Ajker Patrika

গণ-অভ্যুত্থান সমাগত: আ স ম রব 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গণ-অভ্যুত্থান সমাগত: আ স ম রব 

জাতির এখন চরম দুর্দিন তাই গণ মানুষের গণ রাষ্ট্র বিনির্মাণে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের বিকল্প নেই জানিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান সমাগত।’ 

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘তরুণদের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারুণ্যের সিরাজুল আলম খান’-শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

আ স আবদুর রব বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান সমাগত। আমি থাকব না কিন্তু আপনাদের এই গণ অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিতে হবে। আমাদের বাপ-দাদার কথা, হাঁস আর মুরগির কথা, কচু শাকের কথা, লাউয়ের কথা কে বলবে? কৃষক যে ন্যায্য মূল্য পায় না এ কথাটা বাবা তো বলতে পারে না। ছাত্রদেরই এই কথা বলতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত ছাত্র-শ্রমিক ও পেশাজীবীরা আন্দোলনে যোগদান না করবে, সাংস্কৃতিক সংগঠন আন্দোলনে যোগদান না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত গণ অভ্যুত্থান হবে না।’ 

জনগণের অধিকার রুদ্ধ করে স্বাধীনতা কখনো অর্থবহ হতে পারে না জানিয়ে আবদুর রব বলেন, ‘জনগণকে ক্রীতদাসে পরিণত করার ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় বলপ্রয়োগ-নিপীড়ন ও দমনের বিপরীতে প্রয়োজনের প্রেক্ষাপটেই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার বিপরীতে সিরাজুল আলম খানের রাজনৈতিক দর্শন আগামীর বাংলাদেশের জন্য অনিবার্য।’ 

দেশ থেকে লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে জানিয়ে রব বলেন, ‘উন্নয়নের গণতন্ত্র কি? আমার টাকা দিয়ে আমাকে কি উপহার দেও? পদ্মা সেতুতে গরিব মানুষ গাড়ি চালায়? এক্সপ্রেসওয়ে করছে ৮০ থেকে ৪০০ টাকা টোল দিয়ে গরিব মানুষ গাড়ি চালায়? চিটাগাং এ টানেল করছ, সেখানে গরিব মানুষ গাড়ি চালায়? কোনটা গরিবের জন্য করছ? উন্নয়নের গণতন্ত্র দেখাচ্ছ আর ডেঙ্গুতে প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে। তোমাদের লজ্জা করে না?’ 

সভায় জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী স্বপন বলেন, ‘সিরাজুল আলম খান ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলনের সময়েই উপলব্ধি করেছিলেন যে, বাঙালির মুক্তি পাকিস্তান রাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে সম্ভব নয়।’ 

জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন জীবন বলেন, স্বাধীনতার পর দেশকে এগিয়ে নিতে সিরাজুল আলম খান ১৫ দফা প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু শাসক দল তাতে সায় দেয়নি। তাই তিনি ভিন্ন দল তৈরি করেছিলেন। ১৫ দফা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের চিত্র অন্যরকম হতো। 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মেহজাবিন রহমান বলেন, দাদা দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের কথা বলতেন। এক কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ সাধারণ মানুষের স্বার্থ পূরণ করতে পারে না। আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি কিন্তু স্বাধীন হয়নি। 

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি তৌফিক উজ জামান পীরাচা’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক আমানুর রহমান আমান, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহসভাপতি তবিবুর রহমান সাগর, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (মুক্তি কাউন্সিল) এর সাধারণ সম্পাদক সৌরভ রায় প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত