ঢাবি প্রতিনিধি
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নানা কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি অনিয়মের তালিকার অভিযোগপত্র সিলগালা করে পাঠাচ্ছেন সংগঠনটির শতাধিক নেতা। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার মাধ্যমে আজ শনিবার এই অভিযোগপত্র ধানমন্ডিতে সভানেত্রীর কার্যালয়ে জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি কামাল খান।
সংগঠনটির এক-তৃতীয়াংশ নেতার স্বাক্ষর এই অভিযোগপত্রে রয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টির সমন্বয় করেছেন ছাত্রলীগের সহসভাপতি কামাল খান।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা কামাল খান বলেন, ‘আমরা এখনো (২টা ৩০ মিনিট) কার্যালয়ে অবস্থান করছি। দপ্তর সম্পাদকের মনোনয়ন বোর্ডের ব্যস্ততা থাকায় আমরা ওনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি এখনো। তবে উনি (বিপ্লব বড়ুয়া) বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন।’
কামাল খান আরও বলেন, ‘সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনিয়মের কোনো সীমা নেই। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই মাস পরপর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাধারণ সভা হওয়ার কথা, সেখানে জয়-লেখকের পুরো তিন বছর মেয়াদে মাত্র একটি সভা হয়েছে। সাধারণ সভা না হওয়ায় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ মূলত অকার্যকর। সাধারণ সভা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো উপস্থাপন করা যেত। যেহেতু সাধারণ সভা হচ্ছে না, তাই আমরা আমাদের অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সই নিয়ে এ অভিযোগপত্র জমা দিয়েছি।’
ছাত্রলীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা, কমিটিতে বাণিজ্য করা, কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত ছাড়াই শোকের মাস আগস্টের শুরুতে এক দিনে জেলা, উপজেলা মিলে ১১টি কমিটি ঘোষণা করা, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ও নির্বাহী কমিটিকে চিঠি ইস্যু ও অনিয়মের মাধ্যমে পদায়ন করা, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ার পর থেকে হল ছেড়ে অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টে থাকা, একাধিক গাড়ি ব্যবহার, বিভিন্ন জায়গায় টেন্ডারবাজির সঙ্গে যুক্ত থাকাসহ আরও অনেক ‘অনিয়মের’ ফিরিস্তি অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে।
এ ছাড়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে ৩০তম সম্মেলনের আয়োজনের তারিখ ঘোষণা করার জন্যও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান ছাত্রলীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা।
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর তৎকালীন সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওই সময়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি দুই শীর্ষ নেতাকে পূর্ণ দায়িত্ব তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে ছাত্রলীগ। ইতিমধ্যে ছাত্রলীগের একটি বড় অংশ কেন্দ্রীয় সম্মেলনের দাবিতে সরব হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নানা কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি অনিয়মের তালিকার অভিযোগপত্র সিলগালা করে পাঠাচ্ছেন সংগঠনটির শতাধিক নেতা। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার মাধ্যমে আজ শনিবার এই অভিযোগপত্র ধানমন্ডিতে সভানেত্রীর কার্যালয়ে জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি কামাল খান।
সংগঠনটির এক-তৃতীয়াংশ নেতার স্বাক্ষর এই অভিযোগপত্রে রয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টির সমন্বয় করেছেন ছাত্রলীগের সহসভাপতি কামাল খান।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা কামাল খান বলেন, ‘আমরা এখনো (২টা ৩০ মিনিট) কার্যালয়ে অবস্থান করছি। দপ্তর সম্পাদকের মনোনয়ন বোর্ডের ব্যস্ততা থাকায় আমরা ওনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি এখনো। তবে উনি (বিপ্লব বড়ুয়া) বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন।’
কামাল খান আরও বলেন, ‘সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনিয়মের কোনো সীমা নেই। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই মাস পরপর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাধারণ সভা হওয়ার কথা, সেখানে জয়-লেখকের পুরো তিন বছর মেয়াদে মাত্র একটি সভা হয়েছে। সাধারণ সভা না হওয়ায় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ মূলত অকার্যকর। সাধারণ সভা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো উপস্থাপন করা যেত। যেহেতু সাধারণ সভা হচ্ছে না, তাই আমরা আমাদের অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সই নিয়ে এ অভিযোগপত্র জমা দিয়েছি।’
ছাত্রলীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা, কমিটিতে বাণিজ্য করা, কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত ছাড়াই শোকের মাস আগস্টের শুরুতে এক দিনে জেলা, উপজেলা মিলে ১১টি কমিটি ঘোষণা করা, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ও নির্বাহী কমিটিকে চিঠি ইস্যু ও অনিয়মের মাধ্যমে পদায়ন করা, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ার পর থেকে হল ছেড়ে অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টে থাকা, একাধিক গাড়ি ব্যবহার, বিভিন্ন জায়গায় টেন্ডারবাজির সঙ্গে যুক্ত থাকাসহ আরও অনেক ‘অনিয়মের’ ফিরিস্তি অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে।
এ ছাড়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে ৩০তম সম্মেলনের আয়োজনের তারিখ ঘোষণা করার জন্যও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান ছাত্রলীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা।
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর তৎকালীন সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওই সময়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি দুই শীর্ষ নেতাকে পূর্ণ দায়িত্ব তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে ছাত্রলীগ। ইতিমধ্যে ছাত্রলীগের একটি বড় অংশ কেন্দ্রীয় সম্মেলনের দাবিতে সরব হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকারে দুই ছাত্র উপদেষ্টা রেখে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘প্রফেসর ইউনূস নিশ্চয়ই এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়।’
১ ঘণ্টা আগেবুধবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞার সুযোগে দলের ভেতর নতুন মেরুকরণ তৈরি হয়েছে। জিএম কাদের-বিরোধী অংশ গতকাল মঙ্গলবার এক সভায় দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করেছে। একই সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে...
৫ ঘণ্টা আগেজাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সৃষ্ট দোদুল্যমান অবস্থার অবসান হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
১৫ ঘণ্টা আগে