নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বেনজীর যখন বন্দুকের ভাষায় কথা বলতেন, তখন তো তাকে অস্বীকার করেননি। বেনজীর—আজিজদের বিকট দুর্নীতির দায় আপনারা কখনোই এড়াতে পারবেন না।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ দিন এক অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ আওয়ামী লীগের লোক নন। তাঁরা নিজ নিজ যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিজ নিজ বাহিনীর শীর্ষপর্যায়ে উঠেছিলেন। তাঁদের অপকর্মের বিচারের সৎসাহস শেখ হাসিনার আছে।’
ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলতে চাই—আপনি কি ডানে-বামে তাকিয়ে কথা বলছেন, নাকি আপনাদের স্বভাবসুলভ ডাহা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। আপনার কথাই যদি ঠিক হয়, তবে আপনাদের ডামি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা হয়েছিল কীভাবে? তা ছাড়াও অসংখ্য আওয়ামী শীর্ষ নেতাদের নামে কীভাবে তখন এত মামলা হয়েছিল?’
তিনি আরও বলেন, ‘শীর্ষ নেতা মরহুম আব্দুল জলিল, শেখ সেলিম, আপনি নিজে এবং আপনাদের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী নেতারা গোয়েন্দাদের নিকট কি স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন, সেটি কিন্তু এখনো অনলাইন মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে আছে। ব্যাংক খালি হওয়া, লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে যাওয়া, আওয়ামী ঘনিষ্ঠ বিপুল অঙ্কের ঋণখেলাপি, নজিরবিহীন আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যারা জড়িত তারা কি তাহলে আওয়ামী লীগের মাঝারি নেতা। আপনার কথায় মনে হয়, মাঝারি নেতাদের দুর্নীতি করার অধিকার রয়েছে। আপনাদের কর্মচারীদের হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির খবর বের হচ্ছে।’
রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতা দখলে রেখে অনন্তকাল অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার অসৎ অভিপ্রায়ে, বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিনাশ করার জন্য শেখ হাসিনা তাঁর প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বেনজীর—আজিজদের ব্যবহার করার পাশাপাশি বড় হাতিয়ারে পরিণত করেছে বিচার বিভাগকে। যে বিচারালয় ছিল মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল, সেই বিচারাঙ্গণকে পরিণত করা হয়েছে আওয়ামী স্বর্গ আর বিরোধীদের জন্য আতঙ্কপুরী। তাদের নিজেদের লোকদের জন্য এক আইন—সাত খুন মাফ। আর বিরোধীদের জন্য গণভবনের ফরমায়েশি নির্দেশ অনুযায়ী চলে বিচার কার্যক্রম। তারা জামিনও পাবে না। বিনা দোষে তাদের সাজা ভোগ করতে হবে। বিচারকের আসনে বসানো হয়েছে বাছাই করা দলীয় লোকজন। বিচারের বাণী আক্ষরিক অর্থে আজ নিভৃতে কাঁদছে।’
এ সময় সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্রকে অস্বীকার করে ডামি সরকার রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে আওয়ামীকরণের মাধ্যমে জনগণকে ক্রীতদাস বানানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী ফ্যাসিজমের ছায়া—উপচ্ছায়া দেশের ওপর বিস্তার লাভ করেছে। আওয়ামী লীগ কখনোই জনকল্যাণে ইতিবাচক রাজনীতি করেনি। খুন, রক্তপাত, সহিংসতা, দখল, টাকা পাচার আর অনর্গল মিথ্যা কথা বলাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি।’
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বেনজীর যখন বন্দুকের ভাষায় কথা বলতেন, তখন তো তাকে অস্বীকার করেননি। বেনজীর—আজিজদের বিকট দুর্নীতির দায় আপনারা কখনোই এড়াতে পারবেন না।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ দিন এক অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ আওয়ামী লীগের লোক নন। তাঁরা নিজ নিজ যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিজ নিজ বাহিনীর শীর্ষপর্যায়ে উঠেছিলেন। তাঁদের অপকর্মের বিচারের সৎসাহস শেখ হাসিনার আছে।’
ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলতে চাই—আপনি কি ডানে-বামে তাকিয়ে কথা বলছেন, নাকি আপনাদের স্বভাবসুলভ ডাহা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। আপনার কথাই যদি ঠিক হয়, তবে আপনাদের ডামি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা হয়েছিল কীভাবে? তা ছাড়াও অসংখ্য আওয়ামী শীর্ষ নেতাদের নামে কীভাবে তখন এত মামলা হয়েছিল?’
তিনি আরও বলেন, ‘শীর্ষ নেতা মরহুম আব্দুল জলিল, শেখ সেলিম, আপনি নিজে এবং আপনাদের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী নেতারা গোয়েন্দাদের নিকট কি স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন, সেটি কিন্তু এখনো অনলাইন মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে আছে। ব্যাংক খালি হওয়া, লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে যাওয়া, আওয়ামী ঘনিষ্ঠ বিপুল অঙ্কের ঋণখেলাপি, নজিরবিহীন আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যারা জড়িত তারা কি তাহলে আওয়ামী লীগের মাঝারি নেতা। আপনার কথায় মনে হয়, মাঝারি নেতাদের দুর্নীতি করার অধিকার রয়েছে। আপনাদের কর্মচারীদের হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির খবর বের হচ্ছে।’
রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতা দখলে রেখে অনন্তকাল অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার অসৎ অভিপ্রায়ে, বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিনাশ করার জন্য শেখ হাসিনা তাঁর প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বেনজীর—আজিজদের ব্যবহার করার পাশাপাশি বড় হাতিয়ারে পরিণত করেছে বিচার বিভাগকে। যে বিচারালয় ছিল মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল, সেই বিচারাঙ্গণকে পরিণত করা হয়েছে আওয়ামী স্বর্গ আর বিরোধীদের জন্য আতঙ্কপুরী। তাদের নিজেদের লোকদের জন্য এক আইন—সাত খুন মাফ। আর বিরোধীদের জন্য গণভবনের ফরমায়েশি নির্দেশ অনুযায়ী চলে বিচার কার্যক্রম। তারা জামিনও পাবে না। বিনা দোষে তাদের সাজা ভোগ করতে হবে। বিচারকের আসনে বসানো হয়েছে বাছাই করা দলীয় লোকজন। বিচারের বাণী আক্ষরিক অর্থে আজ নিভৃতে কাঁদছে।’
এ সময় সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্রকে অস্বীকার করে ডামি সরকার রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে আওয়ামীকরণের মাধ্যমে জনগণকে ক্রীতদাস বানানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী ফ্যাসিজমের ছায়া—উপচ্ছায়া দেশের ওপর বিস্তার লাভ করেছে। আওয়ামী লীগ কখনোই জনকল্যাণে ইতিবাচক রাজনীতি করেনি। খুন, রক্তপাত, সহিংসতা, দখল, টাকা পাচার আর অনর্গল মিথ্যা কথা বলাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি।’
মনোনয়নপত্র সশরীরে জমা দেওয়া, দল নিবন্ধন নবায়ন, দল নিবন্ধনের সময় বাড়ানো, ঋণখেলাপি ও হলফনামায় ভুল তথ্য দিলে সদস্যপদ বাতিলসহ অন্তত ১০টি দাবি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে তুলে ধরেছে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্যে
১১ ঘণ্টা আগেবিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকের পক্ষে নয় এবং এই নীতিটি সংবিধানে সংযুক্ত করার পক্ষেও দলটি একমত। সংবিধান সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অসন্তুষ্ট নয় বিএনপি। বরং রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ও শক্তিশালী কাঠামো দাঁড় করানোর জন্য তাঁরা সর্বাত্মক...
১২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গতকাল তাদের সুপারিশমালা জমা দেওয়ার পর কয়েকটি সুপারিশ নিয়ে তীব্র আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার এবং ভরণপোষণের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করার সুপারিশগুলো নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে।
১৪ ঘণ্টা আগেসংস্কারের বিষয়ে আর কোনো সংকট দেখছে না বিএনপি। এই অবস্থায় চলতি বছরের ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব বলে মনে করছে দলটি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে কোনো সংকট নেই। সবাই সবার মতামত দিয়েছে। ঐকমত্য কোথায় কোথায় হয়েছে, তা জানতে এক সপ্তাহের...
১৪ ঘণ্টা আগে