নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১০৮ বিষয়ে একমত, ৩২ বিষয়ে দ্বিমত এবং ২৬ বিষয়ে আংশিক একমত পোষণ করে লিখিত মতামত জমা দিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি।
আজ সোমবার দুপুরে পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক ও ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলির সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে এই লিখিত মতামত জমা দেন।
কমিশনের পক্ষে মতামত গ্রহণ করেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আলী রিয়াজ, নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. বদিউল আলম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আমার বাংলাদেশের সহকারী প্রচার সম্পাদক রিপন মাহমুদ প্রেরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দলটি সরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে। অন্যদিকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টে আপত্তি ও প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থায় দ্বিমত জানিয়েছে। সংবিধান সংশোধনীর জন্য উভয়কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার অনুমোদন, গণভোটের বিধানকে সমর্থন এবং জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীর বয়সসীমা ২১ করার পক্ষে মতামত দিয়েছে দলটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের সর্বমোট ৬টি উপায় দেওয়া হয়েছে। ১ম উপায় হলো— ‘নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে’। বর্তমান সংবিধানের আলোকে উক্ত উপায়ে সংবিধান সংশোধন অগ্রহণযোগ্য। এই সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৩ (১) (খ) এর বিধান মোতাবেক রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ প্রণয়ন ক্ষমতার মাধ্যমে সংবিধানের কোনো বিধান পরিবর্তন বা রহিত করা যায় না। তাই বর্তমান সংবিধান স্থগিত বা বাতিল না করে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা বর্তমান সংবিধান সাপেক্ষে বেআইনি।
দলের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, তবে বর্তমান সংবিধান স্থগিত করে জুলাই রেভল্যুশনের স্পিরিটের (Doctrine of Necessity) আলোকে প্রস্তাবিত সাংবিধানিক বিধানসমূহ পরিবর্তন/পরিবর্ধন/পরিমার্জন করে নতুন সংবিধান পুনর্লিখন করা যেতে পারে। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে আপিল বিভাগের কাছে সরকার অধিকতর সাংবিধানিক ব্যাখ্যা চাইতে পারেন বলে জানিয়েছে দলটি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অবশিষ্ট ৫টি উপায় সার্বিক বিবেচনায় দুরূহ ও সময়সাপেক্ষ বলে মনে করে এবি পার্টি। এহেন পরিস্থিতিতে এবি পার্টি স্প্রেডশিটসমূহে উল্লেখিত সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের উপায় হিসেবে আইনি সম্ভাব্য জটিলতা থাকা সত্ত্বেও ১ম উপায়কেই (নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে) বেছে নিয়েছে। তা ছাড়া, যেসব প্রস্তাবনায় সংবিধান সংশোধনের সম্ভাব্য উপাদান নেই, সেসব ক্ষেত্রে ১ম প্রস্তাবনাটিই (নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে) সহজসাধ্য বলে জানিয়েছে দলটি।
এদিকে সোমবার বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রদত্ত পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনাসমূহের ওপর মতামত কমিশনের নিকট জমা দিয়েছে নাগরিক ঐক্য। বিষয়টি জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার। তবে দলটি ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবনার মধ্যে কোন কোন বিষয়ে একমত বা দ্বিমত পোষণ করে— সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম. এম. ফজলুর রহমান প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন জানিয়েছে, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) এবং নাগরিক ঐক্যসহ ১৩টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে এ পর্যন্ত যে দলগুলো মতামত দিয়েছে তাঁরা হলো লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), আমজনতার দল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-বাংলাদেশ জাসদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও নাগরিক ঐক্য।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ১৬টি রাজনৈতিক দল পূর্ণাঙ্গ মতামতের জন্য অতিরিক্ত কয়েক দিন সময় দিতে কমিশনকে অনুরোধ করেছেন। অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে কমিশন পুনরায় যোগাযোগ করছে বলে জানানো হয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১০৮ বিষয়ে একমত, ৩২ বিষয়ে দ্বিমত এবং ২৬ বিষয়ে আংশিক একমত পোষণ করে লিখিত মতামত জমা দিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি।
আজ সোমবার দুপুরে পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক ও ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলির সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে এই লিখিত মতামত জমা দেন।
কমিশনের পক্ষে মতামত গ্রহণ করেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আলী রিয়াজ, নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. বদিউল আলম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আমার বাংলাদেশের সহকারী প্রচার সম্পাদক রিপন মাহমুদ প্রেরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দলটি সরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে। অন্যদিকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টে আপত্তি ও প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থায় দ্বিমত জানিয়েছে। সংবিধান সংশোধনীর জন্য উভয়কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার অনুমোদন, গণভোটের বিধানকে সমর্থন এবং জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীর বয়সসীমা ২১ করার পক্ষে মতামত দিয়েছে দলটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের সর্বমোট ৬টি উপায় দেওয়া হয়েছে। ১ম উপায় হলো— ‘নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে’। বর্তমান সংবিধানের আলোকে উক্ত উপায়ে সংবিধান সংশোধন অগ্রহণযোগ্য। এই সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৩ (১) (খ) এর বিধান মোতাবেক রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ প্রণয়ন ক্ষমতার মাধ্যমে সংবিধানের কোনো বিধান পরিবর্তন বা রহিত করা যায় না। তাই বর্তমান সংবিধান স্থগিত বা বাতিল না করে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা বর্তমান সংবিধান সাপেক্ষে বেআইনি।
দলের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, তবে বর্তমান সংবিধান স্থগিত করে জুলাই রেভল্যুশনের স্পিরিটের (Doctrine of Necessity) আলোকে প্রস্তাবিত সাংবিধানিক বিধানসমূহ পরিবর্তন/পরিবর্ধন/পরিমার্জন করে নতুন সংবিধান পুনর্লিখন করা যেতে পারে। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে আপিল বিভাগের কাছে সরকার অধিকতর সাংবিধানিক ব্যাখ্যা চাইতে পারেন বলে জানিয়েছে দলটি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অবশিষ্ট ৫টি উপায় সার্বিক বিবেচনায় দুরূহ ও সময়সাপেক্ষ বলে মনে করে এবি পার্টি। এহেন পরিস্থিতিতে এবি পার্টি স্প্রেডশিটসমূহে উল্লেখিত সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের উপায় হিসেবে আইনি সম্ভাব্য জটিলতা থাকা সত্ত্বেও ১ম উপায়কেই (নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে) বেছে নিয়েছে। তা ছাড়া, যেসব প্রস্তাবনায় সংবিধান সংশোধনের সম্ভাব্য উপাদান নেই, সেসব ক্ষেত্রে ১ম প্রস্তাবনাটিই (নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে) সহজসাধ্য বলে জানিয়েছে দলটি।
এদিকে সোমবার বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রদত্ত পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনাসমূহের ওপর মতামত কমিশনের নিকট জমা দিয়েছে নাগরিক ঐক্য। বিষয়টি জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার। তবে দলটি ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবনার মধ্যে কোন কোন বিষয়ে একমত বা দ্বিমত পোষণ করে— সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম. এম. ফজলুর রহমান প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন জানিয়েছে, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) এবং নাগরিক ঐক্যসহ ১৩টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে এ পর্যন্ত যে দলগুলো মতামত দিয়েছে তাঁরা হলো লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), আমজনতার দল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-বাংলাদেশ জাসদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও নাগরিক ঐক্য।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ১৬টি রাজনৈতিক দল পূর্ণাঙ্গ মতামতের জন্য অতিরিক্ত কয়েক দিন সময় দিতে কমিশনকে অনুরোধ করেছেন। অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে কমিশন পুনরায় যোগাযোগ করছে বলে জানানো হয়েছে।
জাতির শোকের সময়ে সকল গণতন্ত্রপন্থী সহযোদ্ধাদের শান্ত ও সংহত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে চারটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের জরুরি বৈঠকের পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, ফ্যাসিবাদী শক্তির ষড়যন্ত্র ঠেকাতে দেশীয় ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য অটুট রাখা অত্যন্ত জরুরি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদ
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওপর বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত ছয় দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রধানমন্ত্রী পদে আসীন ব্যক্তি একই সঙ্গে দলীয় প্রধান হতে পারবেন না, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী হবেনই—এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, আবার তাঁকে প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে বাদ দেওয়ারও কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
৮ ঘণ্টা আগে