নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলা যাবে না জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেছেন, ‘দিল্লির দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছি নিউইয়র্কের গোলামি করার জন্য নয়।’ এই অপতৎপরতা বন্ধ না হলে দেশপ্রেমিক জনতাকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নারী অধিকারবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত মহাসমাবেশে মামুনুল হক এসব কথা বলেন।
সমাবেশে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বার্তা দিতে চাই উল্লেখ করে মামুনুল হক বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা বলেছিল, আমরা পিন্ডির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি, দিল্লির দাসত্ব করার জন্য নয়। ২৪-এর জুলাইয়ের স্বাধীনতাসংগ্রামের পর আমি বলতে চাই, আমরা দিল্লির দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছি নিউইয়র্কের গোলামি করার জন্য নয়।’
মামুনুল হক বলেন, ‘যদি বাংলাদেশকে ওয়াশিংটনের দাসে পরিণত করার কোনো চক্রান্ত করা হয়, হিউম্যানিটারিয়ান করিডরের নামে বাংলাদেশের বুকের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হরণ করার জন্য অপতৎপরতা চালানো হয়, তাহলে সারা দেশের মানুষের প্রতি আমার আহ্বান, যুদ্ধের প্রস্তুতি নাও, দেশের জন্য যুদ্ধের প্রস্তুতি নাও।’
হেফাজত নেতা-কর্মীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলি, ড. ইউনূসের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অনেকবার সাক্ষাৎ করে বিনয়ের সঙ্গে আবেদন করেছি, আমাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী আমলে দায়ের করা মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করেন। কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে, সোজা আঙুলে ঘি উঠবে না।’
মামুনুল হক বলেন, ‘প্রফেসর ড. ইউনূস, আপনি কি সেই কথা ভুলে গেছেন, এই দুই মাস আগেও আমাদের সামনে আদালতের পাড়ায় পাড়ায় ঘুরতেন। আগামী দুই মাসের মধ্যে যদি হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের নামে মামলা প্রত্যাহার না হয়, তাহলে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের যা করতে হয়, তা-ই করবে।’
নারী অধিকার সংস্কারের নামে ইসলামকে কটাক্ষ করা হয়েছে দাবি করে মামুনুল বলেন, ‘ধর্মীয় উত্তরাধিকার বিধান, পারিবারিক বিধানকে নারী-পুরুষের বৈষম্যের প্রধান কারণ হিসেবে আখ্যায়িত করে নারীবিষয়ক কমিশন এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে।’
হেফাজতের এই নেতা আরও বলেন, ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে আমরা রাষ্ট্রের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দেখতে চাই। হেফাজতে ইসলাম বলতে চায়, এই তথাকথিত পশ্চিমা ধ্যানধারণায় বিশ্বাসী বিতর্কিত নারীবাদীদের আদর্শ ও দর্শন নয়, বরং হেফাজতে ইসলাম প্রদত্ত, আল্লাহ ঘোষিত নারীর ন্যায্য অধিকারে বিশ্বাসী।’
মামুনুল হক বলেন, ‘সংস্কার কার্যক্রম চলাকালে বহুত্ববাদের মতো বিতর্কিত, একত্ববাদবিরোধী কোনো ধারণা বাংলার মানুষ গ্রহণ করবে না। আমরা সংবিধান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহালের দাবি করেছি। এই দাবি বাস্তবায়নের জন্য আগামী দিনে কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে হেফাজতে ইসলাম সেই সিদ্ধান্তই নেবে।’
সমাবেশ থেকে নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগামী তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন করার ঘোষণা দেন সংগঠনটির মহাসচিব সাজিদুর রহমান। তিনি বলেন, নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগামী তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন করা হবে। ২৩ মে বাদ জুমা নারী অধিকার সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।
এর আগে ১২ দফা ঘোষণাপত্র পাঠ করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাহফুজুল হক। অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
সমাবেশের সভাপতি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় এই মহাসমাবেশ। মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাহমুদুর হাসান কাশেমী, নায়েবে আমির আহমেদ কাশেমী, জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ প্রমুখ।

মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলা যাবে না জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেছেন, ‘দিল্লির দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছি নিউইয়র্কের গোলামি করার জন্য নয়।’ এই অপতৎপরতা বন্ধ না হলে দেশপ্রেমিক জনতাকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নারী অধিকারবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত মহাসমাবেশে মামুনুল হক এসব কথা বলেন।
সমাবেশে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বার্তা দিতে চাই উল্লেখ করে মামুনুল হক বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা বলেছিল, আমরা পিন্ডির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি, দিল্লির দাসত্ব করার জন্য নয়। ২৪-এর জুলাইয়ের স্বাধীনতাসংগ্রামের পর আমি বলতে চাই, আমরা দিল্লির দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছি নিউইয়র্কের গোলামি করার জন্য নয়।’
মামুনুল হক বলেন, ‘যদি বাংলাদেশকে ওয়াশিংটনের দাসে পরিণত করার কোনো চক্রান্ত করা হয়, হিউম্যানিটারিয়ান করিডরের নামে বাংলাদেশের বুকের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হরণ করার জন্য অপতৎপরতা চালানো হয়, তাহলে সারা দেশের মানুষের প্রতি আমার আহ্বান, যুদ্ধের প্রস্তুতি নাও, দেশের জন্য যুদ্ধের প্রস্তুতি নাও।’
হেফাজত নেতা-কর্মীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলি, ড. ইউনূসের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অনেকবার সাক্ষাৎ করে বিনয়ের সঙ্গে আবেদন করেছি, আমাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী আমলে দায়ের করা মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করেন। কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে, সোজা আঙুলে ঘি উঠবে না।’
মামুনুল হক বলেন, ‘প্রফেসর ড. ইউনূস, আপনি কি সেই কথা ভুলে গেছেন, এই দুই মাস আগেও আমাদের সামনে আদালতের পাড়ায় পাড়ায় ঘুরতেন। আগামী দুই মাসের মধ্যে যদি হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের নামে মামলা প্রত্যাহার না হয়, তাহলে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের যা করতে হয়, তা-ই করবে।’
নারী অধিকার সংস্কারের নামে ইসলামকে কটাক্ষ করা হয়েছে দাবি করে মামুনুল বলেন, ‘ধর্মীয় উত্তরাধিকার বিধান, পারিবারিক বিধানকে নারী-পুরুষের বৈষম্যের প্রধান কারণ হিসেবে আখ্যায়িত করে নারীবিষয়ক কমিশন এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে।’
হেফাজতের এই নেতা আরও বলেন, ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে আমরা রাষ্ট্রের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দেখতে চাই। হেফাজতে ইসলাম বলতে চায়, এই তথাকথিত পশ্চিমা ধ্যানধারণায় বিশ্বাসী বিতর্কিত নারীবাদীদের আদর্শ ও দর্শন নয়, বরং হেফাজতে ইসলাম প্রদত্ত, আল্লাহ ঘোষিত নারীর ন্যায্য অধিকারে বিশ্বাসী।’
মামুনুল হক বলেন, ‘সংস্কার কার্যক্রম চলাকালে বহুত্ববাদের মতো বিতর্কিত, একত্ববাদবিরোধী কোনো ধারণা বাংলার মানুষ গ্রহণ করবে না। আমরা সংবিধান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহালের দাবি করেছি। এই দাবি বাস্তবায়নের জন্য আগামী দিনে কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে হেফাজতে ইসলাম সেই সিদ্ধান্তই নেবে।’
সমাবেশ থেকে নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগামী তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন করার ঘোষণা দেন সংগঠনটির মহাসচিব সাজিদুর রহমান। তিনি বলেন, নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগামী তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন করা হবে। ২৩ মে বাদ জুমা নারী অধিকার সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।
এর আগে ১২ দফা ঘোষণাপত্র পাঠ করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাহফুজুল হক। অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
সমাবেশের সভাপতি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় এই মহাসমাবেশ। মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাহমুদুর হাসান কাশেমী, নায়েবে আমির আহমেদ কাশেমী, জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলা যাবে না জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেছেন, ‘দিল্লির দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছি নিউইয়র্কের গোলামি করার জন্য নয়।’ এই অপতৎপরতা বন্ধ না হলে দেশপ্রেমিক জনতাকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নারী অধিকারবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত মহাসমাবেশে মামুনুল হক এসব কথা বলেন।
সমাবেশে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বার্তা দিতে চাই উল্লেখ করে মামুনুল হক বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা বলেছিল, আমরা পিন্ডির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি, দিল্লির দাসত্ব করার জন্য নয়। ২৪-এর জুলাইয়ের স্বাধীনতাসংগ্রামের পর আমি বলতে চাই, আমরা দিল্লির দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছি নিউইয়র্কের গোলামি করার জন্য নয়।’
মামুনুল হক বলেন, ‘যদি বাংলাদেশকে ওয়াশিংটনের দাসে পরিণত করার কোনো চক্রান্ত করা হয়, হিউম্যানিটারিয়ান করিডরের নামে বাংলাদেশের বুকের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হরণ করার জন্য অপতৎপরতা চালানো হয়, তাহলে সারা দেশের মানুষের প্রতি আমার আহ্বান, যুদ্ধের প্রস্তুতি নাও, দেশের জন্য যুদ্ধের প্রস্তুতি নাও।’
হেফাজত নেতা-কর্মীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলি, ড. ইউনূসের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অনেকবার সাক্ষাৎ করে বিনয়ের সঙ্গে আবেদন করেছি, আমাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী আমলে দায়ের করা মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করেন। কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে, সোজা আঙুলে ঘি উঠবে না।’
মামুনুল হক বলেন, ‘প্রফেসর ড. ইউনূস, আপনি কি সেই কথা ভুলে গেছেন, এই দুই মাস আগেও আমাদের সামনে আদালতের পাড়ায় পাড়ায় ঘুরতেন। আগামী দুই মাসের মধ্যে যদি হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের নামে মামলা প্রত্যাহার না হয়, তাহলে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের যা করতে হয়, তা-ই করবে।’
নারী অধিকার সংস্কারের নামে ইসলামকে কটাক্ষ করা হয়েছে দাবি করে মামুনুল বলেন, ‘ধর্মীয় উত্তরাধিকার বিধান, পারিবারিক বিধানকে নারী-পুরুষের বৈষম্যের প্রধান কারণ হিসেবে আখ্যায়িত করে নারীবিষয়ক কমিশন এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে।’
হেফাজতের এই নেতা আরও বলেন, ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে আমরা রাষ্ট্রের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দেখতে চাই। হেফাজতে ইসলাম বলতে চায়, এই তথাকথিত পশ্চিমা ধ্যানধারণায় বিশ্বাসী বিতর্কিত নারীবাদীদের আদর্শ ও দর্শন নয়, বরং হেফাজতে ইসলাম প্রদত্ত, আল্লাহ ঘোষিত নারীর ন্যায্য অধিকারে বিশ্বাসী।’
মামুনুল হক বলেন, ‘সংস্কার কার্যক্রম চলাকালে বহুত্ববাদের মতো বিতর্কিত, একত্ববাদবিরোধী কোনো ধারণা বাংলার মানুষ গ্রহণ করবে না। আমরা সংবিধান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহালের দাবি করেছি। এই দাবি বাস্তবায়নের জন্য আগামী দিনে কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে হেফাজতে ইসলাম সেই সিদ্ধান্তই নেবে।’
সমাবেশ থেকে নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগামী তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন করার ঘোষণা দেন সংগঠনটির মহাসচিব সাজিদুর রহমান। তিনি বলেন, নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগামী তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন করা হবে। ২৩ মে বাদ জুমা নারী অধিকার সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।
এর আগে ১২ দফা ঘোষণাপত্র পাঠ করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাহফুজুল হক। অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
সমাবেশের সভাপতি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় এই মহাসমাবেশ। মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাহমুদুর হাসান কাশেমী, নায়েবে আমির আহমেদ কাশেমী, জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ প্রমুখ।

মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলা যাবে না জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেছেন, ‘দিল্লির দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছি নিউইয়র্কের গোলামি করার জন্য নয়।’ এই অপতৎপরতা বন্ধ না হলে দেশপ্রেমিক জনতাকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নারী অধিকারবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত মহাসমাবেশে মামুনুল হক এসব কথা বলেন।
সমাবেশে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বার্তা দিতে চাই উল্লেখ করে মামুনুল হক বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা বলেছিল, আমরা পিন্ডির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি, দিল্লির দাসত্ব করার জন্য নয়। ২৪-এর জুলাইয়ের স্বাধীনতাসংগ্রামের পর আমি বলতে চাই, আমরা দিল্লির দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছি নিউইয়র্কের গোলামি করার জন্য নয়।’
মামুনুল হক বলেন, ‘যদি বাংলাদেশকে ওয়াশিংটনের দাসে পরিণত করার কোনো চক্রান্ত করা হয়, হিউম্যানিটারিয়ান করিডরের নামে বাংলাদেশের বুকের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হরণ করার জন্য অপতৎপরতা চালানো হয়, তাহলে সারা দেশের মানুষের প্রতি আমার আহ্বান, যুদ্ধের প্রস্তুতি নাও, দেশের জন্য যুদ্ধের প্রস্তুতি নাও।’
হেফাজত নেতা-কর্মীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলি, ড. ইউনূসের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অনেকবার সাক্ষাৎ করে বিনয়ের সঙ্গে আবেদন করেছি, আমাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী আমলে দায়ের করা মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করেন। কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে, সোজা আঙুলে ঘি উঠবে না।’
মামুনুল হক বলেন, ‘প্রফেসর ড. ইউনূস, আপনি কি সেই কথা ভুলে গেছেন, এই দুই মাস আগেও আমাদের সামনে আদালতের পাড়ায় পাড়ায় ঘুরতেন। আগামী দুই মাসের মধ্যে যদি হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের নামে মামলা প্রত্যাহার না হয়, তাহলে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের যা করতে হয়, তা-ই করবে।’
নারী অধিকার সংস্কারের নামে ইসলামকে কটাক্ষ করা হয়েছে দাবি করে মামুনুল বলেন, ‘ধর্মীয় উত্তরাধিকার বিধান, পারিবারিক বিধানকে নারী-পুরুষের বৈষম্যের প্রধান কারণ হিসেবে আখ্যায়িত করে নারীবিষয়ক কমিশন এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে।’
হেফাজতের এই নেতা আরও বলেন, ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে আমরা রাষ্ট্রের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দেখতে চাই। হেফাজতে ইসলাম বলতে চায়, এই তথাকথিত পশ্চিমা ধ্যানধারণায় বিশ্বাসী বিতর্কিত নারীবাদীদের আদর্শ ও দর্শন নয়, বরং হেফাজতে ইসলাম প্রদত্ত, আল্লাহ ঘোষিত নারীর ন্যায্য অধিকারে বিশ্বাসী।’
মামুনুল হক বলেন, ‘সংস্কার কার্যক্রম চলাকালে বহুত্ববাদের মতো বিতর্কিত, একত্ববাদবিরোধী কোনো ধারণা বাংলার মানুষ গ্রহণ করবে না। আমরা সংবিধান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহালের দাবি করেছি। এই দাবি বাস্তবায়নের জন্য আগামী দিনে কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে হেফাজতে ইসলাম সেই সিদ্ধান্তই নেবে।’
সমাবেশ থেকে নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগামী তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন করার ঘোষণা দেন সংগঠনটির মহাসচিব সাজিদুর রহমান। তিনি বলেন, নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগামী তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন করা হবে। ২৩ মে বাদ জুমা নারী অধিকার সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।
এর আগে ১২ দফা ঘোষণাপত্র পাঠ করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাহফুজুল হক। অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
সমাবেশের সভাপতি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় এই মহাসমাবেশ। মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাহমুদুর হাসান কাশেমী, নায়েবে আমির আহমেদ কাশেমী, জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ প্রমুখ।

বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, যে জাতি ধর্মীয় ও নৈতিকতার ওপর সমুন্নত থাকে, তার পরাজয় হয় না।
২ ঘণ্টা আগে
সুফি সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে মাজার ও দরবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের স্বার্থেই মাজার ও দরবারের প্রতি এই সহিংসতাকে রোধ করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীসহ অনেককে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়াদিগন্তের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এই
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, যে জাতি ধর্মীয় ও নৈতিকতার ওপর সমুন্নত থাকে, তার পরাজয় হয় না।
আজ শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ পরিষদ আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ ও মূল্যবোধ পরিপন্থী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আয়োজন করা হয় সেমিনারটির।
এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল হালিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মো. রেজাউল করীম, এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মো. মামুনুল হক প্রমুখ।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘বিগত দিনে কিছু সংগঠনের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালানো হয়েছে। নীতি-নৈতিকতাবিবর্জিত কোনো জাতি শক্তিশালী জাতি হিসেবে পরিচয় লাভ করতে পারে না। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, তবে বাংলাদেশে আবার ফ্যাসিবাদের উত্থান ও উৎপাত বন্ধ হবে।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, পশ্চিমা আধিপত্যবাদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধবিবর্জিত শিক্ষার প্রসার ঘটানো হচ্ছে, যা দেশের সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। প্রাথমিক শিক্ষাকে নৈতিকতাবিরোধী অবস্থান থেকে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।
এনসিপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাসঙ্গিকতা ও মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনা হবে জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের জিপিএ-৫ প্রণোদনা দিয়ে মূল্যবোধ কেড়ে নিয়েছিল শেখ হাসিনা। এভাবে সবাইকে কোনো না কোনো প্রণোদনা দিয়ে ফ্যাসিজম বহাল রেখেছিল। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভিত্তিতে দেশ চলবে এবং শিক্ষাব্যবস্থায় সেটি বিরাজমান থাকবে।
সৈয়দ মো. রেজাউল করীম বলেন, ‘দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন এখনই দিতে হবে। অন্যথায় আমরা সব দল মিলে সম্মিলিত কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। এই ইস্যু আমাদের প্রজন্মের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত, তাই আমরা যতটুকু কঠোর হওয়ার দরকার, ততটুকুই হব।’
মো. মামুনুল হক বলেন, ‘ভবিষ্যতে যারাই বাংলাদেশের ক্ষমতায় যাবে, তাদের ইসলামপন্থীদের সঙ্গে নিয়েই দেশ পরিচালনা করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষায় ইসলামি মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে সামনে বৃহত্তর কর্মসূচিও আসতে পারে।’

বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, যে জাতি ধর্মীয় ও নৈতিকতার ওপর সমুন্নত থাকে, তার পরাজয় হয় না।
আজ শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ পরিষদ আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ ও মূল্যবোধ পরিপন্থী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আয়োজন করা হয় সেমিনারটির।
এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল হালিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মো. রেজাউল করীম, এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মো. মামুনুল হক প্রমুখ।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘বিগত দিনে কিছু সংগঠনের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালানো হয়েছে। নীতি-নৈতিকতাবিবর্জিত কোনো জাতি শক্তিশালী জাতি হিসেবে পরিচয় লাভ করতে পারে না। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, তবে বাংলাদেশে আবার ফ্যাসিবাদের উত্থান ও উৎপাত বন্ধ হবে।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, পশ্চিমা আধিপত্যবাদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধবিবর্জিত শিক্ষার প্রসার ঘটানো হচ্ছে, যা দেশের সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। প্রাথমিক শিক্ষাকে নৈতিকতাবিরোধী অবস্থান থেকে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।
এনসিপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাসঙ্গিকতা ও মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনা হবে জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের জিপিএ-৫ প্রণোদনা দিয়ে মূল্যবোধ কেড়ে নিয়েছিল শেখ হাসিনা। এভাবে সবাইকে কোনো না কোনো প্রণোদনা দিয়ে ফ্যাসিজম বহাল রেখেছিল। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভিত্তিতে দেশ চলবে এবং শিক্ষাব্যবস্থায় সেটি বিরাজমান থাকবে।
সৈয়দ মো. রেজাউল করীম বলেন, ‘দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন এখনই দিতে হবে। অন্যথায় আমরা সব দল মিলে সম্মিলিত কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। এই ইস্যু আমাদের প্রজন্মের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত, তাই আমরা যতটুকু কঠোর হওয়ার দরকার, ততটুকুই হব।’
মো. মামুনুল হক বলেন, ‘ভবিষ্যতে যারাই বাংলাদেশের ক্ষমতায় যাবে, তাদের ইসলামপন্থীদের সঙ্গে নিয়েই দেশ পরিচালনা করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষায় ইসলামি মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে সামনে বৃহত্তর কর্মসূচিও আসতে পারে।’

মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলা যাবে না জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেছেন, ‘দিল্লির দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছি নিউইয়র্কের গোলামি করার জন্য নয়।’ এই অপতৎপরতা বন্ধ না হলে দেশপ্রেমিক জনতাকে যুদ্ধের প্রস্তুতি...
০৩ মে ২০২৫
সুফি সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে মাজার ও দরবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের স্বার্থেই মাজার ও দরবারের প্রতি এই সহিংসতাকে রোধ করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীসহ অনেককে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়াদিগন্তের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এই
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘সবাই সংঘাতের জন্য মুখিয়ে আছে এবং আপনারা অবশ্যই এটা অল্প কয়েক মাসের মধ্যে দেখতে পাবেন। আমি আশঙ্কা করছি, যদি এটার সঙ্গে ধর্মীয় যে দৃষ্টিকোণ, এটা যদি যুক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিএমএ ভবনে ‘মাজার সংস্কৃতি: সহিংসতা, সংকট ও ভবিষ্যৎ ভাবনা’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান। সংলাপের আয়োজন করে সুফি সম্প্রদায় নিয়ে গবেষণা করা প্ল্যাটফর্ম ‘মাকাম’।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দরবারগুলোর সঙ্গে সংযোগ তৈরি করার চেষ্টা করছে বলে শুনেছি। দরবারগুলোকে এটা বোঝানোর জন্য যে অধ্যাপক ইউনূসের সরকার এসে মাজার ভেঙে দিচ্ছে, মসজিদ থেকে বের করে দিচ্ছে। এই কোশ্চেনটা (প্রশ্ন) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ইস্যু নয়। এটা ৫০ বছর ধরে চলছে। যখন সরকার পরিবর্তন হয়, মসজিদ কমিটি বদল হয়ে যায়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নিং কমিটি বদল হয়ে যায়।’
মাজার-দরবারে হামলা বন্ধে সামাজিকভাবে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘দেশে কোনো কোনো দূতাবাস চায়, মাজারগুলো ধ্বংস হোক। একধরনের রাজনৈতিক আদর্শিক জায়গা এখানে আছে। গত এক বছর যাবৎ মাজার-দরবারের ওপর যে হামলা হয়েছে, তার যদি পাল্টা আঘাত হয়, তাহলে তা রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করবে। ফলে এই সহিংসতাকে যেকোনো মূল্যেই হোক বন্ধ করতে হবে। সহিংসতা বন্ধ করার জন্য সামাজিকভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। সামাজিক সংলাপের মাধ্যমেই এই সংকট দূরীভূত করা সম্ভব।’
এ সময় সুফি সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে মাজার ও দরবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের স্বার্থেই মাজার ও দরবারের প্রতি এই সহিংসতাকে রোধ করতে হবে। আমার পরামর্শ থাকবে, সুফি সমাজের পক্ষ থেকে এই আওয়াজ তোলা উচিত—আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল দলের ইশতেহারে যেন সুফি সমাজের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।’
সংলাপে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘মাজারে সহিংসতার বিষয়ে কথা বলা একটা ট্যাবুতে পরিণত হয়েছে। আজকের এই অনুষ্ঠানে আসতেও আমি উদ্বিগ্ন ছিলাম। কিন্তু এই ট্যাবু ভাঙতে হবে। আমাদের দেশে মাজার-দরবারে দায়িত্বশীল যাঁরা আছেন, তাঁদের একটা ঘাটতি হলো, তাঁরা রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণে প্রভাব রাখতে পারছেন না। যে কারণে তাঁদের কণ্ঠস্বর রাষ্ট্রকে বাধ্য করতে পারছে না।’
সুফি সমাজের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সুফি সমাজের এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরি করা প্রয়োজন, যার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে আপনারা অবদান রাখতে পারবেন। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে মাজার-দরবারে যে সহিংসতা হলো, এ ঘটনাগুলোর তদন্ত ও অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা দরকার। জাতীয় নাগরিক পার্টি এই কমিশন গঠনের জন্য পর্যাপ্ত সহায়তা করবে। সর্বশেষ কথা হলো, এ দেশের নাগরিক কওমি হোক, আলিয়া হোক, সুন্নি হোক—যে যেই মতাদর্শ ধারণ করুক না কেন—কেউ কারও গায়ে আঘাত করবে না। এই জায়গায় আমাদের একটি বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন।’
সংলাপে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আয়াতুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মানজুর আল মতিন, দ্য ডিসেন্টের সম্পাদক ও ফ্যাক্টচেকার কদরুদ্দীন শিশির, মাইজভান্ডার দরবার শরিফের রহমানিয়া মঈনিয়া মঞ্জিলের প্রতিনিধি মোহাম্মদ আসলাম হোসেন, অলিতলা দরবার শরিফের পীর মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন লতিফী প্রমুখ।

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘সবাই সংঘাতের জন্য মুখিয়ে আছে এবং আপনারা অবশ্যই এটা অল্প কয়েক মাসের মধ্যে দেখতে পাবেন। আমি আশঙ্কা করছি, যদি এটার সঙ্গে ধর্মীয় যে দৃষ্টিকোণ, এটা যদি যুক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিএমএ ভবনে ‘মাজার সংস্কৃতি: সহিংসতা, সংকট ও ভবিষ্যৎ ভাবনা’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান। সংলাপের আয়োজন করে সুফি সম্প্রদায় নিয়ে গবেষণা করা প্ল্যাটফর্ম ‘মাকাম’।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দরবারগুলোর সঙ্গে সংযোগ তৈরি করার চেষ্টা করছে বলে শুনেছি। দরবারগুলোকে এটা বোঝানোর জন্য যে অধ্যাপক ইউনূসের সরকার এসে মাজার ভেঙে দিচ্ছে, মসজিদ থেকে বের করে দিচ্ছে। এই কোশ্চেনটা (প্রশ্ন) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ইস্যু নয়। এটা ৫০ বছর ধরে চলছে। যখন সরকার পরিবর্তন হয়, মসজিদ কমিটি বদল হয়ে যায়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নিং কমিটি বদল হয়ে যায়।’
মাজার-দরবারে হামলা বন্ধে সামাজিকভাবে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘দেশে কোনো কোনো দূতাবাস চায়, মাজারগুলো ধ্বংস হোক। একধরনের রাজনৈতিক আদর্শিক জায়গা এখানে আছে। গত এক বছর যাবৎ মাজার-দরবারের ওপর যে হামলা হয়েছে, তার যদি পাল্টা আঘাত হয়, তাহলে তা রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করবে। ফলে এই সহিংসতাকে যেকোনো মূল্যেই হোক বন্ধ করতে হবে। সহিংসতা বন্ধ করার জন্য সামাজিকভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। সামাজিক সংলাপের মাধ্যমেই এই সংকট দূরীভূত করা সম্ভব।’
এ সময় সুফি সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে মাজার ও দরবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের স্বার্থেই মাজার ও দরবারের প্রতি এই সহিংসতাকে রোধ করতে হবে। আমার পরামর্শ থাকবে, সুফি সমাজের পক্ষ থেকে এই আওয়াজ তোলা উচিত—আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল দলের ইশতেহারে যেন সুফি সমাজের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।’
সংলাপে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘মাজারে সহিংসতার বিষয়ে কথা বলা একটা ট্যাবুতে পরিণত হয়েছে। আজকের এই অনুষ্ঠানে আসতেও আমি উদ্বিগ্ন ছিলাম। কিন্তু এই ট্যাবু ভাঙতে হবে। আমাদের দেশে মাজার-দরবারে দায়িত্বশীল যাঁরা আছেন, তাঁদের একটা ঘাটতি হলো, তাঁরা রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণে প্রভাব রাখতে পারছেন না। যে কারণে তাঁদের কণ্ঠস্বর রাষ্ট্রকে বাধ্য করতে পারছে না।’
সুফি সমাজের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সুফি সমাজের এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরি করা প্রয়োজন, যার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে আপনারা অবদান রাখতে পারবেন। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে মাজার-দরবারে যে সহিংসতা হলো, এ ঘটনাগুলোর তদন্ত ও অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা দরকার। জাতীয় নাগরিক পার্টি এই কমিশন গঠনের জন্য পর্যাপ্ত সহায়তা করবে। সর্বশেষ কথা হলো, এ দেশের নাগরিক কওমি হোক, আলিয়া হোক, সুন্নি হোক—যে যেই মতাদর্শ ধারণ করুক না কেন—কেউ কারও গায়ে আঘাত করবে না। এই জায়গায় আমাদের একটি বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন।’
সংলাপে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আয়াতুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মানজুর আল মতিন, দ্য ডিসেন্টের সম্পাদক ও ফ্যাক্টচেকার কদরুদ্দীন শিশির, মাইজভান্ডার দরবার শরিফের রহমানিয়া মঈনিয়া মঞ্জিলের প্রতিনিধি মোহাম্মদ আসলাম হোসেন, অলিতলা দরবার শরিফের পীর মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন লতিফী প্রমুখ।

মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলা যাবে না জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেছেন, ‘দিল্লির দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছি নিউইয়র্কের গোলামি করার জন্য নয়।’ এই অপতৎপরতা বন্ধ না হলে দেশপ্রেমিক জনতাকে যুদ্ধের প্রস্তুতি...
০৩ মে ২০২৫
বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, যে জাতি ধর্মীয় ও নৈতিকতার ওপর সমুন্নত থাকে, তার পরাজয় হয় না।
২ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীসহ অনেককে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়াদিগন্তের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এই
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীসহ অনেককে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়াদিগন্তের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসনামলে এই দেশের সমস্ত শক্তিগুলো, যারা গণতন্ত্রকামী, তারা নির্যাতিত হয়েছে। প্রায় ৬০ লক্ষ গণতন্ত্রের কর্মীকে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ২০ হাজারের ওপর মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ইলিয়াস আলীসহ ১৭ শ কর্মীকে গুম করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের আলেম-ওলামা, জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা নিজামী সাহেব (মতিউর রহমান নিজামী), কামারুজ্জামান সাহেব, এই পত্রিকার প্রকাশক মীর কাসেম আলী খান, সালাউদ্দিন সাহেব...তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে মিথ্যা মামলায়।’
অনুষ্ঠানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবার ঐক্যের মধ্য দিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সংস্কার সনদে স্বাক্ষর করা দলগুলোর ঐক্যের মাধ্যমে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। ছোটখাটো সমস্যা দূরে রেখে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনতে সব রাজনৈতিক দলকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাই।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭৫ সালের বাকশাল শাসনের সময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের দুঃসময়। তখন সাংবাদিকেরা বেকার হয়েছিলেন, অনেকে রাস্তায় হকারি করেছেন। পরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।’
তিনি বলেন, ‘এই দেশবাসী একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চায়। এমন বাংলাদেশ, যা কোনো বিদেশি শক্তির নিয়ন্ত্রণে নয়, জনগণের ইচ্ছায় পরিচালিত হবে।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘নয়াদিগন্ত আমাদের কাছে সংগ্রামের আরেক নাম। ফ্যাসিবাদী শাসনামলে এই পত্রিকার সাংবাদিক, সম্পাদক, প্রকাশক ও কর্মীরা অকথ্য নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। কিন্তু তবুও তাঁরা ধৈর্য, সতর্কতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চালিয়ে গেছেন।’
নয়াদিগন্তের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীসহ অনেককে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়াদিগন্তের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসনামলে এই দেশের সমস্ত শক্তিগুলো, যারা গণতন্ত্রকামী, তারা নির্যাতিত হয়েছে। প্রায় ৬০ লক্ষ গণতন্ত্রের কর্মীকে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ২০ হাজারের ওপর মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ইলিয়াস আলীসহ ১৭ শ কর্মীকে গুম করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের আলেম-ওলামা, জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা নিজামী সাহেব (মতিউর রহমান নিজামী), কামারুজ্জামান সাহেব, এই পত্রিকার প্রকাশক মীর কাসেম আলী খান, সালাউদ্দিন সাহেব...তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে মিথ্যা মামলায়।’
অনুষ্ঠানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবার ঐক্যের মধ্য দিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সংস্কার সনদে স্বাক্ষর করা দলগুলোর ঐক্যের মাধ্যমে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। ছোটখাটো সমস্যা দূরে রেখে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনতে সব রাজনৈতিক দলকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাই।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭৫ সালের বাকশাল শাসনের সময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের দুঃসময়। তখন সাংবাদিকেরা বেকার হয়েছিলেন, অনেকে রাস্তায় হকারি করেছেন। পরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।’
তিনি বলেন, ‘এই দেশবাসী একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চায়। এমন বাংলাদেশ, যা কোনো বিদেশি শক্তির নিয়ন্ত্রণে নয়, জনগণের ইচ্ছায় পরিচালিত হবে।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘নয়াদিগন্ত আমাদের কাছে সংগ্রামের আরেক নাম। ফ্যাসিবাদী শাসনামলে এই পত্রিকার সাংবাদিক, সম্পাদক, প্রকাশক ও কর্মীরা অকথ্য নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। কিন্তু তবুও তাঁরা ধৈর্য, সতর্কতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চালিয়ে গেছেন।’
নয়াদিগন্তের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলা যাবে না জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেছেন, ‘দিল্লির দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছি নিউইয়র্কের গোলামি করার জন্য নয়।’ এই অপতৎপরতা বন্ধ না হলে দেশপ্রেমিক জনতাকে যুদ্ধের প্রস্তুতি...
০৩ মে ২০২৫
বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, যে জাতি ধর্মীয় ও নৈতিকতার ওপর সমুন্নত থাকে, তার পরাজয় হয় না।
২ ঘণ্টা আগে
সুফি সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে মাজার ও দরবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের স্বার্থেই মাজার ও দরবারের প্রতি এই সহিংসতাকে রোধ করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
গত ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এনসিপি অংশগ্রহণ থেকে বিরত ছিল। এ প্রসঙ্গে আখতার হোসেন বলেন, ‘বাস্তবায়ন ব্যতিরেকে এই সনদ স্বাক্ষরিত হলে তা কেবল “আনুষ্ঠানিকতা” হয়ে থাকবে এবং জনগণের অর্জন ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে।’
তিনি স্পষ্ট করেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরকে তাঁরা মূল বিষয়বস্তু মনে করেন না, বরং এটি একটি আনুষ্ঠানিকতা। এনসিপি মনে করে, জনগণের কাছে বাস্তবায়নের আদেশ সম্পর্কে পরিষ্কার বার্তা উপস্থাপন করাই মূল লক্ষ্য।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আখতার হোসেন।
আখতার হোসেন দাবি করেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একটি আদেশ জারি, গণভোট এবং সামনের সংসদকে জনগণ কর্তৃক ন্যস্ত ক্ষমতা (Constituent Power) প্রদানের মাধ্যমে একটি সংস্কারকৃত সংবিধান প্রণয়নের বিষয়ে একমত হয়েছিল।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আইনি ভিত্তি দেওয়ার ব্যাপারে একমত হওয়া সত্ত্বেও সে আইনি ভিত্তি কীভাবে অর্জিত হবে? সেটা কখন থেকে কার্যকর হবে? সেই জায়গা জনগণের কাছে এখনো পর্যন্ত খোলাসা করা হয় নাই।’
আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতারতিনি যোগ করেন, জুলাই সনদকে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার প্রধান হিসেবে এই সনদ জারি করবেন এবং গণভোটের মাধ্যমে আগামীর সংসদকে ‘কনস্টিটিউয়েন্ট পাওয়ার’ প্রয়োগের সুযোগ দিতে হবে। এরপর সেই সংসদ সংস্কারগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে ২০২৬ সালের সংস্কারকৃত সংবিধান ঘোষণা করবে।
সনদ বাস্তবায়নের পথরেখা জাতির কাছে পরিষ্কার করার লক্ষ্যে এনসিপি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সদস্যসচিব জানান, অনানুষ্ঠানিকভাবে কমিশনের সঙ্গে তাঁদের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে, যেখানে তাঁরা তাঁদের দাবিগুলো পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এনসিপি কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশের খসড়া, বিষয়বস্তু ও পরিধি—প্রত্যেকটি জিনিস জাতির কাছে অবিলম্বে উপস্থাপন করতে হবে।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের একটি আদেশ প্রস্তুত করছেন, যা এনসিপি অগ্রগতি হিসেবে দেখলেও, সে আদেশের মধ্যকার বক্তব্য এখনো পর্যন্ত উপস্থাপন করতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাঁরা পুরোপুরি আশাবাদী হতে পারেননি বলে জানান আখতার হোসেন।
আখতার হোসেন সতর্ক বলেন, কমিশন আন্তরিকতা থেকে কাজ শুরু করলেও, এটি যেন কোনোভাবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের’ মতো করে কোনো দলের চাপে পড়ে কেবল একটি কাগুজে দলিল হিসেবে বাস্তবায়ন পরিপন্থীভাবে উপস্থাপিত না হয়।
আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘জুলাই সনদকে আমরা শুধু রাজনৈতিক দলিল হিসেবে দেখি না। এটি জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের প্রতিফলন।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, আদেশের স্পষ্ট ধারণা না থাকলে শুধু গণভোট সংস্কারের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে পারবে না। তাই কমিশনকে সর্বাধিক সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
গত ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এনসিপি অংশগ্রহণ থেকে বিরত ছিল। এ প্রসঙ্গে আখতার হোসেন বলেন, ‘বাস্তবায়ন ব্যতিরেকে এই সনদ স্বাক্ষরিত হলে তা কেবল “আনুষ্ঠানিকতা” হয়ে থাকবে এবং জনগণের অর্জন ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে।’
তিনি স্পষ্ট করেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরকে তাঁরা মূল বিষয়বস্তু মনে করেন না, বরং এটি একটি আনুষ্ঠানিকতা। এনসিপি মনে করে, জনগণের কাছে বাস্তবায়নের আদেশ সম্পর্কে পরিষ্কার বার্তা উপস্থাপন করাই মূল লক্ষ্য।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আখতার হোসেন।
আখতার হোসেন দাবি করেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একটি আদেশ জারি, গণভোট এবং সামনের সংসদকে জনগণ কর্তৃক ন্যস্ত ক্ষমতা (Constituent Power) প্রদানের মাধ্যমে একটি সংস্কারকৃত সংবিধান প্রণয়নের বিষয়ে একমত হয়েছিল।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আইনি ভিত্তি দেওয়ার ব্যাপারে একমত হওয়া সত্ত্বেও সে আইনি ভিত্তি কীভাবে অর্জিত হবে? সেটা কখন থেকে কার্যকর হবে? সেই জায়গা জনগণের কাছে এখনো পর্যন্ত খোলাসা করা হয় নাই।’
আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতারতিনি যোগ করেন, জুলাই সনদকে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার প্রধান হিসেবে এই সনদ জারি করবেন এবং গণভোটের মাধ্যমে আগামীর সংসদকে ‘কনস্টিটিউয়েন্ট পাওয়ার’ প্রয়োগের সুযোগ দিতে হবে। এরপর সেই সংসদ সংস্কারগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে ২০২৬ সালের সংস্কারকৃত সংবিধান ঘোষণা করবে।
সনদ বাস্তবায়নের পথরেখা জাতির কাছে পরিষ্কার করার লক্ষ্যে এনসিপি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সদস্যসচিব জানান, অনানুষ্ঠানিকভাবে কমিশনের সঙ্গে তাঁদের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে, যেখানে তাঁরা তাঁদের দাবিগুলো পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এনসিপি কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশের খসড়া, বিষয়বস্তু ও পরিধি—প্রত্যেকটি জিনিস জাতির কাছে অবিলম্বে উপস্থাপন করতে হবে।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের একটি আদেশ প্রস্তুত করছেন, যা এনসিপি অগ্রগতি হিসেবে দেখলেও, সে আদেশের মধ্যকার বক্তব্য এখনো পর্যন্ত উপস্থাপন করতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাঁরা পুরোপুরি আশাবাদী হতে পারেননি বলে জানান আখতার হোসেন।
আখতার হোসেন সতর্ক বলেন, কমিশন আন্তরিকতা থেকে কাজ শুরু করলেও, এটি যেন কোনোভাবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের’ মতো করে কোনো দলের চাপে পড়ে কেবল একটি কাগুজে দলিল হিসেবে বাস্তবায়ন পরিপন্থীভাবে উপস্থাপিত না হয়।
আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘জুলাই সনদকে আমরা শুধু রাজনৈতিক দলিল হিসেবে দেখি না। এটি জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের প্রতিফলন।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, আদেশের স্পষ্ট ধারণা না থাকলে শুধু গণভোট সংস্কারের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে পারবে না। তাই কমিশনকে সর্বাধিক সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।

মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলা যাবে না জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেছেন, ‘দিল্লির দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছি নিউইয়র্কের গোলামি করার জন্য নয়।’ এই অপতৎপরতা বন্ধ না হলে দেশপ্রেমিক জনতাকে যুদ্ধের প্রস্তুতি...
০৩ মে ২০২৫
বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, যে জাতি ধর্মীয় ও নৈতিকতার ওপর সমুন্নত থাকে, তার পরাজয় হয় না।
২ ঘণ্টা আগে
সুফি সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে মাজার ও দরবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের স্বার্থেই মাজার ও দরবারের প্রতি এই সহিংসতাকে রোধ করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীসহ অনেককে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়াদিগন্তের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এই
৪ ঘণ্টা আগে