নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচন কবে হবে, সেটা স্পষ্ট করা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে জনগণের বড় ধরনের ভোগান্তি ছাড়া একটি স্বস্তিজনক সময়ে নির্বাচন হতে পারে।
আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে জামায়াতের আমির এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আজকে দুটি বিষয় স্পষ্ট করার কথা বলেছি। এক. নির্বাচনটা কখন হবে? আর আপনি যে নির্বাচনের সময় দিয়েছেন, তাঁর মধ্যে জনগণের কোনো ভোগান্তি না হয়, এমন একটা কমফোর্টেবল টাইমে নির্বাচনটা হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। দুই নম্বরে আমরা বলেছি, নির্বাচনের আগে সংস্কার এবং বিচারের দৃশ্যমান প্রক্রিয়া যাতে জনগণ দেখতে পারে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে সেটা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না। আবার সব সংস্কার এই সরকার করতে পারবে না। মাত্র পাঁচটি সংস্কারে সরকার হাত দিয়েছে। সেগুলো সন্তোষজনকভাবে নিষ্পত্তি হওয়া উচিত।’
জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে একটা বৈঠক হয়, সেখানে প্রধান উপদেষ্টা একটা মেসেজ জাতিকে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি সেটা দেননি, কিন্তু সমাজের সব দিকে এ বিষয়ে একটা মেসেজ ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়। আমরা সেদিনই এ বিষয়গুলোকে আমলে নিয়েছি। সেদিনে একই সময়ে একটি রাজনৈতিক দল কিছু দাবি নিয়ে অবস্থান নিয়েছিল এবং আরেকটি দল আরেক জায়গায় তাদের দাবি নিয়ে অবস্থান নিয়েছিল। এগুলো প্রধান উপদেষ্টার জন্য কিছুটা কষ্টের এবং বিরক্তির কারণ ছিল। এ কারণেই তিনি তাঁর দায়িত্ব পুনর্বিবেচনা করার অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু কার্যত বিষয়টি অফিশিয়ালি সামনে আসেনি। এটা নিয়ে আপনারা আমাদের মতো বিচলিত ছিলেন, এটা আমরা বিশ্বাস করি।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘দেশ আমাদের সবার, দেশ ভালো থাকলে আমরা সবাই ভালো থাকব। জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশে একটা পরিবর্তন এসেছে। এখানে যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁরা কোনো রাজনৈতিক দলের পরিচয় বহন করবেন না, আর এটাই হওয়া উচিত। কিন্তু এখানে কিছু ব্যতিক্রম ঘটেছে। যেটা কিনা সমাজকে উদ্বিগ্ন করেছে।’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘স্বাভাবিভাবেই এ পরিবর্তনের লক্ষ্য ছিল অর্থবহ কিছু সংস্কার এবং যারা অপরাধী, তাদের বিচার করা। আর এই সংস্কার ও বিচারের মধ্য দিয়ে অর্থবহ একটা নির্বাচন হবে। যেখানে সমতল মাঠ থাকবে। যেখানে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে এবং তাদের কোনো ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে হবে না। এখানে পেশিশক্তি এবং কালো টাকার প্রভাব চলবে না।’
শফিকুর রহমান বলেন, প্রায় ১৫ বছর বাংলাদেশের মানুষ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। তারা এই অধিকারটাকে প্রয়োগ করতে চায়।
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও কয়েকবার বলেছিলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন দিতে চান। কিন্তু তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ দেননি। কোনো মাস-সপ্তাহ তিনি ঘোষণা করেননি। এটাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দাবি নির্বাচনের রোডম্যাপের বিষয়ে আছে। এ বিষয়ে আমাদেরও কিছু পরামর্শ ছিল। আমরা তাঁর প্রতি সম্মান রেখে বলেছিলাম, দায়িত্ব আমরাই তাঁকে দিয়েছি, তিনি চেয়ে নেননি।’
জামায়াতের আমির বলেন, সংস্কার না হয়ে যদি কোনো নির্বাচন হয়, তাহলে এই নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাশার প্রতিফলন দেখতে পাবে না। আবার সব সংস্কার এই সরকারের পক্ষে করা সম্ভব নয়।
নির্বাচন কবে হবে, সেটা স্পষ্ট করা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে জনগণের বড় ধরনের ভোগান্তি ছাড়া একটি স্বস্তিজনক সময়ে নির্বাচন হতে পারে।
আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে জামায়াতের আমির এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আজকে দুটি বিষয় স্পষ্ট করার কথা বলেছি। এক. নির্বাচনটা কখন হবে? আর আপনি যে নির্বাচনের সময় দিয়েছেন, তাঁর মধ্যে জনগণের কোনো ভোগান্তি না হয়, এমন একটা কমফোর্টেবল টাইমে নির্বাচনটা হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। দুই নম্বরে আমরা বলেছি, নির্বাচনের আগে সংস্কার এবং বিচারের দৃশ্যমান প্রক্রিয়া যাতে জনগণ দেখতে পারে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে সেটা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না। আবার সব সংস্কার এই সরকার করতে পারবে না। মাত্র পাঁচটি সংস্কারে সরকার হাত দিয়েছে। সেগুলো সন্তোষজনকভাবে নিষ্পত্তি হওয়া উচিত।’
জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে একটা বৈঠক হয়, সেখানে প্রধান উপদেষ্টা একটা মেসেজ জাতিকে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি সেটা দেননি, কিন্তু সমাজের সব দিকে এ বিষয়ে একটা মেসেজ ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়। আমরা সেদিনই এ বিষয়গুলোকে আমলে নিয়েছি। সেদিনে একই সময়ে একটি রাজনৈতিক দল কিছু দাবি নিয়ে অবস্থান নিয়েছিল এবং আরেকটি দল আরেক জায়গায় তাদের দাবি নিয়ে অবস্থান নিয়েছিল। এগুলো প্রধান উপদেষ্টার জন্য কিছুটা কষ্টের এবং বিরক্তির কারণ ছিল। এ কারণেই তিনি তাঁর দায়িত্ব পুনর্বিবেচনা করার অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু কার্যত বিষয়টি অফিশিয়ালি সামনে আসেনি। এটা নিয়ে আপনারা আমাদের মতো বিচলিত ছিলেন, এটা আমরা বিশ্বাস করি।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘দেশ আমাদের সবার, দেশ ভালো থাকলে আমরা সবাই ভালো থাকব। জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশে একটা পরিবর্তন এসেছে। এখানে যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁরা কোনো রাজনৈতিক দলের পরিচয় বহন করবেন না, আর এটাই হওয়া উচিত। কিন্তু এখানে কিছু ব্যতিক্রম ঘটেছে। যেটা কিনা সমাজকে উদ্বিগ্ন করেছে।’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘স্বাভাবিভাবেই এ পরিবর্তনের লক্ষ্য ছিল অর্থবহ কিছু সংস্কার এবং যারা অপরাধী, তাদের বিচার করা। আর এই সংস্কার ও বিচারের মধ্য দিয়ে অর্থবহ একটা নির্বাচন হবে। যেখানে সমতল মাঠ থাকবে। যেখানে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে এবং তাদের কোনো ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে হবে না। এখানে পেশিশক্তি এবং কালো টাকার প্রভাব চলবে না।’
শফিকুর রহমান বলেন, প্রায় ১৫ বছর বাংলাদেশের মানুষ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। তারা এই অধিকারটাকে প্রয়োগ করতে চায়।
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও কয়েকবার বলেছিলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন দিতে চান। কিন্তু তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ দেননি। কোনো মাস-সপ্তাহ তিনি ঘোষণা করেননি। এটাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দাবি নির্বাচনের রোডম্যাপের বিষয়ে আছে। এ বিষয়ে আমাদেরও কিছু পরামর্শ ছিল। আমরা তাঁর প্রতি সম্মান রেখে বলেছিলাম, দায়িত্ব আমরাই তাঁকে দিয়েছি, তিনি চেয়ে নেননি।’
জামায়াতের আমির বলেন, সংস্কার না হয়ে যদি কোনো নির্বাচন হয়, তাহলে এই নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাশার প্রতিফলন দেখতে পাবে না। আবার সব সংস্কার এই সরকারের পক্ষে করা সম্ভব নয়।
সার্চ কমিটির মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠিত হলেও একটি মহল নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন চায় বলে বলে মনে করে বিএনপি। একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে একটি দলের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি সরকারকে বিব্রত করে বলে মনে করে দলটি।
২ ঘণ্টা আগেনাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আজকের এই আলোচনায় আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানিয়েছি। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে একটা দাবি ছিল আমাদের, যেটা ৩০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন করার কথা ছিল; এ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, জুলাই আন্দোলনে যাঁরা আহত ও শহীদ হয়েছেন, তাঁদের পুন
৬ ঘণ্টা আগেবিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা যমুনায় এসেছেন। আজ শনিবার রাতে তাঁরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যান।
৬ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের কাউকে বিএনপির সদস্য ফরম দিলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া। আজ শনিবার বিকেলে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ ও সদস্য নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেলিম ভূঁইয়া
৬ ঘণ্টা আগে