নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন বলে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অযথা বেশি ঘাঁটাবেন না।’
আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল (ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কতগুলো আপত্তিকর কথা বলেছেন। সমস্ত রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে গিয়ে তিনি কথাগুলো বলেছেন এবং আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন আমরা নাকি দুবাই থেকে টাকা পাই, আর আমি নাকি টাকার ওপর শুয়ে আছি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেবকে শুধু এটুকু বলতে চাই, অযথা বেশি ঘাঁটাবেন না। ঘাঁটলে কিন্তু কেঁচো বেরিয়ে আসে। আপনারা কী করেন না করেন গোটা বাংলাদেশের মানুষ জানে। কীভাবে অর্থ উপার্জন করেন তা সবাই জানে। পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে রাজনীতি করি। আমরা কারও পয়সায় রাজনীতি করি না। আমাদের কর্মীরা প্রত্যেকে নিজেদের পয়সা দিয়ে সমাবেশ করছে জনগণের কাছে যাচ্ছে। এটাই আমাদের বৈশিষ্ট্য।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আপনাদের কে কোথায় হাজার হাজার কোটি টাকার বাড়ি করছে, কে কোথায় ব্যাংকের লোন নিয়ে পাচার করে দিচ্ছেন। কানাডাতে বেগম পাড়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে সেকেন্ড হোম— এসব সব খবর সবাই জানে। কে কয়টা ব্যাংকের মালিক হলেন, কারা আমেরিকাতে কতগুলো বাড়ি করেছেন, আর দেশের মানুষের ৪৩ কোটি টাকা দিয়ে সচিবদের জন্য বাড়ি করছেন। এগুলো মানুষের টাকা। এগুলো মানুষের করের টাকা।’
গত ১৫ বছরে দেশের অর্থনীতিকে ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চুয়াত্তর সালে যে দুর্ভিক্ষ দেখেছিলাম আবার সেই দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। এটা আমার কথা নয়, এই অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কথা। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি হচ্ছে যে দেশ আবারও তলাবিহীন ঝুড়ির মতো অবস্থা করেছে এই সরকার।’
মিথ্যাচার করে, মানুষকে বোকা বানিয়ে, মানুষকে প্রতারণা করে আওয়ামী লীগ আবারও দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায় জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আজকে নামে মাত্র গণতন্ত্র আছে কিন্তু আসলে নেই। গণমাধ্যমের কোন স্বাধীনতা নাই। কি বলতে পারবে, কি বলতে পারবে না তা বলে দেওয়া হয়। তরুণ-যুবকদের কর্মসংস্থান নেই। অন্তত ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। একটা জরিপে দেখা গেছে, ৩০ শতাংশ মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছে।’
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এতই যদি আপনারা শক্তিশালী হন, জনগণের ওপর এতই যদি আস্থা থাকে, এই যে উন্নয়ন মেগা উন্নয়ন ঘটিয়েছেন, মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছেন, আর কিছুদিন পর উন্নত দেশ হয়ে যাবেন, মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর তো হয়েই গেছে, তাহলে এত ভয় পান কেন? বিরোধী দলকে তার সভা-সমাবেশ করতে দেন না কেন? কেন পরিবহন বন্ধ করে দেন? গুন্ডা লেলিয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষ যারা সমাবেশে যায় তাদের আঘাত করেন কেন? কারণ গণতন্ত্র যদি চলে জনগণ যদি ভোট দিতে পারে, রাজনৈতিক দলগুলো যদি কাজ করতে পারে তাহলে তারা কোনো দিনই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।’
গায়েবি মামলা দেওয়ায় এই সরকারকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিত উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘এত মামলা দেন কেন? গ্রামে দেখবেন এক ধরনের লোক থাকে যাদের একটাই মাত্র কাজ, তারা শুধু মামলা দিতে পারে। ওইটাই তার পেশা। এই সরকার তেমনই একটা মামলাবাজ সরকার। অসংখ্য গায়েবি মামলা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনের আগে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে যৌথ সভায় বসে বিএনপি। সভার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ৭ নভেম্বর বেলা ২টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উন্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন সকাল ছয়টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বেলা ১১টায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতিহা পাঠ করবেন।’ এ ছাড়াও জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সারা দেশে প্রচারণা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন— বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন বলে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অযথা বেশি ঘাঁটাবেন না।’
আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল (ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কতগুলো আপত্তিকর কথা বলেছেন। সমস্ত রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে গিয়ে তিনি কথাগুলো বলেছেন এবং আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন আমরা নাকি দুবাই থেকে টাকা পাই, আর আমি নাকি টাকার ওপর শুয়ে আছি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেবকে শুধু এটুকু বলতে চাই, অযথা বেশি ঘাঁটাবেন না। ঘাঁটলে কিন্তু কেঁচো বেরিয়ে আসে। আপনারা কী করেন না করেন গোটা বাংলাদেশের মানুষ জানে। কীভাবে অর্থ উপার্জন করেন তা সবাই জানে। পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে রাজনীতি করি। আমরা কারও পয়সায় রাজনীতি করি না। আমাদের কর্মীরা প্রত্যেকে নিজেদের পয়সা দিয়ে সমাবেশ করছে জনগণের কাছে যাচ্ছে। এটাই আমাদের বৈশিষ্ট্য।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আপনাদের কে কোথায় হাজার হাজার কোটি টাকার বাড়ি করছে, কে কোথায় ব্যাংকের লোন নিয়ে পাচার করে দিচ্ছেন। কানাডাতে বেগম পাড়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে সেকেন্ড হোম— এসব সব খবর সবাই জানে। কে কয়টা ব্যাংকের মালিক হলেন, কারা আমেরিকাতে কতগুলো বাড়ি করেছেন, আর দেশের মানুষের ৪৩ কোটি টাকা দিয়ে সচিবদের জন্য বাড়ি করছেন। এগুলো মানুষের টাকা। এগুলো মানুষের করের টাকা।’
গত ১৫ বছরে দেশের অর্থনীতিকে ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চুয়াত্তর সালে যে দুর্ভিক্ষ দেখেছিলাম আবার সেই দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। এটা আমার কথা নয়, এই অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কথা। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি হচ্ছে যে দেশ আবারও তলাবিহীন ঝুড়ির মতো অবস্থা করেছে এই সরকার।’
মিথ্যাচার করে, মানুষকে বোকা বানিয়ে, মানুষকে প্রতারণা করে আওয়ামী লীগ আবারও দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায় জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আজকে নামে মাত্র গণতন্ত্র আছে কিন্তু আসলে নেই। গণমাধ্যমের কোন স্বাধীনতা নাই। কি বলতে পারবে, কি বলতে পারবে না তা বলে দেওয়া হয়। তরুণ-যুবকদের কর্মসংস্থান নেই। অন্তত ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। একটা জরিপে দেখা গেছে, ৩০ শতাংশ মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছে।’
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এতই যদি আপনারা শক্তিশালী হন, জনগণের ওপর এতই যদি আস্থা থাকে, এই যে উন্নয়ন মেগা উন্নয়ন ঘটিয়েছেন, মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছেন, আর কিছুদিন পর উন্নত দেশ হয়ে যাবেন, মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর তো হয়েই গেছে, তাহলে এত ভয় পান কেন? বিরোধী দলকে তার সভা-সমাবেশ করতে দেন না কেন? কেন পরিবহন বন্ধ করে দেন? গুন্ডা লেলিয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষ যারা সমাবেশে যায় তাদের আঘাত করেন কেন? কারণ গণতন্ত্র যদি চলে জনগণ যদি ভোট দিতে পারে, রাজনৈতিক দলগুলো যদি কাজ করতে পারে তাহলে তারা কোনো দিনই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।’
গায়েবি মামলা দেওয়ায় এই সরকারকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিত উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘এত মামলা দেন কেন? গ্রামে দেখবেন এক ধরনের লোক থাকে যাদের একটাই মাত্র কাজ, তারা শুধু মামলা দিতে পারে। ওইটাই তার পেশা। এই সরকার তেমনই একটা মামলাবাজ সরকার। অসংখ্য গায়েবি মামলা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনের আগে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে যৌথ সভায় বসে বিএনপি। সভার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ৭ নভেম্বর বেলা ২টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উন্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন সকাল ছয়টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বেলা ১১টায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতিহা পাঠ করবেন।’ এ ছাড়াও জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সারা দেশে প্রচারণা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন— বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। আজ শনিবার ঈদুল আজহার রাতে রাজধানীর গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
৮ ঘণ্টা আগেশফিকুর রহমান বলেন, ‘পরপর তিনবার মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি। এবার নতুন ভোটার যুব সমাজকে ভোটের সুযোগ করে দিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের কোনো সহযোগিতা চাইলে আমরা সহযোগিতা করব। তবে দেশের সংকট দূর হওয়া খুবই জরুরি।’
১৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় নির্বাচনের জন্য ‘এপ্রিল মাস কোনোভাবেই উপযোগী নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার ঈদের দিন বেলা সাড়ে ১১টায় শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
১৭ ঘণ্টা আগেবিচার, সংস্কার, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র এবং ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার (৭ জুন) ঈদের নামাজ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
১৭ ঘণ্টা আগে