জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ
অনলাইন ডেস্ক
জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া ভাষণে নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট ঘোষণা না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক দলগুলো।
আজ রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভাষণে নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে। এটা আর থামবে না। কিন্তু যেতে যেতে আমাদের অনেকগুলো কাজ সেরে ফেলতে হবে। এই ট্রেন শেষ স্টেশনে কখন পৌঁছাবে, সেটা নির্ভর করবে কত তাড়াতাড়ি আমরা তার জন্য রেললাইনগুলো বসিয়ে দিতে পারি। আর তা হবে রাজনৈতিক দলসমূহের ঐকমত্যের মাধ্যমে।’
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোন দিনে, কোন মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—দেশবাসী স্পষ্ট করে জানতে চায়। দিন-মাস-সময় ব্যতিরেকে তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) অন্য সব কথাই বলেছেন। যেটা প্রয়োজনীয়, সেই কথাটাই জানা হলো না।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) নির্বাচনের কথা বলেছেন। কিন্তু কবে হবে, সেই বিষয়টা খোলাসা করেননি। সেটা খোলাসা করলে ভালো হতো। সংস্কার আর নির্বাচন পাশাপাশি চলে। নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার দরকার, তা করলে আমরা খুশি হই, দেশবাসী খুশি হয়। কিন্তু সেটা যদি স্পষ্ট না হয়, তাহলে জটিলতা বাড়ার সম্ভাবনা আছে।’
যদিও সরকারের ওপর আস্থা রাখার কথা জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘একটা শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যে কাজ করা দরকার। সে ক্ষেত্রে উনি (ড. ইউনূস) সেটা করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। স্বৈরাচার বিদায় হওয়ার পরে জাতি যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেখান থেকে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মিল রেখেই তিনি কাজ করবেন। যেখানে গণতন্ত্রকে আরও বেশি শক্তিশালী করা যায়। এই পথেই উনি থাকবেন এটা আমার বিশ্বাস।’
এদিকে সরকারপ্রধানের বক্তব্য আরও স্পষ্ট করার তাগিদ এসেছে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে। দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমাদের কথা হচ্ছে সুস্পষ্টভাবে সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ যত দ্রুত সম্ভব জনগণের কাছে পরিষ্কার করা দরকার। আমরা মনে করি, সবকিছু সংস্কার করা তো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। জরুরি সংস্কার, যেমন—নির্বাচন কমিশন সংস্কার, বিচার বিভাগের সংস্কার, সংবিধানের কিছু বিষয়ে সংস্কার করেই নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাঁদের বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত। সরকারপ্রধানের বক্তব্যে আমরা আশাহত নই। তবে তাঁর বক্তব্যকে আরও স্পষ্ট করার জন্য অনুরোধ করব।’
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করা সমমনা জোট গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেন নির্বাচনী ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে। এই ট্রেনের শেষ স্টেশন সম্পর্কে জনগণ ও রাজনীতিবিদদের ধারণা দিতে পারলে নির্বাচন নিয়ে যে অনিশ্চয়তা আছে, তা অনেকখানি কেটে যেত। নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট কোনো সময় উল্লেখ করেননি। অস্পষ্টতার জায়গাটা রয়েই গেল। এটা নিয়ে জনগণ এবং রাজনৈতিক মহলে বিভ্রান্তি সৃষ্টির সুযোগ থেকে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন হবে, এ রকম একটা কিছু বললেও দেশবাসী, ভোটার বা রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে স্বস্তি পেত। তখন বোঝা যেত আমাদের আরও তিন মাস বেশি লাগবে না কি, তিন মাস কম সময় লাগবে।’
জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া ভাষণে নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট ঘোষণা না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক দলগুলো।
আজ রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভাষণে নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে। এটা আর থামবে না। কিন্তু যেতে যেতে আমাদের অনেকগুলো কাজ সেরে ফেলতে হবে। এই ট্রেন শেষ স্টেশনে কখন পৌঁছাবে, সেটা নির্ভর করবে কত তাড়াতাড়ি আমরা তার জন্য রেললাইনগুলো বসিয়ে দিতে পারি। আর তা হবে রাজনৈতিক দলসমূহের ঐকমত্যের মাধ্যমে।’
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোন দিনে, কোন মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—দেশবাসী স্পষ্ট করে জানতে চায়। দিন-মাস-সময় ব্যতিরেকে তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) অন্য সব কথাই বলেছেন। যেটা প্রয়োজনীয়, সেই কথাটাই জানা হলো না।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) নির্বাচনের কথা বলেছেন। কিন্তু কবে হবে, সেই বিষয়টা খোলাসা করেননি। সেটা খোলাসা করলে ভালো হতো। সংস্কার আর নির্বাচন পাশাপাশি চলে। নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার দরকার, তা করলে আমরা খুশি হই, দেশবাসী খুশি হয়। কিন্তু সেটা যদি স্পষ্ট না হয়, তাহলে জটিলতা বাড়ার সম্ভাবনা আছে।’
যদিও সরকারের ওপর আস্থা রাখার কথা জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘একটা শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যে কাজ করা দরকার। সে ক্ষেত্রে উনি (ড. ইউনূস) সেটা করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। স্বৈরাচার বিদায় হওয়ার পরে জাতি যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেখান থেকে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মিল রেখেই তিনি কাজ করবেন। যেখানে গণতন্ত্রকে আরও বেশি শক্তিশালী করা যায়। এই পথেই উনি থাকবেন এটা আমার বিশ্বাস।’
এদিকে সরকারপ্রধানের বক্তব্য আরও স্পষ্ট করার তাগিদ এসেছে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে। দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমাদের কথা হচ্ছে সুস্পষ্টভাবে সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ যত দ্রুত সম্ভব জনগণের কাছে পরিষ্কার করা দরকার। আমরা মনে করি, সবকিছু সংস্কার করা তো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। জরুরি সংস্কার, যেমন—নির্বাচন কমিশন সংস্কার, বিচার বিভাগের সংস্কার, সংবিধানের কিছু বিষয়ে সংস্কার করেই নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাঁদের বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত। সরকারপ্রধানের বক্তব্যে আমরা আশাহত নই। তবে তাঁর বক্তব্যকে আরও স্পষ্ট করার জন্য অনুরোধ করব।’
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করা সমমনা জোট গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেন নির্বাচনী ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে। এই ট্রেনের শেষ স্টেশন সম্পর্কে জনগণ ও রাজনীতিবিদদের ধারণা দিতে পারলে নির্বাচন নিয়ে যে অনিশ্চয়তা আছে, তা অনেকখানি কেটে যেত। নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট কোনো সময় উল্লেখ করেননি। অস্পষ্টতার জায়গাটা রয়েই গেল। এটা নিয়ে জনগণ এবং রাজনৈতিক মহলে বিভ্রান্তি সৃষ্টির সুযোগ থেকে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন হবে, এ রকম একটা কিছু বললেও দেশবাসী, ভোটার বা রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে স্বস্তি পেত। তখন বোঝা যেত আমাদের আরও তিন মাস বেশি লাগবে না কি, তিন মাস কম সময় লাগবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। আজ শনিবার ঈদুল আজহার রাতে রাজধানীর গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
৬ ঘণ্টা আগেশফিকুর রহমান বলেন, ‘পরপর তিনবার মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি। এবার নতুন ভোটার যুব সমাজকে ভোটের সুযোগ করে দিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের কোনো সহযোগিতা চাইলে আমরা সহযোগিতা করব। তবে দেশের সংকট দূর হওয়া খুবই জরুরি।’
১১ ঘণ্টা আগেজাতীয় নির্বাচনের জন্য ‘এপ্রিল মাস কোনোভাবেই উপযোগী নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার ঈদের দিন বেলা সাড়ে ১১টায় শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগেবিচার, সংস্কার, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র এবং ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার (৭ জুন) ঈদের নামাজ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগে