নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
যেকোনো মূল্যে, প্রয়োজনে আমাদের জীবন দিয়ে হলেও ভোট চোর, দেশবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার পরিবর্তন চাই। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থাই আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এ সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখতে হবে আমাদের যে আমাদের ফাঁদে ফেলে দেওয়ার...। অগ্নিসন্ত্রাস করবে তারা, দোষ দেবে আমাদের। অতীতেও তাই করেছে। তাই খুব সাবধানে, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে সংবিধানসম্মত আন্দোলনের মধ্য দিয়ে...তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা ক্ষমতার পরিবর্তন চাই।’
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে’ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিগত কয়েক বছর ধরেই এই লড়াই করছি। এই লড়াই চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছে। ১০ দফা দাবি দিয়েছি। সেই দাবির প্রথম দাবি হচ্ছে তোমাকে (সরকার) পদত্যাগ করতে হবে। কারণ তোমাকে সামনে রেখে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, এ দেশের মানুষ আর তা মনে করে না। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না—এটা আমরা জানি। আমরা ২০১৪ সালে দেখেছি, ২০১৮ সালে দেখেছি। নতুন করে দেখার তো কিছু নেই।’
মার্কিন ভিসা নীতির প্রসঙ্গে টেনে ফখরুল বলেন, ‘কত লাফালাফি কয়দিন আগেও, কী লাফালাফি। এখন লাফালাফি কমে এসেছে। এখন বলছে সংঘাত তো চাই না। আলোচনার মধ্য দিয়েই তো করতে হবে, আমরা তো বাধা দিচ্ছি না।’
বিএনপির কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে ফখরুল বলেন, ‘সেদিনও আমাদের বিভিন্ন জেলাগুলোতে বাধা দেওয়া হয়েছে। সেদিন অনেক জায়গায় সভা করতে দেওয়া হয়নি। সেদিনও আমাদের নোমান (আব্দুল্লাহ আল নোমান) ভাইয়ের গাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে, কেরানীগঞ্জে নিপুণকে (নিপুণ রায় চৌধুরী) আহত করা হয়েছে। নরসিংদীতে নিজেরা হত্যা করে আমাদের নেতাদের নামে হত্যা মামলা দিয়েছে।’
চলমান আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে, প্রয়োজনে আমাদের জীবন দিয়ে হলেও ভোট চোর, দেশবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এই সভার আয়োজন করে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। চলমান সংকট থেকে দেশকে উদ্ধার করতে জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিকদের অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, শাহজাহান ওমরসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
যেকোনো মূল্যে, প্রয়োজনে আমাদের জীবন দিয়ে হলেও ভোট চোর, দেশবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার পরিবর্তন চাই। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থাই আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এ সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখতে হবে আমাদের যে আমাদের ফাঁদে ফেলে দেওয়ার...। অগ্নিসন্ত্রাস করবে তারা, দোষ দেবে আমাদের। অতীতেও তাই করেছে। তাই খুব সাবধানে, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে সংবিধানসম্মত আন্দোলনের মধ্য দিয়ে...তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা ক্ষমতার পরিবর্তন চাই।’
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে’ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিগত কয়েক বছর ধরেই এই লড়াই করছি। এই লড়াই চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছে। ১০ দফা দাবি দিয়েছি। সেই দাবির প্রথম দাবি হচ্ছে তোমাকে (সরকার) পদত্যাগ করতে হবে। কারণ তোমাকে সামনে রেখে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, এ দেশের মানুষ আর তা মনে করে না। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না—এটা আমরা জানি। আমরা ২০১৪ সালে দেখেছি, ২০১৮ সালে দেখেছি। নতুন করে দেখার তো কিছু নেই।’
মার্কিন ভিসা নীতির প্রসঙ্গে টেনে ফখরুল বলেন, ‘কত লাফালাফি কয়দিন আগেও, কী লাফালাফি। এখন লাফালাফি কমে এসেছে। এখন বলছে সংঘাত তো চাই না। আলোচনার মধ্য দিয়েই তো করতে হবে, আমরা তো বাধা দিচ্ছি না।’
বিএনপির কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে ফখরুল বলেন, ‘সেদিনও আমাদের বিভিন্ন জেলাগুলোতে বাধা দেওয়া হয়েছে। সেদিন অনেক জায়গায় সভা করতে দেওয়া হয়নি। সেদিনও আমাদের নোমান (আব্দুল্লাহ আল নোমান) ভাইয়ের গাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে, কেরানীগঞ্জে নিপুণকে (নিপুণ রায় চৌধুরী) আহত করা হয়েছে। নরসিংদীতে নিজেরা হত্যা করে আমাদের নেতাদের নামে হত্যা মামলা দিয়েছে।’
চলমান আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে, প্রয়োজনে আমাদের জীবন দিয়ে হলেও ভোট চোর, দেশবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এই সভার আয়োজন করে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। চলমান সংকট থেকে দেশকে উদ্ধার করতে জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিকদের অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, শাহজাহান ওমরসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
সমাবেশে নারীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ অবসানের পর মানবিক বাংলাদেশ গঠনের সুযোগ সামনে এসেছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শহীদদের কাঙ্ক্ষিত দেশ গঠনের জন্য আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী দিনে নারীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন মায়ের চোখে যেমন বাংলাদেশ হওয়া দরকার, তেমন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা
১ ঘণ্টা আগেবিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই সনদে শুধু কমিশন নয়, সব রাজনৈতিক দল সই করবে। এটি একটি জাতীয় ঐকমত্য। এটি জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়। এটি আইনের চেয়েও বড়। এটি একধরনের “লেজিটিমেট এক্সপেকটেশন অব দ্য পিপল”। জনগণের এই প্রত্যাশা সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে যুক্ত করার জন্য আমরা অঙ্গীকার করেছি। গণ-অভ্যুত্থান ও
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে দেশের স্বাধীনতা মেনে নিয়েই করতে হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে শুধু ভুল-বোঝাবুঝির জন্য বাংলাদেশ আলাদা হয়েছে—এ ধরনের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদের বিষয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘বিএনপি বলছে, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই। কিন্তু আমরা মনে করি, শুধু প্রতিশ্রুতির ওপর নির্ভর করলে হবে না। আইনি ভিত্তি না থাকলে এই চার্টার মূল্যহীন হয়ে পড়বে। সে জন্য আমরা কমিশন এবং সরকারের বিরুদ্ধে কমপেনসেট মামলা করব।’
৪ ঘণ্টা আগে