আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি, স্বজনদের বাড়িঘর ও দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর ভাঙচুরের বিষয়ে সরকারের ভূমিকা কী ছিল, এমন কোনো তথ্য তাঁদের কাছে নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি এখনো চলমান। সেটি এখনো শেষ হয়নি। এটি কারা করেছে, এই তথ্য আমাদের কাছে নেই। এতে সরকারের কী ভূমিকা ছিল, সে তথ্যও আমাদের কাছে নেই। সুতরাং, আর অল্প কিছু সময় আমরা অপেক্ষা করব। আজকের দিনের মধ্যেই আশা করি সবকিছু পরিষ্কার হবে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, কারা এর জন্য দায়ী, তখন সকল পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলে, আমরা এই সম্পর্কে বিএনপির পক্ষ থেকে মনোভাব মিডিয়ার সামনে জনগণের সামনে প্রকাশিত করব। অপূর্ণ তথ্য নিয়ে মন্তব্য করার সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে সব থেকে বেশি প্রয়োজন সকল দেশপ্রেমিকের জাতীয় ঐক্য।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এগুলো গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য হয়তো। আগামী দিনের গণতন্ত্রের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে, এ জন্য কেউ কেউ হয়তো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করতে পারেন। বিশেষ করে এর মধ্যে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কোনো হস্তক্ষেপ আছে কি না, সেটিও আমরা জানার চেষ্টা করব।’
তিনি বলেন, ‘কুখ্যাত ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ বিএনপি ও ছাত্রদের আন্দোলনকে দমন করার জন্য বারংবার পেশিশক্তির ব্যবহার করেছে। আমাদের স্মরণশক্তি অনেক কম, অনেকে ভুলে গেছেন, গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায়, টঙ্গীর পাশেই কীভাবে ১৫ জন সাধারণ মানুষ হত্যা করে ভ্যানে শুইয়ে রেখে আগুন লাগিয়ে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কল্পনা করা যায়? তারা আপনার আমার ভাই, সন্তান। রাজপথে ন্যায্য দাবি করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সাহায্যে জ্বালিয়ে দেওয়া আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। আমরা এর অবসান চাই। অবসান হতে পারে একমাত্র গণতন্ত্রের মাধ্যমে।’
বিশৃঙ্খলা দূর করতে নির্বাচন প্রয়োজন মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘ছাত্ররা যদি কোনো নতুন রাজনৈতিক দল করতে চায়, আমরা তাকে স্বাগতম জানাই। জনগণের কাছে আরও একটি চয়েস বাড়ল। ছাত্রদের এই রাজনৈতিক দল যথেষ্ট সময় পেয়েছে, তারা আরও সময় চায়। তবে আমরা অবশ্যই মনে করি এই বছরই সংসদ নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন।’
হাফিজ বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি, যত রকমের বিশৃঙ্খলা, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা যত ধরনের অনুষঙ্গ, গণতন্ত্রের বিরোধীদের আভাস আমরা পাচ্ছি, এগুলো দূর করতে হলে অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা প্রয়োজন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আজকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নানা ধরনের সংস্কারকে পূর্ব শর্ত দেওয়া হচ্ছে। একটি গ্রুপ বলেছেন ’৭২-এর সংবিধানকে ছুড়ে ফেলা হবে। তারা ছুড়ে ফেলার কে? অনেক রক্তের বিনিময়ে জিয়াউর রহমান এবং ছাত্র-জনতার মিলিত সংগ্রামের ফলে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। ’৭২-এর সংবিধান একটি চমৎকার সংবিধান। এটি আওয়ামী লীগের সংবিধান নয়, এটি জনতার সংবিধান। আওয়ামী লীগ কাটাছেঁড়া করে এর অঙ্গহানি ঘটিয়েছে। প্রয়োজন হলে সংবিধানে সংযোজন করা যায়। কিন্তু যা-ই হোক, নতুন করে সংবিধান লেখা হোক বা সংশোধন করা হোক—এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ।’
তিনি বলেন, কোনো বুদ্ধিজীবী, কারও কোনো গুরু বা কোনো শৌখিন রাজনীতিবিদ বা বিদেশ থেকে আগত কোনো কোনো বুদ্ধিজীবীর পরামর্শে বাংলাদেশের সংবিধান নতুন করে লেখা বা সংশোধন করা যাবে না। সংবিধান সংযোজন বা সংশোধন একমাত্র অধিকার রাখে স্বাধীন সংসদ। নিরপেক্ষভাবে একটি সংসদ। যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে—আমরা এখনো তা পুরোপুরি দেখিনি। আমরা এই সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ পর্যায়ে মনোভাব জানাবে।’
দেড় মাসের আন্দোলনে ৫ আগস্টের ঘটনা ঘটেনি জানিয়ে হাফিজ বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ফল। বিএনপির নেতা-কর্মীরা হয়তো এতে ব্যানার বা ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়ায়নি। তবে এর পেছন থেকে সার্বিকভাবে কাজ করে গেছেন তারেক রহমান।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘বিএনপি কারও দয়ায় রাজনীতি করে না। নির্বাচনের কথা বললে বলে আমরা কি নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করেছি? তাহলে আপনাদের আজীবন ক্ষমতায় রাখার জন্য আন্দোলন করেছিলাম। বিএনপিকে মাইনাস করার চেষ্টা করতে করতে আওয়ামী লীগ দেশ ছাড়া হয়েছে। যারাই বিএনপিকে মাইনাস করতে আসবে, তারাই বাংলাদেশ থেকে চিরতরে দেশ ছাড়া হয়ে যাবে।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে বাসা থেকে যে বাজারের তালিকা দেয়, তা নিয়ে বাজারে ঢুকতে ভয় লাগে। সামনে রমজান মাস, তাই সরকারকে এ বিষয়ে দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমলা, পুলিশদের কোনো জবাবদিহি নেই। জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে একমাত্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এর জন্য যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিন।’
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি, স্বজনদের বাড়িঘর ও দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর ভাঙচুরের বিষয়ে সরকারের ভূমিকা কী ছিল, এমন কোনো তথ্য তাঁদের কাছে নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি এখনো চলমান। সেটি এখনো শেষ হয়নি। এটি কারা করেছে, এই তথ্য আমাদের কাছে নেই। এতে সরকারের কী ভূমিকা ছিল, সে তথ্যও আমাদের কাছে নেই। সুতরাং, আর অল্প কিছু সময় আমরা অপেক্ষা করব। আজকের দিনের মধ্যেই আশা করি সবকিছু পরিষ্কার হবে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, কারা এর জন্য দায়ী, তখন সকল পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলে, আমরা এই সম্পর্কে বিএনপির পক্ষ থেকে মনোভাব মিডিয়ার সামনে জনগণের সামনে প্রকাশিত করব। অপূর্ণ তথ্য নিয়ে মন্তব্য করার সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে সব থেকে বেশি প্রয়োজন সকল দেশপ্রেমিকের জাতীয় ঐক্য।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এগুলো গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য হয়তো। আগামী দিনের গণতন্ত্রের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে, এ জন্য কেউ কেউ হয়তো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করতে পারেন। বিশেষ করে এর মধ্যে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কোনো হস্তক্ষেপ আছে কি না, সেটিও আমরা জানার চেষ্টা করব।’
তিনি বলেন, ‘কুখ্যাত ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ বিএনপি ও ছাত্রদের আন্দোলনকে দমন করার জন্য বারংবার পেশিশক্তির ব্যবহার করেছে। আমাদের স্মরণশক্তি অনেক কম, অনেকে ভুলে গেছেন, গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায়, টঙ্গীর পাশেই কীভাবে ১৫ জন সাধারণ মানুষ হত্যা করে ভ্যানে শুইয়ে রেখে আগুন লাগিয়ে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কল্পনা করা যায়? তারা আপনার আমার ভাই, সন্তান। রাজপথে ন্যায্য দাবি করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সাহায্যে জ্বালিয়ে দেওয়া আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। আমরা এর অবসান চাই। অবসান হতে পারে একমাত্র গণতন্ত্রের মাধ্যমে।’
বিশৃঙ্খলা দূর করতে নির্বাচন প্রয়োজন মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘ছাত্ররা যদি কোনো নতুন রাজনৈতিক দল করতে চায়, আমরা তাকে স্বাগতম জানাই। জনগণের কাছে আরও একটি চয়েস বাড়ল। ছাত্রদের এই রাজনৈতিক দল যথেষ্ট সময় পেয়েছে, তারা আরও সময় চায়। তবে আমরা অবশ্যই মনে করি এই বছরই সংসদ নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন।’
হাফিজ বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি, যত রকমের বিশৃঙ্খলা, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা যত ধরনের অনুষঙ্গ, গণতন্ত্রের বিরোধীদের আভাস আমরা পাচ্ছি, এগুলো দূর করতে হলে অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা প্রয়োজন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আজকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নানা ধরনের সংস্কারকে পূর্ব শর্ত দেওয়া হচ্ছে। একটি গ্রুপ বলেছেন ’৭২-এর সংবিধানকে ছুড়ে ফেলা হবে। তারা ছুড়ে ফেলার কে? অনেক রক্তের বিনিময়ে জিয়াউর রহমান এবং ছাত্র-জনতার মিলিত সংগ্রামের ফলে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। ’৭২-এর সংবিধান একটি চমৎকার সংবিধান। এটি আওয়ামী লীগের সংবিধান নয়, এটি জনতার সংবিধান। আওয়ামী লীগ কাটাছেঁড়া করে এর অঙ্গহানি ঘটিয়েছে। প্রয়োজন হলে সংবিধানে সংযোজন করা যায়। কিন্তু যা-ই হোক, নতুন করে সংবিধান লেখা হোক বা সংশোধন করা হোক—এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ।’
তিনি বলেন, কোনো বুদ্ধিজীবী, কারও কোনো গুরু বা কোনো শৌখিন রাজনীতিবিদ বা বিদেশ থেকে আগত কোনো কোনো বুদ্ধিজীবীর পরামর্শে বাংলাদেশের সংবিধান নতুন করে লেখা বা সংশোধন করা যাবে না। সংবিধান সংযোজন বা সংশোধন একমাত্র অধিকার রাখে স্বাধীন সংসদ। নিরপেক্ষভাবে একটি সংসদ। যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে—আমরা এখনো তা পুরোপুরি দেখিনি। আমরা এই সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ পর্যায়ে মনোভাব জানাবে।’
দেড় মাসের আন্দোলনে ৫ আগস্টের ঘটনা ঘটেনি জানিয়ে হাফিজ বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ফল। বিএনপির নেতা-কর্মীরা হয়তো এতে ব্যানার বা ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়ায়নি। তবে এর পেছন থেকে সার্বিকভাবে কাজ করে গেছেন তারেক রহমান।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘বিএনপি কারও দয়ায় রাজনীতি করে না। নির্বাচনের কথা বললে বলে আমরা কি নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করেছি? তাহলে আপনাদের আজীবন ক্ষমতায় রাখার জন্য আন্দোলন করেছিলাম। বিএনপিকে মাইনাস করার চেষ্টা করতে করতে আওয়ামী লীগ দেশ ছাড়া হয়েছে। যারাই বিএনপিকে মাইনাস করতে আসবে, তারাই বাংলাদেশ থেকে চিরতরে দেশ ছাড়া হয়ে যাবে।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে বাসা থেকে যে বাজারের তালিকা দেয়, তা নিয়ে বাজারে ঢুকতে ভয় লাগে। সামনে রমজান মাস, তাই সরকারকে এ বিষয়ে দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমলা, পুলিশদের কোনো জবাবদিহি নেই। জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে একমাত্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এর জন্য যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিন।’
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি, স্বজনদের বাড়িঘর ও দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর ভাঙচুরের বিষয়ে সরকারের ভূমিকা কী ছিল, এমন কোনো তথ্য তাঁদের কাছে নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি এখনো চলমান। সেটি এখনো শেষ হয়নি। এটি কারা করেছে, এই তথ্য আমাদের কাছে নেই। এতে সরকারের কী ভূমিকা ছিল, সে তথ্যও আমাদের কাছে নেই। সুতরাং, আর অল্প কিছু সময় আমরা অপেক্ষা করব। আজকের দিনের মধ্যেই আশা করি সবকিছু পরিষ্কার হবে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, কারা এর জন্য দায়ী, তখন সকল পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলে, আমরা এই সম্পর্কে বিএনপির পক্ষ থেকে মনোভাব মিডিয়ার সামনে জনগণের সামনে প্রকাশিত করব। অপূর্ণ তথ্য নিয়ে মন্তব্য করার সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে সব থেকে বেশি প্রয়োজন সকল দেশপ্রেমিকের জাতীয় ঐক্য।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এগুলো গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য হয়তো। আগামী দিনের গণতন্ত্রের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে, এ জন্য কেউ কেউ হয়তো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করতে পারেন। বিশেষ করে এর মধ্যে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কোনো হস্তক্ষেপ আছে কি না, সেটিও আমরা জানার চেষ্টা করব।’
তিনি বলেন, ‘কুখ্যাত ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ বিএনপি ও ছাত্রদের আন্দোলনকে দমন করার জন্য বারংবার পেশিশক্তির ব্যবহার করেছে। আমাদের স্মরণশক্তি অনেক কম, অনেকে ভুলে গেছেন, গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায়, টঙ্গীর পাশেই কীভাবে ১৫ জন সাধারণ মানুষ হত্যা করে ভ্যানে শুইয়ে রেখে আগুন লাগিয়ে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কল্পনা করা যায়? তারা আপনার আমার ভাই, সন্তান। রাজপথে ন্যায্য দাবি করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সাহায্যে জ্বালিয়ে দেওয়া আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। আমরা এর অবসান চাই। অবসান হতে পারে একমাত্র গণতন্ত্রের মাধ্যমে।’
বিশৃঙ্খলা দূর করতে নির্বাচন প্রয়োজন মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘ছাত্ররা যদি কোনো নতুন রাজনৈতিক দল করতে চায়, আমরা তাকে স্বাগতম জানাই। জনগণের কাছে আরও একটি চয়েস বাড়ল। ছাত্রদের এই রাজনৈতিক দল যথেষ্ট সময় পেয়েছে, তারা আরও সময় চায়। তবে আমরা অবশ্যই মনে করি এই বছরই সংসদ নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন।’
হাফিজ বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি, যত রকমের বিশৃঙ্খলা, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা যত ধরনের অনুষঙ্গ, গণতন্ত্রের বিরোধীদের আভাস আমরা পাচ্ছি, এগুলো দূর করতে হলে অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা প্রয়োজন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আজকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নানা ধরনের সংস্কারকে পূর্ব শর্ত দেওয়া হচ্ছে। একটি গ্রুপ বলেছেন ’৭২-এর সংবিধানকে ছুড়ে ফেলা হবে। তারা ছুড়ে ফেলার কে? অনেক রক্তের বিনিময়ে জিয়াউর রহমান এবং ছাত্র-জনতার মিলিত সংগ্রামের ফলে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। ’৭২-এর সংবিধান একটি চমৎকার সংবিধান। এটি আওয়ামী লীগের সংবিধান নয়, এটি জনতার সংবিধান। আওয়ামী লীগ কাটাছেঁড়া করে এর অঙ্গহানি ঘটিয়েছে। প্রয়োজন হলে সংবিধানে সংযোজন করা যায়। কিন্তু যা-ই হোক, নতুন করে সংবিধান লেখা হোক বা সংশোধন করা হোক—এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ।’
তিনি বলেন, কোনো বুদ্ধিজীবী, কারও কোনো গুরু বা কোনো শৌখিন রাজনীতিবিদ বা বিদেশ থেকে আগত কোনো কোনো বুদ্ধিজীবীর পরামর্শে বাংলাদেশের সংবিধান নতুন করে লেখা বা সংশোধন করা যাবে না। সংবিধান সংযোজন বা সংশোধন একমাত্র অধিকার রাখে স্বাধীন সংসদ। নিরপেক্ষভাবে একটি সংসদ। যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে—আমরা এখনো তা পুরোপুরি দেখিনি। আমরা এই সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ পর্যায়ে মনোভাব জানাবে।’
দেড় মাসের আন্দোলনে ৫ আগস্টের ঘটনা ঘটেনি জানিয়ে হাফিজ বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ফল। বিএনপির নেতা-কর্মীরা হয়তো এতে ব্যানার বা ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়ায়নি। তবে এর পেছন থেকে সার্বিকভাবে কাজ করে গেছেন তারেক রহমান।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘বিএনপি কারও দয়ায় রাজনীতি করে না। নির্বাচনের কথা বললে বলে আমরা কি নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করেছি? তাহলে আপনাদের আজীবন ক্ষমতায় রাখার জন্য আন্দোলন করেছিলাম। বিএনপিকে মাইনাস করার চেষ্টা করতে করতে আওয়ামী লীগ দেশ ছাড়া হয়েছে। যারাই বিএনপিকে মাইনাস করতে আসবে, তারাই বাংলাদেশ থেকে চিরতরে দেশ ছাড়া হয়ে যাবে।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে বাসা থেকে যে বাজারের তালিকা দেয়, তা নিয়ে বাজারে ঢুকতে ভয় লাগে। সামনে রমজান মাস, তাই সরকারকে এ বিষয়ে দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমলা, পুলিশদের কোনো জবাবদিহি নেই। জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে একমাত্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এর জন্য যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিন।’
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি, স্বজনদের বাড়িঘর ও দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর ভাঙচুরের বিষয়ে সরকারের ভূমিকা কী ছিল, এমন কোনো তথ্য তাঁদের কাছে নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি এখনো চলমান। সেটি এখনো শেষ হয়নি। এটি কারা করেছে, এই তথ্য আমাদের কাছে নেই। এতে সরকারের কী ভূমিকা ছিল, সে তথ্যও আমাদের কাছে নেই। সুতরাং, আর অল্প কিছু সময় আমরা অপেক্ষা করব। আজকের দিনের মধ্যেই আশা করি সবকিছু পরিষ্কার হবে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, কারা এর জন্য দায়ী, তখন সকল পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলে, আমরা এই সম্পর্কে বিএনপির পক্ষ থেকে মনোভাব মিডিয়ার সামনে জনগণের সামনে প্রকাশিত করব। অপূর্ণ তথ্য নিয়ে মন্তব্য করার সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে সব থেকে বেশি প্রয়োজন সকল দেশপ্রেমিকের জাতীয় ঐক্য।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এগুলো গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য হয়তো। আগামী দিনের গণতন্ত্রের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে, এ জন্য কেউ কেউ হয়তো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করতে পারেন। বিশেষ করে এর মধ্যে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কোনো হস্তক্ষেপ আছে কি না, সেটিও আমরা জানার চেষ্টা করব।’
তিনি বলেন, ‘কুখ্যাত ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ বিএনপি ও ছাত্রদের আন্দোলনকে দমন করার জন্য বারংবার পেশিশক্তির ব্যবহার করেছে। আমাদের স্মরণশক্তি অনেক কম, অনেকে ভুলে গেছেন, গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায়, টঙ্গীর পাশেই কীভাবে ১৫ জন সাধারণ মানুষ হত্যা করে ভ্যানে শুইয়ে রেখে আগুন লাগিয়ে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কল্পনা করা যায়? তারা আপনার আমার ভাই, সন্তান। রাজপথে ন্যায্য দাবি করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সাহায্যে জ্বালিয়ে দেওয়া আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। আমরা এর অবসান চাই। অবসান হতে পারে একমাত্র গণতন্ত্রের মাধ্যমে।’
বিশৃঙ্খলা দূর করতে নির্বাচন প্রয়োজন মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘ছাত্ররা যদি কোনো নতুন রাজনৈতিক দল করতে চায়, আমরা তাকে স্বাগতম জানাই। জনগণের কাছে আরও একটি চয়েস বাড়ল। ছাত্রদের এই রাজনৈতিক দল যথেষ্ট সময় পেয়েছে, তারা আরও সময় চায়। তবে আমরা অবশ্যই মনে করি এই বছরই সংসদ নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন।’
হাফিজ বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি, যত রকমের বিশৃঙ্খলা, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা যত ধরনের অনুষঙ্গ, গণতন্ত্রের বিরোধীদের আভাস আমরা পাচ্ছি, এগুলো দূর করতে হলে অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা প্রয়োজন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আজকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নানা ধরনের সংস্কারকে পূর্ব শর্ত দেওয়া হচ্ছে। একটি গ্রুপ বলেছেন ’৭২-এর সংবিধানকে ছুড়ে ফেলা হবে। তারা ছুড়ে ফেলার কে? অনেক রক্তের বিনিময়ে জিয়াউর রহমান এবং ছাত্র-জনতার মিলিত সংগ্রামের ফলে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। ’৭২-এর সংবিধান একটি চমৎকার সংবিধান। এটি আওয়ামী লীগের সংবিধান নয়, এটি জনতার সংবিধান। আওয়ামী লীগ কাটাছেঁড়া করে এর অঙ্গহানি ঘটিয়েছে। প্রয়োজন হলে সংবিধানে সংযোজন করা যায়। কিন্তু যা-ই হোক, নতুন করে সংবিধান লেখা হোক বা সংশোধন করা হোক—এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ।’
তিনি বলেন, কোনো বুদ্ধিজীবী, কারও কোনো গুরু বা কোনো শৌখিন রাজনীতিবিদ বা বিদেশ থেকে আগত কোনো কোনো বুদ্ধিজীবীর পরামর্শে বাংলাদেশের সংবিধান নতুন করে লেখা বা সংশোধন করা যাবে না। সংবিধান সংযোজন বা সংশোধন একমাত্র অধিকার রাখে স্বাধীন সংসদ। নিরপেক্ষভাবে একটি সংসদ। যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে—আমরা এখনো তা পুরোপুরি দেখিনি। আমরা এই সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ পর্যায়ে মনোভাব জানাবে।’
দেড় মাসের আন্দোলনে ৫ আগস্টের ঘটনা ঘটেনি জানিয়ে হাফিজ বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ফল। বিএনপির নেতা-কর্মীরা হয়তো এতে ব্যানার বা ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়ায়নি। তবে এর পেছন থেকে সার্বিকভাবে কাজ করে গেছেন তারেক রহমান।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘বিএনপি কারও দয়ায় রাজনীতি করে না। নির্বাচনের কথা বললে বলে আমরা কি নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করেছি? তাহলে আপনাদের আজীবন ক্ষমতায় রাখার জন্য আন্দোলন করেছিলাম। বিএনপিকে মাইনাস করার চেষ্টা করতে করতে আওয়ামী লীগ দেশ ছাড়া হয়েছে। যারাই বিএনপিকে মাইনাস করতে আসবে, তারাই বাংলাদেশ থেকে চিরতরে দেশ ছাড়া হয়ে যাবে।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে বাসা থেকে যে বাজারের তালিকা দেয়, তা নিয়ে বাজারে ঢুকতে ভয় লাগে। সামনে রমজান মাস, তাই সরকারকে এ বিষয়ে দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমলা, পুলিশদের কোনো জবাবদিহি নেই। জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে একমাত্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এর জন্য যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিন।’
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘মিথ্যা আশ্বাস বা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ভোট চাওয়ার রাজনীতি বিএনপি করে না। বিএনপি ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে না। একটি দল নিজ ধর্মকে খাটো করে অন্য একটি দেশকে খুশি করার চেষ্টা করছে।’
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপি চলতি মাসের মধ্যে ২০০ আসনে প্রার্থী বাছাই করে তাঁদের সবুজসংকেত দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কমবেশি ২০০ নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থীকে হয়তো গ্রিন সিগন্যাল দেব।
২ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ বাদে সব রাজনৈতিক দলের ভালো মানুষদের জন্য এনসিপির দরজা খোলা বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এনসিপির ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) এবং ঢাকা জেলা শাখা সমন্বয়...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে তাঁর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত জোট কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলটির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে জোটবদ্ধ হব কি হব না, তারা হবে কি হবে না—রাজনীতির মাঠে কোনো কিছুই আগে থেকে বলে দেওয়া যায় না।’
জাতীয় সরকার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রতিশ্রুতি আছে, যাতে করে আমরা যুগপৎ সঙ্গী এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিয়ে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন এবং সরকার গঠন করতে পারি। সেটাই হচ্ছে ঐকমত্যের জাতীয় সরকার। সাধারণ জাতীয় সরকার বলতে যেটা বোঝায় সেটা নয়।’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে তাঁর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত জোট কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলটির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে জোটবদ্ধ হব কি হব না, তারা হবে কি হবে না—রাজনীতির মাঠে কোনো কিছুই আগে থেকে বলে দেওয়া যায় না।’
জাতীয় সরকার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রতিশ্রুতি আছে, যাতে করে আমরা যুগপৎ সঙ্গী এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিয়ে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন এবং সরকার গঠন করতে পারি। সেটাই হচ্ছে ঐকমত্যের জাতীয় সরকার। সাধারণ জাতীয় সরকার বলতে যেটা বোঝায় সেটা নয়।’

গতকাল (বুধবার) যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি এখনো চলমান। সেটি এখনো শেষ হয়নি। এটি কারা করেছে, এই তথ্য আমাদের কাছে নেই। এতে সরকারের কী ভূমিকা ছিল, সে তথ্যও আমাদের কাছে নেই। সুতরাং, আর অল্প কিছু সময় আমরা অপেক্ষা করব। আজকের দিনের মধ্যেই আশা করি সবকিছু পরিষ্কার হবে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে...
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘মিথ্যা আশ্বাস বা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ভোট চাওয়ার রাজনীতি বিএনপি করে না। বিএনপি ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে না। একটি দল নিজ ধর্মকে খাটো করে অন্য একটি দেশকে খুশি করার চেষ্টা করছে।’
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপি চলতি মাসের মধ্যে ২০০ আসনে প্রার্থী বাছাই করে তাঁদের সবুজসংকেত দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কমবেশি ২০০ নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থীকে হয়তো গ্রিন সিগন্যাল দেব।
২ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ বাদে সব রাজনৈতিক দলের ভালো মানুষদের জন্য এনসিপির দরজা খোলা বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এনসিপির ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) এবং ঢাকা জেলা শাখা সমন্বয়...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘মিথ্যা আশ্বাস বা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ভোট চাওয়ার রাজনীতি বিএনপি করে না। বিএনপি ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে না। একটি দল নিজ ধর্মকে খাটো করে অন্য একটি দেশকে খুশি করার চেষ্টা করছে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পশ্চিম মালিবাগে এক উঠোন বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘একটি কথা আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে—গণহত্যাকারীরা পালিয়ে গেছে। ব্যাংক, বিমা, বাংলাদেশের যা কিছু অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ছিল, সেগুলোকে ধ্বংস করে চূড়ান্তভাবে লুটপাট করে নিয়ে গেছে। এর মানে তারা আমাদের পঙ্গু করার চেষ্টা করেছে, বাংলাদেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। তারা একেবারে চলে গেছে—এটি যদি আমরা সত্যি ধরে নিই, তাহলে সেটাও ভুল হবে।’
মির্জা আব্বাস বলেন, আগামী নির্বাচনে যাদের জয়ী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, তারাই নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপির জয় নিশ্চিত জেনে দু-একটি রাজনৈতিক দল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করছে। বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিস্টের উত্থান হতে দেওয়া হবে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুর রহমান আরিফের সভাপতিত্বে এ সময় রমনা বিএনপির আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম, সদস্য শামীম হোসেনসহ স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘মিথ্যা আশ্বাস বা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ভোট চাওয়ার রাজনীতি বিএনপি করে না। বিএনপি ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে না। একটি দল নিজ ধর্মকে খাটো করে অন্য একটি দেশকে খুশি করার চেষ্টা করছে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পশ্চিম মালিবাগে এক উঠোন বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘একটি কথা আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে—গণহত্যাকারীরা পালিয়ে গেছে। ব্যাংক, বিমা, বাংলাদেশের যা কিছু অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ছিল, সেগুলোকে ধ্বংস করে চূড়ান্তভাবে লুটপাট করে নিয়ে গেছে। এর মানে তারা আমাদের পঙ্গু করার চেষ্টা করেছে, বাংলাদেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। তারা একেবারে চলে গেছে—এটি যদি আমরা সত্যি ধরে নিই, তাহলে সেটাও ভুল হবে।’
মির্জা আব্বাস বলেন, আগামী নির্বাচনে যাদের জয়ী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, তারাই নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপির জয় নিশ্চিত জেনে দু-একটি রাজনৈতিক দল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করছে। বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিস্টের উত্থান হতে দেওয়া হবে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুর রহমান আরিফের সভাপতিত্বে এ সময় রমনা বিএনপির আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম, সদস্য শামীম হোসেনসহ স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল (বুধবার) যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি এখনো চলমান। সেটি এখনো শেষ হয়নি। এটি কারা করেছে, এই তথ্য আমাদের কাছে নেই। এতে সরকারের কী ভূমিকা ছিল, সে তথ্যও আমাদের কাছে নেই। সুতরাং, আর অল্প কিছু সময় আমরা অপেক্ষা করব। আজকের দিনের মধ্যেই আশা করি সবকিছু পরিষ্কার হবে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে...
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপি চলতি মাসের মধ্যে ২০০ আসনে প্রার্থী বাছাই করে তাঁদের সবুজসংকেত দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কমবেশি ২০০ নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থীকে হয়তো গ্রিন সিগন্যাল দেব।
২ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ বাদে সব রাজনৈতিক দলের ভালো মানুষদের জন্য এনসিপির দরজা খোলা বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এনসিপির ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) এবং ঢাকা জেলা শাখা সমন্বয়...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপি চলতি মাসের মধ্যে ২০০ আসনে প্রার্থী বাছাই করে তাঁদের সবুজসংকেত দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কমবেশি ২০০ নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থীকে হয়তো গ্রিন সিগন্যাল দেব। সেই প্রক্রিয়ায় আছি, আমরা শেষের দিকে; যাতে নির্বাচনী মাঠে প্রার্থী হিসেবে তাঁরা কাজ করতে পারেন।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালাহউদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন।
নির্বাচনে আসন ছাড়ের প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত মনোনয়ন নির্ধারণ করা হবে। যাঁরা মনোনয়ন পাবেন না, তাঁদেরও অন্যভাবে মূল্যায়নের সুযোগ থাকবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে দেশে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘খুব শিগগির নির্ধারিত তারিখটি জানতে পারবেন। আশা করি, নভেম্বরের মধ্যেই তিনি ফিরবেন।’
জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কোন কোন আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তো অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি তো সেটা সাক্ষাৎকারে বলেই দিয়েছেন। আসন পরে নির্ধারিত হবে। বাংলাদেশের যেকোনো আসন থেকে তিনি নির্বাচন করতে পারেন।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনে কোন কোন আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা আশা করছি, খালেদা জিয়া নিজের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন—নির্বাচন করবেন কি না। আমরা তো চাই, তিনি নির্বাচনে অংশ নিন।’
একক প্রার্থী থাকা আসনে ‘না’ ভোটে বিএনপি সম্মতি দিয়েছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া যাতে কেউ নির্বাচনে জিততে না পারেন, সে নিশ্চয়তা দিতে একক প্রার্থী থাকা আসনে ‘না’ ভোটে সম্মতি জানিয়েছে বিএনপি। নির্বাচনী ইশতেহারের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। তফসিল ঘোষণার পর সেটি সামনে আনা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘জাতীয় পার্টি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ নয়। তারা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, সেটি তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত বলে মনে করি। জাতীয় পার্টি যদি আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন না করে, সেটা তাদের স্বাধীনতা।’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপি চলতি মাসের মধ্যে ২০০ আসনে প্রার্থী বাছাই করে তাঁদের সবুজসংকেত দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কমবেশি ২০০ নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থীকে হয়তো গ্রিন সিগন্যাল দেব। সেই প্রক্রিয়ায় আছি, আমরা শেষের দিকে; যাতে নির্বাচনী মাঠে প্রার্থী হিসেবে তাঁরা কাজ করতে পারেন।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালাহউদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন।
নির্বাচনে আসন ছাড়ের প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত মনোনয়ন নির্ধারণ করা হবে। যাঁরা মনোনয়ন পাবেন না, তাঁদেরও অন্যভাবে মূল্যায়নের সুযোগ থাকবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে দেশে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘খুব শিগগির নির্ধারিত তারিখটি জানতে পারবেন। আশা করি, নভেম্বরের মধ্যেই তিনি ফিরবেন।’
জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কোন কোন আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তো অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি তো সেটা সাক্ষাৎকারে বলেই দিয়েছেন। আসন পরে নির্ধারিত হবে। বাংলাদেশের যেকোনো আসন থেকে তিনি নির্বাচন করতে পারেন।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনে কোন কোন আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা আশা করছি, খালেদা জিয়া নিজের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন—নির্বাচন করবেন কি না। আমরা তো চাই, তিনি নির্বাচনে অংশ নিন।’
একক প্রার্থী থাকা আসনে ‘না’ ভোটে বিএনপি সম্মতি দিয়েছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া যাতে কেউ নির্বাচনে জিততে না পারেন, সে নিশ্চয়তা দিতে একক প্রার্থী থাকা আসনে ‘না’ ভোটে সম্মতি জানিয়েছে বিএনপি। নির্বাচনী ইশতেহারের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। তফসিল ঘোষণার পর সেটি সামনে আনা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘জাতীয় পার্টি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ নয়। তারা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, সেটি তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত বলে মনে করি। জাতীয় পার্টি যদি আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন না করে, সেটা তাদের স্বাধীনতা।’

গতকাল (বুধবার) যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি এখনো চলমান। সেটি এখনো শেষ হয়নি। এটি কারা করেছে, এই তথ্য আমাদের কাছে নেই। এতে সরকারের কী ভূমিকা ছিল, সে তথ্যও আমাদের কাছে নেই। সুতরাং, আর অল্প কিছু সময় আমরা অপেক্ষা করব। আজকের দিনের মধ্যেই আশা করি সবকিছু পরিষ্কার হবে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে...
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘মিথ্যা আশ্বাস বা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ভোট চাওয়ার রাজনীতি বিএনপি করে না। বিএনপি ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে না। একটি দল নিজ ধর্মকে খাটো করে অন্য একটি দেশকে খুশি করার চেষ্টা করছে।’
২ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগ বাদে সব রাজনৈতিক দলের ভালো মানুষদের জন্য এনসিপির দরজা খোলা বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এনসিপির ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) এবং ঢাকা জেলা শাখা সমন্বয়...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগ বাদে সব রাজনৈতিক দলের ভালো মানুষদের জন্য এনসিপির দরজা খোলা বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এনসিপির ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) এবং ঢাকা জেলা শাখা সমন্বয় সভা তিনি এ কথা জানান।
সারজিস বলেন, ‘সব দলের ভালো মানুষদের জন্য এনসিপির দরজা খোলা। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান-পূর্ববর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ এবং তার যেকোনো সহযোগী সংগঠনের পদে ছিল, এমন কেউ এনসিপির কোনো আহ্বায়ক কমিটিতে আসতে পারবে না। নিষ্ক্রিয়, বিতর্কিত কাউকে কমিটিতে রাখা যাবে না। একদম স্পষ্ট কথা হচ্ছে, কেউ যদি মনে করেন এনসিপিতে এসে আগের বা নিজের কোনো ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করবেন বা প্রত্যাশা করবেন, তাহলে আপনারা হয় আগের জায়গায় ফিরে যান অথবা এনসিপি থেকে দূরে থাকুন।’
সারজিস বলেন, ‘এনসিপি বাংলাদেশে ৪৬ নম্বর রাজনৈতিক দল হতে আসেনি। আমরা হয় জনগণের হয়ে সরকারি দল হিসেবে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করব, না হয় শক্তিশালী বিরোধী দল হব। জাতীয় পার্টির মতো পোষা বিরোধী দল হতেও আসিনি।
তিন দিনের মধ্যে এনসিপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ সারজিস। আর ১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিটি জেলা ও মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি করার নির্দেশনা দেন তিনি। সারজিস বলেন, ‘১৫ নভেম্বরের মধ্যে দেশের প্রতিটি জেলা ও মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি করতে হবে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড কিংবা মহানগর, থানা, ওয়ার্ড, বাংলাদেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে এনসিপির আহ্বায়ক কমিটি থাকতে হবে। যদি আমরা এটা করতে পারি, তাহলে আগামী সংসদ নির্বাচনে এনসিপি বাংলাদেশের শক্তিশালী দুটি রাজনৈতিক দলের একটি হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’
সারজিস জানান, কমিটিগুলোর আহ্বায়ক চল্লিশোর্ধ্ব হতে হবে, সদস্যসচিব কোনোভাবেই ৩৫ বছরের নিচে হবে না।
সমন্বয় সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ (দক্ষিণাঞ্চল) প্রমুখ।

আওয়ামী লীগ বাদে সব রাজনৈতিক দলের ভালো মানুষদের জন্য এনসিপির দরজা খোলা বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এনসিপির ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) এবং ঢাকা জেলা শাখা সমন্বয় সভা তিনি এ কথা জানান।
সারজিস বলেন, ‘সব দলের ভালো মানুষদের জন্য এনসিপির দরজা খোলা। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান-পূর্ববর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ এবং তার যেকোনো সহযোগী সংগঠনের পদে ছিল, এমন কেউ এনসিপির কোনো আহ্বায়ক কমিটিতে আসতে পারবে না। নিষ্ক্রিয়, বিতর্কিত কাউকে কমিটিতে রাখা যাবে না। একদম স্পষ্ট কথা হচ্ছে, কেউ যদি মনে করেন এনসিপিতে এসে আগের বা নিজের কোনো ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করবেন বা প্রত্যাশা করবেন, তাহলে আপনারা হয় আগের জায়গায় ফিরে যান অথবা এনসিপি থেকে দূরে থাকুন।’
সারজিস বলেন, ‘এনসিপি বাংলাদেশে ৪৬ নম্বর রাজনৈতিক দল হতে আসেনি। আমরা হয় জনগণের হয়ে সরকারি দল হিসেবে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করব, না হয় শক্তিশালী বিরোধী দল হব। জাতীয় পার্টির মতো পোষা বিরোধী দল হতেও আসিনি।
তিন দিনের মধ্যে এনসিপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ সারজিস। আর ১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিটি জেলা ও মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি করার নির্দেশনা দেন তিনি। সারজিস বলেন, ‘১৫ নভেম্বরের মধ্যে দেশের প্রতিটি জেলা ও মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি করতে হবে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড কিংবা মহানগর, থানা, ওয়ার্ড, বাংলাদেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে এনসিপির আহ্বায়ক কমিটি থাকতে হবে। যদি আমরা এটা করতে পারি, তাহলে আগামী সংসদ নির্বাচনে এনসিপি বাংলাদেশের শক্তিশালী দুটি রাজনৈতিক দলের একটি হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’
সারজিস জানান, কমিটিগুলোর আহ্বায়ক চল্লিশোর্ধ্ব হতে হবে, সদস্যসচিব কোনোভাবেই ৩৫ বছরের নিচে হবে না।
সমন্বয় সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ (দক্ষিণাঞ্চল) প্রমুখ।

গতকাল (বুধবার) যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি এখনো চলমান। সেটি এখনো শেষ হয়নি। এটি কারা করেছে, এই তথ্য আমাদের কাছে নেই। এতে সরকারের কী ভূমিকা ছিল, সে তথ্যও আমাদের কাছে নেই। সুতরাং, আর অল্প কিছু সময় আমরা অপেক্ষা করব। আজকের দিনের মধ্যেই আশা করি সবকিছু পরিষ্কার হবে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে...
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘মিথ্যা আশ্বাস বা ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ভোট চাওয়ার রাজনীতি বিএনপি করে না। বিএনপি ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে না। একটি দল নিজ ধর্মকে খাটো করে অন্য একটি দেশকে খুশি করার চেষ্টা করছে।’
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপি চলতি মাসের মধ্যে ২০০ আসনে প্রার্থী বাছাই করে তাঁদের সবুজসংকেত দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কমবেশি ২০০ নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থীকে হয়তো গ্রিন সিগন্যাল দেব।
২ ঘণ্টা আগে