নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে নিজের শপথ গ্রহণে কালক্ষেপণের অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁকে ডিএসসিসির মেয়র পদে বসানোর চলমান আন্দোলনের মধ্যেই এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ধানের শীষের প্রার্থী হওয়ায় তাঁর প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলে তিনি বলেছেন, ‘গেজেট প্রকাশের ২০ দিন হয়ে গিয়েছে। এখনো পর্যন্ত আমাকে শপথ গ্রহণ করানোর জন্য কোনো ধরনের পদক্ষেপ বর্তমান সরকার নেয়নি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নানা ধরনের কালক্ষেপণের আশ্রয় নিয়েছে। এটির মধ্য দিয়ে স্পষ্ট বোঝা যায়-একটি সরকারের ভেতর আরেকটি সরকার রয়েছে, যারা এখন দলীয় আচরণ করছে। তারা একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য তাদের নীতি অনুযায়ী কাজ করে চলেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ইশরাক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ওপর ইতিমধ্যেই এই সরকার এক ধরনের হস্তক্ষেপ শুরু করেছে। সেটি আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, সেটা নিয়ে জনগণ এখন শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের যে উপদেষ্টা পরিষদ রয়েছেন, এই পরিষদের অধীনে একটি সঠিক, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে কি না-সেটা নিয়ে জনমনে এখন শুধু সন্দেহ না, তারা এখন স্পষ্টতই দেখতে পাচ্ছে যে, এটি সম্ভব নয়।’
ডিএসসিসির মেয়রের বিষয়ে রায় নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিবৃতির উল্লেখ করে ইশরাক বলেন, এনসিপি ওই রায় নিয়ে বিচারকের প্রতি বিষোদ্গার করেছে। তারা চাচ্ছে তাদের দলীয় ব্যক্তিদের প্রশাসক হিসেবে বসাবে এবং আগামী নির্বাচনের সময় একটা ফায়দা লুটবে। বর্তমানে নগর ভবনকেন্দ্রিক এবং আরও কিছু জায়গায় যে লুটপাট চলছে, সেগুলো চলমান রাখতে তারা আমাকে বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে ইশরাক বলেন, ‘আমরা দলীয়ভাবে কোনো আন্দোলনের ঘোষণা দিইনি। আইনিভাবে বিষয়টা আমরা দেখছি। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ করছে। এটা জনগণের অধিকার। তারা প্রতিবাদ করতেই পারে।’
আন্দোলন চলবে কি না জানতে চাইলে ইশরাক বলেন, ‘এই আন্দোলন আমি আহ্বান করেনি। ঢাকা দক্ষিণ সিটির যারা ভোটার, সর্বস্তরের জনগণ আমাকে যারা ভোট দিয়েছেন, তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি জানতে পেরেছি-এই আন্দোলনটি লাগাতার চলবে, যতক্ষণ না দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে।’
গত বুধবার সকাল থেকে ইশরাককে মেয়র পদে বসানোর পক্ষে আন্দোলন শুরু হয়। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিতেও ফটকে তালা দেওয়ার ঘটনা ঘটে, তবে বিকেল নাগাদ খুলেও দেওয়া হয় সেই তালা। আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে দলে দলে লোকজন এসে নগর ভবনের সামনে জড়ো হন। এরপর সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে গোলাপ শাহ মাজার এবং প্রেসক্লাব হয়ে পুনরায় নগর ভবনের সামনে ফিরে এসে সড়কে অবস্থান করেন তাঁরা। ফলে সাময়িকভাবে নগর ভবন সংলগ্ন সড়কে বন্ধ থাকে যান চলাচল। আন্দোলনের তৃতীয় দিনে আজ নগর ভবনের সব কটি ফটকে তালা দেয় বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন সাবেক সিনিয়র সচিব মশিউর রহমান। তিনি জানান, রোববার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন ঢাকাবাসী। এ ছাড়াও স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তাঁর সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদীকে নগর ভবনে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে নিজের শপথ গ্রহণে কালক্ষেপণের অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁকে ডিএসসিসির মেয়র পদে বসানোর চলমান আন্দোলনের মধ্যেই এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ধানের শীষের প্রার্থী হওয়ায় তাঁর প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলে তিনি বলেছেন, ‘গেজেট প্রকাশের ২০ দিন হয়ে গিয়েছে। এখনো পর্যন্ত আমাকে শপথ গ্রহণ করানোর জন্য কোনো ধরনের পদক্ষেপ বর্তমান সরকার নেয়নি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নানা ধরনের কালক্ষেপণের আশ্রয় নিয়েছে। এটির মধ্য দিয়ে স্পষ্ট বোঝা যায়-একটি সরকারের ভেতর আরেকটি সরকার রয়েছে, যারা এখন দলীয় আচরণ করছে। তারা একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য তাদের নীতি অনুযায়ী কাজ করে চলেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ইশরাক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ওপর ইতিমধ্যেই এই সরকার এক ধরনের হস্তক্ষেপ শুরু করেছে। সেটি আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, সেটা নিয়ে জনগণ এখন শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের যে উপদেষ্টা পরিষদ রয়েছেন, এই পরিষদের অধীনে একটি সঠিক, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে কি না-সেটা নিয়ে জনমনে এখন শুধু সন্দেহ না, তারা এখন স্পষ্টতই দেখতে পাচ্ছে যে, এটি সম্ভব নয়।’
ডিএসসিসির মেয়রের বিষয়ে রায় নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিবৃতির উল্লেখ করে ইশরাক বলেন, এনসিপি ওই রায় নিয়ে বিচারকের প্রতি বিষোদ্গার করেছে। তারা চাচ্ছে তাদের দলীয় ব্যক্তিদের প্রশাসক হিসেবে বসাবে এবং আগামী নির্বাচনের সময় একটা ফায়দা লুটবে। বর্তমানে নগর ভবনকেন্দ্রিক এবং আরও কিছু জায়গায় যে লুটপাট চলছে, সেগুলো চলমান রাখতে তারা আমাকে বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে ইশরাক বলেন, ‘আমরা দলীয়ভাবে কোনো আন্দোলনের ঘোষণা দিইনি। আইনিভাবে বিষয়টা আমরা দেখছি। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ করছে। এটা জনগণের অধিকার। তারা প্রতিবাদ করতেই পারে।’
আন্দোলন চলবে কি না জানতে চাইলে ইশরাক বলেন, ‘এই আন্দোলন আমি আহ্বান করেনি। ঢাকা দক্ষিণ সিটির যারা ভোটার, সর্বস্তরের জনগণ আমাকে যারা ভোট দিয়েছেন, তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি জানতে পেরেছি-এই আন্দোলনটি লাগাতার চলবে, যতক্ষণ না দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে।’
গত বুধবার সকাল থেকে ইশরাককে মেয়র পদে বসানোর পক্ষে আন্দোলন শুরু হয়। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিতেও ফটকে তালা দেওয়ার ঘটনা ঘটে, তবে বিকেল নাগাদ খুলেও দেওয়া হয় সেই তালা। আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে দলে দলে লোকজন এসে নগর ভবনের সামনে জড়ো হন। এরপর সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে গোলাপ শাহ মাজার এবং প্রেসক্লাব হয়ে পুনরায় নগর ভবনের সামনে ফিরে এসে সড়কে অবস্থান করেন তাঁরা। ফলে সাময়িকভাবে নগর ভবন সংলগ্ন সড়কে বন্ধ থাকে যান চলাচল। আন্দোলনের তৃতীয় দিনে আজ নগর ভবনের সব কটি ফটকে তালা দেয় বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন সাবেক সিনিয়র সচিব মশিউর রহমান। তিনি জানান, রোববার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন ঢাকাবাসী। এ ছাড়াও স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তাঁর সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদীকে নগর ভবনে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, ‘জুলাই হতাহতদের তালিকার চেয়ে করিডর দেওয়া কিংবা বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়াকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে সরকার। কিন্তু করিডর বা বন্দর দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ। এই সরকারের আইনগত দিক নিয়ে প্রশ্ন নেই।
১ ঘণ্টা আগেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের চিন্তা এবং কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জনগণ অন্ধকারে থাকায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে হয়তোবা অস্থিরতা বাড়ছে। বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে আমরা দেখছি, প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রাজপথে জড়ো হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘ডাকযোগে আমার গ্রামের বাড়িতে চিঠি পাঠিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।’ আজ শনিবার নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেগণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আমরা বন্দর এবং করিডর নিয়ে আমাদের পরিষ্কার অবস্থান ব্যক্ত করতে চাই। আপনারা অন্তর্বর্তী নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আছেন। আপনারা নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নেবেন। আপনাদের বন্দর-করিডর এত কিছু করতে হবে না।
৪ ঘণ্টা আগে