারে না।’
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড.ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত আছেন।

‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত প্রস্তাব থেকে সরে এলে, সরকার লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে।’
এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। আজ সকাল ১০টার পরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে এনসিপি, দুপুর ১টার দিকে শেষ হয়।
উল্লেখ্য, সংশোধিত আরপিও প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নির্বাচনী জোট হলেও প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীকে জাতীয় নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করতে হবে। তবে এতে দ্বিমত করেছে বিএনপি। এ ছাড়া গত সেপ্টেম্বরে জুলাই সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাব বাস্তবায়ন প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যে বিশেষজ্ঞদের নতুন পরামর্শ প্রস্তাব সামনে এনেছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়, মৌলিক সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার একটি ‘সংবিধান আদেশ’ জারি করতে পারে। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। এরপর ওই আদেশ নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোট করা যেতে পারে। সে সময় বিএনপিসহ কয়েকটি দল সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাবে দ্বিমত করে। তবে জামায়াতে ইসলামী সমর্থন করে। আর প্রস্তাবটি নিয়ে এনসিপি বলেছিল, এ নিয়ে তারা দলের ভেতরে আলোচনা করবে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে গতকাল শুক্রবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘গণভোটের প্রস্তাব বিএনপিই দিয়েছে। নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। এই প্রস্তাবে দুটি রাজনৈতিক দল ছাড়া সবাই একমত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েই আমরা সিদ্ধান্ত নেব—জুলাই জাতীয় সনদের প্রজ্ঞাপন বা গেজেট নোটিফিকেশন কীভাবে করা যায়। কারণ, যেভাবেই হোক, সেটি শেষ পর্যন্ত জনগণের গণভোটের মাধ্যমেই আইনি রূপ পাবে।’
আজ শনিবার জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারির বিষয়ে আখতার হোসেন বলেন, ‘সে আদেশের কনটেন্ট কী হবে, টেক্সট কী হবে, তার কার্যকারিতার জায়গাগুলো কী হবে? সেটা পরিষ্কার করা। যদি আদেশের বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা না থাকে, তাহলে শুধু গণভোট আমাদের সংস্কারের বাস্তবায়নকে সিকিউর করতে পারবে না। এই কারণে আমরা আদেশের বিষয়টাতে সরকারের তরফ থেকে পরিপূর্ণভাবে আশ্বস্ত হয়ে তারপরেই গণভোট এবং স্বাক্ষরের মতো বিষয়গুলোতে অগ্রসর হতে চাই।’
আরপিও সংশোধনীতে বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, ‘আরপিওতে যে সংশোধনীর বিষয়গুলো নিয়ে আসা হয়েছে এগুলোকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখি। আমরা খেয়াল করেছি যে আরপিওতে সংশোধনী আনার পরে বিএনপি তাদের পূর্বতন বক্তব্য থেকে সরে এসে, আরপিও সংশোধনীকে বাতিল করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে দরখাস্ত দেবেন বলে তাঁরা বলেছেন। কিন্তু আইন উপদেষ্টা এই প্রক্রিয়ার অংশ নন।’
আখতার হোসেন বলেন, ‘আইন উপদেষ্টার কাছে দরখাস্ত দিয়ে আরপিও সংশোধনীকে আটকে দেওয়ার যে মানসিকতার কথা বলা হচ্ছে তাতে করে মনে হয়, সরকার কোনো বিশেষ বিশেষ উপদেষ্টার মধ্য থেকে কারও কারও সঙ্গে কোনো কোনো দলের সম্পর্কের জায়গা থেকে, সেই ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা থেকে, তারা কোনো একটা বিষয়কে বাস্তবায়ন করতে চান। যেটাকে আমরা ইনঅ্যাপ্রোপ্রিয়েট (যথোপযুক্ত নয়) মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে এটাও মনে হয়, যদি কোনো দলের কারণে সরকার এই সংশোধনী প্রস্তাবগুলো থেকে সরে আসে, তাহলে আমাদের কাছে আবারও প্রতীয়মান হবে যে, সরকার লন্ডনে যে বৈঠক করেছিল তার ধারাবাহিকতায়, সেভাবেই তারা ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই জাতির জন্য কোনো সুস্থ প্রক্রিয়া হতে পারে না।’
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড.ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত আছেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আজ, শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের ইতিহাসের প্রথম জাতীয় সমাবেশ করছে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং ঐতিহাসিক আয়োজনের প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
১৯ জুলাই ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
৩১ মিনিট আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত আছেন।
১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। জুলাই সনদে আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা না পেয়ে ওই দিন স্বাক্ষর করেনি এনসিপি। দলটিকে সনদে স্বাক্ষর করাতে সরকার ও কমিশন কয়েক দফা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেও সমাধান হয়নি। এর মধ্যে আজ কমিশনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেছে এনসিপি।
এদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণে কমিশন কয়েক দফা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। আজই সরকারকে সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত রূপরেখা-সংবলিত সুপারিশ জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত আছেন।
১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। জুলাই সনদে আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা না পেয়ে ওই দিন স্বাক্ষর করেনি এনসিপি। দলটিকে সনদে স্বাক্ষর করাতে সরকার ও কমিশন কয়েক দফা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেও সমাধান হয়নি। এর মধ্যে আজ কমিশনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেছে এনসিপি।
এদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণে কমিশন কয়েক দফা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। আজই সরকারকে সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত রূপরেখা-সংবলিত সুপারিশ জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আজ, শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের ইতিহাসের প্রথম জাতীয় সমাবেশ করছে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং ঐতিহাসিক আয়োজনের প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
১৯ জুলাই ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
৩১ মিনিট আগে
‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত প্রস্তাব থেকে সরে এলে, সরকার লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে।’
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রতিনিধিদলে থাকবেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
সাক্ষাৎকালে এনসিপির প্রতিনিধিদল জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ, আইনি ভিত্তিসহ সনদের নানা বিষয়ে আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রতিনিধিদলে থাকবেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
সাক্ষাৎকালে এনসিপির প্রতিনিধিদল জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ, আইনি ভিত্তিসহ সনদের নানা বিষয়ে আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আজ, শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের ইতিহাসের প্রথম জাতীয় সমাবেশ করছে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং ঐতিহাসিক আয়োজনের প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
১৯ জুলাই ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
৩১ মিনিট আগে
‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত প্রস্তাব থেকে সরে এলে, সরকার লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে।’
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
৫ ঘণ্টা আগে