নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী ৯ মার্চ জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে অনেক ষড়যন্ত্র, বিভ্রান্তি তৈরি করা হতে পারে জানিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেছেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো বিভ্রান্তিতে কান দেবেন না।’
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সারা দেশ থেকে আসা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে রওশন এরশাদ বলেন, ‘আপনারাই জাতীয় পার্টির সব ক্ষমতার উৎস। আপনারা যেভাবে চাইবেন, পার্টি সেভাবেই পরিচালিত হবে। জাতীয় পার্টিতে পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক চর্চা হবে। তার জন্য আগামী ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হতে পারে। কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো বিভ্রান্তিতে আপনারা কান দেবেন না।’
৯ মার্চের সম্মেলন সফল করার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সম্মেলনের জন্য আমরা রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বরাদ্দ পেয়েছি। আমরা পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি পেয়েছি। ৯ মার্চ সকাল ১০টায় প্রত্যেক কাউন্সিলর এবং ডেলিগেটদের সম্মেলন স্থানে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে রওশন এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টির নিবেদিতপ্রাণ অনেক নেতা, যাদের ভোটে জয়লাভের সম্ভাবনা ছিল—এমন সব প্রার্থীকে যদি মনোনয়ন দেওয়া না হয়, তাদের বাদ দিয়ে আমি নির্বাচন করতে চাইনি। আমার ছেলের আসন যদি কেড়ে নেওয়া হয়, তাহলে আমি ছেলেকে ফেলে রেখে নির্বাচনে যেতে পারি না। তারপরও আমি সবকিছু মেনে নিতে পারতাম, যদি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবি না হতো। জাতীয় পার্টিকে ধ্বংসের শেষ সীমানায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’
জি এম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুর সমালোচনা করে রওশন বলেন, ‘পল্লিবন্ধুর নীতি-আদর্শ, তার চেতনা-প্রেরণা, তার ভাবমূর্তি হচ্ছে জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব। সেই অস্তিত্বকে যারা মুছে দিতে চায়, তারা জাতীয় পার্টির পরিচয় দেওয়ার অধিকার রাখে না। এবারের নির্বাচনী ইশতেহারের মলাট থেকে পল্লিবন্ধুর ছবি মুছে ফেলা হয়েছে। জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠার পর এবারের নির্বাচনে পার্টির প্রার্থীদের পোস্টারে পল্লিবন্ধুর ছবি রাখতে দেওয়া হয়নি।’
সরকারের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমরা অশনিসংকেত দেখতে পাচ্ছি। সরকার যদি তা মোকাবিলা করতে না পারে, তাহলে বড় বিপর্যয় নেমে আসবে। সামনে রমজান, দ্রব্যমূল্য এখনই সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। অসাধু ব্যবসায়ীরা রমজানকে সামনে রেখে ওত পেতে বসে আছে।’
বর্তমানে সরকারের প্রধান কাজ হবে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া, উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভেজালবিরোধী অভিযান জোরদার করতে হবে। দেশের চিকিৎসাব্যবস্থাকে উন্নত করতে হবে। বেকার সমস্যা সমাধানের দিকে সরকারকে প্রাধান্য দিতে হবে। আমাদের যুবকেরা কাজের সন্ধানে অবৈধ পথে বিদেশে পাড়ি দিতে গিয়ে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারায়, এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।’
আগামী ৯ মার্চ জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে অনেক ষড়যন্ত্র, বিভ্রান্তি তৈরি করা হতে পারে জানিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেছেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো বিভ্রান্তিতে কান দেবেন না।’
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সারা দেশ থেকে আসা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে রওশন এরশাদ বলেন, ‘আপনারাই জাতীয় পার্টির সব ক্ষমতার উৎস। আপনারা যেভাবে চাইবেন, পার্টি সেভাবেই পরিচালিত হবে। জাতীয় পার্টিতে পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক চর্চা হবে। তার জন্য আগামী ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হতে পারে। কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো বিভ্রান্তিতে আপনারা কান দেবেন না।’
৯ মার্চের সম্মেলন সফল করার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সম্মেলনের জন্য আমরা রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বরাদ্দ পেয়েছি। আমরা পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি পেয়েছি। ৯ মার্চ সকাল ১০টায় প্রত্যেক কাউন্সিলর এবং ডেলিগেটদের সম্মেলন স্থানে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে রওশন এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টির নিবেদিতপ্রাণ অনেক নেতা, যাদের ভোটে জয়লাভের সম্ভাবনা ছিল—এমন সব প্রার্থীকে যদি মনোনয়ন দেওয়া না হয়, তাদের বাদ দিয়ে আমি নির্বাচন করতে চাইনি। আমার ছেলের আসন যদি কেড়ে নেওয়া হয়, তাহলে আমি ছেলেকে ফেলে রেখে নির্বাচনে যেতে পারি না। তারপরও আমি সবকিছু মেনে নিতে পারতাম, যদি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবি না হতো। জাতীয় পার্টিকে ধ্বংসের শেষ সীমানায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’
জি এম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুর সমালোচনা করে রওশন বলেন, ‘পল্লিবন্ধুর নীতি-আদর্শ, তার চেতনা-প্রেরণা, তার ভাবমূর্তি হচ্ছে জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব। সেই অস্তিত্বকে যারা মুছে দিতে চায়, তারা জাতীয় পার্টির পরিচয় দেওয়ার অধিকার রাখে না। এবারের নির্বাচনী ইশতেহারের মলাট থেকে পল্লিবন্ধুর ছবি মুছে ফেলা হয়েছে। জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠার পর এবারের নির্বাচনে পার্টির প্রার্থীদের পোস্টারে পল্লিবন্ধুর ছবি রাখতে দেওয়া হয়নি।’
সরকারের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমরা অশনিসংকেত দেখতে পাচ্ছি। সরকার যদি তা মোকাবিলা করতে না পারে, তাহলে বড় বিপর্যয় নেমে আসবে। সামনে রমজান, দ্রব্যমূল্য এখনই সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। অসাধু ব্যবসায়ীরা রমজানকে সামনে রেখে ওত পেতে বসে আছে।’
বর্তমানে সরকারের প্রধান কাজ হবে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া, উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভেজালবিরোধী অভিযান জোরদার করতে হবে। দেশের চিকিৎসাব্যবস্থাকে উন্নত করতে হবে। বেকার সমস্যা সমাধানের দিকে সরকারকে প্রাধান্য দিতে হবে। আমাদের যুবকেরা কাজের সন্ধানে অবৈধ পথে বিদেশে পাড়ি দিতে গিয়ে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারায়, এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।’
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো—ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গতকাল রোববার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় ধাপের ১৫ তম দিনের বৈঠকে এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
১ ঘণ্টা আগেইশরাক হোসেন বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের ব্যক্তি বাক্স্বাধীনতা আছে, তার মানে এই নয় যে আরেকজনের স্বাধীনতা হরণ করবেন, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করবেন। এনসিপি আজকে যেভাবে শিষ্টাচার-বহির্ভূত কথা বলছে, সেটিকে গণতন্ত্র বলে না। কক্সবাজারে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ সম্পর্কে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী...
১২ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান নিয়োগে ভোট নয়, রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রক্রিয়াকেই একমাত্র গ্রহণযোগ্য পথ হিসেবে অভিহিত করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান গঠনে পাঁচ বা সাত সদস্যের কমিটির যে দুটি প্রস্তাব এসেছে, আমরা কোনোটিরই বিরোধিতা করছি না।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে অধিষ্ঠিত থাকার বিধান গণঅধিকার পরিষদ সমর্থন করে না বলে জানিয়েছেন দলটির উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান। আজ রোববার (২০ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের ১৫তম দিনের সংলাপ শেষে এ কথা জানান তিনি।
১৩ ঘণ্টা আগে